২০২১ সালের এইচএসসি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১১শ শ্রেণি ইসলাম শিক্ষা ১ম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান 2021, ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে? মানব জীবনে ইসলাম শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করুন।

শ্রেণি: ১১শ/hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: ইতিহাস প্রথম পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 01 বিষয় কোডঃ 1861
বিভাগ: মানবিক শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ ইসলাম শিক্ষা কাকে বলে? মানব জীবনে ইসলাম শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করুন।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

“যে শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃষ্টিকর্তাকে জানার এবং ইসলামকে একটি পরিপূর্ণ জীবনাদর্শ হিসেবে শিক্ষা দেওয়ার ও গ্রহণ করার ব্যবস্থা আছে, তাই ইসলামি শিক্ষা”। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থী ইসলামের গুরুত্ব অনুধাবন করে জীবনের সর্বক্ষেত্রে তার প্রয়োগ করার সুযোগ পায়। শিক্ষাথীরা ইসলামি চেতনা ও আদর্শে গড়ে উঠে এবং ব্যক্তি পরিবার, সমাজ, ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করে। এ শিক্ষার মূল ভিত্তি হলো আল কুরআন এবং মহানবি (স.) এর সুন্ন্াহ। এ শিক্ষা আদর্শ জীবন ও সমাজ গঠনের যুগোপযোগী শিক্ষা। এ শিক্ষা গ্রহণ করা প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর উপর ফরয।

ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্য

সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও ইলাহকে সঠিকভাবে জানা এবং স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির সম্পর্ক কী হবে তা জানার জন্য ইসলামি শিক্ষা গ্রহণ করা অপরিহার্য। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার জন্যও ইসলামি শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ইসলামি শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ স্রষ্টার সঠিক পরিচয় লাভ করে, তাঁর উদ্দেশ্যে সঠিকভাবে ইবাদকরতে সক্ষম হয়। ইসলামি সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য ও জ্ঞান বিজ্ঞানের অফুরন্ত ভাণ্ডারের সাথে পরিচয়ের জন্য ইসলামি শিক্ষা অত্যাবশ্যক। মানুষ আল্লাহর খলিফা হিসেবে তার দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য ইসলামি শিক্ষা লাভ করা অতীব জরুরি।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

শিক্ষা বিস্তারে মহানবি (স.) এর পদক্ষেপ হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক। তিনি নবুওয়াত লাভের পর থেকে তাঁর গৃহকে শিক্ষালয় হিসেবে ব্যবহার করেন। তাঁর স্ত্রী হযরত খাদিজা (রা.) ও হযরত আয়েশা (রা) ছিলেন আদর্শ শিক্ষক। মহানবি (স.) এর মৃত্যুর পর তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণের গৃহ ছিল নারীদের শিক্ষা কেন্দ্র। হযরত হাফসা (রা) ও উম্মে সালমা (রা.) নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

নবুওয়াতের প্রাথমিক পর্যায়ে মক্কার নিরিবিলি স্থানে হযরত আরকাম (রা.) এর বাড়িটি বিদ্যা শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত হয়। এখানে মুসলিমগণ একত্রিত হয়ে শিক্ষা লাভ করতেন। তাছাড়া মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) ইসলাম গ্রহণকারী নও মুসলিমদের শিক্ষা দানের জন্য গোত্রে গোত্রে শিক্ষক সাহাবিদের পাঠাতেন। আর সেখানে সাহাবিদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষায়তন গড়ে উঠত।

মক্কা থেকে হিজরতের পর তিনি মসজিদে নববিকে শিক্ষার মহাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন। তিনি মসজিদে নববির প্রাঙ্গণে “সুফ্ফা” নামে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু মানুষ এখানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসতেন। অনেক সাহাবি “সুফফা” বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবন ছাত্র ও শিক্ষকের ভূমিকায় ব্যাপৃত ছিলেন। মহানবি (স.) নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও শিক্ষা বিস্তারে এত গুরুত্ব দিতেন যে, বদরের যুদ্ধে শিক্ষিত যুদ্ধ বন্দীদের মুক্তিপণ নির্ধারণ করে ছিলেন কয়েক জন নিরক্ষর মুসলিমকে শিক্ষাদান করার মাধ্যমে। হযরত মুহাম্মদ (স.) এর শিক্ষার প্রভাবে ও প্রত্যক্ষ প্রেরণায় আরবরা এক সুসভ্য শিক্ষিত জাতিতে পরিণত হয়। ২. শিক্ষা ও জ্ঞান বিজ্ঞানে খুলাফায়ে রাশেদিনের অবদান

মানব জাতির মহান শিক্ষক মহানবি (স.) এর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষার বুনিয়াদ খোলাফায়ে রাশেদিনের আমলে ব্যাপক ও বিস্তৃতি লাভ করে। খুলাফায়ে রাশেদিনের চার খলিফা শিক্ষা বিস্তারে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেন। মহানবি (স.) এর আমলের পর এ যুগে পরিকল্পিত উপায়ে মসজিদ কেন্দ্রিক শিক্ষা শুরু হয়। এ সময়ে তাফসিরুল কুরআন, হাদিস, ফিকহ শাস্ত্র ও প্রাক-ইসলামি যুগের কবিতা পঠন-পাঠন হতে থাকে। হযরত আবুবকর (রা.) পবিত্র কুরআন একত্রে গ্রন্থাকারে সংকলনের মহান দায়িত্ব পালন করেন। আর পরবর্তীতে হযরত উসমান (রা.) একই পঠন রীতিতে পবিত্র কুরআনের সংকলন করেন। হযরত আবুবকরের (রা.) আমলে মসজিদে নববি

ছিল প্রধান শিক্ষাকেন্দ্র। খুলফায়ে রাশেদিনের আমলে রাষ্ট্রিয়ভাবে ইসলাম প্রচারের সাথে সাথে শিক্ষা বিস্তারের জন্য ব্যাপক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়।

খলিফা হযরত আলী (রা.) নিজেই একজন অসাধারণ পন্ডিত ও বিজ্ঞানী ছিলেন। হযরত আলী (রা.) নিজেই দর্শন, ইতিহাস, ন্যায়শাস্ত্র, ব্যাকরণ, হাদিস, কাব্য ইত্যাদির উপর সাপ্তাহিক মজলিসে বক্তৃতা দিতেন। তাঁর শাসনামলে রাষ্ট্রের বিখ্যাত শিক্ষা নগরীগুলোর ঔজ্জ¦ল্য দেদীপ্যমান হয়ে সাম্রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

চার খলিফার মধ্যে হযরত উমর (রা) শিক্ষা বিস্তারে বেশি কাজ করেন। তিনি শিক্ষা বিস্তারের অংশ হিসেবে দামেশক, সিরিয়া, বসরা, কুফা প্রভৃতি বিখ্যাত শহরে পাঠ দান করার জন্য বিদ্বান ব্যক্তিদের প্রেরণ করেন। তখন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের অধীনে প্রায় ৪০০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করত। কুফা নগরীতে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ২৪ জন সাহাবিসহ সহস্রাধিক সাহাবির জ্ঞানের স্পর্শে কুফা নগরী আলোকিত হয়েছিল।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আমরা জানি ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম কতকগুলো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নাম নয়। মানুষের জীবনের প্রতিটি দিক ও বিভাগের সামগ্রিক দিক নির্দেশনা এতে রয়েছে। একজন মুসলিমের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের সব কিছুই ইসলামী জীবন বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই ইসলামী জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হলে, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করা এবং তা জীবনে বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য কর্তব্য।

বিধানগত গুরুত্ব

মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। আর এ শ্রেষ্ঠত্ব তার জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিদ্যার জন্যে। এজন্য ইসলাম প্রত্যেক নর-নারীর জন্য শিক্ষা অর্জনকে ফরয করে দিয়েছে। মহানবী (স) ঘোষণা করেন- “জ্ঞান অনে¦ষণ করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয।” (ইবনে মাজাহ, বায়হাকী) কুরআনের প্রথম বাণী হল : “পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আলাক : ১)।

ইসলামে তাই শিক্ষাকে সার্বজনীন অধিকার বলে ঘোষণা করেছে। শিক্ষা থেকে কাউকে বঞ্চিত রাখা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (স) দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেন –

“তোমরা ইলম শিক্ষা কর এবং মানুষকে শিক্ষা দাও।” (বায়হাকী) মহানবী (স) আরও বলেন – “আমার শিক্ষার একটি কথা হলেও মানুষের নিকট পৌঁছে দাও।” (বুখারী) রাসূলুল্লাহ (স) আরও বলেন“যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে জানে, সে বিষয়ে তার নিকট কেউ কোন কথা জানতে চাইলে যদি সে তা গোপন রাখে, তাহলে কিয়ামতের দিন তার মুখে আগুনের লাগাম লাগানো হবে।” (তিরমিযী, আবূ দাউদ)

আল্লাহর নবী (স) আরও বলেন – “ইলম শিক্ষা দাও। কঠোরতা করোনা, কেননা, শিক্ষক কঠোরতাকারীর চেয়ে উত্তম।” (বায়হাকী) অপর এক হাদীসে মহানবী (স) বলেন“সর্বোত্তম সাদকা হল কোন মুসলমান নিজে কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে এবং পরে তা অপর মুসলমান ভাইকে শিক্ষা দেয়।’ (ইবনে মাজাহ) 

সকলের পক্ষে সব বিষয়ের ইলম শিক্ষা করে পণ্ডিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই কতটুকু বা কি পরিমাণ ইলম শিখতে হবে ইসলাম তাও বলে দিয়েছে। যেমনÑ

ক. ফরযে আইনমূলক

প্রত্যেক মুসলমানের উপর এতটুকু ইলম শিক্ষা করা ফরযে আইন, যতটুকু ইলম শিক্ষা করলে ইসলামের মৌলিক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারা যায়। অর্থাৎ, ইসলামের মৌলিক আকীদা-বিশ্বাস, ইবাদত, ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, হালাল-হারাম, মাকরূহ, মুবাহ ইত্যাদি সম্বন্ধে জানা ফরযে আইন।

খ. ফরযে কিফায়ামূলক

ইসলামের প্রাথমিক ও মৌলিক বিষয়ের জ্ঞান লাভের পর, সে সব বিষয়ে উচ্চতর জ্ঞান আহরণ ও গভীর পাণ্ডিত্য অর্জন করা ফরযে কিফায়া।

গ. মুস্তাহাবমূলক ইলম

ফরযে আইন ও ফরযে কিফায়া ব্যতীত দ্বীনের কিছু ইলম এমনও আছে যেগুলো অর্জন করা মুস্তাহাব। প্রয়োজন দেখা দেয়ার আগেই দ্বীনের কিছু ইলম অর্জন করে রাখা দরকার। যেমন- বিয়ের আগেই স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন।

ঘ. হারামমূলক শিক্ষা

কিছু কিছু বিদ্যা এমন আছে যা শিক্ষা করা হারাম। যেমন- যাদু বিদ্যা ও ভোজবাজী ছাড়া এমন বিদ্যা অর্জন করা বৈধ নয়যা মানুষকে হারামের দিকে প্রলুব্ধ করে এবং আল্লাদ্রোহী কাজে লিপ্ত করতে উদ্বুদ্ধ করে।

ঙ. মুবাহমূলক ইলম

যে সমস্ত বিদ্যার কোন মন্দ প্রভাব নেই। ইসলাম ও মানবতার দৃষ্টিতে অকল্যাণকর নয়- এমন কিছু শিক্ষা করা শরীআতের দৃষ্টিতে মুবাহ বা জায়িয।

বস্তুত জ্ঞান অর্জন দ্বীন বুঝার গুরুত্বপুর্ণ অবলম্বন। জ্ঞানের উপরই দ্বীনের অস্তিত্ব, কল্যাণ ও উৎকর্ষ নির্ভরশীল। কাজেই বিদ্যা শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রত্যেক মুসলমানকে খুবই সতর্কতার সাথে শিক্ষক মনোনয়ন করতে হবে। যার- তার কাছ থেকে বিদ্যা শিক্ষা করা ঠিক নয়। কেননা, সমাজে এমন অনেক শিক্ষক রয়েছেন- যারা সত্যিকার অর্থে আদর্শবান শিক্ষক নন। এ সকল শিক্ষকের প্ররোচনায় আবেগ প্রবণ তরুণ ছাত্র-ছাত্রীগণ বিপথগামী হতে পারে। এজন্যই মহানবী (স)

এর ঘোষণা : “নিশ্চয়ই এ জ্ঞানই ধর্ম (দ্বীন)। কাজেই সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রেখো- কোন ধরনের লোকের নিকট থেকে এ দ্বীন গ্রহণ করছ।” (-মুসলিম)

ইসলামী শিক্ষার মর্যাদাগত গুরুত্ব

জ্ঞান মানবজাতির জন্য প্রভূত কল্যাণ বয়ে আনে। এ মর্মে আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেন: “আর যাকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়েছে।” (সূরা বাকারা : ২৬৯) “বল, যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান?” (যুমার ৩৯ : ৯) মহানবীর (স) ঘোষণাÑ

“আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের ইলম দান করেন।” (আল-হাদীস) উপকারী ও কল্যাণকর জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা করা ও শিক্ষা দান করা উভয়ই প্রভূত সওয়াবের কাজ। নবী করীম (স) এ প্রসঙ্গে বলেন : “শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ই সওয়াবের অংশীদার।” (ইবনে মাজাহ) 

আল্লাহর নবী (স) আরও বলেন : “যে ব্যক্তি কোন ভালো কাজের পথ দেখান, সে ভালো কাজকারীর সমান সওয়াব পথ প্রদর্শনকারীও পায়।” (মুসলিম)

জ্ঞান অনে¦ষণকারীকে আল্লাহ সর্বতোভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা দান করেন। মহানবী (স) এ প্রসঙ্গে বলেন : “যে ব্যক্তি জ্ঞান-অর্জনের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়, সে আল্লাহর রাস্তায় চলে, যতক্ষণ না সে ঘরে ফিরে আসে।” (তিরমিযী) আল্লাহর নবী (স) আরও বলেন: “ইলম অনে¦ষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য তাদের সামনে ফেরেশতারা নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেয়।’ (আবু দাউদ) মহানবী (স) বলেন, “আদম সন্তান যতক্ষণ জ্ঞান অর্জনে ব্যাপৃত থাকে, ততক্ষণ তার মনের তারুণ্য বজায় থাকে।’ (কান্যুল হাকায়েক)

জ্ঞান অনে¦ষণকারী পরকালে জান্নাত লাভ করবে। নবী করীম (স) বলেছেন : “যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোন পথে চলে, আল্লাহ তার বেহেশতের পথ সুগম করে দেন। (মুসলিম) জ্ঞান অনে¦ষণকারীর প্রতি আল্লাহ খুশী হন এবং তার পাপরাশি মার্জনা করে দেন। মহানবী (স) বলেছেন :

“যে জ্ঞান অনে¦ষণ করে, তার অতীতের পাপরাশি মাফ হয়ে যায়।” (তিরমিযী) জ্ঞানীকে আল্লাহ তা’আলা বিশেষ মর্যাদা দান করবেন। প্রিয়নবী (স) এ ব্যাপারে বলেন : “পূর্ণিমার রাতের সকল তারকার উপর চাঁদের যেরূপ মর্যাদা, সাধারণ ইবাদাতকারীর উপর জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদাও সেরূপ।” (তিরমিযী) রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: একজন পন্ডিত ব্যক্তি মহাকাশের তারকাগুলোর মত, যারা রাতের আঁধারে পৃথিবীর স্থল ও জলভাগ আলোকিত করে পথিককে পথ দেখায়। তারকা শূন্য রাতে পথিকের তো পথ হারাবার সম্ভাবনা থাকে।” (-মুসনাদে আহমদ)

হযরত জাবির বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করল পণ্ডিতদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠতম? তিনি উত্তর দিলেন, যে সর্বদা অন্যের কাছ থেকে জ্ঞান আহরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে। কেননা, একজন প্রকৃত বিদ্বান ব্যক্তির জ্ঞানতৃষ্ণা কখনও মেটেনা।” নফল ইবাদাতসমূহের মধ্যে জ্ঞান অনে¦ষণ করা সবচেয়ে উত্তম ইবাদত। মহানবী (স) এ মর্মে বলেছেন: “রাতের বেলা এক ঘন্টা জ্ঞান-চর্চা করা সারা রাত নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম।” (দারিমী)

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) বলেন : “আল্লাহর ইবাদতের সর্বোৎকৃষ্ট রূপ হচ্ছে জ্ঞান অনে¦ষণ।” (কানযুল হাকায়েক) “এক মুহূর্তের চিন্তা-ভাবনা সত্তর বছরের ইবাদতের চাইতে মঙ্গলকর।” (কানযুল হাকায়েক) মানব জীবনে জ্ঞান-অনে¦ষণ করার প্রয়োজনীয়তা এত অধিক যে এর জন্য কোন বয়সসীমা নেই। মহানবী (স) এ প্রসঙ্গে বলেন:

“তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অনে¦ষণ কর।” শিক্ষাই সম্মান ও মর্যাদার মাপকাঠি। হযরত আদম (আ)-কে শিক্ষার কারণেই ফেরেশতার উপরে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। জ্ঞানের জন্যই মানুষ সৃষ্টিলোকের সেবায় নিয়োজিত থাকে। সেজন্য সৃষ্টিকুল জ্ঞান-অনে¦ষণকারীদের কল্যাণের জন্য আল্লাহর দরবারে দু’আ করে থাকে। নবী করীম (স) বলেছেন : “আল্লাহর ফেরেশতাগণ ইলম অনে¦ষণকারীর জন্য নিজেদের পালক বিছিয়ে দেন এবং তাদের জন্য আসমান-যমীনের সকল সৃষ্টি এবং পানির মাছ পর্যন্ত দু’আ ও মাগফিরাত কামনা করে থাকে।”

মহানবী (স) বলেন : “কল্যাণ শিক্ষাদানকারীর জন্য সব কিছুই আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করে।” (তিরমিযী) তবে অপকারী ও ক্ষতিকর শিক্ষা-দীক্ষা থেকে বিরত থাকার জন্যও মহানবী (স) তাকিদ করেছেন। তিনি বলেন : “যে শিক্ষায় কোন উপকার হয় না সে শিক্ষা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাও। (ইবনে মাজাহ) 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment