২০২১ সালের এইচএসসি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১১শ শ্রেণি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র ৫ম অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান 2021, জাতি গঠনকারী হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কৃতিত্ব মূল্যায়ন করুণ

শ্রেণি: HSC/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (প্রথম পত্র) এসাইনমেন্টের 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 05
বিষয় কোডঃ 1856
বিভাগ: মানবিক

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ জাতি গঠনকারী হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কৃতিত্ব মূল্যায়ণ করুণ।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

মানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংগঠক। পৃথিবীর সবচেয়ে বিশৃংখল জাতিকে তিনি একই আদর্শের ছায়াতলে এনে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। জাতি গঠনে তার বিচক্ষণতা, প্রজ্ঞা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রমাণ পাওয়া যায়।

১) সুশৃংখল জাতিতে পরিণতকরণ : ইসলামের পূর্বে আরব জাতি ছিল বিশৃংখল, গোত্রে-উপগোত্রে বিভক্ত। তাদের মধ্যে ছিল না পারিবারিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ঐক্য। তিনি সকল বাধাকে অতিক্রম করে শত বিচ্ছিন্ন জাতিকে একটি সুসংবদ্ধ সুশৃংখল জাতিতে পরিণত করেছিলেন।

২) একই আদর্শে একীভূতকরণ : আরব সমাজে রক্তের মর্যাদার মাধ্যমে সমাজ গঠিত হত। বংশ মর্যাদা, আভিজত্য ছিল তাদের সমাজের ভিত্তি। কিন্তু মহানবী (সা.) একমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে একটি জাতিকে গড়ে তোলেন। মূলত আরবের ইতিহাসে রক্তের পরিবর্তে শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে সমাজ গঠনের এটাই ছিল প্রথম প্রচেষ্টা।

৩) বিশ্বজনীন জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা : মুহাম্মদ (সা.) ইসলামের আদর্শের অনুসারে কোন নির্দিষ্ট ভৌগোলিক, আঞ্চলিক, সীমারেখা, দেশ, কাল, বর্ণ, ভাষা, গোত্র ইত্যাদি পেরিয়ে সার্বজনীন একক মুসলিম জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন।

৪)মানবতাবোধের উন্মেষ : মহানবী (সা.) আরবের গোত্রপ্রথার মূলে কুঠারাঘাত করেন। গোত্র কিংবা রক্তের ভিত্তিতে নয় বরং মানবতার আদর্শে তিনি জাতি গঠন করেন। যেখানে মানুষের কল্যাণকামিতাই ছিল সমাজ ও রাষ্ট্রে মূল ভিত্তি।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৫) সমন্বিত জাতি গঠন : মহানবী (সা.) ইহুদি, খ্রিস্টান, পৌত্তলিক, আনসার, মুহাজিরদের সমন্বয়ে মদীনা রাষ্ট্র সৃষ্টি করেন যেখানে সকলের সামাজিক, রাজনৈতিক ধর্মীয় অধিকার স্বীকৃত ছিল। অমুসলিমরা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করত। এটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত।

৬) মদীনা সনদ : একক জাতি গঠনে সর্বপ্রথম পদক্ষেপ ছিল মদীনা সনদ। হিজরতের কিছুদনি পরেই মহানবী সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণের অধিকার সম্বলিত ‘মদীনা সনদ’ প্রদান করেন। এতে ৪৭ টি ধারা ছিল। এই ৪৭ টি ধারার মাধ্যমে মদীনা রাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রত্যেকের অধিকার, কর্তব্য, জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মুহাম্মদ (সা.) সকলের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র গঠন করেন।

৭) পররাষ্ট্রনীতি : পররাষ্ট্রের প্রতি মুহাম্মদ (সা.) শান্তি ও সহযোগিতার মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রে তার দূত বিনিময় করেন, ইসলামের প্রতি আহবান জানান। তিনি রোমান ও পারস্য সম্রাটের নিকট ইসলামের বাণী প্রেরণ করেন।

৮) নতুন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা : প্রাক-ইসলামী যুগের আরব সমাজে কোন রাজনৈতিক ঐক্য বা রাষ্ট্র পরিচালনার কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল না। সমাজ ও মানুষের জীবন আবর্তিত হতো গোত্রতন্ত্র বা শায়খতন্ত্রের মাধ্যমে। কিন্তু মহানবী (সা.) মদীনা সনদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নির্ধারণ করেন। তিনি সকল মানুষের অংশগ্রহণে একটি রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন। তিনি ছিলেন সেই শিশু রাষ্ট্রের জনক।

৯) সংবিধান প্রণেতা : মহানবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম সংবিধান প্রণেতা। তাঁর রচিত ‘মদীনা সনদ’ পৃথিবীর ইতিহাসে রচিত প্রথম সংবিধান। ঐতিহাসিকগণ এই প্রসঙ্গে বলেন, “বিশ্বনবী (সা.) একাধারে ধর্মীয় নেতা, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসকের ভূমিকা পালন করেন।”

১০) গণতন্ত্রের সূচনাকারী : মহানবী (সা.) এর রচিত শাসনব্যবস্থা ছিল গণতেন্ত্রর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের মতামতকে গ্রহণ করেছেন। পারস্পরিক ভেদাভেদ ও বিদ্বেষকে দূর করে করেছেন, বহুধা বিভক্ত জাতিকে একই রাষ্ট্রে বসবাস করার উপযোগী করে গড়ে তুলেন। এভাবে তিনি গণতন্ত্রের বীজ বপন করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।

মহানবী (সা.) ছিলেন সমগ্র বিশ্বের মাঝে এক নজিরবিহীন কীর্তিমান পুরুষ। তিনি ছিলেন আল্লাহর ঐশীবাণীর বাহক। তিনি যুগ-যুগান্তরে আরব সমাজের পৌত্তলিকতার অবসান ঘটিয়ে ইসলামের সুমহান বাণী প্রতিষ্ঠা করেন।

সমাজ সংস্কারক : গোত্র প্রথায় আবর্তিত সমাজে তিনি গোত্র কলহ দূর করেন। সকল গোত্রের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করেন। সমাজ হতে ব্যাভিচার, দাস প্রথা, লুন্ঠন, নৈরাজ্য দূর করেন। সমাজে নারীকে তার অধিকার ও মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাদের পৈত্রিক ও স্বামীর সম্পত্তির অংশীদার করেন। তিনি সমাজে দাসদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন।

রাজনৈতিক সংস্কার ; তিনি মদীনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের (ইহুদী, খ্রিষ্টান, মুসলিম) অধিকার ও কর্তব্য সম্বলিত মদীনা সনদ প্রদান করেন যা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। তিনি সকলকে নিয়ে একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র গঠন করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক মদীনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে বিভক্ত আরবদের নিয়ে একটি সুসংহত আরব জাতি গঠন করেন।

অর্থনৈতিক সংস্কার ; সমাজের নাজুক অর্থনীতিকে পিছনে ফেলে তিনি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। সুদ প্রথা, লুটতরাজ ও ঘুষ নিষিদ্ধ করেন। ইসলামের বিধান অনুযায়ী রাজস্ব ব্যবস্থা (যাকাত, খারাজ, জিজিয়া, আল ফাই, গানীমাহ) প্রণয়ন করেন। এভাবে সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্যের সৃষ্টি হয়।

আরব জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা : তিনি গোত্রে উপগোত্রে বিভক্ত মরুবাসী আরব বেদুইনদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী আরব জাতি প্রতিষ্ঠা করেন। আরব জাতীয়তাবোধকে তিনি সকল বিশ্ববাসীর নিকট তুলে ধরেন। তিনি সমগ্র আরব জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আদর্শ নেতা ; মহানবী (সা.) ছিলেন একন সফলতম রাষ্ট্রনায়ক, সমরবিশারদ আর বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন সরল, অনাড়ম্বর জীবন-যাপনকারী, কঠোর পরিশ্রমী ও অনুপম চরিত্রের অধিকারী। তিনি অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে অজ্ঞতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন একটি জাতিকে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় এক নতুন সমাজ ব্যবস্থা উপহার দিতে সক্ষম হন।

ধর্ম সংস্কারক : মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম সংস্কারক। তিনি পৌত্তলিকতার অবসান ঘটিয়ে ইসলামের মূলনীতির উপর সমাজ পরিচালিত করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মদীনা রাষ্ট্র ছিল একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র। তিনি আল্লাহর একত্ববাদকে সমাজে ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করেন।

বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত : মহানবী (সা.) পরস্পর বিচ্ছিন্ন আরব জাতিকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেন। গোত্রপ্রীতির পরিবর্তে ভ্রাতৃত্বপ্রেম সকলের মধ্যে জাগ্রত করেন। মদীনায় আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে ভ্রাতৃবন্ধনের সম্পর্ক সৃষ্টি করেন। মহানবী (সা.) ছিলেন বিশ্ব- শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত। তিনি বিশ্বে শান্তির বাণী প্রচারের জন্য প্রেরিত হন। তিনি পরধর্মের প্রতি ছিলেন সহিষ্ণু, পররাষ্ট্রের প্রতি তাঁর বাণী ছিল শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের। বিশ্বের সব রাষ্ট্রের সাথে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের জন্য তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রে তাঁর দূত প্রেরণ করেছিলেন। তিনি মানুষের মাঝে ভেদাভেদ দূর করেন।

জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করণ : মহানবী (সা.) কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক সমাজের বিকাশ করেননি, তিনি রাষ্ট্রে বসবাসকারী সকল শ্রেণির মানুষকে একাত্মবোধে আবদ্ধ করেন ও মহান আদর্শ, উদ্দেশ্য ও গন্তব্যের পথে পরিচালিত করেন। এই ভাবে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী ইসলামী রাষ্ট্র গড়ে ওঠে।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা: মহানবী (সা.) মুসলিম অমুসলিম এবং জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের সদিচ্ছা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি জাতি গঠন করেন। মদীনা রাষ্ট্রে তিনি সকলের অংশ্রগ্রহণ ও সমন্বয়ে শক্তিশালী-ইসলামী প্রজাতন্ত্র সৃষ্টি করেন।

গণতন্ত্রের বীজ বপনকারী: মহানবী (সা.) গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তিনি সকল ক্ষেত্রেই ছিলেন গণতন্ত্রমনা। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনিই সর্বপ্রথম গণতন্ত্রের বীজ বপন করেন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট , ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

Leave a Comment