২০১০ সালের শিল্পনীতির উদ্দেশ্যাবলি আলোচনা কর, ২০১০ সালের শিল্পনীতির লক্ষ্য কি?, শিল্পনীতি ২০১০ আলোচনা করো, শিল্পনীতি ২০১০ উদ্দেশ্যাবলি আলোচনা কর

Google Adsense Ads

প্রশ্ন সমাধান: ২০১০ সালের শিল্পনীতির উদ্দেশ্যাবলি আলোচনা কর, ২০১০ সালের শিল্পনীতির লক্ষ্য কি?, শিল্পনীতি ২০১০ আলোচনা করো, শিল্পনীতি ২০১০ উদ্দেশ্যাবলি আলোচনা কর

বাংলাদেশ একটি কৃষি ভিত্তি উন্নয়নশীল দেশ। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন দ্রুত শিল্পায়ন। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বর্তমান শিল্পনীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে বাজার অর্থনীতির আলোকে বিশ্বায়ন উদারিকরণ এবং বেসরকারিকরণকে মূলনীতি ধরে শিল্প নীতির ২০১০ ঘোষিত হয়েছে।

২০১০ সালের শিল্পনীতির উদ্দেশ্যাবলি সালের শিল্পনীতির উদ্দেশ্যাবলি আলোচনা করা হলো :

১. বেসরকারিকরণ : ২০১০ সালের নতুন শিল্পনীতিতেও বেসরকারিকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাজার অর্থনীতির আলোকে গৃহীত এ শিল্প নীতিতে বেসরকারি খাতে নতুন নতুন শিল্পস্থাপনসহ প্রয়োজনে সরকারি শিল্প বিরাষ্ট্রীয়করণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে।

২. মধ্য আয়ের দেশ : নতুন শিল্পনীতিতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে ২০২১ সালে নাগাত বাংলাদেশকে একটি উন্নত তথা শিল্প সমৃদ্ধ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য মাত্রা গৃহীত হয়েছে ।

৩. কর্মসংস্থান : নতুন শিল্পনীতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। তাই ২০১০ সালের শিল্প নীতিতে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও অধিকার নিশ্চিতকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি পরিবারে ন্যূনতম একজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিও নতুন শিল্পনীতির প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য ।


আরো ও সাজেশন:-

৪. নারী উদ্যোক্তা : ২০১০ সালের শিল্পনীতিতে নারী উদ্যোক্তদের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করে ইপিজেডগুলোতে কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনের গঠিত এস, এসই তহবিলের ১৫% অর্থ অনাধিক ১০% সুদের হারে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

৫. আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান : দেশের শিল্পায়নের সরকারি নির্ভরশীলতার অবসান ঘটিয়ে ব্যক্তিগত খাতকে সুসংহত করার জন্য সব ধরনের দীর্ঘ সূত্রতার, আইনি জটিলতা ও বিধি-বিধান সহজ করা হয়েছে।

৬. সারকারখানা স্থাপন : ইউরিয়া সার কৃষির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই ২০১০ সালের নতুন শিল্পনীতিতে দেশের বার্ষিক ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫ শত মেট্রিকটন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি নতুন ইউরিয়া সারকারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ারা হয়েছে ।

৭. ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অগ্রাধিকার : বাংলাদেশে একটি শ্রমবহুল এবং স্বল্প পুঁজির উন্নয়নশীল দেশ। তাই নতুন শিল্প নীতিতে দেশ দ্রুত শিল্পায়িত করার জন্য শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে অগ্রাধিকার নেওয়া হয়েছে।

৮. শিল্পখাতের অবদান : আমাদের অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান খুবই কম। কিন্তু উন্নত দেশে জাতীয় আয়ের শিল্প খাতের অবদান খুব বেশি। তাই নতুন শিল্প নীতিতে জাতীয় আয়ের শিল্প খাতের অবদান দ্রুত ৪০% এ উন্নীতিকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

৯. বন্ধ শিল্প কারখানা চালু : নতুন শিল্প নীতিতে রাষ্ট্রয়াত্ব লাভজনক শিল্প কারখানা বেসরকারি খাতে ছেড়ে না দিয়ে এগুলো লাভজনকভাবে পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাছাড়া সরকারি ও বেসরকারি রুগ্ন ও বন্ধ শিল্প কারখানা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১০. সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রয় : শিল্পপ্রতিষ্ঠানের চলতি পুঁজি সংগ্রহের জন্য পুঁজি বাজার শক্তিশালীকরণে এসইসি- এর নজরদারি বাড়ানো হবে। কেন্দ্রীয় ডিপোজিটারি সিস্টেমকে শক্তিশালী এবং বন্ধ মার্কেটের উন্নয়ন সাধন করা হবে। সর্বোপরি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যা নতুন শিল্পনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ।

১১. বৈদেশিক বিনিয়োগ : শিল্প খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন শিল্প নীতিতে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আগমনের জন্য বিনিয়োগ শর্তাবলি আরও আকর্ষণীয় করার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির আলোকে বাজার অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে রচিত বাংলাদেশ সরকারের ২০১০ সালের শিল্পনীতির এগুলোই হলো সংক্ষেপে বৈশিষ্ট্যসমূহ ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Comment