১০ম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ের ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধে ঠাকুরমার ঝুলির উল্লেখ আছে

‘ঠাকু’মার ঝুলি’ একটি জনপ্রিয় রূপকথার সংকলন। দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার রূপকথার গল্পগুলো সংগ্রহ করেছিলেন তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল ঘুরে। তবে সংগৃহীত হলেও দক্ষিণারঞ্জনের লেখনীর গুণে গল্পগুলো হয়ে ওঠে শিশু মনোরঞ্জক।

৮৪টি চিত্রসংবলিত ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র চিত্র অঙ্কন করেছেন গ্রন্থকার স্বয়ং। গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৭ সালে কলকাতার ভট্টাচার্য অ্যান্ড সন্স প্রকাশনা সংস্থা থেকে।

‘ঠাকুরমার ঝুলি’তে অন্তর্ভুক্ত রূপকথার গল্পগুলো ছিল—কলাবতী রাজকন্যা, ঘুমন্ত পুরী, কাঁকনমালা-কাঞ্চনমালা, সাত ভাই চম্পা, শীত-বসন্ত, কিরণমালা, নীলকমল আর লালকমল, ডালিমকুমার,পাতালকন্যা-মণিমালা, সোনার কাঠি-রুপার কাঠি, শেয়াল পণ্ডিত, সুখু আর দুখু, আম-সন্দেশ প্রভৃতি। রিনা প্রীতিশ নন্দী কর্তৃক অনূদিত এর একটি ইংরেজি সংস্করণও বের হয়েছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

পিসীর জমিদারি দেখাশোনা করতে গিয়ে দক্ষিণারঞ্জন মজুমদার  সংস্পর্শে এসেছিলেন লোককবি ও লোককাহিনির। ফোকলা দাঁতের গল্পকুশলা দিদিমাদের গল্প যত্ন করে সংগ্রহ করেছেন ফনোগ্রাফের কৃপায়।

কলকাতায় দক্ষিণারঞ্জন যখন তাঁর সংগ্রহ নিয়ে আবির্ভূত হন, তখন স্বদেশি আন্দোলনের জোয়ারে ভাসছে কলকাতা শহর। দক্ষিণারঞ্জন দোরে দোরে ঘুরলেন পাণ্ডুলিপি হাতে করে। অনেকেই বলল, এমন বই ছাপলে লোকে পাগল বলবে। ঘটনাচক্রে দীনেশচন্দ্র সেনের হাতে পড়ে গেল ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র পাণ্ডুলিপি। তিনি জহুরি, একপলক দেখেই বুঝলেন, এটা বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।

এই অপূর্ব রচনাবলি নিয়ে গেলেন সে কালের নামকরা প্রকাশক ভট্টাচার্য অ্যান্ড সন্সে। শুধু তা-ই নয়, দীনেশচন্দ্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানালেন দক্ষিণারঞ্জনের ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র কথা। দীনেশচন্দ্র সেনের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র ভূমিকা। ‘

ঠাকুরমার ঝুলি’র সঙ্গে শুধু রবীন্দ্রনাথ আর দীনেশচন্দ্র সেনই নন, জড়িত আছেন ঋষি অরবিন্দ, বারিদবরণ ঘোষ, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, চিত্তরঞ্জন দাশ, রমেশচন্দ্র দত্ত—এমন সব বিশাল নাম। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Leave a Comment