হাইকমিশনার ও এম্বাসেডর এর মধ্যে পার্থক্য কী?, এ্যাম্বাসেডর ও হাইকমিশনারের মধ্যে পার্থক্য, রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারের মধ্যে পার্থক্য, হাইকমিশনার এবং রাষ্ট্রদূতের মধ্যে পার্থক্য কী?, এ্যামব্যাসেডর ও হাইকমিশনার কি?

প্রশ্ন সমাধান: হাইকমিশনার ও এম্বাসেডর এর মধ্যে পার্থক্য কী?, এ্যাম্বাসেডর ও হাইকমিশনারের মধ্যে পার্থক্য,রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারের মধ্যে পার্থক্য, হাইকমিশনার এবং রাষ্ট্রদূতের মধ্যে পার্থক্য কী?, এ্যামব্যাসেডর ও হাইকমিশনার কি?, হাই কমিশনার ও এম্বাসেডর (ambassador) এর পার্থক্য কি?

এ্যাম্বাসেডর ও হাইকমিশনারের মধ্যে পার্থক্য আমরা হয়তবা অনেকেই জানিনা। কিংবা জানলেও সহজে মনে রাখতে পারি না। তাই আজকের এই পোস্টে এই দুইটা গুরুত্বপূর্ণ টার্ম ও কমনওয়েলথ নিয়ে আলোচনা করবো।

Ambassador- রাষ্ট্রদূত:

রাষ্ট্রদূত বা এ্যাম্বাসেডর হলেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, যিনি কোন নির্দিষ্ট দেশের সরকারের পক্ষ থেকে অন্য আরেকটি দেশের সাথে কূটনৈতিক কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রেরিত হন। একজন এ্যাম্বাসেডর প্রেরিত দেশে নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষা করেন এবং চলমান বিভিন্ন সমস্যা সেই দেশের কাছে সমাধানের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বাস্তবায়নে তিনি সদা তৎপর থাকেন।

রাষ্ট্রদূতকে বৈদেশিক রাষ্ট্রে অনির্ধারিতভাবে কয়েক বছর অবস্থান করতে হয় এবং তাকে ঐ রাষ্ট্রের যাবতীয় আইন-কানুন, রীতি-নীতি, সমাজ ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত থাকতে হয়।

High Commissioner: হাই কমিশনার:

বর্তমানে যে স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো অতীতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত ছিলো সেই রাষ্ট্রগুলোকে বলা হয় কমনওয়েলথভুক্ত দেশ (মোট ৫৪টি রাষ্ট্র)। এই কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে ইংরেজিতে ‘Commonwealth of Nations’ বলা হয়।

এক কমনওয়েলথভুক্ত দেশ থেকে আরেক কমনওয়েলথভুক্ত দেশে যে রাষ্ট্রদূত প্রেরণ করা হয় তাকে এ্যাম্বাসেডর বলার পরিবর্তে হাই কমিশনার বলা হয়। হাইকমিশনার ও এম্বাসেডরের কাজের মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। রাষ্ট্রদূতকে তখনি হাইকমিশনার বলা হয় যখন দুটি দেশই কমনওয়েলথভূক্ত হবে। আর দুটি দেশ কমনওয়েলথভুক্ত না হলে রাষ্ট্রদূতকে এ্যাম্বাসেডর বলা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

যেমন- বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই পূর্বে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত ছিলো। তাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ভারতে নিয়োগ পেলে তাকে হাইকমিশনার বলা হবে। একইভাবে ভারতের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নিয়োজিত হলে তাকেও হাইকমিশনার বলা হবে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্র নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে এ্যামব্যাসেডর বলা হবে। একইভাবে বাংলাদেশে প্রেরিত যু্ক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে এ্যামব্যাসেডর বলা হবে। কারণ বাংলাদেশ কমনওয়েলথভূক্ত দেশ হলেও যুক্তরাষ্ট্র কমনওয়েলথ ভূক্ত দেশ নয়।

যেভাবে মনে রাখবো:
যাদের হাইকমিশনার ও এ্যাম্বাসেডরের মধ্যে পার্থক্য সহজে মনে থাকে না তারা এভাবেও মনে রাখতে পারেন –
‘হাইকমিশনার’ এই শব্দের মধ্যে “ক” বর্ণটি রয়েছে একইভাবে ‘কমনওয়েলথ’ শব্দটির মধ্যেও “ক” বর্ণটি রয়েছে। কিন্তু ‘এ্যাম্বাসেডের’ এই শব্দের মধ্যে কোনো “ক” বর্ণ নেই। তাই মনে রাখবো কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতকে হাইকমিশনার বলা হয়।

কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪ টি রাষ্ট্র:

অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, অস্ট্রেলিয়া, বাহামা দ্বীপপুঞ্জ, বাংলাদেশ, বার্বাডোস, বেলিজ,
বতসোয়ানা, ব্রুনাই, ক্যামেরুন, কানাডা,
সাইপ্রাস, ডোমিনিকা, ইসোয়াতিনি, ফিজি,
গাম্বিয়া, ঘানা, গ্রেনাডা, গায়ানা, ভারত, জ্যামাইকা, কেনিয়া, কিরিবাস, লেসোথো,
মালাউই, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মাল্টা,
মরিশাস, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, নাউরু,নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি, রুয়ান্ডা, সেন্ট কিট্‌স ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ, সামোয়া, সিশেলিস, সিয়েরা লিওন,
সিঙ্গাপুর, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, টোঙ্গা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, টুভালু, উগান্ডা, যুক্তরাজ্য, ভানুয়াতু ও জাম্বিয়া।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment