স্বনামধন্য কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক জনাব আমান সাহেব গবেষণার কাজে যশোর যায়। জামদানি কারিগরদের বসবাস কোথায়?

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

১।   স্বনামধন্য কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক জনাব আমান সাহেব গবেষণার কাজে যশোর যায়। একদিন তার পরিচিত এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটায়। যে ঘরে তাকে শুতে দেয় সেই ঘরে একটি নকশিকাঁথা দেখতে পেয়ে জনাব আমান সাহেব আশ্চর্য হয়ে যান। কেননা এখন এগুলো আর দেখতে পাওয়া যায় না। এগুলো বাঁচিয়ে রাখা সবার দায়িত্ব।

ক. জামদানি কারিগরদের বসবাস কোথায়?

খ. বর্ষাকাল নকশিকাথাঁ সেলাইয়ের উপযুক্ত সময় কেন?

গ. উদ্দীপকটি ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. এগুলো বাঁচিয়েৃ রাখা সবার দায়িত্ব- উদ্দীপক এবং ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর।

উত্তর সমূহ:

ক. জামদানি কারিগরদের বসবাস কোথায়?

উত্তর : জামদানি কারিগরদের বসবাস নারায়ণগঞ্জ জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে।

খ. বর্ষাকাল নকশিকাথাঁ সেলাইয়ের উপযুক্ত সময় কেন?

উত্তর : শীতলক্ষ্যা নদীর পানির বাষ্প থেকে যে আর্দ্রতার সৃষ্টি হয় তা জামদানি বোনার জন্য উপযুক্ত, তাই জামদানি কারিগরদের বসবাস শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলার নওয়াপাড়া গ্রামেই জামদানি কারিগরদের বসবাস। শতাব্দীকাল ধরে এ তাঁতশিল্প বিস্তার লাভ করেছে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী এ এলাকায়। ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া এবং পরিস্থিতির জন্য শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে জামদানি কারিগরদের বসবাস।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

গ. উদ্দীপকটি ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকটি ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধের উল্লেখিত নকশিকাঁথা বা আমাদের অতীত ঐতিহ্যের দিকটি ফুটে উঠেছে।

আমাদের লোকশিল্প প্রাচীনকাল থেকে সমৃদ্ধ। নকশিকাঁথা আমাদের লোকশিল্পের একটি অন্যতম উপাদান। যা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ এই নকশিকাঁথা সেলাই করে একসময় গ্রামের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করত।

‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে লেখক আমাদের লোকশিল্পের নানা ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন। এসব ঐতিহ্যের মধ্যে নকশিকাঁথা অন্যতম। একসময় গ্রামের মেয়েরা বর্ষার মৌসুমে নকশিকাঁথা সেলাই করত। আবার অনেক মেয়ে এই কাথা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করত। যার সাথে জড়িত থাকত পরিবারের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার কত স্মৃতি। অথচ আজ এই নকশিকাঁথা লুপ্তপ্রায়। উদ্দীপকে জনাব আমান সাহেব গবেষণার কাজে যশোর গিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নকশিকাঁথা দেখতে পান। কাঁথাটি দেখে তিনি আশ্চর্য হয়ে যান। কেননা এই নকশিকাঁথা তিনি অনেকদিন হলো কোথাও দেখতে পান না। তাই বলা যায় উদ্দীপকটি ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধের নকশিকাঁথা বা আমাদের ঐতিহ্যের দিকটি ফুটে উঠেছে।

ঘ. এগুলো বাঁচিয়েৃ রাখা সবার দায়িত্ব- উদ্দীপক এবং ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর।

উত্তর : এগুলো বাঁচিয়ে রাখা সবার দায়িত্ব। এগুলো বলতে আমাদের লোকশিল্পের সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ উদ্দীপকে লোকশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার যে তাগিদ অনুভূত হয়েছে তা ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে লেখকের বক্তব্যকে সমর্থন করে।

পৃথিবীর প্রতিটি দেশের নিজস্ব ঐতিহ্য আছে। যা বিশ্বের দরবারে দেশকে পরিচয় করিয়ে দেয়। আমাদের অনেক ঐতিহ্য থাকলেও তা আজ বিলুপ্ত প্রায়। তাই এগুলোকে আবার বাঁচিয়ে তুলতে হবে। তাহলে সমগ্র বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে লেখক লোকশিল্পকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা যদি এদিক নজর দেয় তাহলে তাদের পারিবারিক অবস্থার পরিবর্তন যেমন হবে, তেমনি লোকশিল্পের উন্নয়ন ঘটবে। আমাদের শুধু চোখ দিয়ে তাকালে হবে না, হৃদয় দিয়ে অনুভব করে লোকশিল্পের কাজ করতে হবে। তাহলে বিদেশিদের সুনজর পড়বে আমাদের ওপর এবং বিদেশিদের  সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে।

উদ্দীপকের আমান সাহেব গবেষণার জন্য যশোরে গেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নকশিকাঁথা দেখতে পান। এটি দেখে তিনি আশ্চর্য হন। ফলে তিনি এটিকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদ অনুভব করেন। এটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তিনি সবাইকে অনুরোধ জানান।

সুতরাং উদ্দীপক ও পঠিত প্রবন্ধের মূল ভাবনা, আমাদের লোকশিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা এবং আমাদের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

Leave a Comment