স্নাতক পর্যায়ের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। চলতি শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে অধ্যয়নরত স্নাতক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের এ উপবৃত্তি দেয়া হবে। আর এ উপবৃত্তি পেতে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
এসব তথ্য জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।
জানা গেছে, নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (http://estipend.pmeat.gov.bd) প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি পেতে নিবন্ধন করতে হবে। এ ওয়েবসাইটের তথ্য দেয়ার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যা দেখে শিক্ষার্থীরা তথ্য দিতে পারবেন। আর তথ্য এন্ট্রি করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আলাদা আলাদা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেয়া হবে।
আর এ প্রক্রিয়া শেষ ও শিক্ষার্থী নির্বাচন করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে পাঠাতে বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে আপনাকে স্বাগতম
দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ অভিপ্রায় অনুযায়ী ২০১২ সালে “প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট” গঠন করা হয় । প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ এর বিধান অনুযায়ী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ০৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট “উপদেষ্টা পরিষদ”-এর সভাপতি । বিদ্যমান আইনের আওতায় গঠিত ২৬ (ছাব্বিশ) সদস্যবিশিষ্ট ‘ট্রাস্টি বোর্ড’-এ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী সভাপতি ।
ট্রাস্ট ফান্ড থেকে স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা/বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, আর্থিক সহায়তা, অনুদান ও উচ্চ শিক্ষায় ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে । এতে করে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা ডিগ্রী পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে । শিক্ষার্থীদের হাতে স্বল্প সময়ে, ঝামেলাহীনভাবে উপবৃত্তির অর্থ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ই-স্টাইপেন্ড সিস্টেম বাস্তবায়ন করছে । এই পদ্ধতির ফলে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সুবিধাজনক সময়ে, স্থানে এবং পছন্দমতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে উপবৃত্তির অর্থ প্রদান নিশ্চিত করা হবে । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার প্রসার, বাল্যবিবাহ রোধ, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ দারিদ্র্য বিমোচনে ট্রাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
উপবৃত্তি প্রাপ্তির শর্তাবলি: ১. উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীকে ডিগ্রী (পাস)/ফাজিল পর্যায়ে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে। ২. নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে শ্রেণিকক্ষে (ক্লাস) কমপক্ষে ৭৫% উপস্থিত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে (বাংলা/ইংরেজি) গণনা করা যেতে পারে। ৩. উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে। অভিভাবক/পিতামাতার মোট জমির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ০.০৫ (পাঁচ) শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ (পঁচাত্তর) শতাংশের কম জমি থাকতে হবে।
- বিক্রয়ের উপরে করের প্রভাব বিস্তারিত আলোচনা কর
- ইজারার চলতি ও ইজারার অচলতি পার্থক্য । ইজারার চলতি vs ইজারার অচলতি পার্থক্য
- ইজারাদাতার অবশিষ্ট মূল্য সম্পর্কে আলোচনা কর
- ইজারা গ্রহীতার বইয়ের হিসাব সংরক্ষণের প্রক্রিয়া আলোচনা কর
- ইজারা দাতার প্রত্যক্ষ ইজারার অর্থায়ন পদ্ধতি ধারণা সহ আলোচনা কর