সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার সঠিক নিয়ম ও কৌশল জেনে নাও

শিক্ষার্থীদের প্রায়ই অভিযোগ থাকে বেশি লেখার পরও কম নম্বর পাওয়া নিয়ে। কিন্তু সৃজনশীল পদ্ধতিতে বেশি লেখার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক এবং টু দ্য পয়েন্ট উত্তর করা। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার নিয়মকানুন জানিয়েছেন বিপুল জামান

উদ্দীপক ও বিভিন্ন স্তরের প্রশ্ন : পরীক্ষার উদ্দেশ হলো পঠিত বিষয় শিক্ষার্থী কতটুকু আয়ত্ত করতে পারলো এবং পরবর্তী সময়ে কতটুকু দক্ষতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে পারলো যাচাই করা। এই উদ্দেশে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি প্রণয়ন। মূলত তথ্যভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন, উদ্দীপক ও পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সমন্বয় এবং শিক্ষার্থীরা যেন নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারে নিশ্চিত করাই সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির মূল উদ্দেশ।

সৃজনশীল প্রশ্নে একটি উদ্দীপক দেওয়া থাকে। উদ্দীপকটি হতে পারে কোনো অনুচ্ছেদ, চিত্র, গ্রাফ, টেবিল ইত্যাদি। প্রদত্ত উদ্দীপকের আলোকে চার স্তরের প্রশ্ন দেওয়া হয়। স্তরগুলো হলো জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক, প্রয়োগমূলক ও উচ্চতর দক্ষতামূলক।

পরীক্ষার সময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর সঠিক সময়ে দিতে পারা। তাই উত্তর লেখা শুরু করার আগেই সময় ভাগ করে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে বেশি লিখলেই বেশি নম্বর পাওয়া যাবে না। অল্প কথায় প্রাসঙ্গিক উত্তর লিখলে বেশি নম্বর যেমন পাওয়া যাবে তেমনি যথাসময়ে উত্তর করাও সম্ভব হবে।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন : প্রশ্নটি সাধারণত বই থেকেই আসে। এর সঙ্গে উদ্দীপকের মিল থাকে না বললেই চলে। তাই উত্তর হতে হবে বইয়ে যেমন আছে, তেমনই। উত্তর এক লাইনে শেষ করাই ভালো।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : প্রশ্নটি কখনো বই থেকে, কখনো উদ্দীপক থেকে আসে। এ প্রশ্নের উত্তর দুই প্যারা করে লেখা ভালো। প্রথম প্যারায় প্রশ্নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু জ্ঞানমূলক উত্তর দেওয়া যায়। দ্বিতীয় প্যারায় উদ্দীপকের আলোকে মূল উত্তর গুছিয়ে লিখতে হবে।

প্রয়োগমূলক প্রশ্ন : সৃজনশীল পদ্ধতির অন্যতম মূল প্রশ্ন এটি। উদ্দীপক ও পাঠ্যবইয়ের মধ্যে এর মাধ্যমে যোগসূত্র তৈরি হয়। এটি তিন প্যারায় লেখা উত্তম। প্রথম প্যারায় উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের সম্পর্ক বর্ণনা, দ্বিতীয় প্যারায় মূল উত্তরটি গুছিয়ে লেখা এবং তৃতীয় প্যারায় সংক্ষিপ্ত উপসংহার ।

উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন : প্রয়োগমূলক প্রশ্নের প্রায় কাছাকাছি। তবে এখানে সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ের বিশ্লেষণ ও যৌক্তিকতা তুলে ধরতে বলা হয়। চার প্যারায় বিভক্ত করে লেখা ভালো। প্রথম তিন প্যারা প্রয়োগমূলক প্রশ্নের উত্তরের মতোই। চতুর্থ প্যারায় যুক্তিতর্ক, বিশ্লেষণ ও নিজের মতামত দিয়ে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।

Leave a Comment