সুরা আলমাউন এর ব্যাখ্যা, সুরা আল-মাউন এর পরিচয় বলতে পারবে, সুরা আল-মাউন এর পটভুমি (শানেনুযুল) বলতে পারবে,সুরা আল-মাউন এর অর্থ বলতে পারবে,সুরা আল-মাউন এর শিক্ষা বলতে পারবে

শ্রেণি: ১০ম ভোকেশনাল দাখিল 2022 বিষয়: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (২) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 1221
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ সুরা আলমাউন এর ব্যাখ্যা

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • সুরা আল-মাউন এর পরিচয় বলতে পারবে,
  • সুরা আল-মাউন এর পটভুমি (শানেনুযুল) বলতে পারবে,
  • সুরা আল-মাউন এর অর্থ বলতে পারবে,
  • সুরা আল-মাউন এর শিক্ষা বলতে পারবে,

নির্দেশনা :  

  • সুরা আল-মাউন এর পরিচয় বর্ণনা করতে হবে,
  • সুরা আল-মাউন এর অর্থ লিখতে হবে,
  • সুরা আল-মাউন এর শিক্ষা বর্ণনা করতে হবে,

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • সুরা আল-মাউন এর পরিচয় বর্ণনা করতে হবে,

সুরা মা’উন পবিত্র কুরআনের ১০৭তম সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরায় রয়েছে ৭ আয়াত। এই সুরাকে সুরা দ্বীন বা সুরা তাকজিবও বলা হয়। মাউন শব্দের অর্থ যাকাত অথবা গৃহস্থালী কাজে ব্যবহৃত ছোটখাটো জিনিস।

এই সুরায় কিয়ামতকে অমান্য করার, অনাথের প্রতি কঠোরতার, দরিদ্রদের আহার করাতে রাজী না হওয়ার, লোক দেখানো উপাসনার এবং নামাযে অনীহা ও অমনোযোগী হওয়ার নিন্দার বিষয় উল্লিখিত হয়েছে। এবারে এই সুরার অনুবাদ শোনা যাক: অসীম দয়াময় ও অনন্ত করুণাময় আল্লাহর নামে

১. তুমি কি তাকে প্রত্যক্ষ করেছ যে কর্মফল দিবসকে সবসময় মিথ্যা বলে? (২) সে তো সেই যে অনাথকে রুঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়, (৩) এবং সে অভাবগ্রস্তকে খাবার দানে অন্যদের উৎসাহ দেয় না। (৪) সুতরাং দুর্ভোগ সে সমস্ত নামায আদায়কারীর (৫) যারা তাদের নামায সম্বন্ধে উদাসীন, (৬) যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ বা অন্য কোনো ভালো কর্ম করে (৭) এবং যাকাত দানে অথবা গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় ছোটখাট ধার বা সাহায্য দানে বিরত থাকে।

ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু হওয়ার পর এক পর্যায়ে যখন মুসলমানদের সংখ্যা বেশ বাড়তে থাকে এবং পরিস্থিতি মুসলমানদের অনুকূল হয়ে উঠতে থাকে তখনই এর পাশাপাশি এমন এক অবস্থা দেখা দেয় যে তা এক ধরনের বড় বিপদ বা আপদ হয়ে ওঠে। এর কারণ একদল এটা মনে করত যে কেবল কলেমায়ে শাহাদাতাইন পাঠ এবং বাহ্যিক কিছু ইসলামী রীতি ও বেশ-ভূষা বজায় রাখলেই তাদের ঈমান রক্ষা পাবে ও এমনকি এরই সুবাদে ইহাকাল ও এমনকি পরকালের সৌভাগ্যও অর্জন করবে!

কিন্তু ইসলাম হল এমন এক ধর্ম যাতে রয়েছে কিছু মূলনীতি এবং হালাম-হারাম বা করণীয় ও বর্জনীয় অনেক বিষয়। আর এসব মেনে চলা ছাড়া মুসলমানদের উন্নতি অর্জন সম্ভব নয়। দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায় এতিম ও মিসকিনদের সাহায্য করা, আন্তরিক ও পবিত্র চিত্তে ইবাদত করা এবং নানা ধরনের সৎ কাজ না করে কেউ ভাল মুসলান বা বিশ্বাসী মুসলমান হতে পারে না। আর এমনই প্রেক্ষাপটে নাজিল হয় সুরা মাউন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • সুরা আল-মাউন এর অর্থ লিখতে হবে,

সুরাটিতে আল্লাহ প্রথমেই বিচার দিবসের কথা বলেছেন এবং এরপর বলছেন সেই সব লোকদের কথা যারা এতিমদের গলা ধাক্কা দেয়। মুলত তারাই বিচার দিবসকে অস্বীকার করে। আমাদের বর্তমান সমাজে এর চিত্র প্রতিদিনের। অন্যায়ভাবে এতিমের সম্পদ ভক্ষণ করছে। এবং আল্লাহ বলছেন এরা নামযের প্রতি অবহেলা করে এবং অমনোযোগী।

এবং এদের নামায আল্লাহ কবুল করেন না। আমাদের সমাজে এমন অনেক লোক রয়েছেন যারা লোক দেখানো ইবাদাত করে এবং সাহায্য করে। আর এরাই হচ্ছে মুনাফিক। অর্থাৎ এরা ভিতরে নিজের দাম্ভিকতা দেখানোর জন্যে মানুষদের সাহায্য করছে অথচ বাহিরে এমন ভাব দেখায় তারা সমাজ সেবা করছে। এরাই হলো মুনাফিক। এবং এরাই হবে কাফিদের দলে। মূলত লোক দেখানো  আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • সুরা আল-মাউন এর শিক্ষা বর্ণনা করতে হবে,

যদি কেউ সূরা মাউন এর অর্থ সহ অর্থ সহ পড়েন:

  • সে কিয়ামতের দিন অস্বীকার করতে পারবে না
  • এতিমের হক মারতে পারবে না
  • মিসকিন কে না খাইয়ে বা না সাহায্য করে থাকতে পারবে না
  • নামাজে গাফিলতি করতে পারবে না
  • লোক দেখানোর ইবাদত করতে পারবে না
  • এবং অন্য মানুষকে ছোটখাটো সাহায্য করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে না।

সূরাটির আক্ষরিক অর্থ হলো নিম্নরূপ:

পরম দয়ালু ও অসীম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু,

  1. আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
  2. সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
  3. এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
  4. অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
  5. যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
  6. যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
  7. এবং অন্যকে ছোট-খাটো সহায়তা প্রত্যাখ্যান করে।

আসুন, এই সূরাটি শুধু আমাদের মুখ আবৃতি না করে বরং সূরাটির প্রকৃত অর্থ বোঝার চেষ্টা করি। অর্থটি বোঝার পর, আমাদের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডে এগুলোর প্রতিফলন আনার চেষ্টা করি।

সূরাটি গভীরভাবে বোঝার জন্য উদাহরণ

আমাদেরকে অবশ্যই বিচারের দিনের উপর বিশ্বাস করতে হবে

আমরা কখনোই এতিমের অধিকার লঙ্ঘন করতে পারব না

আমাদেরকে গরীবদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতেই হবে

উদাহরণস্বরূপ, ধরুন একজন কিপটে মানুষ তার নামাজে এই সূরাটি পড়লো। কিন্তু, এটি পড়ার পরেও তার মনে কোনো পরিবর্তন আসলো না। একটি এতিমের উত্তরাধিকারী সম্পত্তি অন্যায়ভাবে জবরদখল করে নিতে তার ভয় কোনো হলো না। সমাজের দরিদ্র মানুষের জন্য তিনি তার হাত বাড়ালেন না।

সেই নামাজি বেক্তি ধ্বংস হোক

যারা তাদের নামাজে গাফেল বা অমনোযোগী

যারা লোক দেখানো এবাদত করে

এবং যারা অন্য মানুষকে ছোট-খাটো সাহায্য করতে চায় না

এই সূরাটির ৪ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সেই নামাজী বেক্তির উপর গজব নাজিল হোক। সেই সকল নামাজির উপর, যাদের মাঝে নিম্ন বর্তীত বৈশিষ্টগুলো পাওয়া যায়।

যারা নামাজের ব্যাপারে উদাসীন বা অমনোযোগী। এটা স্পষ্ট যে এইসব ব্যক্তির মধ্যে তারা অন্তর্ভুক্ত যারা অলসতার বশে কিছু নামাজ অবহেলা করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু এর বাইরেও কিছু ছোট-খাটো বিষয় এটির আওতাধীন যেমন, এমন বেক্তি যে প্রায়ই তার নামাজে দাঁড়িয়ে তার ব্যবসায়িক লাভ-লোকসানের হিসাব নিকাশ সেড়ে নেন। এরকম চিন্তা নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় মাঝে-মধ্যে আমাদের মাথায় আসতেই পারে,  কিন্তু যদি আমরা এটি আমাদের নিয়মিত অভ্যাস বানিয়ে ফেলি তাহলে এটি এক ধরণের অপরাধ হয়ে ওঠে।

যেই ব্যক্তি সবসময় খেয়াল রাখেন, যেন সবাই তাকে একজন নিয়মিত নামাজী হিসেবে লক্ষ্য করে এবং সমাজের একজন ধার্মিক ব্যক্তি হিসেবে তাকে গণ্য করে। তিনি লোক দেখানোর জন্য এসব উপাসনাগুলো করে থাকেন। আল্লাহ (সুবহানু-ওয়াতা’লা) এই সব নামাজ কখনই কবুল করেন না।

যারা অন্যকে ছোট-খাটো সাহায্য করা থেকে নিজেকে বিরত রাখে। আসুন এই ক্ষেত্রে ২টি উদাহরণ কল্পনা করি।

প্রথম উদাহরণ: একজন যুবক সুন্দরভাবে তার নামাজে সূরা মাউন পাঠ করে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসলো। তার কোনো রকম তাড়াহুড়া ছিল না এবং তিনি শান্ত ভাবে তার বাড়ির পথে ফিরে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় একজন অন্ধ লোক তাকে রাস্তা পার করিয়ে দেওয়ার জন্য সাহায্য চাইলো। যুবকটি কোনো কারণ ছাড়াই সেই অন্ধ ব্যক্তিটির মুখের ওপর তাকে মানা করে দিলেন।

দ্বিতীয় উদাহরণ: একজন মহিলা তার বাসায় নামাজে এই সূরাটি পড়লেন। নামাজ শেষ হতেই হটাৎ কলিং বেলটি বেজে উঠলো। তিনি দরজায় গিয়ে দেখলেন, যে পাশের বাড়ির ভাবি এসেছে। উনি আসলে রান্না করা শুরু করে দেওয়ার পর হটাৎ দেখলো যে তার বাসায় লবন শেষ হয়ে গিয়েছে, আর সেই মুহূর্তে তার কাছে লবন কিনে আনার সময়টি নেই। যেই মহিলাটি এখনই নামাজ পড়ে উঠলেন, তিনি এই সামান্য লবন দিতে মানা করে দিলেন, যদিও এতটুকু লবন দিলে তার সেরকম কোনো ক্ষতি হয়ে যাচ্ছিলো না।

আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’লা) এরকম মানুষদের পছন্দ করেন না যারা মুসলিম হিসেবে বাজে একটি উদাহরণ আর তারাই এই সুন্দর ধর্ম – ইসলাম থেকে বাকি মানুষদেরকে আরও দূরে ঠেলে দেয়। ইসলাম শুধু একটি ধর্ম নয়, এটি একটি সম্পূর্ণ জীবন যাপনের পথনির্দেশনা, যা আমাদের উপাসনার সাথে সাথে আমাদের চরিত্রেও প্রভাব আনে। ইসলাম আমাদেরকে শিখায় যে, কিভাবে আমরা অন্য মানুষ ও পশু-পাখির সাথে আরো ভাল ব্যবহার ও ভদ্র আচরণ করতে পারি।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment