প্রশ্ন সমাধান: সুদমুক্ত ব্যাংক ব্যবস্থা বলতে কী বুঝায়, সুদমুক্ত ব্যাংক ব্যবস্থার সংজ্ঞা দাও, সুদমুক্ত ব্যাংকিং কতটা সুদমুক্ত?, সুদমুক্ত ব্যাংক ব্যবস্থা, ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থা, ইসলামি ব্যাংকিং আলোচনা
ভূমিকা : সুদমুক্ত ব্যাংক ব্যবস্থা হলো এমন এক ব্যবস্থা যেখানে ব্যাংকিং-এর যাবতীয় কার্যাবলি ইসলামি মূল্যবোধের আলোকে পরিচালিত হয় এবং সমাজের তথা সমস্ত দেশের জনগণের আলোকে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। নৈতিক ধারণার আলোকে সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা গঠন হয়।
আরো ও সাজেশন:-
→ সুদমুক্ত ব্যাংক ব্যবস্থা : সকল অর্থনৈতিক ব্যবস্থারই নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনা এবং উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য রয়েছে। অর্থনীতি যাতে এর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে এবং ইতিহাসের ঘাত প্রতিঘাত মোকাবিলায় স্থায়ীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে গঠিত আবশ্যকীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ইসলামি অর্থব্যবস্থা হলো একটি। আর এই ইসলামি অর্থব্যবস্থারই একটি অবিচ্ছেদ্য প্রতিষ্ঠান হলো সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থা।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনের আলোকে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা চালু ছিল যার অনেকটাই ব্যক্তিগতভাবে সম্পন্ন হতো। তখনকার সময়ে আধুনিক ব্যাংকের অস্তিত্ব অনুপস্থিত ছিল। পরবর্তীতে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করার উদ্দেশ্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার বা বায়তুল মাল হতে ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়।
বায়তুল মাল তার কর্তব্যনুযায়ী জনগণকে প্রয়োজন অনুযায়ী সুদবিহীন ঋণ প্রদান করার ব্যবস্থা করে দিত। নিজেদের চাকরির জামানতে বায়তুল মাল হতে সরকারি কর্মচারীগণ ঋণগ্রহণ করতে পারত। উৎপাদন কার্যে বিনিয়োগের লক্ষ্যে আবার কখনও বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনেও জনগণকে বিনাসুদে ইসলামি রাষ্ট্রের বায়তুল মাল হতে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা ছিল।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এবং কৃষকদের কৃষিকাজের উন্নতি সাধনে বীজ সংগ্রহ ও কৃষি সংক্রান্ত অপরাপর ব্যয়ের উৎস হিসাবে সুদবিহীন ঋণ প্রদান করা হতো। সুদমুক্ত ঋণদানের প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে সর্বপ্রথম ঋণপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলো ইসলামি রাষ্ট্রের বায়তুল মাল।
যেখানে নারী-পুরুষ বা মুসলিম-অমুসলিম এরূপ কোনো পার্থক্য করা হতো না। সম্প্রতি ব্যাংকিং ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সুদ। ব্যাংকিং এর সকল অকল্যাণ, অন্যায়, অনিষ্ঠ ও বিপর্যয়ে পর্যবসিত করেছে সুদ নামক বস্তুটি। সুদের চুম্বক আকর্ষণে আগত বিভিন্ন পুঁজিপতিরা ব্যাংকে কেন্দ্রীভূত হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে কিছু স্বার্থ শিকারী পুঁজিপতির সম্পদে পরিণত হয়ে মানবতাবিরোধী ও সমাজ বিরোধী পদ্ধতিতে সেগুলো ব্যবহার করে থাকে। ব্যাংক ব্যবস্থাকে মানবতা বিরোধী ও সমাজ বিরোধী উভয় দোষ মুক্ত করতে পারলে তা পবিত্র হয়ে যাবে এবং মানব সমাজ ও সভ্যতার জন্য বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেক বেশি উপকারী ও কল্যাণকর হবে ।
উপসংহার : উপরের আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, ইসলাম সুদ গ্রহণ ও সুদ প্রদান সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করেছে। বর্তমান নিয়ম নীতি অনুসারে ব্যাংক ব্যবস্থা চলার অনুমতি ইসলাম দেয় না। ইসলাম সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থার মতো নৈতিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে থাকে। যার সকল কাজ ইসলামি মূল্যবোধের আলোকে পরিচালিত হয়ে সমগ্র বিশ্বের জনগণের প্রতি ইসলাম সৃষ্টি করবে ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- ইজারার চলতি ও ইজারার অচলতি পার্থক্য । ইজারার চলতি vs ইজারার অচলতি পার্থক্য
- ইজারাদাতার অবশিষ্ট মূল্য সম্পর্কে আলোচনা কর
- ইজারা গ্রহীতার বইয়ের হিসাব সংরক্ষণের প্রক্রিয়া আলোচনা কর
- ইজারা দাতার প্রত্যক্ষ ইজারার অর্থায়ন পদ্ধতি ধারণা সহ আলোচনা কর
- ইজারা ও মালিকানা পার্থক্য । ইজারা vs মালিকানা পার্থক্য
- ইজারা অর্থসংস্থানের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ, ইজারা অর্থসংস্থানের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো বিস্তারিত আলোচনা কর