সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ সম্পর্কে আলোচনা কর

সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ সম্পর্কে আলোচনা কর

প্রশ্ন সমাধান

Google Adsense Ads

সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ সম্পর্কে আলোচনা কর

সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি কাঠামো। এই অধ্যাদেশটি ১৯৬৯ সালে প্রণয়ন করা হয় এবং এটি বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ বাজার (শেয়ার বাজার) নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও উন্নয়নের জন্য একটি আইনি ভিত্তি প্রদান করে। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ বাজারের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা এবং বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর মূল উদ্দেশ্য:

  1. সিকিউরিটিজ বাজার নিয়ন্ত্রণ: শেয়ার বাজার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করা।
  2. বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা: বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা এবং প্রতারণা ও অনিয়ম রোধ করা।
  3. বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: সিকিউরিটিজ বাজারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
  4. বাজার উন্নয়ন: সিকিউরিটিজ বাজারের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

আরো ও সাজেশন:-

Honors Suggestion Linksপ্রশ্ন সমাধান সমূহ
Degree Suggestion LinksBCS Exan Solution
HSC Suggestion Links2016 সাল থেকে সকল জব পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর
SSC ‍& JSC Suggestion Linksবিষয় ভিত্তিক জব পরিক্ষার সাজেশন

অধ্যাদেশের প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  1. সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা: এই অধ্যাদেশের অধীনে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ (শেয়ার বাজার) প্রতিষ্ঠা ও নিয়ন্ত্রণের বিধান রয়েছে।
  2. রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সিং: সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ, ব্রোকার, ডিলার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সিং ব্যবস্থা।
  3. সিকিউরিটিজের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ: শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড ইত্যাদি সিকিউরিটিজের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি।
  4. অভ্যন্তরীণ তথ্য ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ: অভ্যন্তরীণ তথ্য ব্যবহার করে লেনদেন করা নিষিদ্ধ এবং এর জন্য শাস্তির বিধান।
  5. তদারকি ও তদন্ত: সিকিউরিটিজ বাজারের কার্যক্রম তদারকি ও তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান।
  6. বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি: বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ব্যবস্থা।

অধ্যাদেশের গুরুত্ব:

  • এই অধ্যাদেশটি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের আইনি কাঠামো গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • এটি বাজারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  • সিকিউরিটিজ বাজারের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এটি একটি প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো।

পরবর্তী উন্নয়ন:

১৯৬৯ সালের এই অধ্যাদেশটি পরবর্তীতে আধুনিকীকরণ ও সংস্কারের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। এই নতুন আইনে সিকিউরিটিজ বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়, যা বর্তমানে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করে।

সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাজারের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি স্থাপন করে।

উপসংহার : সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ সম্পর্কে আলোচনা কর

Google Adsense Ads

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ সম্পর্কে আলোচনা কর

আরো পড়ুন:

Google Adsense Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *