সাংখ্য দর্শন কী?, সাংখ্য দর্শন বলতে কী বুঝ?, সাংখ্য দর্শন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।, সাংখ্য দর্শন কাকে বলে?, সাংখ্য দর্শনের সংজ্ঞা দাও।,সাংখ্য দর্শন সম্পর্কে ধারণা দাও

সাংখ্য দর্শন কী?, সাংখ্য দর্শন বলতে কী বুঝ?, সাংখ্য দর্শন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর

শিক্ষা প্রশ্ন সমাধান

Google Adsense Ads

সাংখ্য দর্শন কী?, সাংখ্য দর্শন বলতে কী বুঝ?, সাংখ্য দর্শন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর

উত্তর৷ ভূমিকা : ভারতীয় দর্শন সম্প্রদায়গুলোকে দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। যথা : ১. আস্তিক, ২. নাস্তিক। সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, বৈশেষিক, মীমাংসা ও বেদান্ত এ ছয়টি দর্শন সম্প্রদায়কে আস্তিক বলা হয়। চার্বাক, বৌদ্ধ ও জৈন এ তিনটি দর্শন সম্প্রদায়কে নাস্তিক বলা হয়। নিম্নে সাংখ্য দর্শন আলোচনা করা হলো :


আরো ও সাজেশন:-

সাংখ্য দর্শন : সাংখ্য দর্শন ভারতীয় দর্শনের প্রাচীনতম চিন্তাধারার মধ্যে অন্যতম। মহর্ষি কপিল সাংখ্য দর্শনের প্রবর্তক ও প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নামানুসারে সাংখ্য দর্শনকে কপিল দর্শনও বলা হয়। সাংখ্য দর্শনের আদিগ্রন্থ হলো কপিল প্রণীত ‘তত্ত্ব সমাস’।

এ গ্রন্থে সাংখ্য দর্শনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় পাওয়া যায়। ঈশ্বরকৃষ্ণের ‘সাংখ্যকারিকা’ গ্রন্থটি হলো সাংখ্য দর্শনের প্রাচীন ও প্রমাণিক গ্রন্থ। এছাড়া বিজ্ঞানভিক্ষুর ‘সাংখ্য প্রবচন ভাষ্য’, বাচস্পতি মিশ্রের ‘তত্ত্বকৌমুদী’ গৌড়পাদ এর ‘সাংখ্যকারিকা-ভাষ্য’ ইত্যাদি হলো সাংখ্য দর্শনের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। সাংখ্য নামের উৎপত্তি বিষয়ে বিভিন্ন মত লক্ষ করা যায়। কারো কারো মতে, ‘সাংখ্যা’ শব্দ থেকে ‘সাংখ্য’ শব্দের উৎপত্তি। তত্ত্বের সংখ্যা গণনার দ্বারা তত্ত্বজ্ঞান লাভ করা এ দর্শনের উদ্দেশ্য বলে এর নাম ‘সাংখ্য’। পক্ষান্তরে, কারো কারো মতে, ‘সাংখ্যা’ শব্দের অর্থ সম্যক জ্ঞান।

এ দর্শন সম্যক জ্ঞান প্রদান করে বলে একে সাংখ্য নাম দেয়া হয়েছে। সাংখ্য দর্শন থেকেই বৌদ্ধ দর্শনের উৎপত্তি। প্রকৃতি এবং এর পরিণামসহ সমস্ত তত্ত্বকে সংখ্যা দ্বারা বিন্যাস করা হয় বলে একে সাংখ্য দর্শন বলে। সাংখ্য দর্শন মতে, অচেতন প্রকৃতি জগৎ কারণ, ব্রহ্ম জগৎ কারণ নয়। সাংখ্য দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বগুলো হলো-জড়বস্তুর প্রকৃতি তত্ত্ব, কার্য-কারণতত্ত্ব, জ্ঞানতত্ত্ব ও বিবর্তনতত্ত্ব। সাংখ্য দর্শন দ্বৈতবাদী, নিরীশ্বরবাদী, বস্তু স্বাতন্ত্র্যবাদী এবং পরিণামবাদী। এ দর্শনে পুরুষ ও প্রকৃতি এ দুটি মূলতত্ত্বকে স্বীকার করে। তাছাড়া সাংখ্যসূত্রে মহর্ষি কপিল ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না।

Google Adsense Ads

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ভারতীয় দার্শনিক সম্প্রদায়ের পারস্পরিক আলোচনার দ্বারাই ভারতের প্রতিটি দর্শন সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। তাইতো ভারতীয় দর্শনের আস্তিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সাংখ্য দর্শন গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

Google Adsense Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *