সরকারি অর্থব্যবস্থা বিষয়বস্তু আলোচনা করো, সরকারি অর্থব্যবস্থা বৈশিষ্ট্য,সরকারি অর্থব্যবস্থার শ্রেণিবিভাগ দেখাও,সরকারি ব্যয়ের শ্রেণীবিভাগ

প্রশ্ন সমাধান: সরকারি অর্থব্যবস্থা বিষয়বস্তু আলোচনা করো, সরকারি অর্থব্যবস্থা বৈশিষ্ট্য,সরকারি অর্থব্যবস্থার শ্রেণিবিভাগ দেখাও,সরকারি ব্যয়ের শ্রেণীবিভাগ

সরকারি অর্থব্যবস্থা বিষয়বস্তু আলোচনা করো, সরকারি অর্থব্যবস্থা বৈশিষ্ট্য,

সাধারণত সরকারি অর্থব্যবস্থার যুক্তিশীল। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত ভিত্তি সরকারি ব্যবসায়ের আর্থিক বিষয়বস্তু সাথে সম্পর্কিত বিষয়। সরকারি অর্থব্যবস্থার বিষয়বস্তু সম্পর্কে James M. Buchanan তার “The Public Finance” গ্রন্থে বলেন, সরকারকে একটি একক হিসেবে বিবেচনা করলে সরকারি অর্থব্যবস্থা অধ্যয়নের বিষয় হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। সরকারি অর্থব্যবস্থা শুধুমাত্র সরকারের কোষাগারে নিয়ন্ত্রক হিসেবেই কাজ করে না এটি বিভিন্ন নীতি নির্ধারকই কোষাগার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারি খাতের কতকগুলো উদ্দেশ্যকে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করা যায়।

যথা- (ক) সম্পদের সুষ্ঠু কটন,

(খ) আয় ও সম্পদের বণ্টনের সমন্বয় ও

(গ) মূল্য ও নিয়োগস্তরের স্থিতিশীলতা।

এ সকল উদ্দেশ্য সরকারি অর্থব্যবস্থার উদ্দেশ্যের সাথে সম্পর্কিত। আধুনিক সরকার প্রায়ই বিভিন্ন স্তরে যেমন ফেডারেল রাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার প্রমুখকে সরকারি অর্থব্যবস্থা পরিচালনা করে থাকে। এজন্য সরকারের নীতি এবং আর্থিক বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সরকারি অর্থব্যবস্থার বিষয়বস্তু লক্ষ করা যায়। এজন্য সরকারি অর্থব্যবস্থার বিষয়বস্তুকে নিম্নে কতকগুলো অংশে বিভক্ত করে তা আলোচনা করা হলো :

১. সরকারি আয়ের তত্ত্ব : সরকারের এ অংশে বিভিন্ন আয়ের উৎস এবং প্রাপ্তির পরিমাণ খুঁজে বের করা হয়। এটি আয়ের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা-অসুবিধা পর্যালোচনা এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে এবং আয় সংগ্রহে কোনো নীতি প্রয়োগ করা হবে এবং পছন্দ করে থাকে। সরকারি আয়ের বিভিন্ন উৎসসমূহের মধ্যে কর সরকারি ঋণ এবং অতিরিক্ত অর্থ সৃষ্টির মনোনিবেশ রয়েছে।

(ক) কর আরোপ : সরকারের কর পরিমাপ পছন্দের ক্ষেত্রে নীতি অবলম্বন করা হয়। এর উপর নির্ভর করেই জনগণ ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কর প্রদান করে। অর্থনৈতিক কার্যাবলিতে কর আরোপ, সঞ্চালন এবং করের ফলাফলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় ।

(খ) প্রকাশনা ও প্রচার সম্পর্কিত : রাষ্ট্র কর্তৃপক্ষকে তার নিজের অবস্থা, সুবিধা ও অসুবিধা এবং বিশেষ দৃষ্টি নিবন্ধনের জন্য প্রকাশনার ধরে যেতে হয়। এটি রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

(গ) ঋণ সংক্রান্ত : সরকারি ঋণ প্রয়োজন ও সমস্যা অধ্যয়নের আলাদাভাবে জ্ঞান প্রদান করতে হয়। আধুনিক সরকারের জন্য সরকারি ঋণ হলো সরকারি আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋণ কিন্তু তা সবকিছুই নয়। সরকারি ঋণ বিতরণের কারণে সরকারি ঋণের বিভিন্ন তহবিল এবং ব্যয়ের মালিকানা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া সরকারি ঋণ অর্থনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে ভূমিকা পালন করে ।

২. সরকারি ব্যয় তত্ত্ব : অর্থনীতি আর্থিক প্রবাহের ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয় হলো চাহিদা ও যোগানের শর্তসাপেক্ষে সরকারের অংশগ্রহণ। সরকারি ব্যয় হলো সরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের এবং তাদের কল্যাণ, প্রবৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা এবং অন্যান্য নীতির ক্ষেত্রে প্রধান হাতিয়ার।

৩. আর্থিক প্রশাসন : সকল আর্থিক কার্যক্রম জড়িত হয়ে থাকে আর্থিক প্রশাসনের উপর ভিত্তি করে। আর্থিক প্রশাসন সরকারি বাজেট, নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োগ, নিরীক্ষণ এইরকম অন্যান্য বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত।

৪. চুক্তিবদ্ধ অর্থব্যবস্থা : সরকারের বহুমুখী সম্পদ ও আর্থিক বিভাগসমূহের মধ্যে প্রয়োজনীয় লেনদেন সম্পন্ন করার জন্য চুক্তিবদ্ধ নিয়মনীতির মধ্যে আর্থিক দেনা-পাওনার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের উপজাতীয় সরকার, রাজ্য সরকার, স্থানীয় সরকার, গ্রামীণ সরকারের প্রত্যেকের মধ্যে আর্থিক যোগসূত্র কার্যাবলি সম্পন্ন করার জন্য সরকারি অর্থব্যবস্থারই অন্তর্ভুক্ত বিষয় ।

৫. স্থিতিশীলতা প্রবৃদ্ধি এবং ন্যায্য বণ্টন : সরকারি অর্থব্যবস্থা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি এবং সুষ্ঠু বণ্টন ব্যবস্থা বিষয়বস্তুসমূহের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর এসব বিষয় আলোচনা সরকারি অর্থব্যবস্থায় করা না হলে সরকারি অর্থব্যবস্থা অর্থবহ করে নামেমাত্র কাজে ভূষিত হবে না ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উপরিউক্ত আলোচনায় সরকারি অর্থব্যবস্থার বিষয়বস্তু বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।


আরো ও সাজেশন:-

সরকারি অর্থব্যবস্থার শ্রেণিবিভাগ দেখাও

ভূমিকা : সরকারি অর্থ ব্যবস্থা হলো রাষ্ট্রীয় ব্যয় ও রাষ্ট্রীয় আয়ের প্রকৃতি ও নীতির অনুসন্ধান। সরকারি অর্থব্যবস্থাকে মূলত তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায় :

১. সরকারি আয় : সরকারি অর্থব্যবস্থার প্রধান ও মুখ্য খাত হচ্ছে সরকারি আয়। অতীতের তুলনাই বর্তমানে সরকারের কার্যাবলি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে যার জন্য প্রচুর অর্থআয় হিসাব প্রয়োজন হয় যা সরকার করের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। সরকারি আয়ের বহুমুখী উৎস থাকলেও করের মাধ্যমেই অধিকাংশ অর্থ সংগ্রহ করা হয়। কর সংগ্রহ ছাড়াও সরকারি আয়ের অন্যান্য আয়ের উৎস হলো কর ধার্যকরণ সংক্রান্ত নীতি, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে করভার বণ্টন; কর সংগ্রহের ফলাফল, প্রধান প্রধান করের যৌক্তিকতা, সুবিধা-অসুবিধা প্রভৃতি সরকারি আয় বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বিষয় ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সরকারি ব্যয় : সরকারি অর্থব্যবস্থা তথা সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং দপ্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যাবলি পরিচালনা করবার জন্য সরকার ব্যয় করে। এই ব্যয়ের কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে- প্রশাসনিক, দাপ্তরিক নিয়ন্ত্রণ, উৎপাদন বৃদ্ধি, সুষ্ঠু বণ্টন ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান, আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি ব্যয় প্রভৃতি। এছাড়াও সরকারি ব্যয়ের ফলাফল এবং প্রভাব সরকারি ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত বিষয়।

৩. সরকারি ঋণ : সরকারের ব্যয়ভার যখন সরকারি আয় দ্বারা নির্বাহ করা সম্ভবপর হয় না তখন সরকার যে ঋণ গ্রহণ করে তাই সরকারি ঋণ। এই ঋণ দেশীয় ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকেও হতে পারে। সরকারি ঋণের প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো হচ্ছে- সরকারি ও ব্যক্তিগত ঋণের মধ্যে পার্থক্য, সরকারি ঋণের শ্রেণিবিভাগ ও এর যৌক্তিকতা, অভ্যন্ত রীণ ও বৈদেশিক ঋণের অর্থনৈতিক প্রভাব, ঋণ পরিশোধ পদ্ধতি, দেশি অথবা বিদেশি ঋণ কোনটি বেশি ভালো প্রভৃতি ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উপরের তিনটি বিভাগ ছাড়াও সরকারি অর্থব্যবস্থার আরও ২টি বিভাগ আছে বলে অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন এর একটি হচ্ছে উন্নয়নমূলক কার্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং অপরটি হচ্ছে আর্থিক প্রশাসন। বাজেট প্রণয়ন, বাজেটের শ্রেণিবিভাগ, বাজেট পাস করার নিয়মকানুন, বাজেট ব্যবহার, সংস্কার সাধন প্রভৃতি বিষয়সমূহকে আর্থিক প্রশাসন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করা হয়।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment