সম্পূরক শুল্ক কি?, আবগারি শুল্ক কি?,সম্পূরক শুল্ক কাকে বলে, আবগারি শুল্ককাকে বলে

সম্পূরক শুল্ক কি?, আবগারি শুল্ক কি?,সম্পূরক শুল্ক কাকে বলে, আবগারি শুল্ককাকে বলে,বাংলাদেশে আবগারি শুল্ক হার, বাংলাদেশে সম্পূরক শুল্ক হার

সম্পূরক শুল্ক কি?

সম্পূরক শুল্ক সরকারী রাজস্বের অন্যতম মাধ্যমে। যদিও সম্পূরক শুল্কের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পণ্যের ব্যবহার ও আমাদনিতে নিরুৎসাহিত করা, কারণ এগুলো সামাজিক বা স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে বিশ্বাস করা হয়। বাংলাদেশে সম্পূরক শুল্কের হার বিভিন্ন ধরনের পণ্যের উপর নির্ভর করে ধার্য করা হয়।

যেসব পণ্য বিলাসজাত কিংবা সুগন্ধীযুক্ত হিসেবে আমদানী বা সরবরাহ করা হয় উক্ত পণ্য গুলোর উপর সরকার কর্তৃক আরোপিত নির্দিষ্ট হারের করকে সম্পূরক শুল্ক (Supplementary duty) বলে। সহজভাবে বলতে গেলে, সম্পূরক শুল্ক হল তামাকজাত পণ্য, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং কিছু বিলাসজাত আইটেম সহ নির্দিষ্ট পণ্য ও পরিষেবার উপর আরোপিত এক ধরনের পরোক্ষ কর। 

এছাড়া দেশে উৎপাদিত পণ্য থাকা স্বত্তেও কোন পণ্য আমদানী করলে তখন সম্পূরক শুল্ক প্রদান করতে হয়। সম্পূরক শুল্কের অধীনে পণ্যগুলি হল বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য, তামাকজাত দ্রব্য, অ্যালকোহল, জ্বালানী এবং বিলাসবহুল পণ্য যেমন উচ্চ মূল্যের গাড়ি এবং গহনা অন্তর্ভুক্ত। সম্পূরক শুল্কের উদ্দেশ্য সাধারণত এই পণ্যগুলির ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করা।

দেশভেদে এবং পণ্যের ধরন অনুসারে সম্পূরক শুল্কের হার পরিবর্তিত হতে পারে। সম্পূরক শুল্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব সাধারণত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অবকাঠামোর মতো সরকারি কর্মসূচি এবং পরিষেবাগুলিতে অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়


আরো ও সাজেশন:-

আবগারি শুল্ক কি?

শুল্ক (Duty) বলতে বোঝায় কর/খাজনা/ট্যাক্স ইত্যাদি। যেকোনো উৎপাদিত পণ্য এবং পরিষেবা বাজারজাতকরণের পূর্বে সরকারকে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর প্রদান করতে হয়, তাকেই শুল্ক বলে। শুল্কের মধ্যে আবগারি শুল্ক সরকারি রাজস্ব সংগ্রহের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

আবগারি শুল্ক (Excise Duty) হল এক ধরনের পরোক্ষ কর যা সাধারণত সরকার দ্বারা নির্দিষ্ট পণ্য এবং পরিষেবার উৎপাদন, বিক্রয়, বা ক্রয়ের উপর আরোপ করা হয়। সাধারণত দেশের মধ্যে উৎপাদিত পণ্যের উপর আরোপিত হয়, তবে আমদানিকৃত পণ্যের উপরও আরোপ করা যেতে পারে। 

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্য কারখানা থেকে খালাসের সময় এই শুল্ক আদায় করা হয়। বাংলাদেশে আবগারী ও লবণ আইন ১৯৪৪-এর আওতায় আবগারী শুল্ক ধার্য করা হয়। যদিও দেশভেদে আবগারি শুল্ক হার ভিন্ন হতে পারে।

বাংলাদেশে আবগারি শুল্ক হার

বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচ স্তরে (টাকার অঙ্কে) আবগারি শুল্ক প্রদান করা হয়। কোনো হিসাবধারীর হিসাবে বছরে,

০ হতে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্ক ০ টাকা।

১,০০,০০১ থেকে ৫,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত ১৫০ টাকা।

৫,০০,০০১ থেকে ১০,০০,০০০/- লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা

১০,০০,০০১ খেবে ১,০০,০০,০০০/- লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৩০০০ টাকা।

১,০০,০০,০০১ থেকে ৫,০০,০০,০০০/-লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১৫,০০০ টাকা।

৫,০০,০০,০০১ থেকে তদুর্ধ্ব যেকোনো পরিমাণের জন্য ৪০,০০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়।

জেনে রাখা ভালো যে, আবগারি শুল্ক ব্যাংক কর্তৃক আরোপিত কোন চার্জ নয় বরং এটি সম্পূর্ণভাবে সরকার কর্তৃক আরোপিত এক ধরনের পরোক্ষ ‘কর’। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে, বাংলাদেশে পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক ও গ্রাহকের প্রতিটি অ্যাকাউন্ট (সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ/ক্রেডিট কার্ড বা অন্যান্য অ্যাকাউন্ট) থেকে আবগারি শুল্ক কাটতে বাধ্য।

Leave a Comment