শিশুর স্বাস্থ্য ও কুসংস্কার

Google Adsense Ads

শিশুর খাবার, ওষুধ নিয়ে বাবা-মায়ের মনে রয়েছে বিভিন্ন কুসংস্কার। শুধু মা-বাবাই নয়, আত্মীয়-স্বজন মোটকথা, পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠায় থাকেন। এসব কুসংস্কার বা ভ্রান্ত ধারণার কারণে শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

কৃমির ওষুধ সাধারণত দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুকে নিয়মিত খাওয়ানো হয়। তবে ২ বছরের কম বয়সের শিশুর পায়খানায় খালি চোখে বা মল পরীক্ষা করে যদি কৃমি পাওয়া যায়, তবে খাওয়ানো যাবে।

পরিবারের একজনের কৃমি হলে ধরে নিতে হবে ওই পরিবারের অন্য সদস্যরাও কৃমিতে আক্রান্ত। তাই একটি শিশুর কৃমির চিকিৎসার সময় বাড়ির সব সদস্যের চিকিৎসা করা ভালো।

অনেকেরই ধারণা, গরম কাল বা গরমের সময় কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। এটা ভুল ধারণা। বছরের যে কোনো সময়, যে কোনো ঋতুতে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে। দুর্বল ও অসুস্থ শিশু এবং পুষ্টিহীন শিশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোয় কোনো অসুবিধা নেই বরং এসব শিশুকে যথা শিগগির কৃমির ওষুধ খাইয়ে কৃমিমুক্ত করা উচিত।

অনেকে নবজাতকের চুল অশুভ বলে মনে করেন এবং চুল কেটে ফেলে দেন। তবে শিশু বড় হওয়ার আগে চুল কেটে দেওয়া অবশ্যই ঠিক নয়। আবার অনেকে মনে করেন, ঘন ঘন ন্যাড়া করে দিলে চুল ঘন হয়। আসলে পুষ্টিকর খাবার খেলে ও চুলের যত্ন নিলে চুল দ্রুত বড় হয়।

অনেক বাবা-মা শিশুর ব্রেইন বা মস্তিষ্ক নষ্ট হয়ে যাবে বলে টক বা টকজাতীয় ফল সহজেই খেতে দেন না। অথচ টকজাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, যা কিনা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের ক্ষত পূরণসহ বিভিন্নভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে টকজাতীয় খাবারগুলো।

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Comment