শরীরে ট্যাটু থাকলে কি নামাজ হবে,শরীরে উল্কি আঁকা হারাম, ট্যাটু কি হারাম ?- ডাঃ জাকির নায়েক

ভ্রু প্লাক করা ও শরীরে ট্যাটু অংকন করা শুধু গুনাহ না, বরং হারাম ও কবীরা গুনাহ!

আজকাল অনেক নারীরা, এমনকি অনেক নামাযী মহিলারাও ভ্রু প্লাক করছে।

অথচ, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম যারা ভ্রু প্লাক করে, তাদেরকে ‘লানত’ বা অভিশাপ করেছেন।
[সহীহ বুখারীঃ ৪৮৮৬]

আপনি ভ্রু প্লাক কার জন্য করছেন? বাসায় যারা আছে তাদের জন্য? I don’t think so. মানুষ সাধারণত নায়ক নায়িকা, গায়ক গায়িকা, এমন “সো কলড” সেলেব্রিটির দেখে প্রভাবিত হয়ে তাদের ফ্যাশান নকল করার চেষ্টা করে, যদিও ঐ সমস্ত নায়িকা বা গায়িকারা যে চরিত্রহীনা ও ব্যভিচারিণী, বর্তমান যুগের সকলেরই তা জানা আছে।

এইভাবে মিডিয়ার পাল্লায় পড়ে আধুনিক যুগের দুর্বল ঈমান ও ইলমহীন নারীরা আসলে মডার্ণ যুগের প্রস্টিটিউটদেরকে ফলো করছে।

যা বলছিলাম, আপনি নিশ্চয়ই আপনার মা-বাবা বা ভাই-বোনদেরকে দেখানোর জন্য ভ্রু প্লাক করছেন না?

তাহলে কার জন্য? বাইরের দুনিয়ার পর পুরুষদের জন্য? অথচ তাদের সামনে সাজ-গোজ করে যাওয়াতো দূরের কথা, আপনার জন্য নিকাব ছাড়া তাদের সামনে যাওয়াই নিষিদ্ধ।

কথাগুলো বুঝানোর উদ্দেশ্যেই বলা, কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের মা বোনেরা আমদের সম্মান, আল্লাহ আমাদের মা বোনদের হেফাজত করুন।

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো যাদের লানত বা অভিশাপ করেছেন তারা হলোঃ যারা দেহে উল্কি অংকন করে এবং অন্যকে উলিক এঁকে দেয়, সৌন্দর্যের জন্য দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে, যারা পরচুলা পড়ে ও অন্যকে পরচুলা পরতে বলে।

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আ’নহু কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, “আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সবনারীদের উপর, যারা শরীরে উল্কি (ট্যাটু) অংকন করে এবং যারা করায়, এবং তাদের উপর (আল্লাহর অভিশাপ), যারা ভ্রু চেঁছে সরু (প্লাক) করে, যারা সৌন্দর্য মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।”

জনৈক মহিলা এ ব্যাপারে তার (ইবনে মাসউদের) কথার প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, “আমি কি তাকে অভিসম্পাত করব না, যাকে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন এবং তা আল্লাহর কিতাবে আছে?

আল্লাহ বলেছেন, “রাসুল যে বিধান তোমাদেরকে দিয়েছেন তা গ্রহণ করো, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাক।”
(সুরা হাশরঃ ৭)” সহীহ বুখারীঃ ৪৮৮৬।

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম যে মহিলা পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যে পরচুলা লাগাতে বলে,

আর যে মহিলা অঙ্গ প্রত্যঙ্গে উল্কি অংকন করে ও অন্যকে উল্কি অংকণ করতে বলে, তাদেরকে অভিশাপ করেছেন।” সহীহ বুখারীঃ ৫৯৩৭।

Leave a Comment