রাসূল ﷺ-এর পিতা-মাতা জান্নাতে যাবেন নাকি জাহান্নামে?, নবীজী এর পিতা-মাতা জান্নাতে যাবেন নাকি জাহান্নামে?,আল্লাহ্‌র রাসূল (সঃ)-এর পিতামাতা কি মুশরিক অবস্থায় মারা গেছেন? তারা কি উভয়ই জাহান্নামী?

আল্লাহ্‌র রাসূল (সঃ)-এর পিতামাতা কি মুশরিক অবস্থায় মারা গেছেন? তারা কি উভয়ই জাহান্নামী? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সুফারিশ করে তাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবেন কী?

তাঁরা উভয়ই মুশরিক অবস্থায় মারা গেছেন। আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) একবার মায়ের কবর যিয়ারতে গেলেন। সঙ্গে কিছু সাহাবাও ছিলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি কেদে উঠলেন। সাহাবাগন কাঁদার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন তিনি বললেন, আমি আল্লাহ্‌র নিকট আম্মার (আব্বার) কবর যিয়ারতের এবং ইস্তিগফারের (ক্ষমা প্রার্থনা করার) অনুমুতি চাইলাম, কিন্তু আল্লাহ আযযা আজাল্ল তাদের জন্য ইস্তিগফারের অনুমুতি দিলেন না।

আল্লাহ্‌র রাসূল (সঃ) এর মনে প্রশ্ন জাগল যে, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তো তাঁর পিতার জন্য (মুশরিক হওয়া সত্তেও) ইস্তিগফার করেছিলেন। আল্লাহ্‌র তরফ থেকে উত্তর এল, ‘ইব্রাহীম তাঁর পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল এবং তা (ইস্তিগফার) তাঁকে দেওয়া আল্লাহ্‌র একটি প্রতিশ্রুতির জন্য সম্ভব হয়েছিল। অতঃপর এ তাঁর নিকর সুস্পষ্ট হল যে, সে আল্লাহ্‌র শত্রু, তখন ইব্রাহীম তাঁর সম্পর্কে নির্লিপ্ত হয়ে গেল। নিশ্চয় ইব্রাহীম ছিল কোমল হৃদয় ও সহনশীল।’ ৪৭
একদা এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, ‘হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমার (মৃত) পিতা কোথায় (জান্নাতে না জাহান্নামে)?’ তিনি বললেন, ‘জাহান্নামে।’ অতঃপর সে যখন (মন খারাপ করে) ফিরে যেতে লাগল, তখন তিনি তাঁকে ডেকে বললেন, “আমার পিতা এবং তোমার পিতা জাহান্নামে।” ৪৮

৪৭ (তাওবাহঃ ১১৪, তাফসীর ইবনে কাসীর ২/৩৯৩)
৪৮ (মুসলিম ৫২১ নং, দ্রঃ সিঃ সহীহাহ ২৫৯২ নং)

লেখক/সংকলক/অনুবাদকঃ আবদুল হামীদ ফাইযী

প্রশ্ন : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পিতা-মাতা জাহান্নামী। প্রশ্ন হ’ল, কেন তারা জাহান্নামী? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সুফারিশ করে তাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবেন কী?

উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পিতা-মাতা অমুসলিম অবস্থায় মারা গেছেন। তাই তিনি তাদের ব্যপারে কোন সুফারিশ করতে পারবেন না’ (মুসলিম হা/২৩০৪ ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৩৬)। আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে তার মায়ের কবর যেয়ারতের অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার অনুমতি দেননি’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৬৩)। আল্লাহ বলেন, ‘নবী এবং ঈমানদার গণের পক্ষে শোভনীয় নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা চাইবে,তারা তাদের আত্মীয় হ’লেও’ (তওবাহ ১১৩)।

সূত্র/ ফেজবুক

Leave a Comment