রমজানে সুস্থ থাকতে করণীয়,গরমে সুস্থ থাকতে করণীয়,রোজায় সুস্থ থাকতে সেহরিতে যা খাবেন,রোজায় সুস্থ থাকতে সেহরিতে যা খাবেনা

Google Adsense Ads

বিষয়: রমজানে সুস্থ থাকতে করণীয়,গরমে সুস্থ থাকতে করণীয়,রোজায় সুস্থ থাকতে সেহরিতে যা খাবেন,রোজায় সুস্থ থাকতে সেহরিতে যা খাবেনা,রমজানে করণীয় ও বর্জনীয়,গরমে সুস্থ থাকতে,রমজানে সুস্থ থাকতে,রোজায় সুস্থ থাকতে সেহরি-ইফতারে যা খাবেন

আপনি চাইলেই কাঙ্ক্ষিত ইবাদত করতে পারবেন না, যদি শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকেন।

এমনকি রমজানের শুরু থেকে জীবনযাপনে সচেতন না হলে ভালো স্বাস্থ্যও খারাপের দিকে যেতে পারে। জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো, আমরা যা খাই। সেহরিতে যেমন তেমন খাবার খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি আছে, যা দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি ইবাদতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং সেহরিতে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে সচেতন থাকুন।

  • সেহরিতে সামর্থ্য অনুযায়ী আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন (লাল চাল, লাল আটা, শাকসবজি, বিচি জাতীয় শস্য-সিমের বিচি, মটরশুটি ইত্যাদি)। আশ জাতীয় খাবার ধীরে হজম হয়, ফলে ক্ষুধা অনুভব কম হয় এবং পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়।
  • সেহরিতে বেশি খাওয়ার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে শাকসবজি এবং মাছ-মাংস ও অন্যান্য তরকারি খাওয়া উচিত হবে।
  • প্রতিদিনের আমিষের চাহিদা পূরণে ও দেহের ক্ষয়পূরণে ছোট-বড় মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
  • রোজায় পানিশূন্যতা রোধে সহজে হজম হয় এমন শাকসবজি লাউ, রিঙে, পটল, চিচিঙ্গা, চামকুমড়া প্রভৃতিকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন।
  • সেহরিতে চা এবং কফি পান না করাই ভালো। এগুলোতে থাকা ক্যাফেইন তৃষ্ণার সৃষ্টি করে, অ্যাসিডিটি উৎপন্ন করে এবং খাদ্যের পুষ্টি পরিশোষণে বাধা দেয়।
  • সেহরিতে অতিরিক্ত তেল, মসলা ও চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • তেহারি, খিচুরি, বিরিয়ানি প্রভৃতি সেহরিতে না খাওয়াই ভালো। এসব খাবার হজম করতে দেহে প্রচুর পানি পরিশোষিত হয়, যা তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়।
  • সেহরিতে অতি লবণাক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ মাত্রায় লবণ খেলে পিপাসা বেড়ে যায়।
  • দেহের পানির চাহিদা পূরণে ইফতার এবং সেহরির মাঝের সময়ে ২.৫ – ৩ লিটার বা ৬ থেকে ১৮ গ্লাস নিরাপদ পানি পান করতে হবে। রোজায় পর্যাপ্ত পানি পান করলে মাথাব্যথা, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও সহায়ক হবে।


More Article:-


রোজায় ভালো থাকতে করণীয়

মেনুতে সামান্য পরিবর্তন এনেই রোজার এ সময়টায় আপনি সুস্থ থাকতে পারেন। ভাজাপোড়া বা লবণজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। বাইরের অর্থাৎ কেনা খাবার বা কৃত্রিম রংযুক্ত খাবার এ সময় না খাওয়াই উচিত। পুরো রোজায় নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে নরম, সহজে হজম করা যায়, এমন ঘরে তৈরি খাবার খুব ভালো। সে জন্য কেনা হালিমের পরিবর্তে বাসায় তৈরি সবজি খিচুড়ি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো হবে। এ ছাড়া দোকানের জিলাপির পরিবর্তে ঘরেই তৈরি করতে পারেন মিষ্টি দিয়ে কোনো খাবার। লাল আটা, লাল চাল ও ওটস দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার হতে পারে কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস। মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম হতে পারে ভালো প্রোটিন। ডালের খাবার বা ডাল দিয়ে তৈরি খাবার প্রতিদিন না খেয়ে এক দিন বিরতি দিয়ে খেতে পারেন। পরিমিত খাবার আপনাকে সুস্থ রাখবে। কোনো রোগ থাকলে সেটা নিয়ন্ত্রণে রেখে রোজা থাকবেন।

যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের উচিত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে রোজা রাখা। তেমনিভাবে যাঁদের কোলেস্টেরল বেশি আছে, তাঁদের উচিত ডুবোতেলে না ভেজে হালকা তেলে ভাজা খাবার খাওয়া। যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিসের রোগীদের অবশ্যই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। চেষ্টা করবেন চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার বা কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়ার। সুস্থ থাকতে হলে সুষম খাবারের পাশাপাশি কিছু উপাদানের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। অতিরিক্ত চিনিজাতীয় খাবার সাময়িকভাবে আমাদের মন ভালো রাখলেও দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ক্ষতির কারণ। তাই অবশ্যই যেকোনো খাবারে চিনির ব্যবহার বিশেষ করে সাদা চিনির ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। চিনি শুধু শরীরের ওজনই বাড়ায় না, চর্বিও বাড়ায়। অতিরিক্ত চিনিজাতীয় খাবার ত্বক খারাপ করার পাশাপাশি মানুষের মুড পরিবর্তন এবং কম ঘুম হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। এসব ব্যাপারে সতর্ক থাকলে রোজায় সুস্থ থাকবেন আপনি ও আপনার পরিবার।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Comment