যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কি? যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য কি কি?, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কি ?, রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি?, রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি বলা হয় কেন

প্রশ্ন সমাধান: যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কি? যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য কি কি?,
যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কি ?,রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি?, রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি বলা হয় কেন, সংকীর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে কি বুঝ?,রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি?, সংকীর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে কি বুঝ?,রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূল উপাদান কয়টি এবং কি কি

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কি? যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য কি কি?

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কি?

যুক্তরাষ্ট্র বলতে সাধারণত স্বতন্ত্র কয়েকটি রাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতীয় রাষ্ট্র গঠন করাকে বোঝায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘Federation’। ‘Federation’ শব্দটি ল্যাটিন ‘Foedus’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘সন্ধি’ বা ‘মিলন’। অর্থাৎ, শব্দগত অর্থে যুক্তরাষ্ট্র বা ‘Federation’ হলো কতিপয় রাষ্ট্রের সন্ধি বা মিলনের ফলে সৃষ্টি হওয়া রাষ্ট্র। অতএব, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বলতে কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক গঠিত সরকারকে বোঝায়।

অধ্যাপক ডাইসির (Prof. Dicey) মতে, “A political contrivance intended to reconcile national unity with the maintenance of state right.” অর্থাৎ, “জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে অঙ্গরাজ্যের অধিকারের সামঞ্জস্য বিধানের উদ্দেশ্যে গঠিত রাজনৈতিক সংগঠনকেই যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বলে।”

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য কি কি?

এক বিশেষ ধরনের শাসন ব্যাবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে । সেই বৈশিষ্ট্য গুলি হল 

দু ধরনের সরকারের উপস্থিতি : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক এই দু ধরনের সরকারের সহাবস্থান লক্ষ করা যায় । সমগ্র দেশের শাসন কার্য পরিচালনার দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে । অন্যদিকে , বিভিন্ন অঞ্চলের শাসনের দায়িত্ব থাকে বিভিন্ন আঞ্চলিক বা অঙ্গরাজ্যের সরকারের হাতে ।

ক্ষমতা বন্টন : ক্ষমতা বন্টন যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার অন্যতম অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য । এখানে লিখিত সংবিধানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকার গুলির মধ্যে শাসন ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট ভাবে বণ্টন করা হয় ।

সংবিধান প্রাধান্য : সংবিধানকে দেশের সর্বোচ্চ মৌলিক আইনের স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সংবিধানের প্রাধান্য স্বীকার করা হয় । এ খানে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক উভয় সরকারই সংবিধান অনুযায়ী শাসন কার্য পরিচালনা করতে বাধ্য । সংবিধানই এ খানে সমস্ত ক্ষমতার উৎস ।

যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত : সংবিধানের অভিভাবক ও চূড়ান্ত ব্যাখ্যা কর্তা যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য । কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকার গুলির মধ্যে ক্ষমতা সম্পর্কিত বিষয়ে সৃষ্ট যে কোনো বিরোধের চূড়ান্ত মীমাংসা কর্তা হল এই আদালত । উভয় সরকারের কাজকর্ম সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের ।

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার আর একটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা । আইনসভার নিম্নকক্ষ হল জনপ্রতিনিধিত্বমূলক কক্ষ , আর উচ্চকক্ষ হল অঙ্গরাজ্য গুলির প্রতিনিধিত্বমূলক কক্ষ । উচ্চকক্ষে ছোটো বড়ো নির্বিশেষে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের সমসংখ্যক প্রতিনিধিত্বকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম নীতি বলে মনে করা হয় ।

স্বতন্ত্র রাজস্বব্যবস্থা : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক উভয় সরকারেরই পর্যাপ্ত আর্থিক সংগতি থাকা প্রয়োজন । নতুবা কোনো সরকারের পক্ষেই সুষ্ঠ ভাবে দায়দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয় না । সেজন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের জন্য স্বতন্ত্র রাজস্ব ব্যবস্থার উল্লেখ যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধানের একটি গুরুত্ব পূর্ন বৈশিষ্ট্য ।

স্বতন্ত্র সংবিধান : অঙ্গরাজ্য গুলির জন্য পৃথক সংবিধানের অস্তিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । উদাহরণ স্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ টি অঙ্গরাজ্যের জন্য ৫০ টি স্বতন্ত্র সংবিধান আছে । অবশ্য অঙ্গরাজ্যের সংবিধান কে জাতীয় সংবিধানের সঙ্গে সংগতি পূর্ন হতে হয় ।

দ্দ্বৈত নাগরিকত্ব : বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রে দ্দ্বৈত নাগরিকত্ব স্বীকৃত । দ্দ্বৈত নাগরিকত্ব বলতে একই সঙ্গে সমগ্র দেশের ও নিজ নিজ রাজ্যের নাগরিকত্ব কে বোঝায় । অবশ্য দ্দ্বৈত নাগরিকত্বকে অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য বলে স্বীকার করা হয় না ।

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের গঠন প্রকৃতি ও শাসনব্যবস্থার বিশ্লেষণ করলে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলাে পরিলক্ষিত হয়-

১. দ্বৈত ধরনের সরকার ব্যবস্থাঃ যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনে দু’প্রকার সরকার বিদ্যমান থাকে। যথাঃ একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং অপরটি প্রাদেশিক সরকার। উভয় সরকার ব্যবস্থায়ই সংবিধান থেকে ক্ষমতা লাভ করে এবং উভয়েই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে স্বাধীন এবং তাদের নিজস্ব সংবিধান রয়েছে।

২. দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভাঃ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ সরকার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় আইনসভার সাধারণত দুটি কক্ষ যথাঃ উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ। উচ্চকক্ষ সাধারণত জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয় এবং নিম্নকক্ষ প্রাদেশিক পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে থাকে। উচ্চকক্ষ জনসাধারণের এবং নিম্নকক্ষ অঙ্গরাজ্যগুলাের প্রতিনিধিত্ব করে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করা যায়।

৩. ক্ষমতার বন্টনঃ জাতীয় স্বার্থের প্রতি দৃষ্টি রেখে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে বিধিমতাে ক্ষমতা বণ্টিত হয়। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, মুদ্রা ও পররাষ্ট্রনীতি প্রভৃতি বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে। অন্যদিকে খাদ্য, শিক্ষা, শ্ৰম, পূর্ত, গৃহনির্মাণ ও অন্যান্য বিষয়াদি প্রাদেশিক সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে।

৪. সংবিধানের প্রাধান্যঃ যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় সংবিধানের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বশ্রেষ্ঠ ও পবিত্র দলিল। সংবিধানই উভয় সরকারের ক্ষমতার মূল উৎস এবং সংবিধানের মাধ্যমেই তাদের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত হয়।

৫. লিখিত ও দুস্পরিবর্তনীয় সংবিধানঃ যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার সংবিধান লিখিত ও দুস্পরিবর্তনীয় হয়ে থাকে। সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় হলে কোন সরকারই তা যখন তখন পরিবর্তন করতে পারে না। আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লিখিত ও দুস্পরিবর্তনীয়।

৬. দ্বি-নাগরিকত্বঃ দ্বি-নাগরিকত্বকেও যুক্তরাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হিসেবে গণ্য করা হয়। সকল নাগরিক একদিকে কেন্দ্রের এবং অন্যদিকে প্রাদেশিক সরকারের নাগরিক। উভয় সরকারের কাছে নাগরিকদের যেমন আছে অধিকার, তেমনি আবার দুটি সরকারের প্রতিও দায়িত্ব পালন ও আনুগত্য স্বীকার করতে হয়।

৭. স্বায়ত্তশাসনঃ স্বায়ত্তশাসন যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। প্রদেশগুলাে এখানে সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসন ভােগ করে। যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় অঙ্গরাজ্য বা প্রদেশগুলাের কোন সার্বভৌম শক্তি থাকে না।

৮. বিচার বিভাগের প্রাধান্যঃ কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে সংবিধানের ধারানুসারে ক্ষমতা বণ্টিত থাকে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে কর্তব্য পালন করে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্ট এর রক্ষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

৯. সমমর্যাদাঃ যুক্তরাষ্ট্রীয় অঙ্গ বা অঙ্গরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমমর্যাদা বর্তমান থাকে। অর্থাৎ প্রত্যেক অঙ্গরাষ্ট্র এবং এর নাগরিকগণ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সমমর্যাদা ও অধিকার পেয়ে থাকে। এসব ব্যাপারে বৈরী মনােভাব পােষণ করার কোন অবকাশ নেই।

১০. যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতঃ যুক্তরাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য হলাে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত। এ আদালত কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলোর মধ্যে সম্ভাব্য বিরােধের মীমাংসা দিয়ে থাকে। এটি একটি সর্বোচ্চ আদালত।

১১. দ্বৈত আইনঃ দুটি পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রে আইন প্রণীত থাকে। একটি কেন্দ্রীয় আইন ও অন্যটি হলাে রাজ্য আইন। কেন্দ্রকে প্রদত্ত ক্ষমতার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় আইনসভা এবং রাজ্যকে প্রদত্ত ক্ষমতার ভিত্তিতে রাজ্য আইনসভা আইন প্রণয়ন করে থাকে। উভয় সরকারের প্রণীত আইনই নাগরিকদেরকে মান্য করতে হয়।

১২. দ্বৈত বিচার ব্যবস্থাঃ যুক্তরাষ্ট্রের আর একটি বৈশিষ্ট্য হলাে দ্বৈত বিচার ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা পৃথক ধরনের। কেন্দ্রীয় আইনের জন্য কেন্দ্রীয় বিচার ব্যবস্থা এবং রাজ্যের আইনের জন্য অঙ্গরাজ্যের বিচার ব্যবস্থা থাকে।

১৩. যুক্তরাষ্ট্রীয় মনােভাবঃ যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় জনগণের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রীয় মনােভাব অক্ষুন্ন থাকে। এতে প্রাদেশিক সরকারগুলাে যেমন কেন্দ্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করবে, ঠিক তেমনিভাবে প্রাদেশিক সত্তাকেও সযত্নে অটুট রাখবে।


আরো ও সাজেশন:-

রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি | রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূল উপাদান কয়টি এবং কি কি

রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি

রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে কোনো দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মনোভাব, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, অনুভূতি ও দৃষ্টিভঙ্গির সমষ্টিকে বোঝায় । বিংশ শতাব্দীতে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারণাটি গুরুত্ব পায়।
মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গ্যাব্রিয়েল অ্যালমন্ড তার “The Civic Culture” গ্রন্থে রাজনৈতিক সংস্কৃতি (political culture) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। তার মতে, ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতি হলো রাজনৈতিক ব্যবস্থার সদস্যদের রাজনীতি সম্পর্কে মনোভাব এবং দৃষ্টিভঙ্গির রূপ ও প্রতিকৃতি।’ অর্থাৎ কোনো দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সে দেশের জনগণ কীভাবে গ্রহণ করছে সেটার ধরনই হলো রাজনৈতিক সংস্কৃতি। রাজনৈতিক সংস্কৃতির মাধ্যমে একটি সমাজের রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। একটি দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার গতি প্রকৃতি দেখে সে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। কোনো অঞ্চলের মানুষ রাজনৈতিক বিষয়ে কী চিন্তা করে তা রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যদিয়েই প্রকাশিত হয়।

রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি বলা হয় কেন

রাজনৈতিক সংস্কৃতি হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি। এটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার নির্ধারক। সাধারণ অর্থে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে রাষ্ট্রের নাগরিকদের রাজনৈতিক জীবনধারা সম্পর্কে তাদের মনোভাব, বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে বোঝানো হয়। রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক বিষয় সম্পর্কে সমাজের মানুষের মনোভাব, বিশ্বাস, অনুভূতি এবং মূল্যবোধের সমন্বয়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতি গঠিত হয়। তাই বলা যায়, রাজনৈতিক সংস্কৃতি হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূল উপাদান কয়টি এবং কি কি

রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূল উপাদান হচ্ছে ৬টি, যথাঃ-

  • রাজনৈতিক মূল্যবোধ (political values): প্রতিটি দেশের মানুষের কিছু রাজনৈতিক মূল্যবোধ রয়েছে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ। সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচন।
  • রাজনৈতিক বিশ্বাস (political beliefs): রাজনৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তি হল রাজনৈতিক নৈতিকতা এবং রাজনৈতিক বিশ্বাস এর হল জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা। একটি দেশের আর্থ-অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য একাধিক দলীয় ব্যবস্থা দায়ী।
  • মানসিক মনোভাব (emotional attitudes):  প্রভাবিত রাজনৈতিক মতাদর্শ, অতীত সরকারের নীতি, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো আবেগপ্রবণ বা মানসিক মনোভাবের উদাহরণ।
  • জ্ঞানীয় অভিযোজন (cognitive orientation):  রাজনৈতিক সমস্যা, ঘটনা, রাজনৈতিক কার্যকলাপ এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের কাছে থাকা তথ্যের পরিমাণ এবং তথ্যের প্রকার।
  • কার্যকর অভিযোজন (effective orientation): রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও আগ্রহের পরিমাণ। রাজনৈতিক ইভেন্টে অংশগ্রহণ। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের সাথে সংযুক্তি।
  • মূল্যায়নমূলক অভিযোজন (evaluative orientation):  প্রতিটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার কিছু উদ্দেশ্য থাকে এবং এটি কিছু কার্য সম্পাদন করে। রাজনৈতিক ব্যবস্থার অর্জন ও ব্যর্থতাকে মানুষ মূল্যায়ন করার চেষ্টা করে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment