মুশারিকা এবং মুদারাবা সংজ্ঞা,মুশারিকা এবং মুদারাবা পার্থক্যসমূহ, মুশারাকা ও মুদারাবা বলতে কী বুঝ?,মুশারিকা এবং মুদারাবা এদের মধ্যে যেসকল বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান তা উল্লেখ কর,মুশারাকা ও মুদারাবা কাকে বলে,মুশারিকা এবং মুদারাবা এদের মধ্যে মূলক আলােচনা নিরূপণ কর

প্রশ্ন সমাধান: মুশারিকা এবং মুদারাবা সংজ্ঞা,মুশারিকা এবং মুদারাবা পার্থক্যসমূহ, মুশারাকা ও মুদারাবা বলতে কী বুঝ?,মুশারিকা এবং মুদারাবা এদের মধ্যে যেসকল বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান তা উল্লেখ কর,মুশারাকা ও মুদারাবা কাকে বলে,মুশারিকা এবং মুদারাবা এদের মধ্যে মূলক আলােচনা নিরূপণ কর

ভূমিকা : ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মুশারাকা এবং মুদারাকা বহুল পরিচিত এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি। মুশারাকা পদ্ধতিতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে অংশীদারি ভিত্তিতে চুক্তি অনুসারে সুনির্দিষ্ট কারবার পরিচালিত হয়। ইসলামি শরিয়াহ ব্যবসায় বাণিজ্য বা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বভিত্তিক বাণিজ্যিক পদ্ধতিকে হালাল ও বৈধ ঘােষণা করেছেন। অন্যদিকে মুদারাবা পদ্ধতিতে ব্যাংক আমানতকারীর আমানত গ্রহণ করে ব্যবসায় বিনিয়ােগের মাধ্যমে লাভ লােকসানের ভিত্তিতে ব্যবসায় পরিচালনা করে থাকে।

মিষ্টি করে না এসে দিকে উদ্যোক্তা তার অভিজ্ঞ যায়ী উভয়ের মধ্যে লাভ, – বিস্তারিত আলােচনা উপস ” অর্থাৎ, ব্যাংক উদ্যোক্তাকে *ংশিষ্ট কাস মুলধন প্রদান করে অন্যদিকে উদে শ্রম দিয়ে কারবার করে শর্তানুয়ায়ী উভ ভাগাভাগি করে নেয়। | এ নিয়ে প্রশ্নের আলােকে বিস্তারিত করা হলো

১, মুশারাকা বিনিয়ােগ পদ্ধতি । আf শব্দটি আরবি শব্দ যার অর্থ পরম্প তি; আভিধানিক অর্কে খ থাকে তাই একে দুই বা ততােধিক অংশীদার থাকে আরাকা : ইসলামি অর্থনী, তা ড. মুহাম্মদ আবদুল মা কি চুক্তি স্মার গান দেয় এবং স্থতিতে ব্যবসায় করার মুশারাকা বলা হয়। |

২. পারিভাষিক অর্থে মুশারাকা , রূপরেখা তত্ত্ব প্রয়ােগ গ্রন্থের প্রণেতা ড. মই | চৌধুরী বলেছেন- মুশারকা বলতে এমন যার অধীনে ব্যাংক মূলধনের একটি অe বাকি অংশ যােগান দেয় গ্রাহক। এ পদ্ধতিতে নামই মুশারাকা। | ইসলামের অর্থনৈতিক ইতিহাস ও ২ মাে: আবু তাহের বলেছেন- “দুই বা। প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত অংশীদারিত্বই শিরকায় নৈতিক ইতিহাস ও ব্যাংকিং গ্রন্থের প্র সছেন- “দুই বা ততােধিক ব্যক্তি রিতুই শিরকাত বা মুশারাক।” ন দুই বা ততােধিক ব্যক্তি বার করার জন্যে পুঁজি

আবদুল রকীর এর ভাষায় কোনাে ব্যবসায় দক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত অংশীদারিতুই শিরক আহলাদ শরিফ হুসাইন এর মতে- মুশারাক | অধ্যাপক মােহাম্মদ শরিফ হুসাইন এ হচ্ছে এমন অংশীদারি কারবার যেখানে দুই বা ততােধিক বা প্রতিষ্ঠান লাভ করার উদ্দেশ্যে কারবার করার জন্যে যােগান দেয়, কারবার পরিচালনা করে এবং কারবারের । ক্ষতিতে অংশ নেয়। * ড, এম, নাজাতুল্লাহ সিদ্দিকীর মতে- শিরকাতের অর্থ হয় ‘ দুই বা ততােধিক ব্যক্তি কোনাে কারবারে নির্ধারিত .. মলধন নিয়ে সকলে মিলে কারবার এবং লাভ-লােকসানে নির্ধারিত পরিমাণে অংশীদার থাকার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে যৌথভাবে কারবার করে।

ড. এম. এ. হামিদের মতে- মুশারাকা অর্থ অংশীদারি কারবার। এখানে দুজন অংশীদার রয়েছে ব্যাংক স্বয়ং এবং উদ্যোক্তা। তারা ব্যবসার জন্যে পরস্পর সম্মত অংশ অনুসারে মূলধন ও শ্রম যােগান দিবে এবং স্বীকৃত অনুপাত অনুসারে মুনাফার অংশ ভাগ করে নেয়। তবে লােকসানের অংশ বহন করে ব্যবসায় নিয়ােজিত মূলধনের অনুপাত অনুসারে। পরিশেষে বলতে পারি মুশারাকা পদ্ধতিতে ব্যাংক ও উদ্যোক্তার বা উদ্যোক্তাদের মধ্যে অংশীদারিভিত্তিতে নির্দিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট কারবার পরিচালিত হয়। এতে ব্যাংকসহ সকল অংশীদারই পপির সম্মত অংশ অনুসারে মূলধন সরবরাহ করে এবং স্বীকৃত অনুপাত অনুসারে মুনাফা ভাগ করে নেয়।


আরো ও সাজেশন:-

বাই মুদারাবার পরিচয় সৱাবার পরিচয় : শাব্দিক অর্থে আরবি ‘দাবা ব্র শব্দটির উৎপত্তি। যার অর্থ পদাঘাত, মণ ইত্যাদি। “আল্লাহর অনুগ্রহ অন্বেষণে ভ্রমণ” এ অর্থেই মুদারাবা শব্দটিকে চয়ন | সব্দ হতে মুদারাবা মা | পদচারণ, পরিভ্রমণ। ব্যবসায় উদ্দেশ্যে প্রমণ, রছেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ । পারিভাষিক অর্থে মুদারাবা : অধ্যাপক | একটি ইসলামি বিনিয়ে যােগানদাতা এবং অপরুপ মুদারাবা ব্যক্তি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও মদাষ ছ, মােহাম্মদ হায়দা একটি অংশীদারি করে করে আর অন্য পক্ষ ৮ পরিচালনা করে।

মূল মুজাহিদুল ইসলাম এর মতে- মুদারা এমন * বিনিয়ােগ পদ্ধতি যেখানে একপক্ষ পুঁজির ১ অপরপক্ষ পুঁজির ব্যবহারকারী রূপে বিবেচিত। পর্যায়ে যেমনি হতে পারে, তেমনি ব্যক্তি ও মধ্যেও মুদারাবা গঠন করা যেতে পারে। অদ হায়দার আলী মিয়ার মতে- মুদারাবা এমন দারি কারবার যেখানে একপক্ষ পূর্ণ মূলধন সরবরাহ র পক্ষ শ্রম, অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ব্যবসায় সরে। মূলধনের মালিককে সাহিব আল মাল এবং সমস্ত মূলধন এবং অন্য সfe ধন ব্যবহারকারীকে মুদারিব বলে। রাহাম্মদ ইউসুফ উদ্দীন তার ইসলামের অর্থনৈতিক { এয়ে বলেছেন- মূলধন বিনিয়ােগের আর একটি পন্থা বায় বা মুদারাবা । যদি কোনাে কারবারে এক ব্যক্তি ৪ন এবং অন্য ব্যক্তি শুধু শ্রমশক্তি নিয়ােগ করে, আর এ ৰ পেকে যে মুনাফা আসে তাতে উভয়েই শরিক থাকে? তাহলে এ কারবারকে বলা হবে কিবা বা মুদারাবা ।

উপরিউক্ত সংজ্ঞায়ের আলােকে বলা যায়, Sleeping ership বা Trust Sharing ভিত্তিতে এক পক্ষের মূলধন অন্যপক্ষে দক্ষতা, মেধা, শ্রম, প্রচেষ্টা ও ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতার জাৱা লাভ-লোকসানের চুক্তিভিত্তিক যে কাবার পরিচালিত হয় তাই বাই-মুদারাবা । নিম্নে বাই মুশারাকা এবং বাই-মুদারবাির মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করা হলাে মুদারাবা মুশারাকার মতােই অংশীদারি কারবার। তবে। মুশারাকা ও মুদারাবার মধ্যে মৌলিক পার্থক্যসমূহ নিম্নরূপ :

১. ব্যুৎপত্তিগত পার্থক্য : আরবি শব্দ শিরকাত বা শরিকাত। বা শিৱক থেকে মুশারাকার উৎপত্তি। তাই ব্যুৎপত্তিগত দিক থেকে মুশারাকা অর্থ অংশীদারিত্ব। পক্ষান্তরে, আরবি দারবুন শব্দ থেকে মুদারাবা শব্দের উৎপত্তি। দারবুন শব্দের বহুবিধ অর্থের মধ্যে একটি অর্থ হচ্ছে ভ্রমণ । আল্লাহর অনুগ্রহ অম্বেষণে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ভ্রমণই হচ্ছে মুদারবার মৌলিক বিষয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

২. পরিভাষাগত পার্থক্য : যে বিনিয়ােগে দুই বা ততােধিক দ্যোক্তা মূলধন যােগান দেয়, কেউ অথবা সকলে বিনিয়ােগ বস্থাপনা ও পরিচালনায় অংশ নিয়ে চুক্তি অনুযায়ী লাভ করে এবং লােকসান হলে মূলধন অনুপাতে বহন করে তাকে মুশারাকা ‘লে। পক্ষান্তরে যে বিনিয়ােগে একপক্ষ মূলধন যােগান দেয়। এ অপরপক্ষ শম মেধা যােগ্যতা ও সময় ব্যয় করে এবং * অনুযায়ী লাভ হলে ভাগ করে নেয় অথবা দ্বিতীয় পক্ষ বের অবহেলাজনিত কারণ ছাড়া সমুদয় ক্ষতি মূলধন সাত সাহিব-আল-মাল বহন করে তাকে মুদারাবা বলে। চুক্তি অনুযায়ী লাভ হলে ভাগ সুপারিবের অবহেলাজনিত কারণ

৩ লাভের অংশ ; মুশারাকা কারবারে অংশীদারগণ লাভলাকসানে অংশীদারি হন। পক্ষান্তরে, মুদারাবা কারবারে উভয়। পক্ষে লাভের অংশীদারি হয়।

৪. মূলধন যােগান : মুশারাকা কারবারে সকল অংশীদারি। | মূলধন যােগান দেয়। অন্যকথায় মুশারাকা কারবারের সকল অংশীদার মূলধন সরবরাহ করেন। পক্ষান্তরে, মুদারাবা কারবারে শুধু সাহিব আল মল বা রাম্বুলমাল মূলধন যােগান দেন। | অন্যকথায়, মুদারাবার ক্ষেত্রে একপক্ষ অর্থ সরবরাহ করে অপরপক্ষ | শ্রম বিনিয়ােগ করেন। মুদারি দক্ষতা ও শ্রম নিয়ােজিত করেন।

৫ পুঁজি ঝুঁকি : মুশারাকা কারবারে পুঁজি রূপান্তরের ঝুঁকি সকল অংশীদারই বহন করেন। পক্ষান্তরে, মুদারাবায় সাহিব | আল মাল পুঁজির ঝুঁকি বহন করে।

৬, সম্পদের মালিকানা : মুশারাকার সকল সম্পদ অংশীদারগণের যৌথ মালিকানায় পরিগণিত হয়। সুতরাং, লাভ না হলেও সম্পদের মূল্য বৃদ্ধির সুবিধা সকলে পেয়ে থাকে। পক্ষান্তরে, মুদারাবায় ক্রয়কৃত সমুদয় সম্পদের শুধু সাহিব আল-মাল। মুদারিব শুধু ব্যবসায়ে লাভের ভাগীদার, তাই সে সম্পদের মূল্য বৃদ্ধির কোনাে অংশ পায় না। এটা সাহিব আল-মালের প্রাপ্য।

৭. মুনাফা বণ্টন : মুশারাকা কারবারে লাভ হলে অংশীদারগণ সম্মত হারে ভাগ করে নেয়। পক্ষান্তরে, মুদারাবা কারবারে লাভ হলে মুদারিব ও রাব্দুল মাল চুক্তিসম্মত হারে ভাগ করে নেয়।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

৮. কারবার ব্যবস্থাপনা : মুশারাকা কারবারে সকল অংশীদারের কারবার ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার অধিকার থাকেন। মুদারাবা কারবারে শুধু উদ্যোক্তা বা মুদারিব কর্তৃক কারবার পরিচালিত হয়। মুদারাবায় রাব্দুল মাল কারবার ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণের কোনাে অধিকার রাখেন না। |

৯, অংশীদারগণের দায় : মুশারাকা কারবারে সাধারণত অংশীদারগণের দায় সীমাহীন। এজন্যে সম্পদের চেয়ে অতিরিক্ত দায় প্রত্যেক অংশীদারকে আনুপাতিক হারে বহন করতে হয় । তবে যদি সকল অংশীদার একমত হন যে, কোনাে অংশীদার আর কোনাে বিনিয়ােগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে না, তবে অতিরিক্ত দায় সংশ্লিষ্ট বিনিয়ােগগ্রহীতা অংশীদারকেই বহন করতে হয়। পক্ষান্তরে, মুদারাবায় ব্যাপারটি ভিন্ন ধরনের। যদি সাহিব আল-মাল মুদারিব তার পক্ষ থেকে বিনিয়ােগ গ্রহণের অনুমতি না দেন তবে তার দায় মূলধনের মধ্যে সীমিত থাকে।

১০. লােকসান ভাগাভাগি : মুশারাকা কারবারে সকল অংশীদার স্বীয় মূলধনের পরিমাণ অনুপাতে লােকসান বহন করেন। অন্যকথায়, ব্যবসায়িক লােকসানের দায়ভার সকল পক্ষকে বহন করতে হয় এবং মূলধনের আনুপাতিক হারে তাদের মধ্যে লােকসানের দায়ভার বণ্টিত হয়। পক্ষান্তরে, মুদারাবা কারবারে সাধারণত মুদারিব কোনাে আর্থিক ক্ষতি বহন করেন । কেননা, মুদারিব তাে কোনাে মূলধনই বিনিয়ােগ করেন না। কিন্তু মুদারিব যদি উদাসীনতা এবং বেপরােয়া হয়ে কাজ করে বা নীতি বিরােধী কোনাে আচরণ করেন, তাহলে বেপরােয়া এবং অসতর্কতার কারণে ব্যবসায় যে লােকসান হবে তা মুদারিবকে বহন করতে হবে।

উপসংহার : উপযুক্ত আলােচনার পরিশেষে বলা যায় যে, মুশারাকা বিনিয়ােগের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সমাজকল্যাণের কাজ করা যেতে পারে। কর্মসংস্থানের অবাধ সুযােগ সৃষ্টি এবং ইসলামি মূল্যবােধের সাথে সম্পর্ক রেখে ইসলামিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনে মুশারাকা বিনিয়ােগ পদ্ধতি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কাজেই ইসলাম ব্যবসায় বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয়ে মুশারাকা বা অংশীদারিত্বভিত্তিক ব্যবসায় বাণিজ্যকে বৈধ পদ্ধতি ও হালাল ঘােষণা করেছেন।

অন্যদিকে, মুদারাবা ও ! কর্মসংস্থানের অবাধ সুযােগ সৃষ্টি এবং ইসলামি মূল্যবােধের সাথে সম্পর্ক রেখে ইসলামি অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনে মুদারাবা বিনিয়ােগ পদ্ধতিও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment