Advertisement
Advertisement 5
উত্তর:‘মুনাজাত’ আরবী শব্দ। এর অর্থ পরস্পর কানে কানে বা চুপি চুপি কথা বলা।
সহীহ বুখারী ও মুসলিম সহ অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থে উক্ত অর্থেই মুনাজাত শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إذا كان أحدُكم في الصلاة، فإنه يناجي ربَّه
“নিশ্চয়ই তোমাদের কেউ যখন তার ছালাতে দাঁড়ায় তখন সে তার রবের সাথে মুনাজাত করে।” (বুখারি ও মুসলিম)
এ মর্মে আরও একাধিক হাদিস বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহু আলাম।
শায়েখ আবদুল্লাহিল হাদি
#মুনাজাত কিভাবে করবেন জেনে নিন
======================
মুনাজাত করার আদব হচ্ছে –
১. যেকোন সময় মুনাজাত করা যায়, দিনে রাতে, দাঁড়ানো, শুয়ে-বসে, ওযু ছাড়া বা ওযু করে। এমনকি গোসল ফরয এমন অবস্থায় বা নারীদের ঋতু অবস্থাতেও দুয়া করতে পারবেন। তবে ফরয নামাযের পরপরই মুনাজাত করবেন না। সুন্নতী যিকির করবেন। অনেক মনে করেনঃ নামাযের পরে মুনাজাত করতেই হবে। এটা ঠিকনা।মুনাজাত করা নামাযের অংশ না। সালাম ফেরানোর মাধ্যমেই নামায শেষ হয়ে যায়।
Advertisement
নফল নামাযের পরে যেমন তাহাজ্জুদ চাশত অজুর সালাত শেষে মুনাজাত করতে পারেন।
২. ওযু অবস্থায় পশ্চিম দিকে ফিরে দুয়া করা মুস্তাহাব বা উত্তম। তবে এটা জরুরী নয়, ওযু ছাড়া অন্য দিকে ফিরেও মুনাজাত করা যাবে।
৩. মুনাজাতে দুই হাত তোলা মোস্তাহাব, আল্লাহ এটা পছন্দ করে যে মানুষ ভিক্ষুকের মতো তাঁর দরবারে বিনীতভাবে হাত তুলে দুয়া করবে। এইভাবে দুয়া করলে সেটা আল্লাহ কবুল করে নেন।
সালমান আল-ফারসী রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“তোমাদের রব লজ্জাশীল ও দানশীল।। তাঁর বান্দা যখন তাঁর নিকট দুই হাত তুলে প্রার্থনা করে, তখন তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।”
মুসনাদে আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, বুলুগুল মারা’মঃ ১৫৮১।
৪. মুনাজাত করতে হবে বিনীত ভাবে, নিচু স্বরে, মন দৃঢ় আশা নিয়ে যে আল্লাহ সব কিছু করতে পারেন আর তিনি অবশ্যই আমার দুয়া কবুল করবেন। আমি এতো পাপী আল্লাহ কবুল করেন কিনা এইরকম সন্দেহ থাকলে বা আল্লাহ কবুল করবেন না, আমাকে ক্ষমা করবেন না – আল্লাহ সম্পর্কে এমন খারাপ ধারণা নিয়ে দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করেন না। বান্দা যতই পাপী হোক সে আন্তরিক তোওবা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের আশা রেখেই দুয়া করবে, বিপদ যত বড়ই হোক আল্লাহ সব ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন এই আশা নিয়েই দুয়া করতে হবে। আর যে দুয়া করা হচ্ছে সেইদিকে মনোযোগ রেখে বুঝে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। উদাসীন হয়ে অন্তর থেকে না চেয়ে শুধু মুখে উচ্চারণ করে গেলে বা আন্তরিক দুয়া নাকরে দেখানো দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করেন না। কান্নাকাটি করে বিনীতভাবে দুয়া করলে আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হন।
৫. মুনাজাতের প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা দিয়ে শুরু করতে হবে। এই বলে প্রশংসা করা যেতে পারে –
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَواتُ، وَالطَّيِّباتُ
উচ্চারণঃ আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্সালাওয়া-তু ওয়াত্তায়্যিবা-তু।
অর্থঃ সমস্ত অভিবাদন, সকল সালাত ও পবিত্র কাজ একমাত্র আল্লাহ্র জন্য।
অথবা এটা বলে আল্লাহর প্রশংসা করা যাবে –
الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ
উচ্চারণঃ আলহা’মদুলিল্লাহি হা’মদান কাসীরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যে প্রশংসা পবিত্রতা ও বরকতপূর্ণ।
অথবা এটা বলে আল্লাহর প্রশংসা করা যাবে –
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
উচ্চারণঃ আলহা’মদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামিন।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।
***এইরকম যেকোন এক বা একাধিক, বা এইরকম আল্লাহর জন্য প্রশংসামূলক অন্যবাক্য বলা যাবে।
৬. আল্লাহর প্রশংসার পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দুরুদ পড়তে হবে। ছোট বড় যেকোন দুরুদ পড়া যাবে – আপনার যেটা ভালো লাগে। সর্বোত্তম দুরুদ হচ্ছে দুরুদে ইব্রাহীম, যেটা আমরা নামাযে পড়ি। এটা না পড়ে ছোট অন্য দুরুদও পড়া যাবে। যেমন –
Advertisement 2
اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبَيِّنَا مُحَمَّدٍ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম আ’লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদ এর উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন।
সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১/২৭৩
“একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখলেন এক ব্যক্তি দুআ করছে কিন্তু সে দুআতে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুলের প্রতি দরূদ পাঠ করেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে লক্ষ্য করে বললেন, সে তাড়াহুড়ো করেছে। অতঃপর সে আবার প্রার্থনা করল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে অথবা অন্যকে বললেন, যখন তোমাদের কেউ দুআ করে তখন সে যেন প্রথমে আল্লাহ তাআ’লার প্রশংসা ও তার গুণগান দিয়ে দুআ শুরু করে। অতঃপর রাসুলের প্রতি দুরুদ পাঠ করে। এরপর তার যা ইচ্ছা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে।”
আবু দাউদঃ ১৪৮১, তিরমিজীঃ ৩৪৭৭, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ।
৭. এর পরে নিজের পছন্দমতো নিজের জন্য বা অন্যের জন্য, দুনিয়া বা আখেরাতের যেকোন কল্যানের জন্য দুয়া করতে হবে। সবচাইতে কম কথায় সবচাইতে বেশি প্রার্থনা করার এই দুয়াটা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব বেশি বেশি করতেন।
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অধিকাংশ দো‘আ হতঃ
اَللهم آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
Advertisement 2
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও-ওয়াফিল আ-খিরাতি হাসানাতাও ওয়া-ক্বিনা আযাবান্নার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ দাও এবং পরকালে জীবনেও কল্যাণ দান করো। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও।
বিঃদ্রঃ আল্লাহুম্মা আতিনা…অথবা রাব্বানা আতিনা…এই দুইভাবেই পড়া যায়।
সহীহ মুসলিমের অন্য হাদীসে আছে, “আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন একটি দো‘আ করার ইচ্ছা করত
Advertisement 5
- সমাজকর্মী নিয়োগ পরিক্ষার সাজেশন, Social worker Job Examination Suggestions
- রেলওয়ে ও NSI SI চাকরির পরীক্ষার জন্য কমন, কমন রেলওয়ে ও NSI SI চাকরির পরীক্ষার জন্য
- ভিপিএন কী, ভিপিএন ব্যবহারের অসুবিধা ও সুবিধা
- বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত মহিলা, বিশ্বের সেরা ১০ বিখ্যাত মহিলা
- যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর ঘরোয়া পদ্ধতি,যৌন শক্তি,যৌন শক্তি বৃদ্ধির উপায়
Advertisement 3