বিষয়: মাসিক না হলে করণীয় কি? এবং মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম, দেরিতে মাসিক হওয়ার কারণ কি?, মাসিক না হওয়ার কারণ, মাসিক নিয়মিত করার উপায় , মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম কি? , মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ করে?, মাসিক না হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম, গর্ভনিরোধক ঔষধের সাথে পার্থক্য
মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম: আসলে ১২ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এমনটিই হয়ে থাকে। আর প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর নিয়মিত ও সময় মতো মাসিক হওয়াটা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। আর তবে তা যদি এটি অনিয়মিত হয়ে পড়ে,তবে তার মানে হয়তো শারীরিক কোনো সমস্যা আছে বলে মনে করতে হবে।
মাসিক না হলে করণীয় কি? এবং মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম
আসলে নির্ধারিত সময়ের থেকে, অর্থাৎ ঠিক ২৮ দিনের গ্যাপে যদি কারো মাসিক না হয়, তবে অনেক নারীরা চিন্তা করে থাকে।অনেক নারীরা আবার মাসিক হওয়ার ট্যাবলেটের নাম বা মাসিক না হলে ঔষধ খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে থাকে । কারণ সত্যিকার অর্থেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাসিক না হওয়া আতঙ্কিত হওয়ার মত একটি গুরুতর বিষয় হয়ে পরে । আবার সময়মত মাসিক না হলে এর জন্য প্রয়োজনীয় মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম কি এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে আজ আমরা জানবো।
দেরিতে মাসিক হওয়ার কারণ কি?
অনেকেই আছে মাসিক দেরিতে হওয়া নিয়ে অনেক উদ্বিগ্ন। কিন্তু তবে জানেন কি পিরিয়ড বা মাসিকের সাথে অনেকগুলি ব্যাপার জড়িত আছে । মানসিক চাপ থেকে শুরু করে আবহাওয়া এই সবই প্রভাব ফেলতে পারে আপনার মাসিক চক্রে উপর । সাধারণত প্রতি ২৭ থেকে ৩৬ দিন অন্তর, একজন সুস্থ্য এবং স্বাভাবিত নারীর পিরিয়ড বা মাসিক হয়ে থাকে।
১১ বছর থেকে ৫৬ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর নিয়মিত ও সময়মতো মাসিক হওয়াটা খুব সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ হয়ে থাকে । তবে তা যদি অনিয়মিত হয়ে পড়ে, তাহলে তার মানে শারীরিক কোনো সমস্যা আছে বলে ধরা হয়।
সে ক্ষেত্রে শরীরে কোনো অসুস্থতা সৃষ্টি হয়েছে কিনা অথবা জীবন-যাপনের কোনো ক্ষতিকর অভ্যাস হয়েছে কিনা, সে দিকে নজর দেয়া উচিৎ । অনেক সময় পিরিয়ড দেরি হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকে । তার মধ্যে হলো গর্ভাবস্থা, বয়স, মানসিক চাপ, অকাল গর্ভপাত, কম ওজন ফাইব্রয়েডস, এবং হরমন জনিত সমস্যা হলো অন্যতম।
কিন্তু যদি আপনার মাসিক দেরিতে হওয়ার পেছনে যদি এর কোন একটি কারন না থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নেওয়া উচিৎ ।
মাসিক না হওয়ার কারণ
মেয়েদের মাসিক না হওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি রয়েছে। যার কারণে মাসিক সাময়িকভাবে বন্ধ থাকতে পারে বা দেরি হতে পারে। যেমন-
- যেভাবে সহবাস করলে বাচ্চা হয় বিস্তারিত,মহিলারা গর্ভবতী হবার জন্য কখন যৌনমিলনে লিপ্ত হবেন,গর্ভধারণের জন্য সেরা সেক্স পজিশন
- যৌনমিলন করার উপকারিতা, নিয়মিত সহবাসের দশটি উপকারিতা,নিয়মিত সহবাসের উপকারিতা কী?
গর্ভাবস্থা: সহবাসের পর মাসিক না হলে প্রথমেই নিশ্চিত হোন আপনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন কিনা।
বয়স: অল্প বয়সী ও মধ্যবয়সী মেয়েদের হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মাঝে মধ্যে অনিয়মিত মাসিক দেখা দিতে পারে।
স্ট্রেস: দীর্ঘ সময় স্ট্রেসে থাকলে বা কোন কিছু নিয়ে চিন্তিত বা পেরেশানি থাকলে অনেকেরই মাসিক দেরিতে হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
আর্লি প্রেগন্যান্সি লস: একজন নারী সহবাসের পর হঠাৎ গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু তা তিনি নিজেও জানতেন না। এরপর তা নিজে থেকেই তার মিসক্যারিজ বা গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। তখন পিরিয়ড অনেক দেড়িতে হয়। আর এইরকম হলে সাধারণত মাসিকের তুলনায় কিছু দিন পর অনেক রক্তপাত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। অনেকেই মনে করেন দেড়িতে মাসিক হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।
কম ওজন: শারীরিকভাবে ওজন কমে গেলে বা স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে গেলে সময়মতো মাসিক নাও হতে পারে। এমনকি কিছু দিন মাসিক বন্ধও থাকতে পারে।
হরমনাল বার্থ কন্ট্রোল: জন্মনিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করলে মাসিক দেরিতে হতে পারে। যেমন- পিল, প্যাচ, ইনজেকশন, আইইউডি ইত্যাদি ব্যবহার করলে পিরিয়ড বা মাসিক বিলম্বিত হতে পারে।
স্বাস্থ্য সমস্যা: অনেক সময় শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে পিরিয়ড লেট হয়। যেমন, মনোনিউক্লিওসিস, ঠাণ্ডা, সর্দি, গলার ইনফেকশন ইত্যাদি এ ধরনের সমস্যায় মাসিক দেরিতে হতে পারে।
মাসিক নিয়মিত করার উপায়
আপনার মাসিক নিয়মিত যদি হঠাৎ অনিয়মিত হয়ে পরে তাহলে সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কেননা মাসিক নিয়মিত করার কিছু উপায়ও আছে। প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে মাসিক নিয়মিত করার ঘরোয়া উপায় মেনে চলরে আপনার মাসিক নিয়মিত হতে পারে। পিরিয়ড না হলে কি খাওয়া উচিত বা তাড়াতাড়ি মাসিক হওয়ার উপায় জানতে হবে । তাহলে চলুন উপায়গুলো জেনে নিই-
১। ব্যায়াম
গবেষণায় দেখা যায় যেসব নারী নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের মাসিক নিয়মিত হয়ে থাকে এবং মাসিকে কোন সমস্যা থাকে না। মেয়েদের নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে তা ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পর নিয়মিত ব্যায়াম করলে পরবর্তী সময়ে সঠিক সময়ে মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।আর যাদের মাসিক হচ্ছে না তারা সেই ব্যায়াম গুলো করলে অনেক সময় মাসিক হয়ে যায়।
২। টকজাতীয় ফল
মেয়েদের টক খুবই পছন্দ।টক জাতীয় ফল খেলে অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত হতে পারে। টকজাতীয় অনেক ফল রয়েছে তারমধ্যে যেমন- তেঁতুল, মাল্টা, জলপাই আরো যা রয়েছে তা যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে থাকে।
আরো একটি কাজ করতে পারেন তা হল এক গ্লাস পানি নিন তাতে চিনি ভালভাবে মিশিয়ে নিন তারপর সেই পানিতে তেঁতুল এক ঘণ্টা সময় ভিজিয়ে রাখুন।তারপর এতে লবণ, চিনি ও জিরা গুঁড়ো ভালভাবে মিশিয়ে নিন। অনিয়মিত মাসিকের সময় দিনে দুবার পান করুন। এটি আপনার অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করতে বেশ উপকারী।
৩। আদা
অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করতে আদা সব থেকে বেশি কার্যকর।আদা যেভাবে খাবেন তা হল ১ কাপ পানিতে ১/২ চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ৫-৭ মিনিট পানি সিদ্ধ করে নিন। প্রতিদিন তিনবেলা খাবারের পর এই পানি পান করুন।এভাবে নিয়মিত এক মাস এটি পান করলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়ে যাবে।
৪। তিল
অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করতে তিল আপনাকে সাহায্য করবে। তিল একটি পুষ্টিকর উপাদান।তিল খাওয়ার নিয়ম হল, অল্প পরিমাণের তিল ভেজে গুঁড়ো করে নিতে হবে।তারপর এর সাথে এক চামচ গুড় ভালভাবে মিশিয়ে নিন । এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চা চামচ করে খেয়ে যান। দেখবেন আপনার মাসিক ঠিক হয়ে গেছে ।
৫। আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার এটা খুবই উপকারী। প্রতিদিন খাওয়ার আগে ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে পান করুন।ভিনেগার এটি রক্তের ইনসুলিন ও ব্লাড সুগার কমিয়ে দেয় ফলে অতিরিক্ত ওজন কমাতে এবং মাসিক নিয়মিত করতে বেশ সহায়তা করে ।
৬।স্বাস্থ্যকর জীবন
আমাদের সবারই স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা উচিৎ। তবে যেসব নারীর মেনোপজের বয়স হয় বা যৌবনে পদার্পনের সময় হয়ে থাকে , সেই সময় তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা আরও বেশি প্রয়োজন । কারণ উঠতি বয়সে মেয়েরা বালেগা হওয়ার পর পরই অনেক রোগ দেখা দিতে পারে ।
মনে রাখুন! মাসিক হঠাৎ একবার দেরিতে হতেই পারে এতে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। তবে আপনার মাসিকের দিকে খেয়াল রাখুন। একবছরে যদি ৯ বারের কম হয় বা তিন মাস টানা পিরিয়ড বন্ধ থাকলে কিংবা একবার পিরিয়ড হওয়ার পর আরেকবার পিরিয়ড হওয়ার মাঝে ৩৫ দিনের বেশি বিরতি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম কি?
আসলে মাসিক হলো সম্পূর্ণরূপে একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যাতে মানুষের কোন হাত নেই । মাসিক না হলে ঔষধ সেবন অথবা কোন কৃত্রিম উপায়ে মাসিক ঘটানো বা বন্ধ করা কোন স্থায়ী সমাধান হয় না । তবে যদি একেবারেই কোন উপায় না থাকলে, তাহলে আপনি মাসিক হওয়ার বিশেষ ঔষুধ গ্রহণ করতে পারেন।
মাসিক নিয়মিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ রয়েছে। 5mg মাসিক নিয়মিত করার ট্যাবলেটগুলো আমাদের শরীরের ন্যাচারাল হরমোনের ওপর কাজ করে থাকে এবং যাদের মাসিকের সমস্যা আছে তাদের অনিয়মিত মাসিক থেকে মুক্তি করে দেয়।নিচে নিয়মিত মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম দেওয়া হলঃ
ঔষধের নাম →কোম্পানি→প্রতি পিস মূল্য
- Normens →Renata →6 Taka
- Ethinor → Eskayef →5 Taka
- Feminor →Acme → 5 Taka
- Menoral → Square →6.50 Taka
- Mensil N→HealthCare →7.50 Taka
- Remens →Populer →5 Taka
- Menogia → ACI → 6 Taka
- Norcolut →City Overseas →7.25 Taka
- Norestin →Nuvista →6.84 Taka
- Noteron → Incepta →5.5 Taka
মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ করে?
- অনিয়মিত মাসিক হলে
- আবার খুব বেশি রক্তপাত হলে
- ব্রেস্ট পেইন, মাথা ব্যাথা বা মুড স্যুইং হলেও
- ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও হতে পারে।
চিকিৎসকরা এই ট্যাবলেট প্রতিদিন ১ টি করে এবং ৩ বেলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ৫ দিন করে আবার কারো ক্ষেত্রে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত এটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে জেনো এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
মাসিক না হওয়ার ট্যাবলেট এর নামঃ
নারীদের মাসিক না হওয়া যেমন একটি সমস্যা, আবার একইবারে হওয়াও অনেকটা বিরক্তিকর কারন হয়ে উঠে । বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে যে শীতকালে নারীদের মাসিকের নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয়। কারণ, এই শীত মানেই উৎসব। আর তাই বছর শেষের এই সময়টায় প্রায় অনেকেরই বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা করে থাকে। তাই বিয়ে এবং পিকনিকের পাশাপাশি অন্যান্য উৎসবের কারণে নারীরা এই সময়টিতে মাসিক এড়িয়ে চলতে চায়।
তাই এই মাসিকের দিনগুলোতে এই মাসিকের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনেকে নারীরা মাসিক পিছিয়ে দেয়ার ঔষুধ খেয়ে থাকেন । তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই ঔষুধকে Period Delaying Tablets বলে থাকে । আবার বিশেষ করে বিয়ের আগে প্রায় সব মেয়ের মধ্যেই এই প্রবণতা দেখা দেয় ।
অনেক সময় সামান্য মাসিকের জন্য ঘুরতে যাওয়া, আনন্দের সঙ্গে কেউই এর জন্য আপোষ করতে চায় না। তাই অনেকেই মাসিক বন্ধ হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম জানতে চায়। তবে কেউ চাইলে প্রয়োজনে এই ঔষুধ অবশ্যই খেতে পারেন। তবে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে যদি কারো একান্ত প্রয়োজন থাকে তাহলে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এবং তিনি যা উপদেশ দেবেন সেইমতো ওষুধ কিনবেন এবং খাবেন।
Phasic Pill: এই ঔষুধগুলো দুই অথবা তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে এবং প্রতিটি ভাগের জন্য আলাদা আলাদা রঙ হয় যা ভিন্ন-ভিন্ন হরমোনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে থাকে । যা সাধারণত ২১ দিনের কোর্স হয়ে থাকে যা একটি একটি করো ৭ দিন পরপর খেতে হয়। বাকি ঔষুধগুলো ও নিয়ম মতো এবং ঠিক একই রকম হয়ে থাকে।
Mini Pill: এই ট্যাবলেট গুলোতে Norethisterone থাকে। একটি পাতা খাওয়ার পর কোনও প্রকার গ্যাপ না দিয়েই তার পরের দিন থেকে আপনি আবার অন্য এক পাতার ওষুধ খেতে পারবেন । আবার মাসিক পেছানোর জন্য এটি বেশ ফলদায়কও হয় ।
গর্ভনিরোধক ঔষধের সাথে পার্থক্য
মাথায় রাখতে হবে পিরিয়ড পিছিয়ে দেওয়ার ঔষুধ আর গর্ভনিরোধক ঔষুধ এক না। তাই পিছিয়ে দেওয়ার ঔষুধ শুধুমাত্র ১৭ দিনের জন্য পিরিয়ড পিছিয়ে দেয় । আর গর্ভনিরোধক ট্যাবলেটে ডিম্বাশয় থেকে ডিম নির্গত হতে দেয় না। আর তাই যদি মনে করেন যে, কোন সুরক্ষা ছাড়াই সহবাস করে মাসিক পেছানোর ঔষধ খাবেন, তবে এরকম ধারণা রাখবেন না। এই ওষুধ কিন্তু গর্ভবতী হওয়া থেকে আপনাকে কোন ভাবে আটকাবে না।
ট্যাবলেট কখন খাবেন?
আপনি কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিয়ে তবেই কিন্তু এই ঔষুধ কিনবেন। আর যারা প্রতিদিন হরমোন, থাইরয়েডের ওষুধ খেয়ে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে এই পিল কতটা কাজ করবে তাও চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিবেন। তাই সাধারণত মাসিকের নির্ধারিত দিনের তিনদিন আগে এবং তিনবার এই ট্যাবলেট খেতে হবে।
একটি সকালে, একটি দুপুরে এবং অপরটি রাতে খাওয়ার পর খেতে হবে । তবে কিন্তু এক সাথে দুইটা ট্যাবলেট কখনই খাওয়া যাবে না । আবার যদি কোনও ট্যাবলেট সকালে খেতে ভুলে গেলে তা আবার পরে বা বিকেলে খাওয়া যাবে না।
FAQs (Frequently Ask Questions)
১। সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়
সহবাসের পর মাসিক না হলে আপনাকে আগে জানতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট হয়েছেন কিনা। এর জন্য আপনাকে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হবে। আপনি চাইলে ঘরে বসে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। এর জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা ঘরে বসে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার উপায় আর্টিক্যালটি পড়তে পারেন।
যদি প্রেগন্যান্সি পজিটিভ আসে তাহলে আপনি মা হতে চলেছেন। যার জন্য সহবাসের পর মাসিক বন্ধ থাকবে সাভাবিক। আর যদি প্রেগন্যান্সি নেগেটিভ হয় তাহলে কিছুদিন অপেক্ষা করে দেখুন। যদি মাসিক না হয় তাহলে ঔষধ খেতে পারেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন।
যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে প্রেগন্যান্সি পজিটিভ এসে যায় তাহলে করণীয় হল হয় বাচ্চা টা কে রেখে দেওয়া না হয় নষ্ট করে দেওয়া। নষ্ট করা মারাত্মক গোনাহ। তাই নষ্ট না করাই ভাল। তারপর ও যদি কেউ বিভিন্ন শারিরীক সমস্যা থাকার কারণে বাচ্চা রাখলে সমস্যা হবে এবং বাচ্চা না রাখতে চান তারা এম এম কিট খেতে পারেন। কবে তার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। খাওয়ার আগে ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
২। মাসিক না হলে কি সমস্যা হয়?
মাসিক না হলে সাধারণত বাচ্চা দানের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। যাদের মাসিক হয়না বা দীর্ঘদিন মাসিক বন্ধ থাকলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। অন্যথায় পরবর্তীতে বাচ্চা না হওয়ার সম্ভবনা থাকে। আবার শারিরীকভাবে ও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩। মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
মাসিক না হলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভব নেই বললেই চলে। বাচ্চা মাসিকের রক্তের মাধ্যমে গঠিত হয়। যখন বাচ্চা পেটে আসে তখন আপনা আপনিই মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বলা যায়, মাসিক না হলে বাচ্চা জন্মদানের সমস্যা হবে।
৪। কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়?
কতদিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় এটা বলা মুশকিল। তবে সাধারণত ৫ সপ্তাহ বা ৩৫ দিন এর উপরে চলে গেলে মাসিক না হলে তখন আপনাকে চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে। মধ্যে যদি সহবাস করা হয় তাহলে আগে টেস্ট করে দেখতে হবে যে প্রেগন্যান্ট কিনা। সাহবাসের পর যদি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয় অথবা মাসিকের নিদিষ্ট সময় হতে ১ সপ্তাহ পার হয়ে গেলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে জানতে হবে।
৫। তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ?
তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ অনেক গুলো হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে, গর্ভবতী হলে বা শারীরিক ভাবে দুর্বল থাকলে, শরীরে ভিটামিন ও পুষ্টির অভাব দেখালে বা বিভিন্ন পিল সেবন করলে।
৬। একদিনে মাসিক হওয়ার ঘরোয়া উপায়
একদিনে মাসিক হওয়ার কোন ঘরোয়া উপায় নেই। মাসিক না হলে কারণ জেনে উপরে উল্লেখিত ঘরোয়া উপায় গুলো ফলো করতে পারেন। যদি কোন সমস্যা মনে হলে ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারেন।
৭। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে গর্ভবতী হলে বাচ্চা না নিতে চাইলে করণীয় কি?
এই বিষয়টা প্রায় মানুষই জানতে চায় । প্রথমত সহবাসের সময় প্রটেকশন ব্যবহার করে সহবাস করবেন। যদি না করা হয় তাহলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ইমার্জেন্সি পিল খেতে পারেন। যদি ৭২ ঘন্টার বেশি হয়ে যায় এবং বাচ্চা রাখতে না চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ৬০ দিনের মধ্যে এম এম কিট ট্যাবলেট খেতে পারেন। এম এম কিট সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা রয়েছে ওয়েবসাইটে মেয়েদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্যাটাগরিতে পাবেন। তবে এভাবে বাচ্চা নষ্ট করা মারাত্মক গোনাহ তাই বাচ্চা নষ্ট না করাই ভাল।
শেষ কথা
মাসিক নিয়মিত না হওয়া বা একমাসে কয়েকবার হওয়া কিংবা মাসিক বন্ধ না হওয়া এই গুলো মেয়েদের মারাত্মক সমস্যা। আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। মাসিক বা আপনার যে কোন সমস্যা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা তার সমাধান নিয়ে আপডেট তথ্য আপনাদের জানিয়ে দিবো।ধন্যবাদ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- শীতে গোসল না করার উপায়
- সপ্তাহে কতবার সহবাস সন্তান ধারণের জন্য উপযোগী?, সপ্তাহে কতবার যৌন মিলন সম্পর্ক গভীর করে?
- যেভাবে সহবাস করলে বাচ্চা হয় বিস্তারিত,মহিলারা গর্ভবতী হবার জন্য কখন যৌনমিলনে লিপ্ত হবেন,গর্ভধারণের জন্য সেরা সেক্স পজিশন
- মাইগ্রেন ব্যথার কারণ, মাইগ্রেন ব্যথার উপসর্গ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিকার ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিরোধ – বিস্তারিত গাইড
- মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার: একটি সম্পূর্ণ গাইড
- শীতের ঠান্ডা-কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়