আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে ৪১তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একই সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই এবারের লিখত পরীক্ষার সময়সূচি-
১। ২৯ নভেম্বর, সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ‘ইংরেজি’ বিষয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা হবে ৪ ঘণ্টার। পরীক্ষায় নম্বর থাকবে ২০০।
২। ৩০ নভেম্বর, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশ বিষয়াবলী’। এ পরীক্ষার জন্যও থাকছে ৪ ঘণ্টা সময়। পরীক্ষায় নম্বর থাকবে ২০০।
৩। ১ ডিসেম্বর, বুধবার অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী পরীক্ষা। এ পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে ৩ ঘণ্টা। পরীক্ষায় নম্বর থাকবে ১০০।
৪। ২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরীক্ষা। এ পরীক্ষার জন্য থাকবে ৩ ঘণ্টা সময়। নম্বর ১০০।
৫। ৪ ডিসেম্বর, শনিবার থাকছে বাংলা ১ম ও ২য় পত্র পরীক্ষা। এ পরীক্ষার জন্য সময় ৪ ঘণ্টা। নম্বর থাকছে ২০০।
৬। ৬ ডিসেম্বর, সোমবার অনুষ্ঠিত হবে গাণিতিক যুক্তি। পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। নম্বর ৫০।
৭। ৭ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার মানসিক দক্ষতা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। নম্বর থাকবে ৫০।
এছাড়াও বাংলাদেশ কর্ম কমিশন প্রার্থীদের জন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে বই, সব রকম ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারবেন না।
পরীক্ষার হলের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র ও মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মুঠোফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে ঢুকতে হবে।
পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব পরীক্ষার্থীর মুঠোফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএসের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের শ্রবণযন্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।
প্রস্তুতি প্রস্তুতি ভাব, প্রস্তুতির অভাব নিয়েও বুঝে হোক, না-বুঝে হোক, লিখলেই রিটেনে পাস করে ফেলবেন, কিন্তু চাকরিটা না-ও হতে পারে।
কীভাবে লিখলে ভালো হয়, আর সে জন্য এ কদিনে যা যা করতে পারেন:
১) পরীক্ষা নিয়ে টেনশন হওয়াটা একটা সাধারণ বিষয় এবং না-পড়ার অজুহাতও হয়তো। তাই ওই মুহূর্তে আপনার পছন্দের বিষয়টি পড়ুন।
২) কোচিংয়ে যাওয়া, অপ্রয়োজনে বের হওয়া বাদ দিন। বাসায় পড়ার পেছনে সময় দিন, প্রতিদিন অন্তত ১৪-১৬ ঘণ্টা।
৩) ফেসবুকে আত্মপ্রেমকে ছুটি দিয়ে দিন।
৪) কে কী পড়ল, ভুলেও খবর নেবেন না। যাঁদের প্রস্তুতি আপনার চেয়ে ভালো, তাঁদের ক্ষমা করে দিন।
৫) সব প্রশ্ন পড়ার সহজাত লোভ সামলান।
৬) যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা এ মাসের জন্য হয় চাকরি অথবা ঘুমটুম বাদ দিন।
৭) মোবাইল ফোন যত সম্ভব অফ রাখুন। ল্যাপটপ থেকেও দূরে থাকুন।
৮) কিছু একটা পড়ছেন, পড়তে পড়তে ক্লান্ত! ভালো লাগে, এমন কিছু পড়ুন, ক্লান্তি কেটে যাবে। রাতে ঘুম কাটাতে ম্যাথস, গ্রামার, ট্রান্সলেশন, মেন্টাল অ্যাবিলিটি প্র্যাকটিস করুন।
৯) রাত দুইটার আগে ঘুমাবেন না, সকাল ছয়টার পরে উঠবেন না। চার ঘণ্টা ঘুম, ব্যস!
১০) বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি পড়বেন কম। বাকি চারটা বেশি বেশি পড়ুন।
১১) কোনো টপিক একেবারেই না পড়ে গেলে পরীক্ষায় বানিয়ে লেখাটাও সহজ হবে না। সবকিছু একবার হলেও ‘টাচ করে’ যান।
১২) রেফারেন্স বই পড়ার সময় নেই। কয়েকটি ডাইজেস্ট কিনে ফেলুন।
১৩) অন্য কারও নয়, সাজেশন তৈরি করুন নিজে।
১৪) প্রশ্ন কমন পেতে নয়, অন্তত বানিয়ে লেখার জন্য ধারণা পেতে প্রস্তুতি নিন।
১৫) প্রশ্নের গুরুত্ব ও নম্বরের ভিত্তিতে সময় বণ্টন আগেই ঠিক করে নিন।
১৬) ইচ্ছে মতো দাগিয়ে দাগিয়ে, লিখে লিখে বই পড়ুন। রিভাইজের সময় কাজে লাগবে।
১৭) ০.৫ মার্কসও ছেড়ে আসা যাবে না। যে করেই হোক, ‘ফুল অ্যানসার’ করে আসতে হবে। গড়ে প্রতি তিন-পাঁচ মিনিটে এক পৃষ্ঠা। অনেক বেশি দ্রুত লেখার চেষ্টা করুন।
১৮) প্রতি পেজে অবশ্যই অন্তত একটা প্রাসঙ্গিক চিহ্নিত চিত্র, ম্যাপ, উদ্ধৃতি, ডেটা, টেবিল, চার্ট কিংবা রেফারেন্স দিন।
১৯) সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, টীকা, শর্ট নোট, সারাংশ, সারমর্ম, ভাবসম্প্রসারণ, অনুবাদ, ব্যাকরণ ইত্যাদি ভালোভাবে পড়ুন, নোট করে পড়ার প্রশ্নই ওঠে না!
২০) যত কষ্টই হোক, অবশ্যই বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয়কে নিয়মিত অনুবাদ করুন।
২১) বিভিন্ন লেখকের রচনা, পত্রিকার কলাম ও সম্পাদকীয়, ইন্টারনেট, বিভিন্ন সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা ও ব্যাখ্যা, উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল, কিছু আন্তর্জাতিক পত্রিকা, বিভিন্ন রেফারেন্স থেকে নীল কালিতে উদ্ধৃতি দিলে মার্কস বাড়বে
২২) প্রশ্ন নির্বাচনের ক্ষেত্রে ১৫ মার্কসের একটি প্রশ্ন উত্তর করার চেয়ে ৪+৩+৩+৫=১৫ মার্কসের চারটি প্রশ্নের উত্তর করা ভালো।
২৩) বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে লেখেন, এ রকম ২৫-৩০ জনের নাম এবং তাঁদের ‘এরিয়া অব ইন্টারেস্ট’ ডায়েরিতে লিখে রাখুন। উদ্ধৃতি দেওয়ার সময় কাজে লাগবে।
২৪) যা অন্যরা পারে না কিংবা কম পারে, কিন্তু পারা দরকার, তা ভালো করে দেখুন।
২৫) পেপার থেকে বিভিন্ন পর্যালোচনা, নিজস্ব বিশ্লেষণ, সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে সেটির প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদির সাহায্যে লিখলে আপনার খাতাটি আলাদা করে পরীক্ষকের চোখে পড়বে।
২৬) বেশি বেশি পয়েন্ট দিয়ে প্যারা করে করে লিখবেন। প্রথম আর শেষ প্যারাটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় হওয়া চাই।
২৭) বিভিন্ন কলামিস্টের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো ইস্যুকে ব্যাখ্যা করে উত্তরের শেষের দিকে আপনার নিজের মতো করে নিজের বিশ্লেষণ দিয়ে উপসংহার টানুন। কোনো মন্তব্য কিংবা নিজস্ব মতামত থাকলে (এবং না থাকলেও) লিখুন।
২৮) গ্রন্থ-সমালোচনার জন্য কমপক্ষে ৩০টি সুপরিচিত বাংলা বই সম্পর্কে জেনে নিন।
২৯) স্পেলিং আর গ্রামাটিক্যাল মিসটেক না করে একেবারে সহজ ভাষায় লিখলেও ইংরেজিতে বেশি মার্কস আসবে।
৩০) শর্টকাটে ম্যাথস করবেন না, প্রতিটি স্টেপ বিস্তারিতভাবে দেখাবেন।
৩১) সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য আগের বছরের আর ডাইজেস্টের সাজেশনসের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়ে ফেলুন।
৩২) ডাইজেস্টের পাশাপাশি তিন-চারটি আইকিউ টেস্টের বই আর ইন্টারনেটে মানসিক দক্ষতার প্রশ্ন সমাধান করুন।
৩৩) পুরো সংবিধান মুখস্থ না করে যেসব ধারা থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, সেগুলোর ব্যাখ্যা খুব ভালোভাবে বুঝে বুঝে পড়ুন। ধারাগুলো হুবহু উদ্ধৃত করতে হয় না।
৩৪) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি টপিকগুলো গুগলে সার্চ করে করে পড়তে পারেন। যে ইস্যু কিংবা সমস্যার কথা লিখবেন, সেটিকে বিশ্লেষণ করে নানা দিক বিবেচনায় সেটার সমাধান কী হতে পারে, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক এবং আপনার নিজের মতামত ইত্যাদি পয়েন্ট আকারে লিখুন।
৩৫) শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে কারও পক্ষেই লিখিত পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। শতভাগ শিখেছি ভেবে তার ৬০ ভাগ ভুলে গিয়ে বাকি ৪০ ভাগকে ঠিকমতো কাজে লাগানোই আর্ট৷
কঠোর পরিশ্রম করুন, প্রস্তুতি নিতে না পারার পক্ষে অজুহাত দেখিয়ে কোনোই লাভ নেই। আপনি সফল হলে আপনাকে অজুহাত দেখাতে হবে না, আর আপনি ব্যর্থ হলে আপনার অজুহাত কেউ শুনবেই না। গুড লাক!
মানসিক দক্ষতা সাজেশন
বিষয় কোডঃ ০০৯
পূর্ণমানঃ ৫০
সময়: ১ ঘণ্টা
[প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর করে কাটা যাবে।]
১। বিভা : কিরণ :: সুবলিত : ?(ক) সুবিদিত (খ) সুবিনীত
(গ) সুগঠিত (ঘ) বিধিত
২। সাফল্য : উৎসাহ :: ব্যর্থতা : ?(ক) ঘুরে দাঁড়ান (খ) হতাশা
(গ) তীব্রতা (ঘ) অলসতা
৩। Which word is different from other?(ক) Media (খ) Newspaper
(গ) Private TV channel (ঘ) Radio
৪। A contest has always _
(ক) victory (খ) applause
(গ) umpire (ঘ) opponent
৫। Women are often — by family commitment in this society.(ক) constrained. (খ) confused
(গ) controlled (ঘ) conformed
৬। Art : Culture :: Training : ?(ক) Expert (খ) Skill
(গ) Education (ঘ) Extension
৭। ম্রো, চাক, বম, তঞ্চঙ্গ্যা এ শব্দগুলাের সাথে সম্পর্ক আছে ।(ক) ভাষার (খ) নৃগােষ্ঠীর
(গ) রাজনীতির (ঘ) ভাষা ও নৃগােষ্ঠীর
৮। বায়ুমণ্ডলে সবসময় থাকে__।(ক) আদ্রর্তা (খ) বাতাস
(গ) জীবাণু (ঘ) অক্সিজেন
৯। প্রশ্নবােধক স্থানে কোন চিত্রটি যথার্থ?
১০। প্রশ্নবােধক স্থানে কোন চিত্রটি যথার্থ?
১১। নিম্নের খালি স্থানে কোনটি বসবে?
১২। নিচের চিত্রগুলাের মধ্যে কোনটি ভিন্ন ধরনের?
১৩। প্রশ্নবােধক স্থানে কোন চিত্রটি যথার্থ?
১৪। নিচের চিত্রটি ভাঁজ করে বক্স তৈরি করলে কেমন দেখাবে?
১৫। আয়নায় WILDERNESS-এর সঠিক প্রতিবিম্ব কোনটি?
১৬। নিচের কোনটি আয়নায় প্রতিবিম্ব একই থাকবে?(ক) STOP (খ) STOUT
(গ) TUT (ঘ) IMAGE
১৭ একটি ডিজিটাল ঘড়ির আয়নাচিত্র 12:10 । ঘড়িতে কয়টা বাজে?(ক) 12:03. (খ) 12:10
(গ) 12:04 (ঘ) 12:01
১৮। নিচের ধারাবাহিকতায় প্রশ্নবােধক স্থানে কোনটি হবে?
T → 3 → Q → 6 → N → 9 → K → 12 → H → 15 → E → 18 → ?(ক) B (খ) 21.
(গ) A (ঘ) 24
১৯। রহিম সােজা ২ কি.মি. যাবার পর বামদিকে ৩ কি.মি. এবং তারপর আবার বামদিকে ২ কি.মি. গেল। এখান থেকে প্রথম স্থানের দূরত্ব কত হবে?(ক) ২ কি.মি. (ধ ৩ কি.মি.
(গ) ৪ কি.মি. (ঘ) ৫ কি.মি.
২০। একটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ১৬ সে.মি. এবং কর্ণ ২০ সে.মি.। আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল কত?(ক) ৯৫ বর্গ সে.মি. (খ) ১২০ বর্গ সে.মি.
(গ) ২৫৬ বর্গ সে.মি. (ঘ) ১৯২ বর্গ সে.মি.
২১। এখন ঘড়িতে ঠিক ৩:৩০ বাজে। যদি মিনিটের কাঁটা দক্ষিণ দিকে থাকে তবে’সেকেন্ডের কাঁটা কোন দিকে থাকবে?(ক) পশ্চিম দিকে (খ) উত্তর দিকে
(গ) দক্ষিণ দিকে (ঘ) উত্তর-পশ্চিম কোণে
২২। চারজন মেয়ে খেলা দেখার জন্য বসে আছে। মিমের বামে রিমা এবং ডানে জারিন। মিম ও জারিনের মাঝে মালিহা বসে আছে। কে বামদিক থেকে দ্বিতীয়?(ক) রিমা (খ) জারিন
(গ) মালিহা (ঘ) মিম –
২৩। দেয়াল ঘড়িতে সন্ধ্যা ৬টা বাজে। ঘণ্টা ও মিনিটের কাঁটার মধ্যকার কোণটি কত ডিগ্রি?(ক) ৯০° (খ) ১২০°
(গ) ১৮০° (ঘ) ৩৬০°
২৪। যদি গতকালের ৩ দিন আগে রবিবার হয়ে থাকে, তাহলে আগামীকালের ২ দিন পর কী বার হবে?(ক) রবিবার (খ) সােমবার
(গ) মঙ্গলবার (ঘ) বুধবার।
২৫। এটি আয়নায় প্রতিফলিত একটি ঘড়ির ছবি। ঘড়িতে কয়টা বাজে?
(গ) ৩:৩০ (ঘ) ৬:৩০
২৬। মিম একটি শ্রেণিতে সামনে থেকে ৯ম এবং পিছন থেকে ৩৬তম হলে, শ্রেণিটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা কত?(ক) ৫০ জন (খ) ৪৮ জন
(গ) ৪৬ জন ( ৪৪ জন।
২৭। প্রশ্নবােধক স্থানে কোন সংখ্যাটি বসবে? ৫| ২৫ | ৬৪ ১২৫ ৩| ১৫ ৬৪৮ ২ ৯৯।
(ক)১২১ (খ) ১৩৫
(গ) ১৩৬ (ঘ) ১৮৭
২৮। প্রশ্নবােধক স্থানে কত বসবে?
(গ) ৫৬ (ঘ) ৪৪
২৯। ৩X.৩X.৩ = ?(ক) ০০৩ (খ) .০০৯
(গ) ০২৭ (ঘ) ০.২৭
৩০। আলেয়ার আয়ের শ ৭৫০০ টাকা হলে, মােট আয় কত টাকা?(ক) ১০,০০০ (খ) ১৫,০০০
(গ) ২০,৫০০ . (ঘ) ২২,৫০০
৩১। যদি a – b = ৬ ও a + b = ১০ হয় তবে a2/ – b2 =?(ক) ৩০ (খ) ৪০
(গ) ৫০ (ঘ) ৬০
৩২। কোন অঙ্কটি ক্ষুদ্রতম?(ক) ২৯ (খ) ৫৮
(গ) (ঘ) ৭১২
৩৩। কোনটি মৌলিক সংখ্যা?(ক) ৯১ (খ) ৪৭
(গ) ৮৭ (ঘ) ৫৫
৩৪। কোনটি ভুল বানান?(ক) মরূদ্যান (খ) কটুক্তি
গ) পরিপক্ক (ঘ) অঞ্জলি
৩৫। কোনটি শুদ্ধ বানান?(ক) Jewelary (খ) Jewellry
(গ) Jwellry (ঘ) Jewellery
৩৬। কোন বাক্যটি শুদ্ধ?(ক) This is an unique case. (খ) This is a unique case.
(গ) This is a very unique case. (ঘ) This is the most unique case.
৩৭। আটপৌরে’ শব্দের অর্থ কী?(ক) পােশাকি নয় এমন (খ) সর্বদা ব্যবহারের উপযুক্ত
(গ) অষ্ট প্রহর (ঘ) সবগুলােই
৩৮। Remember is to past, as anticipate is to(ক) present (খ) future
(গ) present and future (ঘ) friends
৩৯। Giant is to dwarf, as ocean is to(ক) pond (খ) lake (গ) sea
(ঘ) river
৪০। সঠিক বানান কোনটি?(ক) Neumunia (খ) Newmonia
(গ) Pneumonia (ঘ) Pnewmonia
৪১। কোন বানানটি ?(ক) Necessary. (খ) Influence
(গ) Prosparity (ঘ) Happiness
৪২। কোনটি বেশি শক্তিশালী?
৪৩। পিস্টনের আয়তন যতাে বাড়ে ইঞ্জিনের শক্তি ততাে বাড়ে।(ক) সত্য (খ) মিথ্যা
(গ) আংশিক সত্য (ঘ) সম্পর্কহীন
৪৪। If X moves in one direction as shown, then
(খ) Y and Z move counterclockwise
(গ) Y moves clockwise and Z moves counterclockwis
(ঘ) Y moves counterclockwise and Z moves clockwis
৪৫। X ঘড়িটির আয়নায় সঠিক প্রতিবিম্ব কোনটি?
৪৬। রাস্তা ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হাইড্রলিক যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়।(ক) বাতাস (খ) পানি
(গ) তৈল (ঘ) বিদ্যুৎ
৪৭। আন্তঃমহাদেশীয় গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে(ক) মহাকর্ষীয় রশ্মি (খ) লেজার রশ্মি
(গ) আণবিক শক্তি (ঘ) আইসােটোপ
৪৮। হাইব্রীড গাড়ি অতিরিক্ত শক্তি পায়-(ক) যান্ত্রিকভাবে (খ) বৈদ্যুতিকভাবে
(গ) গ্যাসের মাধ্যমে (ঘ) অন্যভাবে
৪৯) পিস্টন ব্যবহার করা হয় কোন ইঞ্জিনে?(ক) জেট ইঞ্জিনে (খ) বন্দুকে
(গ) ডিজেল ইঞ্জিনে (ঘ) বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে
৫০। প্রপেলর ইঞ্জিনে প্লেন চালাতে প্রয়ােজন হয়(ক) গ্যাসােলিন (খ) বেশি আর্দ্রতা
(গ) মাধ্যাকর্ষণ বল (ঘ) বাতাস
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
সময়: ১ ঘন্টা পূর্ণমান: ৫০
১। অনুশাসন শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
ক) অনুশীলন খ) আদেশ
গ) অনুসরণ ঘ) অনুরূপ
২। ‘পল্লব গ্রাহিত্য’ শব্দের অর্থ হল-
ক) পাতা ভাসানো খ) পাতা কুড়ানো গ) ভাসা ভাসা জ্ঞান ঘ) বৃক্ষ
৩। চলন: চলিত: চরিত্র: ?
ক) চারিত্র্য খ) চারিত্রিক গ) চরিত্র্য ঘ) চরিত্রবান
৪। নিম্নের এলোমেলো অক্ষর দিয়ে গঠিত অর্থপূর্ণ শব্দের শেষ অক্ষর কোনটি?
প নি শ বে উ
ক) বে খ) নি গ) শ ঘ) উ
৫। বিদ্যুৎ: আলো: মনীষা: ?
ক) প্রতিভা খ) কৃতিত্ব গ) বুদ্ধি ঘ) উপলব্ধি
৬। পরিশ্রম: সফলতা: শ্রম: ?
ক) দক্ষতা খ) উন্নতি গ) ক্লান্তি ঘ) উৎপাদন
৭। Liability: Immunity, then-
ক) Debit: Credit খ) Real estate: Property গ) Pardon/Amnesty ঘ)Fidelity/Honesty
৮। Teacher: Ignorance: Light: ?
ক)Study খ) Lightning গ) Electricity ঘ) Darkness
৯। Trace the odd pair in the following-
ক) Hospital and patient খ) Teacher and student গ) Nest and bird ঘ)Prison and culprit
১০। নিচের কোন শব্দটি ‘আলো’ এর সমার্থক নয়?
ক) অংশু খ) প্রভা গ) ময়ূখ ঘ) দীপ্ত
১১। √৮০+√১২৫=?
ক) ৯√৫ খ) ২০√৫ গ) ৪০√৫ ঘ) ৬০√৫
১২। যদি √৩=৩,√৪=৪ হয়, তাহলে (√৬)^২=?
ক) ১২ খ) ৩৬ গ) ১৮ ঘ) ২৪
১৩।
ক) ১২০ খ) ১৮০ গ) ২২৪ ঘ) ২৪৮
১৪।
ক) ১০ খ) ২৮ গ) ১৮ ঘ) ১৪
১৫। ৪০০ এর ৪৯%=?
ক) ১৯৬০ খ) ১৯৬ গ) ১৯.৬ ঘ) ১.৯৬
১৬। নিচের চিত্রটির শূন্যস্থানে কোন সংখ্যাটি বসবে?
ক) ৪৪ খ) ৪৮ গ) ৫৪ ঘ) ৬০
১৭। ৭,১১, ১২, ১৪, ১৭,১৭,২২,? প্রশ্নবোধক স্থানে নিচের কোন সংখ্যাটি বসবে?
ক) ২০ খ) ২২ গ) ২৪ ঘ) ২৭
১৮।
প্রশ্নবোধক স্থানে নিচের কোন সংখ্যাটি বসবে?
ক) ১২ খ) ১৪ গ) ১৬ ঘ) ২০
১৯।
প্রশ্নবোধক স্থানে নিচের কোন সংখ্যাটি বসবে?
ক) ৮ খ) ১০ গ) ১২ ঘ) ১৬
২০। ০.০২*০.০০২*০.০১=?
ক) ০.০০৪ খ) ০.০০৪০ গ) ০.০০০৪ ঘ) ০.০০০০০০৪
২১। একটি সংখ্যা ৫০৬ থেকে যত বড় ৬০৬ থেকে তত ছোট। সংখ্যাটি কত?
ক) ৫৫০ খ) ৫৫৬ গ) ৫৬০ ঘ) ৫৬৬
২২। বর্গমূল নির্ণয় করুন:
√.০৯=?
ক) ০.৩ খ) ৩ গ) .০৩ ঘ) ৯
২৩। উত্তর অভিমুখী একটি জাহাজ যদি ডানে মোড় নিতে থাকে যকক্ষণ না পর্যন্ত সেটি দক্ষিণ-পশ্চিম অভিমুখে যেতে পারে সেটি প্রায় কত ডিগ্রী কোণ অতিক্রম করবে?
ক) ১৪৫ ডিগ্রি খ) ১৯০ ডিগ্রি গ) ২২৫ ডিগ্রি ঘ) ৩১৫ ডিগ্রি
২৪। সমুদ্রের পানিতে সাঁতার কাটা সহজ, কারণ-
ক) সমুদ্রে উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হয়
খ) সমুদ্রের পানির ঘনত্ব বেশি
গ) সমুদ্রের পানির গভীরতা বেশি
ঘ) সমুদ্রের পানির ঘনত্ব কম
২৫। লঞ্চ ও স্রোতের গতিবেগ ঘন্টায় যথাক্রমে ১৬ কি.মি. ও ৪ কি.মি.। নদীপথে ৩০ কি.মি. অতিক্রম করে ফিরে আসতে কত সময় লাগবে?
ক) ৪ ঘন্টা খ) ২ ঘন্টা গ) ৩ ঘন্টা ঘ) ৫ ঘন্টা ]
২৬। তিনটি যন্ত্র একটি কাজ যথাক্রমে ৫, ৬, ও ৭ ঘন্টায় করতে পারে। দু’টি মেশিন সর্বোচ্চ ক্ষমতায় কাজ করে এক ঘন্টায় কতটুকু কাজ করতে পারে?
ক) ১১/২০ খ) ১১/৩০ গ) ১১/১৫ ঘ) ১১/৩৩
২৭। তালওয়াব উত্তর দিকে ৪০ মিটার গেল। পরে বামদিকে ঘুরে ৩০ মিটার গেল আবার বামদিকে গেল ৪০ মিটার এবং সবশেষ ডানদিকে ঘুরে গেল ৩০ মিটার। যাত্রাবস্তা থেকে তার সোজাসুজি দূরত্ব কত?
ক) ৩০ মিটার খ) ৪০ মিটার গ) ৬০ মিটার ঘ) ৭০ মিটার
২৮। একটি দেয়াল ঘড়িতে যখন ৯:৩০টা বাজে তখন যদি মিনিটের কাটাটি পূর্বদিকে থাকে তবে ঘন্টার কাটাটি কোন দিকে থাকবে?
ক) পশ্চিম খ) দক্ষিণ গ) পূর্ব-দক্ষিণ ঘ) দক্ষিণ-পশ্চিম
২৯। ঘড়িতে যখন সাড়ে চারটা বাজে তখন ঘন্টার কাঁটা ও মিনিটের কাঁটার মধ্যে কত ডিগ্রী কোণ উৎপন্ন হয়?
ক) ৪০ ডিগ্রি খ) ৪৫ ডিগ্রি গ) ৫০ ডিগ্রি ঘ) ৬০ ডিগ্রি
৩০। দু’জন লোক একই জায়গা থেকে যাত্রা শুরু করে বিপরীত দিকে ৪ মিটার হেঁটে গেল। তারপর বামদিকে ঘুরে আরও ৩ মিটার গেল। তাদের দু’জনের মধ্যে দূরত্ব কত?
ক) ৬মিটার খ) ৭ মিটার গ) ৮ মিটার ঘ) ১০ মিটার
৩১। আলভী শ্রেণীক্ষে প্রথম সারিতে বসা আছে। ডানদিক অথবা বামদিক থেকে গণনা করলে আলভী ৮ম ছাত্র। শ্রেণীকক্ষের প্রথম সারিতে মোট কতজন ছাত্র বসা আছে?
ক) ১৫ জন খ) ১৭ জন গ) ১৯ জন ঘ) ২১ জন
৩২। রাত্রিকালীন যুদ্ধকে এক কথায় কী বলা হয়?
ক) ভুজঙ্গ খ) নৈশরণ গ) জুগুপ্সা ঘ) সৌপ্তিক
৩৩। ‘সে যে কোথায় তা আমার জানা নেই’-এটি কোন ধরনের বাক্য?
ক) যৌগিক খ) জটিল গ) সরল ঘ) খন্ড বাক্য
৩৪। নিম্নের কোনটি ব্যতিক্রম?
ক) মোগাদিসু খ) পোর্ট অব প্রিন্স গ) নাইরোবি ঘ) ডাকার
৩৫। হোয়াংহো নদীর সাথে কুয়েনলুন পর্বতের যেরূপ সম্পর্ক সাঙ্গু নদীর সাথে নিম্নের কোনটির সেরূপ সম্পর্ক?
ক) লুসাই পাহাড় খ) কৈলাস শৃঙ্গ গ) আরাকান পর্বত ঘ) মেঘালয় পর্বত
৩৬। ‘Annotation’ শব্দের অর্থ কী?
ক) টীকা খ) সংযোজন গ) বিরক্তি ঘ) স্বরবিন্যাস
৩৭।Re-arrange the jumble word and fill in the last letter.
৩৮। Synonym of ‘Purloin’ is-
ক) Transgression খ) Invade গ) Anathema ঘ) Obscure
৩৯। Which spelling is correct?
ক) Jamboree খ) Jambore গ) Jumboree ঘ) Jumbore
৪০। Proctor: Supervice, then
ক) Prophet: rule খ) Profligate: amalgamate গ) Fudge: courtroom ঘ) Prodigal: squarder
৪১। Choose the correct spelling:
ক) Questionaire খ) Questioneire গ) Questionnaire ঘ) Questionnare
৪২। ক খ এর পুত্র। খ ও গ পরস্পর ভাই। ঘ হচ্ছে গ এর-মা। চ ঘ এর কন্যা। সম্পর্কে চ ক এর কী হয়?
ক) খালা খ) দাদী গ) নানী ঘ) ফুফু
৪৩। নিচের কোন চিত্রটি অন্যগুলো থেকে ভিন্ন?
৪৪। A B এর তুলনায় খাটো কিন্তু C এর চেয়ে লম্বা। D,A এর তুলনায় খাটো কিন্তু C এর চেয়ে লম্বা। E B এর তুলনায় খাটো কিন্তু A এর চেয়ে লম্বা। উচ্চতার দিক থেকে মাঝারি কে?
ক) A খ)B গ) C ঘ) D
৪৫। নিম্নে ‘L’ আকৃতির ঘরটির ক্ষেত্রফল কত বর্গমিটার?
ক) ৩২ খ) ৮৪ গ) ৬৪ ঘ) ১২৮
৪৬। JUDGMENT শব্দটি আয়নায় কেমন দেখাবে?
৪৭।
৪৮।
৪৯।
৫০। Which is the most suitable tool for general carpentry?
সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]
সবার আগে সাজেশন আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
মানসিক দক্ষতার বিসিএস লিখিত প্রশ্ন ও উত্তর- প্রিলিমিনারিতে মানসিক দক্ষতার লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো থেকে হুবহু কিছু প্রশ্ন কমন পরে।
তাই আজকের আয়োজন বিসিএস লিখিত মানসিক দক্ষতা।
১। ভোর বেলায় আপনি বেড়াতে বের হয়েছেন। বের হওয়ার সময় সূর্য আপনার সমনে ছিল। কিছুক্ষণ পরে আপনি বামদিকে ঘুরলেন। কয়েক মিনিট পরে আপনি ডান দিকে ঘুরলেন। এখন আপনার মুখ কোন দিকে? [৩৭ তম প্রিলিমিনারি] [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
উত্তরঃ পূর্ব দিকে। (বের হওয়ার সময় সূর্য আপনার সমনে ছিল, মানে পূর্ব দিকে ছিল, এটাই এখানে ট্রিক)
২। A bird does not always have- [২৭ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Nest
৩। ‘Quite’ is related to ‘Sound’, in the same way ‘Darkness’ is related to- [২৭ তম বিসিএস] Ans: Sunlight.
৪। Silver is more prettier than iron because it is- [২৭ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Prettier
৫। মিটারগেজ রেলপথের দুই লাইনের মধ্যে দূরত্ব কত? [২৭ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ১.১ মিটার।
৬। AZ, CX EV ……… শূন্যস্থানে কী বসবে? [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
উত্তরঃ GT
৭। সাংহাই কী চীনের রাজধানী? [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
উত্তরঃ না।
৮। এরোপ্লেন কী বাতাসের চেয়ে হালকা? [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
উত্তরঃ না।
৯। Men are ……….shorter than their wives. [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: rarely
১০। A contest always has — [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: opponents
১১। The moon is related to the earth as the earth is to… [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: Sun
১২। Fathers are………wiser than their sons. [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: usually
১৩। Misfortunate is to sorrow, as success is to………. [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: joy
১৪। The opposite of Friendship is….. [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: enmity
১৫। A mother is always……….than her daughter. [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: older
১৬। A man who is averse to change is said to be…………… [২৭ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: conservative
১৭। An electric light is related to the candle as an automobile is to………….. [২৭ তম বিসিএস] Ans: a carriage
১৮। Which one is not like other four? (a) Bend (b) Shave (c) Chop (d) Whittle (e) Shear
Ans: Bend
১৯। What is the opposite of ‘hate’? [২৭ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Joy
২০। A is West of B and B is North of C. D is South of A. Which direction is D of C?
Ans: West
২১। 1 4 2 5 3 6 4 7 5 9 6, one number is wrong in the series. What should that number be?
Ans: 8
২২। একজন ছাত্রকে বলা হলো একটি সংখ্যাকে ২ দ্বারা গুণ করে ৩ যোগ করতে। সে তা না করে এর পরিবর্তে প্রথমে ৩ যোগ করল ও পরে ২ দ্বারা গুণ করলো। সে যদি উত্তর ২০ পেয়ে থাকে তাহলে সঠিক উত্তর কত হবে? [২৭ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ১৭।
২৩।Which word is closest in meaning of ‘’Experiment’’?(a)gamble (b) trail (c)otdeal (d)speculate
Ans: Trail
২৪। What is the opposite meaning of ‘’Purchase’’? [২৭ তম বিসিএস লিখিত] Ans: sell
২৫। When the cat’s away, mice begin to………? [২৭ তম বিসিএস লিখিত] Ans: play
২৬। Early to bed and early to rise makes a man………? [২৭ তম বিসিএস লিখিত] Ans: healthy, wealthy and wise
২৭। Smuggle, steal, bribe, cheat and sell. Which one is different from other? [২৭ তম বিসিএস] Ans: sell
২৮। What people say about a person is related with his…. [২৭ তম বিসিএস লিখিত] Ans: character
২৯। What is related to few as ordinary is to exceptional? [২৭ তম বিসিএস লিখিত] Ans: many
৩০। Which one is different from other? (a) good (b) large (c) red (d) walk (e) thick
Ans: walk
৩১। (a) ABDE (b) GHIJ (c) MNPQ (d) STVW, Which one is different from other? [২৭ তম বিসিএস] Ans: GHIJ
৩২। 1 3 9 27 81 108, which number is wrong? [২৭ তম বিসিএস লিখিত] Ans: 108.
৩৩। Amorphousness : Definition :: Lassitude :……..? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Energy
৩৪। Philatelist : Stamps :: Numismatist :………? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Coins
৩৫। Proctor : Supervise :: Prodigal :……..? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Squander
৩৬। Flag : Vigor :: Waver : ……….? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Resolution
৩৭। Embroider : Cloth :: Stain :………..? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Glass
৩৮। What is the opposite meaning of ‘SYNCHRONOUS’? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Out of Shape
৩৯। What is the opposite meaning of ‘LIST’? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Be upright
৪০। What is the opposite meaning of ‘TRACTABLE’? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Headstrong
৪১। What is the opposite meaning of ‘PERFIDY’? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Loyalty
৪২। What is the similar meaning of ‘MAWKISH’? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Sentimental
৪৩। What is the similar meaning of ‘MEDIOCRE’? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Average
৪৪। What is the similar meaning of ‘MELEE’? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Brawl
৪৫। What is the similar meaning of ‘MELLIFLUOUS’? [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Smooth
৪৬। A school has always………..? [২৮ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: Students
৪৭। A shop has always…………… ? [২৮ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: Goods
৪৮। A bird has always …………..? [২৮ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: Feathers
৪৯। A cow does not always have………?[২৮ তম বিসিএস লিখিত]
Ans: Calf
৫০। Laugh is to cry as ………is to sad. [২৮ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Happy
৫১। Burmese, English, Punjabi, France, Persian – among these which one is different?
Ans: France
৫২। Triangle, Rectangle, Square, Circle, Rhombus, — among these which one is different?
Ans: Circle
২৯ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা – মানসিক দক্ষতা
৫৩। 1 + 3+ 5 + ………. +15+ 17 is equal to…..? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: 81
৫৪। Which novel was written by Charles Dickens? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: The Old Curicity Shop
৫৫। Who was the Chief Minister, Beangal on 14th August, 1947? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Sir Khawaza Nazimuddin
৫৬। Algeria, Morocco, Benin, Egyept, Vietnam – which country is deffernt from others?
Ans: Viatnam
৫৭। It is impossible for a family without its……….? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Members
৫৮। সাদেক সাহেব তাঁর ব্যক্তিগত কারের মুখ উত্তরে রেখে অফিসে ঢুকে পরলেন। তাঁর বাসা থেকে অফিস পর্য্ন্ত পথ অতিক্রম করতে গাড়িটি দু’বার ডানদিকে ও একবার বাম দিকে ঘুরছে। বাসা ত্যাগ করার সময় গাড়িটি কোন মুখী ছিলো? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ পশ্চিম মুখী।
৫৯। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ছিলো। সে বছর ৩১ ডিসেম্বর কী বার ছিলো?
উত্তরঃ বৃহস্পতিবার।
৬০। একটি পঞ্চভুজের অন্তঃকোণের সমষ্টি কয় সমকোন? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ৬ সমকোণ।
৬১। পানির সাথে পাইপের যেরূপ সম্পর্ক, বিদ্যুতের সাথে সেরূপ সম্পর্ক কার? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ তারের।
৬২। It is impossibl to observe a virus without — [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Complex Microscope
৬৩। একটি বর্গক্ষেত্রের পরিসীমা ১৬০ মিলিমিটার হলে এর একটি বাহুর দৈর্ঘ্য কত মিলিমিটার হবে?
উত্তরঃ ৪০ মিলিমিটার।
৬৪। ৬, ১২, ও ৮ এর চতুর্থ সমানুপাতিকটি কত? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ১৬।
৬৫। What is the meaning of ‘RESUSCITATE? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Revive
৬৬। What is the meaning of ‘EMANCIPATE’? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Set free
৬৭। What is the meaning of ‘CONSENSUS’? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: General Agreement
৬৮। ‘পর্বত’ শব্দের সমার্থক শব্দ কী? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ অদ্রি।
৬৯। ‘চাঁদ’ শব্দের সমার্থক শব্দ কী? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ শশাংক।
৭০। What is the opposite meaning of ‘SHIFT’? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Fix
৭১। What is the opposite meaning of ‘CRUX’? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Trivial Point
৭২। What is the opposite meaning of ‘EXODUS’? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Entry
৭৩। ‘পুষ্ট’ এর বিপরীত শব্দ কী? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ক্ষীণ।
৭৩। ‘প্রলয়’ এর বিপরীত শব্দ কী? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ সৃষ্টি।
৭৪। Initiate : End :: Remain :………..? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Retreat
৭৫। Clarity : Confusion :: Mediate :……….? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Altercation
৭৬। Extract : Quotation :: Forecast :……….? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Prediction
৭৭। Anachronism : Period :: Fallacy :………..? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Logic
৭৮। Wanton : Ascetic :: Obstreperous :…….? [২৯ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Shy
৩০ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা – মানসিক দক্ষতাঃ
৭৯। IF 1394 = ACID then 4516 =? [৩০ তম বিসিএস লিখিত]
উত্তরঃ DEAF
৮০। ২, ৬, ১২, ৩৬, ৭২, ……..। শূন্য স্থানে কোন সংখাটি বসবে? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ২১৬।
৮১। Bangladesh, Maldives, India, Srilanka, Pakistan, Nepal = ? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: B M I S P N
৮২। Flower : Fragrance :: Fire :……………? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Heat
৮৩। Mansion : Hut :: Elephant :……….? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Rabbit
৮৪। Tonge : Speech :: Eye :……………? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Sight
৮৫। Bird : Feather :: Fish :………….? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Scale
৮৬। Ruling : King :: Learning :…………….? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Teacher
৮৭। Ornament : Ring :: Furniture :………? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Table
৮৮। Scribble : Write :: Stammer :…………..? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Speak
৮৯। Water is to Oxygen as Salt is to………..? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Sodium
৯০। Doctor is to Patient as Lawyer is to……….? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Client
৯১। Cattle is to Fodder as Fish is to…….? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: plankton
৯২। Aeroplane, Car, Scooter, Truck – among these four which one if different from other three?
Ans: Aeroplane
৯৩। কিলোমিটার, কিলোগ্রাম, মাইল, গজ – এদের মধ্যে কোনটি আলাদা? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ কিলোগ্রাম।
৯৪। যদি TALE = LATE হয়, তবে CAFE = ? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ FACE
৯৫। VACATE = AVACET হলে, LITERATE = ? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ILETARATE
৯৬। পিঁয়াজ, টমেটো, আলু, গাজর – এর মধ্যে কোনটি আলাদা? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ টমেটো।
৯৭। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি শুক্রবার ছিলো। ঐ বছর ৩১ ডিসেম্বর কী বার ছিলো? [৩০ তম বিসিএস] উত্তরঃ শুক্রবার।
৯৮। আগামি পরশু রফিকের জন্মদিন। পরের সপ্তাহের সেইদিন একটি উৎসব। আজ রবিবার হলে উৎসবের পরের দিন কি বা হবে? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ বুধবার।
৯৯। সালেহা একটি বালিকা শ্রেণির উভয়পাশ থেকেই একাদশতম স্থানে থাকলে মোট বালিকা কতজন?
উত্তরঃ ২১ জন।
১০০। ৪৩, ২৩, ১৯, ১৬ – এখানে কোন সংখ্যাটি অন্যরকম? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ১৬।
১০১। ১+২+৩+……৯৮+৯৯+১০০= কত? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ৫০৫০।
১০২। ১০, ২২, ৪৬, ৯৪,………? শূন্যস্থানে কোন সংখ্যা বসবে? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ১৯০।
১০৩। P, Q থেকে লম্বা। Q, R এর থেকে লম্বা। M, N থেকে লম্বা। N, Q থেকে লম্বা। কে সবচেয়ে খাটো?
উত্তরঃ R
১০৪। ‘+’ অর্থ বিয়োগ, ‘—’ অর্থ গুণ, ‘×’ অর্থ ভাগ এবং ‘‘/ ’’ অর্থ যোগ হলে, ৫-৫+৫/৫×৫=কত?
উত্তরঃ ২১।
১০৫। Who is the immediate left of L ? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: K
১০৬। The word homogenous means………….? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Same kind
১০৭। Press : Television :: Radio : ………? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Mass media
১০৮। It is impossible for a family without ………….? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: Members
১০৯। P is heavier than B, R is heavier than A, P is thinner than R. Who is the heaviest?
Ans: A
১১০। Prairies is to North America as Down is to …………..? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Austrlia
১১১। নিপু, মমি, নাহিদ, বরুন, ও জাফর এর মধ্যে নিপু, মমি থেকে লম্বা। নাহিদ, জাফর থেকে বেঁটে। নিপু বরুন থেকে বেঁটে। মমি, জাফর থেকে লম্বা। সবচেয়ে লম্বার ঠিক পরের জন কে?
উত্তরঃ নিপু।
১১২। আমার কক্ষে এক বৃদ্ধ দম্পতি ও তাদের সাথে দুই দম্পতি প্রত্যেকে একজন করে সন্তানসহ আমার কক্ষে প্রবেশ করল। আমার কক্ষে মোট কতজন লোক আছে? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ৯ জন।
১১৩। ময়ুর ও হরিণ একত্রে ৮০ টি। কিন্তু তাদের পায়ের সংখ্যা ২০০ টি। এখানে ময়ুরের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ৬০ টি।
১১৪। If GAMES is to HBNFT, then SPORTS is to……? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] Ans: TQPSUT
১১৫। ০.০১×০.০১=? [৩০ তম বিসিএস লিখিত] উত্তরঃ ০.০০০১
১১৬। একটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য প্রস্থের দেড়গুণ। ক্ষেত্রফল ২১৬ বর্গমিটার হলে তার পরিসীমা কত?
উত্তরঃ ৬০ মিটার
সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে বড় ধাপ হলো লিখিত পরীক্ষা। কারণ, এতে সর্বোচ্চ নম্বর অর্থাৎ ৯০০ বা বোথ ক্যাডার হলে ১১০০। এটি খুবই সাধারণ কথা, নম্বর বেশি হলে এর গুরুত্ব বেড়ে যায়। তা ছাড়া লিখিত পরীক্ষায় সবার জন্য সমমানের প্রশ্ন করা হয়, যাতে অসমতা হওয়ার সুযোগ থাকে না। প্রার্থীকে নিজের মতো চিন্তা ও লেখার স্বাধীনতা দেওয়া হয় এই লিখিত পরীক্ষায়। কেউ যদি কোনো বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে, তবে সে তার নিজের মতো করে উপস্থাপন করার সুযোগ পায়, যেখানে প্রিলি ও ভাইভায় খুব অতিরিক্ত চিন্তা করার অবকাশ নেই। একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর না তুলতে পারলে ক্যাডার বা ভালো ক্যাডার বা কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পাওয়া সম্ভব হবে না অথবা কঠিন হবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা কোনো সাধারণ পরীক্ষা নয়। তাই এতে নম্বর তুলতে হলে কৌশলপূর্ণ পরিশ্রম করতে হবে।
একটা বিষয় না বললেই নয়, সবাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং লিখেও আসে। কিন্তু নম্বর কম বা বেশি হয় এবং ফেল করে। এর কারণ কী? আমার কাছে মনে হয়, লিখিত পরীক্ষায় ফেল বা কম নম্বর পাওয়ার ১০টি কারণ আছে।
যেমন: ক) তথ্য কম থাকা বা না থাকা;
খ) ভুল তথ্য থাকা;
গ) বানান ও বাক্য ভুল এবং যতিচিহ্নের সঠিক ব্যবহার না থাকা;
ঘ) লেখায় অতিরিক্ত কাটাকাটি;
ঙ) হাতের লেখা অতিরিক্ত বড় বা ছোট;
চ) একই কথার পুনরাবৃত্তি;
ছ) রেফারেন্স না থাকা বা কম থাকা অথবা ভুল থাকা;
জ) নম্বরের সঙ্গে উত্তরের পরিধির সামঞ্জস্য না থাকা;
ঝ) আপডেট তথ্য না থাকা;
ঞ) অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা বেশি।
তাই শুধু পড়লেই হবে না; সতর্কভাবে তথ্য সংগ্রহ করার মানস থাকতে হবে। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে, এই ১০টি লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ারও উপায়। শুধু উল্টো করে নিন। মনে রাখবেন, লিখিত পরীক্ষাই আপনার স্বপ্নপূরণে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে। তাই সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিন এবং উপস্থাপন করুন।
মনে রাখবেন, লিখিত পরীক্ষা হলো তথ্য উপস্থাপন করার পরীক্ষা। সাদামাটা লিখে আপনি কখনোই ভালো নম্বর পাবেন না। প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় সব তথ্যই লেখায় থাকতে হবে। অন্যথায় সামান্য নম্বর আসবে। কঠিন কথা। কিন্তু মানতে হবে।
লিখিত পরীক্ষায় দুই ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। একটি হলো ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন, যাতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায় না। যেমন রচনা। আর অন্যটি হলো সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন, যেখানে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়। যেমন ব্যাকরণ। তাই পূর্ণ নম্বরের প্রশ্নের উত্তরগুলো ভালো করে করতে হবে। এতে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া যায়।
আজ বাংলা নিয়ে আলোচনা করব। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে বিভক্ত হয়ে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। প্রথম পত্রে ব্যাকরণ ৩০, ভাব-সম্প্রসারণে ২০, সারমর্মে ২০, সাহিত্যে ৩০ এবং দ্বিতীয় পত্রে ইংরেজি অনুবাদে ১৫, কাল্পনিক সংলাপে ১৫, পত্রলিখনে ১৫, গ্রন্থ সমালোচনায় ১৫ ও রচনায় ৪০। এই ২০০ নম্বরের প্রস্তুতির জন্য কী করা যায় বলা যাক।
অ) দশম থেকে ছত্রিশতম বিসিএসের শুধু ব্যাকরণ ও সাহিত্য অংশ পড়ে নেবেন। বাকিগুলো আপাতত বাদ।
আ) নম্বর বিভাজনের দিকে ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, ৭০ নম্বর পড়ার কিছু নেই (সারমর্ম, ভাব-সম্প্রসারণ, কাল্পনিক সংলাপ ও পত্র)। এগুলো না পড়লেও আপনি ভালো লিখতে পারবেন। কারণ, তা কমন পড়বে না। আর কমন পড়ারও কিছু নেই। এ ক্ষেত্রে যেটা করবেন তা হলো, এগুলো লেখার সাধারণ নিয়মগুলো জেনে যাবেন। তাতেই হয়ে যাবে।
ই) অনুবাদে যে ১৫ নম্বর বরাদ্দ আছে, তা মূলত ইংরেজির পড়া। এটি আপনি ইংরেজি অনুবাদ অংশ থেকে প্রস্তুতি নিতে পারবেন। আর কারও যদি ইংরেজির মৌলিক জ্ঞান ভালো থাকে, তবে সে এই অনুবাদ এমনিই পারবে। আর অনুবাদ কখনোই কমন পড়বে না।
ঈ) ব্যাকরণ অংশে কিছু টপিকস নির্দিষ্ট আছে। যেমন শব্দগঠন, বানান ও বানানের নিয়ম, বাক্য শুদ্ধি ও প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, প্রবাদের নিহিতার্থ ব্যাখ্যা ও বাক্যগঠন। মনোযোগ দিয়ে পড়লে অল্প সময়ে এর জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
উ) সাহিত্য অংশটির পরিধি বেশ বড়। তাই যেটা করবেন, পিএসসি নির্ধারিত ১১ জন লেখক সম্পর্কে প্রথমে ভালো করে পড়বেন। তারপর বাছাই করে অন্য লেখকদের সাহিত্যকর্ম দেখবেন।
ঊ) সাহিত্য অংশ পড়ার জন্য ড. সৌমিত্র শেখরের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা বইটি অনুসরণ করতে পারেন। অনেকে হয়তো এটি প্রিলিতেও পড়েছেন।
ঋ) গ্রন্থ সমালোচনা একটি কঠিন বিষয়। কারণ, গ্রন্থ সম্পর্কে না জানলে বা বইটি না পড়ে থাকলে তা আপনি লিখতে পারবেন না। তাই এই অংশে সময় দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সুপরিচিত গ্রন্থগুলোই পড়বেন। যদিও সুপরিচিত গ্রন্থের সংখ্যাও প্রচুর। তবে আশার কথা হলো, বিগত দুইটা বিসিএসে গ্রন্থের নাম সরাসরি উল্লেখ করেনি। থিম উল্লেখ করে প্রশ্ন করেছিল। গ্রন্থের নাম উল্লেখ করে দিলে বিপদে পড়বেন, যদি ভালো করে না পড়েন। তাই ভালো করে গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন।
এ) মহসিনা মনজিলার শীকর বাংলা সাহিত্য থেকে গ্রন্থ সমালোচনা অংশটি পড়বেন।
ঐ) রচনার জন্য আপনাকে বাংলার চেয়ে বেশি জানতে হবে সাধারণ জ্ঞান। ধরুন, রচনা এল ‘জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ ও বিশ্ব’। এটি লিখতে হলে জলবায়ুর সব প্রয়োজনীয় তথ্যই লাগবে, যা মূলত সাধারণ জ্ঞান। তথ্য, পয়েন্ট, উক্তি ছাড়া রচনা লিখে খুব বেশি লাভ হবে না। ২০টি রচনা বাছাই করে পড়বেন। প্রয়োজন হলে ইংরেজি রচনার সঙ্গে সমন্বয় করে পড়বেন।
ও) বাজার থেকে যেকোনো একটি লিখিত গাইড সংগ্রহ করে নেবেন। সেখান থেকে বিগত প্রশ্ন, ব্যাকরণ, রচনা ও প্রয়োজনীয় জিনিস পড়ে নেবেন।
ঔ) মাঝে মাঝে নিজে নিজে পরীক্ষা দিয়ে যাচাই করে দেখবেন, ঠিক সময়ে সব শেষ করতে পারছেন কি না। লিখিত পরীক্ষায় সব লিখে আসাও একটা বিরাট সাফল্য।
এভাবে বাংলার জন্য প্রস্তুতি নিন। আশা করি, ভালো কিছু সম্ভব হবে। লিখিত পরীক্ষায় না পড়েও কিছু জিনিস ভালো লিখে আসা যায়। তাই এত চাপ নেওয়ার বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। স্বাভাবিকভাবে প্রস্তুতি নিন। আর সামনের দিনগুলো নিজেকে ও পড়ার কাজে দিন। সবার জন্য শুভকামনা।
লেখক: প্রশাসন ক্যাডার (২য় স্থান), ৩৪তম বিসিএস।
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এতে ভালো না করলে গড় নম্বর অনেক কমে যাবে। এখানে পার্ট এ এবং পার্ট বি মিলিয়ে মোট দুই শত নম্বর বরাদ্দ আছে। রিডিং কম্প্রিহেনশন থেকে ১০০ নম্বর যা সাধারণ প্রশ্ন ৩০, ব্যাকরণ ৩০, সম্পাদকের নিকট চিঠি ২০ এবং সারাংশ ২০ নম্বর যোগ করলে পাওয়া যায়। আর পার্ট বি তে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ ২৫, ইংরেজি থেকে বাংলা ২৫ এবং রচনায় ৫০সহ মোট ১০০ নম্বর। সর্বমোট ২০০ নম্বর। সময় পাওয়া যাবে চার ঘণ্টা। আর ইংরেজিতে রাতারাতি ভালো করা যায় না। আবার অনেক টপিকস আছে যা সরাসরি পরীক্ষায় আসবে না। অর্থাৎ কমন পড়বে না। অনেকের ধারণা, কমন যেহেতু পড়বে না তাহলে পড়ে লাভ কী! লাভ হলো, আপনার চর্চা বহাল থাকলে সহজে পরীক্ষার হলে উত্তর দিতে পারবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, কতগুলো অনুশীলন করলেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়; গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কতটা বুঝে বুঝে করলেন। তাই বুঝে বুঝে অনুশীলন করা ছাড়া ভালো কিছু হবে না। ভালো করার কিছু পরামর্শ—
ক. দশম থেকে ছত্রিশতম বিসিএসের শুধু ব্যাকরণ অংশটি পড়ে নেবেন। বাকিগুলো না পড়লেও চলবে।
খ. কম্প্রিহেনশন যত পারেন পড়ুন। পড়ার সময় চারটি বিষয় মাথায় রাখবেন। যথা-১. অজানা শব্দের অর্থ অবশ্যই আয়ত্ত করবেন।
২. বাক্যের অর্থ বোঝার চেষ্টা করবেন।
৩. পুরো প্যাসেজের মূল কথা বের করুন।
৪. সাধারণ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন।
বাকি প্রশ্নগুলো অনুশীলন না করলেও চলবে। প্রয়োজনে অল্প কম্প্রিহেনশন চর্চা করবেন। কিন্তু ভাসা ভাসা করে দ্রুত শেষ করতে যাবেন না। এতে সব বৃথা যাবে। আর একটা কথা, ইংরেজি পত্রিকার সমসাময়িক তাৎপর্যপূর্ণ কলাম বা লেখা পড়তে পারেন। তার অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন। এটা পরোক্ষভাবে আপনাকে রিডিং কম্প্রিহেনশনে সাহায্য করবে। ৩৫তম বিসিএস পত্রিকায় একটি খবর থেকেই প্যাসেজ এসেছিল।
গ. ব্যাকরণ অংশে নতুন কিছু নেই। যা আপনি প্রিলিতে পড়েছেন তা-ই। একবার চোখ বুলিয়ে নেবেন।
ঘ. প্যাসেজ থেকেই সামারি করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ভুলেও কোনো হুবহু বাক্য গ্রহণ করতে যাবেন না। নিজের মতো করে লিখবেন। বাসায় অনুশীলন করুন, ভুল কমে আসবে। আর এটা এত পড়ার কিছু নেই।
ঙ. সম্পাদকের নিকট চিঠি পড়ার কিছু নেই। শুধু নিয়মকানুন জেনে রাখুন। তাতেই হবে। আর দুই পৃষ্ঠার বেশি অবশ্যই লিখবেন না।
চ. ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং ইংরেজিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন কোন বিষয় আয়ত্তে থাকলে আপনি ইংরেজি লেখায় ভালো করবেন তা বলা হলো।১. শব্দের অর্থ শিখুন। যত পারা যায়। অনেকে বলে মনে থাকে না। কিছু ভুলে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে পড়া থামাবেন না। যা গিয়ে যা থাকে তা-ই লাভ। শব্দের অর্থ না জানলে আপনি লিখতে পারবেন না। তাই ফ্রি হ্যান্ড রাইটিংয়ে ভালো করতে হলে আপনার শব্দভান্ডার মজবুত থাকতে হবে। আর এটি কিন্তু চলমান প্রক্রিয়া। শব্দ শেখার মধ্যেই থাকবেন। হোক অল্প।
২. মানসম্মত রাইটিংসয়ের জন্য টেকনিক্যাল কিছু শব্দের অর্থ বা শব্দগুচ্ছ শিখবেন। যেমন- ধনী গরিব নির্বিশেষে-এর ইংরেজি হবে Irrespective of rich and poor. আপনি যদি অন্যভাবে বলেন তবে মানসম্মত লেখা হবে না। আপনার লেখার মান ভালো হলে নম্বর ভালো আসবে। এটা তো স্বাভাবিক।
৩. ইংরেজি বাক্য লেখার সময় আপনাকে প্রিপোজিশন ব্যবহার করতেই হয়। এতে অনেকেই ভুল করে। তাই শুদ্ধ বাক্য লিখতে হলে এ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এ জন্য প্রিপোজিশনগুলোর বাংলা অর্থ ও সাধারণ ব্যবহার জেনে নেবেন। অবশ্যই বুঝে বুঝে পড়বেন। আর কিছু Appropriate Preposition পড়ে নেবেন। তাহলে আস্তে আস্তে ভুল কমে যাবে।
৪. Tense সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এটা ছাড়া কিছু করার নেই। ১২টি টেন্স বাংলা সংজ্ঞা, চেনার উপায় ও গঠনপ্রণালিসহ ভালো করে পড়বেন যেন বাক্য দেখলেই আপনি বোঝেন কোন টেন্স অনুযায়ী লিখতে হবে। ধরুন, আপনি বলতে চাচ্ছেন, কালকে স্কুলে যাব। এটি যদি এভাবে লিখেন, I was go school. তাহলে কী হলো। তাই ভালো করে টেন্স পড়ুন।
৫. প্রচুর অনুশীলন করুন। বুঝে বুঝে করুন। ফ্রি হ্যান্ড রাইটিংয়ের জন্য অনুশীলন ব্যাপক কাজে দেয়। সম্ভব হলে যে ফ্রি হ্যান্ডে ভালো তার সহায়তা নিতে পারেন। লেখার পর তাকে দেখাতে পারেন। সে ভুলগুলো চিহ্নিত করে দিলে বুঝে নিন। লজ্জার কিছু নেই।
৬. ইংরেজি পত্রিকা থেকে সাহায্য নেবেন। প্রত্যেক দিন দরকার নেই। কলামগুলো পড়ার সময় খেয়াল রাখবেন কীভাবে ওরা বাক্য তৈরি করল। এটা মাঝে মাঝে নিজেও অনুসরণ করবেন। আর নতুন শব্দ পেলে মুখস্থ রাখবেন।
৭. যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন একটা টপিক ধরে এক পৃষ্ঠা করে লিখবেন। চর্চা না করলে তো হবে না। প্রথম দিকে সহজ টপিক নিয়ে লিখবেন। আস্তে আস্তে কঠিন নেবেন।
৮. তথ্যভিত্তিক ইংরেজি লেখা হলে শুধু ইংরেজিই লিখবেন না, সঙ্গে তথ্য দেবেন। এতে লেখার মান বাড়বে। আর রিডার সন্তুষ্ট হলে আপনার লাভ।
৯. টেন্স ও প্রিপোজিশন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণার জন্য চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইনের এসএসসি ইংলিশ সেকেন্ড পেপার গাইডটা পড়তে পারেন। ইংরেজি পত্রিকা The Daily Star নিন।
ছ. অনুবাদের জন্য ফ্রি হ্যান্ডের নিয়মগুলো বেশ কাজে দিবে। চর্চা করতে থাকুন। আর অনুবাদ শতভাগ মিলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বড় বাক্য হলে ভেঙে একাধিক বাক্যও হতে পারে। থিমটা বোঝাতে পারলেই নম্বর আসবে।
জ. রচনা কোনটা আসবে বলা কঠিন। তবে দশটি কমন টপিকস সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যান, যা আপনার সাধারণ জ্ঞান ও বাংলা রচনায়ও কাজে লাগবে। এই বিষয়গুলোতে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকুন। নোট করুন। যথা- ১. নারী (নির্যাতন, উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, মুক্তি) ২. শিক্ষা (সমস্যা, নীতি, সম্ভাবনা, হার) ৩. গণতন্ত্র ( সমস্যা, সম্ভাবনা, বর্তমান চিত্র) ৪. দুর্নীতি চিত্র (টিআইবি, টিআই, বিভিন্ন খাতের অবস্থা) ৫. জ্বালানি পরিস্থিতি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, খনিজ তেল, উৎপাদন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা) ৬. শিল্প (পোশাক, চামড়া, পর্যটনের সার্বিক দিক) ৭. দারিদ্র্য পরিস্থিতি (হার, কারণ, চিত্র, সরকারের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ) ৮. আইসিটি চিত্র (মোবাইল, ইন্টারনেট, পরিকল্পনা, সুবিধা, অসুবিধা) ৯. পরিবেশ অবস্থা (ভূমিকম্প, জলবায়ু পরিবর্তন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ) ১০. সন্ত্রাসবাদ (ধর্মীয়, রাজনৈতিক, আইএস, বোকো হারাম, প্রেক্ষাপট- বিশ্ব ও বাংলাদেশ, গৃহীত পদক্ষেপ)।
ঝ. বাজার থেকে যেকোনো একটি লিখিত ইংরেজি গাইড সংগ্রহ করে নিন। অনুশীলন ও বিগত প্রশ্ন পড়তে কাজে লাগবে।
অনেক কিছু তো হলো আর দরকার নেই। এবার কাজে লেগে পড়ুন। আশা করি, আপনার ইংরেজির উন্নতি হবে। ধন্যবাদ।
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
আজকে কথা বলব আমাদের ম্যাথের অন্যতম important অংশ, ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি নিয়ে। সারাজীবন এটিকে হয়ত আমরা একটু ভয় পাওয়া বিষয় হিসেবে ভেবে এসেছি। আসুন,মজার বিষয়টা জানা যাক।
মুলত ত্রিকোণমিতি ও জ্যামিতি খুব কাছাকাছি অবস্থান করে থাকে। জ্যামিতির ত্রিভুজের concept এই ত্রিকোণমিতিতে লুকিয়ে থাকে। আপনি যদি ত্রিভুজের প্রতি ভালবাসা বানাতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই আপনি ত্রিকোণমিতি বুঝতে পারেন। আর একটু specific করে বললে বলতে হবে, সমকোনী ত্রিভুজ এর মধ্যেই ত্রিকোণমিতি লুকিয়ে আছে। আপনি হাতে খাতা কলম থাকলে একটা সমকোনী ত্রিভুজ আকতে পারেন। একদম খাড়া হয়ে থাকা দাগটি হচ্ছে লম্ব, যেটিকে আপনি একটি বিল্ডিং বলতে পারেন। তাহলে যদি বিল্ডিং এর পিছনে সূর্য মামা থাকে, তাহলে কিন্তু দালানের ছায়া হবে। যেটি কিনা দালানের সামনেত দিকে গিয়ে পড়বে। ছায়ার প্রান্ত থেকে দালানের নিচের প্রান্ত পর্যন্ত দাগ কাটলেই ভূমি পাবেন। আর যদি ছায়ার প্রান্ত থেকে দালানের উপড়ের প্রান্তে দাগ কাটেন, তবেই অতিভুজ পাবেন। তাহলে অনেক সহজে আমরা সমকোনী ত্রিভুজের হিসেব থেকে দালান, সূর্য, ছায়ার বিষয় নিয়ে আসতে পারি। ঠিক এইভাবেই ভাবতে হবে, তাহলে ম্যাথ মনে হবে ভাষা।
এবার আপনি তো জানেন, এখানে তিনটি কোন হয়েছে। আবার প্রতিটি কোনের দুটি বাহু আছে। এবার একটা জিনিস বলি ত্রিকোণমিতিতে বারবার শুনেছেন, উন্নতি কোনের কথা, এবার এটা একটু জানার চেষ্টা করা যাক। আবার অনেক সময় অবনতি কোন দেয়া হলেও সেখান থেকে উন্নতি কোন বের করতে হয়। যাই হোক মুলত ছায়ার যে প্রান্ত থেকে দালানের উপরে দিকে দাগ দিয়েছেন, সেটি হল উন্নতি কোন এর কারনে হয়েছে। দেখবেন ভূমি আর অতিভুজ মিলেই এই কোন বানিয়েছে। এবার যারা ম্যাথ নিয়ে কাজ করত, তাদের মাথায় আসল কিভাবে নামকরন করা যায়। ভূমি আর লম্বের যে relation, তার নাম দিল Tan, লম্ব আর অতিভুজের সম্পককে নাম দিল sin আর ভূমি আর অতিভুজের সম্পক কে নাম দিল cos. এভাবেই ত্রিকোণমিতি তে মানুষ পদক্ষেপ করল।
এবার আসল এদের মান গুলি বের করার পালা। এটা কিন্তু মানুষ দরকারে বের করেনি। সময় তাদের যথাযথভাবে বের করিয়েছে। আমরা বইয়ে অনেকেই না বুঝে এগুলো মুখস্ত করেছি। কিন্তু আমরা চাইলেই এগুলি নিজে বুঝে বুঝে মুখস্থ করতে পারি। এরপর মানুষ বুঝল যা দিয়ে আমরা কেবল দালানের উচ্চতা মাপি তা দিয়ে অনুপাতের সুত্র ব্যবহার করে চাঁদের দূরত্বও মাপতে পারি। আরো নানা কাজে ত্রিকোণমিতি ব্যবহার করা শুরু হল। কিন্তু সমস্যা হল অন্য জায়গাতে গিয়ে। sin 60 বের করা যায়। কিন্তু circle এর highest degree হল 360. অধিকিন্তু sin 540 এর মান বের করতে হবে, তখন কি করব!! ধীরে ধীরে মানুষ advance trigonometry বুঝতে শুরু করল। কিন্তু সমস্যা হল এত সমস্যা কি হাতে কলমে করা যায় নাকি, তখন সমস্যা মেশিন দিয়ে সমাধান করা শুরু করল। এইভাবে একটি সাধারন জিনিস কে complex করতে করতে advance level এ পর্যন্ত আসলো।
যা হোক,এবার আসি ত্রিকোণমিতির ম্যাথগুলি অনুশীলন করার ব্যাপারে। ক্লাস ৯ এর পুরানো সিলেবাসের জ্যামিতি,ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতির একটা বই আছে। ওই বইয়ের অধ্যায় গুলির সূত্রগুলো ভালোভাবে বুঝে বুঝে ম্যাথগুলি করলে দেখবেন যে ম্যাথগুলি খুব সহজে নিজের দখলে চলে এসেছে।বুঝে বুঝে করতে একটু সময় বেশি লাগবে কিন্তু এতে আপনার ম্যাথ করার দক্ষতা বাড়বে এবং সহজে নিয়মগুলো মনে থাকবে।এরপর যেকোনো একটা গাইড বই থেকে এই related ম্যাথগুলো সমাধান করে ফেলুন।
এবার আসা যাক পরিমিতির ব্যাপারে।পরিমিতিতে ভাল করার জন্য একটু ভাল বেসিক তৈরি করাটা জরুরি।ত্রিভুজ, আয়তক্ষেত্র, সামান্তরিক, বর্গ, রম্বস, ঘনক, কোণ, সিলিন্ডার,বেলন- এগুলো থেকে ম্যাথ বেশি আছে।তাই এ বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে শিখতে হবে। সূত্রগুলো মুখস্ত করার আগে সূত্রগুলো কিভাবে আসে, এটা ভাল করে বুঝতে হবে।যদি এটা শেখা যায়, তবে যত কঠিন ম্যাথ আসুক না কেন, solve করা যাবে। ক্লাস ৯ এর পুরানো সিলেবাসের জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতির বই থেকে সূত্রগুলো পাবেন ব্যাখ্যাসহ।
আরও ভালোভাবে সূত্রগুলো শিখতে ইন্টারনেট এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে।এরপর ওই বইটার পরিমিতির ম্যাথগুলো একটু ভালোভাবে সমাধান করলে দেখবেন ভালো দক্ষতা চলে এসেছে পরিমিতির ব্যাপারে। এরপর যেকোনো একটা গাইড বই থেকে এই related ম্যাথগুলো সমাধান করে ফেলুন।
আসলে লেখার মাধ্যমে তো আর সূতগুলো সহজে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। ত্রিকোণমিতির ও পরিমিতির সূত্রগুলো খুব সহজে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ব্যাখ্যা করা যায় এবং একটা সুত্রের সাথে অন্য সূত্রের সম্পর্ক বের করা যায়। এছাড়াও চিত্র এঁকে খুব সহজে ব্যাখ্যা করা যায়। সূতগুলো যত ভালভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে চিত্রের মাধ্যমে বুঝা যাবে, তত ভালোভাবে এই সম্পর্কিত ম্যাথ গুলি করা যাবে। এটা সত্য, একটা জটিল বিষয় বুঝতে কঠিন, কিন্তু তার বেসিক থেকে এগিয়ে গেলে দক্ষতার সাথে জটিলতা দূর করা যায়।
সূত্রগুলো ভালো করে বুঝে ম্যাথ করতে বলা হয় এই কারনে যে, যেটুকু আমার শিখব, ওটুকু যেন আমাদের মাথায় খুব ভাল করে গেঁথে যায়,ওটুকু থেকে কোন কিছু পরীক্ষায় আসলে আমরা যেন ভুল না করি। ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি অংশে ভালো করার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করার কোন বিকল্প নেই।যত বেশি বেশি অনুশীলন, তত বেশি পরীক্ষায় ভাল করার সম্ভবনা………………Simple math!!!!!!!!!!!!!!!!!
লক্ষ্য স্থির করে পড়াশুনা চালিয়ে যান। সফলতা আসবেই। আজ এ পর্যন্তই থাক। সবাই ভাল থাকবেন।
লেখা বিষয়ে কোন পরামর্শ থাকলে আমার ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন। ফেইসবুক আইডিঃ Avizit Basak
“Don’t spend time beating on a wall, hoping to transform it into a door. ” ― Coco Chane
বি দ্রঃ লেখাটাতে শুধু আমার নিজের আইডিয়া অনুযায়ী ধারণা দেয়া হয়েছে। আপনি আপনার মত করেও প্রস্তুতি নিতে পারেন। সফল হবার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার, সেটা সম্পন্ন করাটাই মুখ্য কাজ।আর ছোটখাটো বা অনিচ্ছাকৃত কোনও ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন দয়া করে।
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
লিখিত পরীক্ষা একদম সন্নিকটে । পরীক্ষা যত এগিয়ে আসতে থাকে একটু হলেও তো দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে । কিন্তু পরীক্ষা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করা ঠিক হবেনা । লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে অবশ্যই লিখার মান ভালো থাকতে হবে । একই সাথে সময়ের সঠিক ব্যবহারের দিকেও দিতে হবে বিশেষ নজর । যেকোনো পরীক্ষার প্রশ্নে আগে দেখতে হবে সেই বিষয়ে কতগুলো প্রশ্ন এসেছে , কোন প্রশ্নের নম্বর কত ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে কোন প্রশ্নের উত্তর কতটুকু লিখবেন সেটা সিদ্ধান্ত নিবেন। লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি বিষয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন কেমন হয়েছে, প্রশ্নের ধরণ কেমন ছিল এসব জেনে একটা প্ল্যান অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে গেলে পরীক্ষায় ভালো করাটা অনেকটা সহজ হবে । আপনি বিগত বছরের প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখে প্রত্যেকটা বিষয়ে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখবেন যে কোন প্রশ্ন দিয়ে আপনি উত্তর করা শুরু করবেন । আর কয় পৃষ্ঠা লিখবেন , উত্তর কত বড় লিখবেন এসব নির্ভর করে সেই প্রশ্নে নম্বর কত তার ওপর । তবে লিখিত পরীক্ষায় যেসব প্রশ্নের উত্তরে পূর্ণ নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে যেমন গনিত, বুদ্ধিমত্তা, বাংলা ও ইংরেজি গ্রামার, যেকোনো টীকা ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর ইত্যাদি । এখন প্রতিটি বিষয় সময় ভাগ করে নিয়ে মোটামুটি একটা রিভিশন দিতে পারেন, এখন নতুন কিছু স্টাডি করার চেয়ে আপনার লিখার কৌশলগত দিকের প্রতি বেশি খেয়াল রাখতে হবে । গদবাধা পাতাভরা লিখার চেয়ে সুন্দর , তথ্যপূর্ণ গোছানো লিখাটা জরুরী । আপনার খাতা দেখে যেন স্পেশাল মনে হয় । এখন অল্প সময়ে যেভাবে স্টাডি করতে পারেন
১ — বাংলা বিষয়ে এর মধ্যে আশা করি মোটামুটি হলেও টুকটাক স্টাডি করেছেন । এখানে মূলত আপনাকে যেটা স্টাডি করতে হবে তাহল গ্রামার আর সাহিত্য । ভাব সম্প্রসারণ, সারমর্ম , অনুবাদ, সাহিত্য সমালোচনা , রচনা এসব বানিয়েই লিখতে হয় । বানিয়ে লিখার মধ্যে যেন রশদ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন । বিভিন্ন ধরণের পত্র লিখার ধরণটা দেখে যাবেন । যারা আগে মোটামুটি একটু প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তাদের জন্য এখন একটু সুবিধা হবে , গ্রামার আর সাহিত্য ডাইজেস্ট টাইপ যেকোনো বই থেকে দেখে নিতে পারেন । আগে যদি সমিত্র শেখর স্যারের বই এর সাহিত্য অংশ পড়া থাকে তাহলে একটু সুবিধা হবে । বাংলায় কোন প্রশ্নের উত্তরে কতটুকু সময় ব্যয় করবেন সেটা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখবেন ।
২ — ইংরেজিতেও সময় নিয়ে গ্রামার একটু দেখে নিন, আপনার দেখা vocabulary গুলোও একটু রিভিশন দিন, letter বা application লিখার ধরণটাও দেখে নিন । কিছু অনুবাদ চর্চা করুন যেকোনো গাইড থেকে বা যে বই থেকে আপনি স্টাডি করেছেন ।
৩ — গনিতের বিভিন্ন সূত্রগুলো একবার ঝালাই করে নিন । বিগত বছরের কিছু প্রশ্ন সমাধান করুন । যেকোনো গাইড থেকে প্রতিটা অধ্যায় ভিত্তিক সূত্র আর যে টাইপের প্রশ্ন বিগত বছরগুলোতে এসেছে সেগুলো কিছু সমাধান করুন । বুদ্ধিমত্তাও যেকোনো ডাইজেস্ট টাইপ গাইড থেকে একবেলা ৩-৪ ঘণ্টা একটানা দেখুন । মানসিক দক্ষতা আসলে সামগ্রিক প্রস্তুতির সমন্বয় । এটা নিয়ে বেশি ভাববেন না, বিগত বছরগুলোর প্রশ্নগুলোও একবার দেখতে পারেন । পরীক্ষার হলে কোন math সমাধান করতে গিয়ে করতে না পারলে মাথা গরম না করে অন্য math শুরু করুন । যাইহোক আপনাকে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। সব পারতে হবে, সবাই সব পারবে এমন নয় বিষয়টি ।
৪ — বিজ্ঞান সময় নিয়ে একটু দেখুন । যেকোনো গাইড থেকেই দেখুন । এখন আপনাকে শর্টকাট দেখতে হবে । এজন্য আগে যারা একটু details স্টাডি করেছেন তাদের জন্য লিখিত পরীক্ষায় ভালো করাটা সহজ হবে । সুযোগ পেলে অবশ্যই বিজ্ঞান প্রশ্নের উত্তরে চিত্র দিয়ে আসবেন । অনেক বেশি প্রশ্ন আসলে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে গড়ে প্রতি প্রশ্নের উত্তরে কতটুকু সময় নিবেন । লিখিত পরীক্ষায় সময় এর সঠিক ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যেকোনো চিত্র দিতে HSC এর বই থেকে সাহায্য নিতে পারেন । বিজ্ঞান বিগত বছরের প্রশ্নগুলোও একবার দেখে নিন । প্রিলির সময় ভালমতো স্টাডি করা থাকলে সেটা লিখিত পরীক্ষায় অনেক সাহায্য করে । নতুন করে খুব বেশি কিছু দেখার দরকার নেই, এতদিন যা দেখেছেন সেটা ভালো করে দেখে যান ।
৫ — সাধারণ জ্ঞান ২ দিন দেখুন । বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ২ দিন আর আন্তর্জাতিক একদিন দেখুন । সাধারণ জ্ঞান মূলত আপনাকে নিজের মত লিখতে হবে , তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি কততা গুছিয়ে তথ্যবহুল করে লিখতে পারলেন সেটা । অনেকেই কিন্তু অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়ে গিয়ে পরীক্ষার হলে সব লিখে আসতে পারেন না । মাথা বেশি ভারী করে পরীক্ষা দিতে গেলে পরীক্ষা খারাপ হবার সম্ভাবনা বাড়ে । বেশি দুশ্চিন্তা করলেও পরীক্ষা খারাপ হবার চান্স বাড়ে। সাধারণ জ্ঞানের কিছু প্রশ্ন আসে চিরন্তন আর কিছু আসে সাময়িক ঘটনাবলী থেকে । এজন্য এখন যেকোনো ডাইজেস্ট টাইপ গাইড থেকেই দেখে নিন । গাইড থেকে আপনি ধারণা নিবেন কিন্তু লিখবেন নিজের মত । টপিক তো সীমিত তা আপনি জানেন যেমন নারী, পরিবেশ, বিশ্ব অস্থিরতা, জাতিসংঘ , সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ , উপমহাদেশের ইতিহাস, সামাজিক উন্নয়ন, দুর্নীতি ইত্যাদি । এসব টপিক থেকে কোন ধরণের প্রশ্নের উত্তর কিভাবে লিখা শুরু করবেন তা আগে থেকেই প্ল্যান করে রাখুন ।
সংজ্ঞা নাকি কবিতার লাইন, নাকি সংবিধানের অনুচ্ছেদের উদাহরণ নাকি কোন ঘটনার উল্লেখপূর্বক লিখা শুরু করবেন তা সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে রাখবেন । তাহলে লিখতে সুবিধা হবে । সাধারণ জ্ঞান বেশি প্রশ্ন আসলে প্রতিটি প্রশ্নে কম সময় নিয়ে এর মাঝে বিভিন্ন reference দিয়ে গুছিয়ে লিখার চেষ্টা করবেন । সুযোগ সুবিধামত ছক, ম্যাপ, বিখ্যাত ব্যক্তির অবদান , পত্রিকার reference , বিখ্যাত বই এর reference ইত্যাদি দিতে পারেন । আন্তর্জাতিকেও তাই, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে যেকোনো গাইড থেকে দেখে নিন, কিন্তু reference দিবেন নিজের মত । reference লিখার সময় নীল কালি ব্যবহার করতে পারেন । প্রশ্নের নম্বর অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবেন যে কতটুকু লিখবেন । সংবিধানের উল্লেখযোগ্য অনুচ্ছেদগুলো দেখুন, হুবুহু লিখতে না পারলে অনুচ্ছেদ এর নম্বর ঠিক রেখে নিজের মত করে লিখুন, তবে খেয়াল রাখবেন আপনার লিখা যেন মূলকথা থেকে যেন বিচ্ছিন্ন না হয় ।
** এখন জাস্ট প্ল্যান করা, খুব বেশি স্টাডি করে মাথা গরম করা বা নতুন অনেক বেশি কিছু পড়তে যাওয়া এসব করা যাবেনা । প্রেশার নিবেন না খুব বেশি, তাহলে পরীক্ষা খারাপ হবার সম্ভাবনা বাড়বে । পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে কয়েকটি কলম নিয়ে যান , পুড়নো কলম মানে কিছু কালি খরচ করা কলম হলে ভালো হয়, অনেকসময় নতুন কলমে জোরে লিখতে সমস্যা হয় । সাথে পেন্সিল, ইরেজার , স্কেল, নীল কালির কলম ইত্যাদি নিয়ে যাবেন । খাতা পাওয়ার পর ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু পূরণ করুন । প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়া মাত্র লিখা শুরু করতে যাবেন না , আগে ঠাণ্ডা মাথায় একবার দেখুন প্রশ্নপত্রটি , কয়টি উত্তর করতে হবে, কোন বাধ্যবাধকতা আছে কিনা দেখে নিন ভালমতো । কয়টা প্রশ্ন ভালো পারেন আর কয়টি বানিয়ে লিখতে হবে তখনই সিদ্ধান্ত নিবেন । যেটা সবচেয়ে ভালো পারবেন সেটা দিয়ে উত্তর করা করবেন ।
পরীক্ষায় সব প্রশ্ন কমন পাবেন এমনটি নয়, ৫০% স্টাডি থেকে পাবেন আর ৫০% নিজের লব্ধ জ্ঞান থেকে আপনাকে লিখে আসতে হবে । কোন কিছু না পারলে নার্ভাস হবেন না, দেখা যাবে আপনি যা পারছেন না অনেকেই তা পারছে না । কে কি উত্তর করছে , কে কেমন পরীক্ষা দিচ্ছে এসবের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি কেমন পরীক্ষা দিচ্ছেন। সব পরীক্ষা সমান ভালো দেয়া সম্ভব না, কিন্তু চেষ্টা করবেন গড়ে যেন সব পরীক্ষাই মোটামুটি ভালো হয় । কোন প্রশ্ন ছেড়ে আসার চেষ্টা করবেন না, কিছু হলেও লিখে আসবেন । ভালো প্রস্তুতি নিয়ে খারাপ পরীক্ষা না দিয়ে , খারাপ প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ভালো পরীক্ষা দেয়ার চেষ্টা করবেন, এতে লাভ বেশি। কনফিডেন্স রাখুন নিজের ওপর । এই অল্প সময়ে প্রতিটি বিষয় মোটামুটি দেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন । অবশ্যই খেয়ে পরীক্ষা দিতে যাবেন , পারলে সাথে ছোট এক বোতলে গ্লুকোজ পানি , মাথাব্যথার ওষুধ আর এসিডটির ওষুধ নিয়ে যেতে পারেন, অনেককে সমস্যায় পড়তে দেখেছি তো তাই বললাম । বেশি প্রেশার নিতে যাবেন না এখন, বেশি স্টাডি করার চেয়ে প্রতিটি পরীক্ষা প্ল্যান করে দেয়ার চেষ্টা করবেন । আর কি বলবো, মাথায় আসছে না, ভালো থাকবেন সবাই, good luck guys.
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
সেজন্য ক্ষমা চাচ্ছি। প্রথমে একটা কথা বলি মনে রাখুন বিসিএস ক্যাডার দু‘ভাবে হওয়া যায়
- ক্যাডার হয়ে( ট্যাকটিকালি পড়ে)
- বিসিএস বিশেষজ্ঞ হয়ে ( অনেক পড়ে ) এরা অনেক সময় ই ফেল মারে।(বিসিএস বিশেষজ্ঞ হওয়ার বা অনেক কিছু জানার জন্য অনেক সময় পাবেন ।)
এখন ডিসিশন নিন কোনটা করবেন ।
বিসিএস সিলেবাস যেহেতু অনেক বড় সেহেতু একটি কথা মনে রাখুন ‘‘কিছু কিছু বিষয়ের সব কিছু আর সব কিছু বিষয়ের কিছু কিছু‘‘ । এইটায় আপনাকে খুঁজে বাহির করতে হবে যে কোন কোন টপিকস গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ । আবার এমন কিছু টপিকস আছে যা বার বার আসে ও এক সাবজেক্ট এর বিষয় অন্য সাবজেক্টে মিল থাকে। যেমন: বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক এর কিছু কিছু বিষয় মিল আছে , আবার এদের সাথে বাংলা ২য় পত্রের রচনা মিল আছে । সুতরাং এইক্ষেত্রে আপনাকে সমন্বয় করতে হবে। পড়া শুরু করার সবার আগে সিলেবাস নিয়ে বসুন , পড়ুন। এবার বিগত সালের প্রশ্ন গুলো ভালো করে দেখুন ও সিলেবাসের টপিকসের মেলানোর চেষ্টা করুন এবং অধ্যায় ভিত্তিক সাজেসন্স তৈরি করুন। সবার আগে নিজের সাজেসন্সটা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয় কারণ Only the Wearer knows where the Shoes pinches. অধ্যায় ভিত্তিক সাজেসন্স করার পর পড়ালেখা শুরু এবং ডেটা কালেকশন শুরু। মনে রাখবেন সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া রিটেনের সিলেবাস শেষ করা যায় না । কথায় আছে Well plan ,Half done . আবার ভালো পরিকল্পনা ও কৌশল দিয়ে বিসিএস ভালো করার রেকর্ড বেশি ।সেদিকে নজর দিন।
এখন আসি , কি কি বই পড়বেন ? বা কি কি বই কিনবেন । এক কথায় উত্তর দিতে বললে বলব প্রফেসর‘স কিংবা ওরাকল বা অ্যাসুরেন্স সিরিজ গুলোর মধ্যে যেকোন দুই সেট বই কিনলেই হবে। আর যদি খুঁতখুতে ভাব থাকে তাহলে তাদের জন্য বলব…….
১।বাংলা
———-
সৌমিত্র শেখরের জিজ্ঞাসা ও দর্পন, হায়াদ মামুদের ভাষা ও শিক্ষা (ব্যাকরণ পাঠের জন্য ) , গ্রন্থ সমালোচনার জন্য মোহসিনা নাজিলার শীকর এবং প্রফেসর‘স বাংলা / ওরাকল বাংলা ।>> বিগত সালের সাহিত্য প্রশ্ন গুলোর জন্য
২। ইংরেজি
———–
ভালো মানের গ্রামার যেটা আপনি ভালো বোঝেন (বেসিক রুলসের জন্য), ১১-১২শ্রেণির ইংরেজি কম্প্রিহেসন বই , প্রফেসর‘স ইংরেজি/ সেলফ অ্যাসেসমেন্ট ইংরেজি। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়া ,কিছু নোট করা , আর ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং জোর দেওয়া। নিয়মিত ৩ ঘণ্টা করে সময় দিন ইংরেজিতে । মনে রাখবেন ইংরেজি আর গণিত ই আপনাকে ক্যাডার পাওয়া দৌড়ে এগিয়ে রাখবে। বাকি সাব গুলো কিছু দিন মনোযোগ দিয়ে পড়লেই পেরে যাবেন।
৩। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
———————————————-
প্রফেসর‘স বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ভালো ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পাবেন। । অর্থনৈতিক সমীক্ষা -২০১৫ মুল টার দাম অনেক কয়েকজন কিনে ফটোকপি করেন।। আরিফ খানের > সংবিধান। টাকা থাকলে মিলারস প্রকাশনীর বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক এর দুটো কিনতে পারেন ওখানে পয়েন্ট আকারে দেওয়া অনেক বিষয় । তাছাড়া আন্তর্জাতিকের জন্য কিছু বেসিক কনসেপ্টর জন্য উচ্চমাধ্যমিকের পৌরনীতি বই ও আব্দুল হাইয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক , সংগঠন,ও পররাষ্ট্রনীতি বইটা কাছে রাখা ভালো।
পত্রিকা কাটিং , উক্তি , ম্যাপিং নিয়মিত অনুশীলন করা ভালো।
এই পার্টে খুব বেশি সময় না দেওয়াই ভালো । ম্যাটেরিয়ালস রেডি রাখবেন । শেষের দিকে জোর দেওয়া ভালো মনে থাকবে। আর চোখ কান খোলা রাখা ভালো কোথায় কি হচ্ছে সে দিকে।
৪। বিজ্ঞান
—————–
৯-১০শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান(মানবিকের টাতে রিটেনে ৬টা চ্যাপ্টার পাবেন। ) তবে সিলেবাসের কিছু কিছু টপিকসের জন্য ৯-১২শ্রেণির পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বই থেকে পড়তে হবে , তাই কাছে রাখা ভালো। গাইড কিনলে ওরাকল বিজ্ঞান টা ভালো ।
কম্পিউটার ,ও তথ্য প্রযুক্তির জন্য ১১-১২শ্রেণির তথ্য প্রযুক্তি বই থেকে কিছু কিছু পাবেন। আর বাকিগুলো অ্যাসুরেন্সর বিজ্ঞান গাইড থেকে শুধু কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি অংশটা ফটোকপি।
৫।গণিত
———–
পাটিগণিত যে ৩টা আসবে তা বিগত সালের গুলোকে ভালো করে আয়ত্বকরতে হবে। বীজগণিতের জন্য ৯-১০শ্রেণি বই থেকে টকিস ধরে ধরে পড়া ভালো। তাছাড়া বিগত সালের জ্যামিতি গুলো কণ্ঠস্থ করা উচিত যদি অংক কম পারেন।
বিন্যাস সমাবেশ > ১১-১২ শ্রেণির আফসারউজ্জামানের বীজগণিত ও ত্রিকোণোমিতি বই থেকে প্রাকটিস করতে হবে।
কার্তেসীয় জ্যামিতি >> ১১-১২ শ্রেণির আফসারউজ্জামানের জ্যামিতি বই থেকে দুটো চ্যাপ্টার করতে হবে। যারা কম বোঝেন তারা ১১-১২শ্রেণির পাঞ্জেরি গণিত গাইড থেকে দুটো চ্যাপ্টার ফটোকপি করতে পারেন ও ছোট ভাই বোনদের সাহায্য নিতে পারেন। গণিত শিখার জন্য কারো কাছে কোন সংকোচ বোধ না করাই ভালো
সাথে থাকবে >> প্রফেসর‘স গণিত ।
যদিও আপনি অনেক পারেন তবুও নিয়মিত ২ ঘণ্টা করে গণিত চর্চার বিকল্প নাই ।
৬। মানসিক দক্ষতা
—————
ওরাকল মানসিক দক্ষতা । সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং এমবিএ এ্যাডমিশন গাইড।
আর পরীক্ষার আগে যেকোন দুটো সিরিজের ডাইজেস্ট কিনা ভালো । বই কিনে কেউ কখনও দেওলিয়া হয় না।
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন কোচিং করব কিনা ? যারা ১ম বার তারা কোচিং করতে পারেন। আবার যাদের আলসেমি স্বভাব আছে তারাও যেতে পারেন । মনে রাখবেন কোচিং মানে নির্দেশনা নেওয়া তার মানে এই নয় যে তারা যা কিছু গলাদ করণ করতে বলবে সেটা করা । কোচিং গুলো বেহুদায় কোটি কোটি তথ্য মুখস্ত করতে বলে যেগুলো কাজে দেয় না শুধু পেইন দেয় । কোচিং এ যাবেন নির্দেশনার জন্য আবার সেই নির্দেশনাকে নিজের মতো করে নিবেন । সারা দিন পড়ে কোচিং এ যাবেন রিলাক্সের জন্য কিংবা যা পড়লাম তা মনে আছে কিনা তা যাছাইযের জন্য।
কয়েকজন ভালো বন্ধুর সাথে যোগাযোগ রাখুন যারা বিসিএস নিয়ে সিরিয়াস ও শেয়ারিং মানসিকতা আছে। পারলে গ্রুপ স্টাডি শুরু করতে পারেন। তবে পণ্ডিতদের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন, কেননা এরা আপনার মনোবল কে দূর্বল করে দিবে। পারলে ছোট ভাইবোন/ গার্লফ্রেন্ড/ বয়ফ্রেণ্ড/ হাজব্যান্ড/ ওয়াইফের হাতে বই দিয়ে বলুন আমি এগুলো পড়েছি আমাকে ধর ত দেখি পারি কিনা । কিংবা আয়না সামনে দাঁড়িয়ে পঠিত বিষয়গুলো জায়র কাটতে পারেন। এটা ভীষন উপকারে দিবে।
ও হ্যাঁ একটা কথা বলতে ভুলেই গেছিলাম আর তা হল দ্রুত লেখার অভ্যাস করা সেজন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৪-৫ পৃষ্টা করে ঘড়ি ধরে লিখবেন কেননা আপনি অনেক কিছু জানেন কিন্তু সময়ের অভাবে লিখতে পারলেন না সেটা কোন কাজেই দিবে না। তাই আগেই থেকেই সর্তক হওয়া ভালো নইলে পরে পস্তাতে হয় ।খাতায় একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপনে জন্য নিজস্ব কৌশল বাহির করুন। নিজেকে একটু ভিন্ন করে গড়ে তুলুন। খাতার পরিচ্ছনতার দিকে নজর দিন।
.
ভালো ভাবে প্রিপারেশন নিতে হলে আপনাকে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে হবে ভালভাবে। ঘোরা ঘুরি , টোনাটুনি ৫মাসের জন্য বন্ধ। ৫মাস পড়ে যদি ৩০বছর ভালো ভাবে লাইফ লিড করা যায় তাহলে কে না পড়ে থাকবে? আমার মনে হয় বিসিএস ক্যাডার হতে হলে আপনাকে আবার স্কুল লাইফে কিংবা ভার্সিটি এডমিশনের সময়ে ফিরে যেতে হবে। মনে করুন ত আপনি তখন কিভাবে , কত ঘণ্টা পড়েছিলেন । তাহলেই কেল্লা ফতে ।তখন পারলে এখনও পারবেন । ইস্টামিনাটা ওখান থেকে নিন।
‘‘কঠোর পরিশ্রম প্রতিভাকে হারাতে পারে , কিন্তু প্রতিভা কঠোর পরিশ্রমকে হারাতে পারে না।‘‘
’‘স্বপ্ন সেটা নয় ,যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে, স্বপ্ন সেটাই যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না’’
.
আপনার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন টা শুধু আপনার একার নয় ওটার সাথে জড়িয়ে আছে আপনার পরিবার , বন্ধু, শিক্ষকদেরও স্বপ্ন। আপনি কেন এই মানুষগুলোকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়েছেন ২৫ বছরে ধরে ! আপনার কারণে তাঁদের চোখে কেন জল আসবে ? আপনিত নিজের সাথেও প্রতারণা করতে পারেন না। এইসব কথা ভাবুন দেখবেন পড়াশুনায় গতি আসবে। সাথে সাথে স্রস্টার দিকে রজু হন। তিনি অব্যশই সাহায্য করবেন ।
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে; হবে হবেই দেখা, দেখা হবে বিজয়ে। সেই দিনটার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন। মাঝে মাঝে আপনাদের একটু জ্বালাবো।
আল্লাহ হাফেজ।
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
* কোন প্রশ্নে কত সময় দেব, সেটা প্রশ্নের গুরুত্ব এবং সময়বণ্টন অনুযায়ী ঠিক করে ফেলতাম।
* কে কী পড়েছে, সে খবর কিছুতেই নিতাম না। এ সময়ে মনমেজাজ খারাপ করার তো কোনো মানেই হয় না।
* যা যা পড়েছি, তার তেমন কিছুই মনে থাকবে না, এটা মেনে নিতাম।
* পরীক্ষায় বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তরই ওই মুহূর্তে মাথায় যা আসে তা-ই, কিংবা মাথায় কিছু না এলেও জোর করে এনে, লিখে দিয়ে আসতে হয়। তাই এত দিন যত কিছু পড়েছি, সেসব কিছুতে খুব দ্রুত চোখ বুলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতাম, যাতে পরীক্ষার হলে কোনো প্রশ্ন একেবারে আনকোরা মনে না হয়!
* পেনসিল, কলম, রাবার, চৌকোনা স্কেল, ক্যালকুলেটর এসব গুছিয়ে রাখতাম। পরীক্ষার হলে কয়েকটা ‘চালু কলম’ নেওয়া ভালো। (আমি মূল খাতাটির পৃষ্ঠাগুলোতে চারদিকে মার্জিন করে, অতিরিক্ত পৃষ্ঠাগুলোর চারদিকে ভাঁজ করে দিয়েছিলাম।)
* গড়ে প্রতি তিন-পাঁচ মিনিটে এক পৃষ্ঠা লিখে, পরীক্ষার হলে সবার আগে আমিই ‘লুজ শিট’ নেব, এ ব্যাপারটা মাথায় রাখতাম। লিখিত পরীক্ষা নিঃসন্দেহে ছোটবেলার ‘যত বেশি সম্ভব তত বেশি’ লেখার পরীক্ষা।
* বাসা থেকে বের হওয়া, ফেসবুকে ঘন ঘন লগইন করা, কোচিংয়ে যাওয়া, অনাবশ্যক ফোনে গল্প করা, এসব মাথাতেও আনতাম না।
* লিখিত পরীক্ষা সুস্থ শরীরে মাথা ঠিক রেখে তিন-চার ঘণ্টা না থেমে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে একনাগাড়ে উত্তর লেখার পরীক্ষা। তাই, পরীক্ষার আগের রাতে অবশ্যই খুব ভালো একটা ঘুম দরকার।
* প্রস্তুতি ভালো কিংবা খারাপ যা-ই হোক না কেন, পরীক্ষায় ভালো করার একটা সিক্রেট হলো, পরীক্ষার হলে ‘আই অ্যাম দ্য বেস্ট!’ এ ভাবটা যতক্ষণ পরীক্ষা দিচ্ছি ততক্ষণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে ধরে রাখা। এটা সত্যিই ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আমার চেয়ে কেউ বেশি পারে, কিংবা আমার চেয়ে কেউ ভালো লিখছে, এটা মাথায় রাখলে আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। ভালো পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতির চেয়ে পরীক্ষার হলে আত্মবিশ্বাসটাই বেশি কাজে লাগে।
* আমার অভিধানে ‘আনকমন প্রশ্ন’ বলে কিছু নেই। পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন না এলে বানিয়ে লিখে দিয়ে আসতে হবে, বানাতে না পারলে কল্পনায় আনতে হবে, কল্পনায় না এলে জোর করে কল্পনা করতে হবে। আমি উত্তর করছি না, এটা কোনো সমস্যা না। সমস্যা হলো, কেউ না কেউ সেটা উত্তর করছে।
* আমি বিশ্বাস করি, ভালো প্রস্তুতি থাকলেই যেমনি ভালো পরীক্ষা দেওয়া যায় না, তেমনি খারাপ প্রস্তুতি থাকলেই খারাপ পরীক্ষা দেওয়া যায় না। ফলাফল সব সময়ই চূড়ান্ত ফলাফল বের হওয়ার পর, আগে নয়। এর আগ পর্যন্ত আমি কিছুতেই কারও চেয়ে কোনো অংশেই কম নই।
* আগে কী পড়েনি যা পড়া উচিত ছিল, সেটা নিয়ে মাথা খারাপ না করে, কী কী পড়েছি, সেটা নিয়ে ভাবতাম বেশি।
* লিখিত পরীক্ষায় এত দ্রুত আর এত বেশি লিখতে হয় যে মাঝেমধ্যে লিখতে লিখতে মনে হয় যেন হাতের আঙুলের জয়েন্টগুলো খুলে পড়ে যাবে। তবুও লিখেছি; ননস্টপ, আক্ষরিক অর্থেই। ওই তিন-চার ঘণ্টাতেই ছিল আমার জীবিকার ছক গাঁথা। বিসিএস পরীক্ষা মূলত লিখিত পরীক্ষায় বেশি মার্কস পাওয়ার পরীক্ষা।
* সংবিধানের সব ধারা আমার মুখস্থ ছিল না, অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য-উপাত্ত অত ভালো জানতাম না, মুখস্থবিদ্যা ছিল না, তবুও আমি চাকরি পেয়েছি। তবে আপনি পাবেন না কেন?
* এ সময়ে কিছু অভিনব প্রশ্নসমৃদ্ধ ‘টাচ অ্যান্ড পাস’ টাইপের সাজেশন পাওয়া যায়। এসব থেকে ১০০ হাত দূরে থাকতাম, নিজের সাজেশনসের ওপর নির্ভর করাই ভালো।
* যেসব প্রশ্ন বারবার পড়লেও মনে থাকে না, সেসব প্রশ্ন আমি বরাবরই এড়িয়ে গেছি। সবাই সবকিছু পারে না, সবকিছু সবার জন্য নয়।
* টেনশন থাকবেই। পরীক্ষা দিয়ে টেনশন করাটাও একটা সাধারণ ভদ্রতা। আমাকে না হয় কয়েকজন মানুষের প্রত্যাশার চাপ সামলাতে হয়, কিন্তু একজন সৌম্য সরকারকে তো অন্তত ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ মাথায় রেখে খেলতে হয়। ও পারলে আমি কেন পারব না?
* বেশি পড়া হলে ভালো পরীক্ষা দেওয়া যায়, এমনটা নাও হতে পারে। ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার চেয়ে ভালো পরীক্ষা দেওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
* হাতের লেখা সুন্দর হোক বা না হোক, হাতের লেখা যাতে পড়া যায়। নীল কালিতে কোটেশন আর রেফারেন্স দিয়ে সবকিছু উত্তর করে হাতের লেখা সুন্দর রাখাটা রীতিমতো দুঃসাধ্য!
* কোন প্রশ্নের উত্তর কত পৃষ্ঠা লিখতে হবে, সেটা নির্ভর করে প্রশ্নটির নম্বর, গুরুত্ব, সময় আর আপনার লেখার দ্রুততার ওপর। সময় সবার জন্যই তো সমান, এটার সঠিক ব্যবস্থাপনাই আসল কথা।
‘এবার যা হয় হোক, পরেরবার একদম ফাটায়ে পরীক্ষা দেব’ এটা প্রতিবার পরীক্ষা দেওয়ার সময়ই আপনার মনে হতে থাকবে। এর আগে প্রথম আলোতে বিভিন্ন টপিক নিয়ে ছয়টি বিষয়ভিত্তিক লেখা এবং ৩৫টি পয়েন্টে ৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে আমার লেখা এসেছিল। প্রয়োজনে সেগুলো পড়ে নিন। গুডলাক!
লেখক: ৩০ তম বিসিএেস প্রথম।
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সুপার সাজেশন ও উত্তর, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক সাজেশন,প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সাজেশন,কম সময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার সাজেশন,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার সাজেশন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (EEDMOE) উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)’ ও ‘ড্রাফটসম্যান’ নিয়োগ পরীক্ষার সাজেশন