মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 politics and citizenship solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week politics and citizenship solution 2022]

শ্রেণি: ৯ম বিষয়: পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2022
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 01 বিষয় কোডঃ 140
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

সকল প্রকার সাজেশন: পিএসসি,জেএসসি,এসএসসি, এইচএসসি, অনাস , ডিগ্রী


এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ রাষ্ট্র ও সরকার একে অপরের পরিপূরক।

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ

  • রাষ্ট্র ও সরকারের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
  • রাষ্ট্রের উপত্তি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবে।
  • রাষ্ট্র ও সরকারের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পারবে।

অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়নের নির্দেশনাঃ

অ্যাসাইনমেন্টটি সম্পন্ন করতে নিচের ধাপসমূহ অনুসরণ করতে হবে।

  • ১। রাষ্ট্র ও সরকারের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।
  • ২। মানুষের জীবনে সমাজের প্রয়ােজনীতা বর্ণনা করতে হবে।
  • ৩। স্বাধীন রাষ্টের জন্য অপরিহার্য উপাদানটি ব্যাখ্যা করতে হবে।
  • ৪। রাষ্ট্র ও সরকারের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে হবে।

  • ১। রাষ্ট্র ও সরকারের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।

সুদূর অতীতে একসময় রাষ্ট্র ও সরকারকে সমার্থক ভাবা হত। সপ্তদশ শতাব্দীতে ফরাসি সম্রাট চতুর্দশ লুই বলেছিলেন, “আমিই রাষ্ট্র” (I am the state’)। হবস-এর লেভিয়াথান (Leviathan) গ্রন্থেও রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে কোনাে ধরনের পার্থক্য স্বীকার করা হয়নি। কিন্তু রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে কয়েকটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। রাষ্ট্রের আদর্শকে বাস্তবায়িত করে সরকার। উইলােবির মতে, সরকার হল এমন এক প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে রাষ্ট্র তার ইচ্ছাকে কার্যকরী করে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

রাষ্ট্রের সংজ্ঞা

রাষ্ট্র হল এমন এক জনসমাজ যা নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যসাধনের জন্য স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত। 
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বার্জেস এর মতে, ‘‘একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে রাজনৈতিক দিক থেকে সংগঠিত জনসমষ্টিই হল রাষ্ট্র।’’
অধ্যাপক গার্নারের মতে, ‘‘রাষ্ট্র হল সাধারণভাবে বৃহৎ এক জনসমাজ যা নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, যা বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত এবং যার একটি সুসংগঠিত সরকার রয়েছে এবং এই সরকারের প্রতি অধিকাংশ জনগণ স্বাভাবিক আনুগত্য প্রদর্শন করে থাকে।
ওপেনহাইমে এর মতে, ‘‘যখন কোনাে নির্দিষ্ট একটি ভূখণ্ডে কোনাে সংগঠিত জনসমষ্টি সার্বভৌম সরকার প্রতিষ্ঠা করে, তখন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।’’
মার্কিন রাষ্ট্রপতি উইলসনের মতে, ‘‘কোনাে নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে আইন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগঠিত জনসমষ্টি হল রাষ্ট্র।’’

সরকারের সংজ্ঞা

সরকার হল সেই রাজনৈতিক ব্যবস্থা যার দ্বারা একটি দেশ বা সম্প্রদায়কে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করা হয়। 
সরকার হল একটি ব্যবস্থা বা জনগণের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী, যারা একটি সংগঠিত সম্প্রদায়কে পরিচালনা করে। অধিকাংশ সরকার সাধারণত আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ নিয়ে গঠিত।

সরকার হল একটি প্রতিষ্ঠান বা একটি সিস্টেম যা একটি দেশ বা রাষ্ট্রের পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে।

  • ২। মানুষের জীবনে সমাজের প্রয়ােজনীতা বর্ণনা করতে হবে।

মানুষ হলো সমাজবদ্ধ জীব। ব্যক্তিমানুষের সব সার্থকতা সমাজকে কেন্দ্র করেই। সমাজে স্বীকৃতির ওপর নির্ভর করেই মানুষের সম্পূর্ণতা। কিন্তু মানুষ দল বেঁধে বাস করলেই তা সমাজ হয় না। প্রত্যেক মানুষ একে অপরের কল্যাণের কথা ভেবে সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিয়ম ও শৃঙ্খলার অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাস করলে সেই জনগোষ্ঠীকে সমাজ বলে। এই সমাজকে বাঁচিয়ে রাখা এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিমানুষের অন্যতম দায়বদ্ধতা। এক সমাজে ধনী, গরিব, সহায়–সম্বলহীন নানা রকম মানুষের বাস। শিক্ষিত, অশিক্ষিত সবাইকে নিয়েই সমাজ। সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াই হলো সমাজসেবা। কিন্তু কেমন আছেন পাশের বাড়ির মানুষটি? এমন প্রশ্ন করার মতো সময়ও আমাদের নেই। ক্রমেই আমরা যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। এতে সমাজে নেতিবাচকপ্রভাব পড়ছে। তাই আমাদের চিন্তার পরিবর্তন জরুরি।বিজ্ঞাপন

আমাদের সমাজের দিকে তাকালে প্রতিনিয়ত আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য, যা অতি দুঃখের হলেও সত্য। আজকের আধুনিক বিশ্বের ছোঁয়া সত্ত্বেও আমরা সেকেলে সমাজব্যবস্থা হতে বেরিয়ে আসতে পারিনি। প্রাচীন সমাজব্যবস্থার কুসংস্কার, বৈষম্য ও অবমূল্যায়ন আমাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। শ্রেণিবৈষম্যের দিকে তাকালে দেখা যায়, সমাজের একটি গরিব লোক শিক্ষিত, মেধাবী ও নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতা রাখলেও আমাদের ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা এই লোককে সুযোগ না দিয়ে তাকে অবমূল্যায়ন করে পেছনে ফেলে রাখে, যা আমাদের জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়। পক্ষান্তরে একজন সম্পদশালী ব্যক্তি মেধা ও নেতৃত্বের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সমাজ তাকে নেতৃত্বের ভার দেয়, যা আমাদের সমাজব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ। এই সমাজ নিয়ে আমাদেরই ভাবতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে সমাজ নিয়ে।

একটি সমাজে ধনী–গরিবনির্বিশেষে সব রকম মানুষের বাস। যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো, তারা সব রকম সুযোগ–সুবিধা ভোগ করতে পারে, কিন্তু সমাজে যারা গরিব সহায়–সম্বলহীন তারা ভাগ্যের দোহাই দিয়ে দুঃখ কষ্টের কঠিন জীবনকেই মেনে নিতে বাধ্য হয়। স্বার্থকেন্দ্রিক বেঁচে থাকার মধ্যে কোনো সুখ নেই। এতে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে ঘিরে আত্মকেন্দ্রিকতার এক সংকীর্ণ গণ্ডি গড়ে ওঠে। প্রকৃত সুখ রয়েছে সমাজের জন্য, দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কিছু করে বাঁচার মধ্যে। একজন মানুষ সঠিক শিক্ষা গ্রহণ না করলে তার প্রভাব সমাজের ওপর পড়ে। সে কারণে আমাদের সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। একটি কথা মনে রাখা ভালো, সমাজ নিয়ে ভাবনার বয়স লাগে না, প্রয়োজন চিন্তা ও মানসিকতা। শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকলে সমাজের কোনো পরিবর্তন আসবে না। ভাবতে হবে চারপাশের মানুষ নিয়ে। পরিবর্তন ছাড়া সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাদের সবার মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ জাগাতে হবে। সামাজিক মূল্যবোধই পারে সমাজের রূপ বদলে দিতে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ৩। স্বাধীন রাষ্টের জন্য অপরিহার্য উপাদানটি ব্যাখ্যা করতে হবে।

রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের মানুষ কোনো না কোনো রাষ্ট্রে বসবাস করে। আমাদের এই পৃথিবীতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০ টি রাষ্ট্র আছে। প্রতিটি রাষ্ট্রেরই আছে নির্দিষ্ট ভূখণ্ড এবং জনসংখ্যা। এ ছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আরও আছে সরকার এবং সার্বভৌমত্ব। মূলত এগুলো ছাড়া কোনো রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে না।

অধ্যাপক গার্নার বলেন, সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী, সুসংগঠিত সরকারের প্রতি স্বভাবজাতভাবে আনুগত্যশীল, বহিঃশত্রুর জনসমষ্টিকে রাষ্ট্র বলে।

রাষ্ট্রের উপাদান ৪ টি যথা:
১। জনসমষ্টি,
২। রাষ্ট্র
৩। সরকার ও
৪। সার্বভৌমত্ব

নিম্মে রাষ্ট্রের চারটি উপাদানের ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো :

১. জনসমষ্টি : রাষ্ট্র গঠনের অপরিহার্য উপাদান জনসমষ্টি। কোনো ভূখণ্ডে একটি জনগোষ্ঠী স্থায়ীভাবে বসবাস করলেই রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে। তবে একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য কী পরিমাণ জনসমষ্টি প্রয়োজন, এর কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই।

২. নির্দিষ্ট ভূখণ্ড : রাষ্ট্র গঠনের জন্য নির্দিষ্ট ভূখণ্ড আবশ্যক। ভূখণ্ড বলতে একটি রাষ্ট্রের স্থলভাগ, জলভাগ ও আকাশসীমাকে বোঝায়। রাষ্ট্রের ভূখণ্ড ছোট বা বড় হতে পারে।

৩. সরকার : রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সরকার। সরকার ছাড়া রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে না। রাষ্ট্রের যাবতীয় কার্যাবলি সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সরকার গঠিত হয় তিনটি বিভাগ নিয়ে। যথা :

১. আইন বিভাগ,
২. শাসন বিভাগ ও
৩. বিচার বিভাগ।

৪. সার্বভৌমত্ব : সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি রাষ্ট্রের চরম, পরম ও সর্বোচ্চ ক্ষমতা। এর দু’টি দিক রয়েছে, যথা- অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সার্বভৌমত্ব অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্বের সাহায্যে রাষ্ট্র দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন আদেশ-নির্দেশ জারির মাধ্যমে ব্যক্তি ও সংস্থার উপর কর্তৃত্ব করে। অন্যদিকে, বাহ্যিক সার্বভৌমত্বের মাধ্যমে রাষ্ট্র বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে দেশকে মুক্ত রাখে।

অতএব, আমরা বলতে পারি যে, জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব ছাড়া কোন গঠিত হতে পারে না।

  • ৪। রাষ্ট্র ও সরকারের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সুদূর অতীতে একসময় রাষ্ট্র ও সরকারকে সমার্থক ভাবা হত। সপ্তদশ শতাব্দীতে ফরাসি সম্রাট চতুর্দশ লুই বলেছিলেন ‘আমিই রাষ্ট্র (I am the state’)। হ-এর লেভিয়াথান (Leviathan) গ্রন্থেও রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে কোনো ধরনের পার্থক্য স্বীকার করা হয়নি। কিন্তু রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে কয়েকটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। সেগুলি হল-

1. প্রকৃতিগত পার্থক্য: রাষ্ট্র একটি তত্ত্বগত ধারণা। রাষ্ট্রকে চোখে দেখা যায় না। রাষ্ট্রের রূপ বিমূর্ত। অন্যদিকে সরকার হল রাষ্ট্রের বাস্তব রূপ। তাই রাষ্ট্র বলতে অনেকে সরকারকে বুঝে থাকেন। কিন্তু সরকার হল রাষ্ট্রীয় ধ্যানধারণার বাস্তব চেহারামাত্র।

2. আদর্শগত পার্থক্য: রাষ্ট্রের আদর্শকে বাস্তবায়িত করে সরকার। উইলােবির মতে, সরকার হল এমন এক প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে রাষ্ট্র তার ইচ্ছাকে কার্যকরী করে। এজন্য সরকারের কোনো কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালিত হলে জনগণ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পারে, গড়ে তুলতে পারে প্রতিরােধ। প্রসঙ্গত বলা যায়, সরকারের প্রতি বিরোধিতার মানে রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়। সরকারবিরােধী ও রাষ্ট্রবিরােধী শব্দ দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ বহন করে।

3. সদস্যসংখ্যাগত পার্থক্য: রাষ্ট্রের একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড রয়েছে। সেই ভূখণ্ডের সমস্ত অধিবাসী রাষ্ট্রে সদস্য। অন্যদিকে সরকার হল সমগ্র রাষ্ট্রের জনগণের একটি ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে গঠিত প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান। যেমন- আমাদের দেশের সমস্ত নাগরিককে নিয়ে ভারত রাষ্ট্র গঠিত, অন্যদিকে মুষ্টিমেয় নাগরিককে নিয়ে ভারত সরকার গঠিত হয়।

4. গঠনগত পার্থক্য : রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে গঠনগত দিক থেকে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়ােগ করে সরকার গঠন করে, কিন্তু এইভাবে ভােটাধিকারের মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠন করা যায় না।

5. স্থায়িত্ব-সংক্রান্ত পার্থক্য: স্থায়িত্বের প্রশ্নে রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। সরকার ক্ষণস্থায়ী; আজ যে সরকার ক্ষমতায় আছে কাল সেই সরকার নাও থাকতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্র চিরস্থায়ী, তার একটা সুষ্ঠু ধারাবাহিকতা আছে।

6. বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য: রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে বৈশিষ্ট্যের দিক থেকেও পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। রাষ্ট্রের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য চারটি, যথা—জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব। ছোটোবড়ো নির্বিশেষে সব রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই এগুলি বর্তমান। অন্যদিকে সরকারের ক্ষেত্রে এমন কোনো অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য নেই। বিভিন্ন রাষ্ট্রে সরকারের বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন। কোথাও গণতান্ত্রিক সরকার, কোথাও একনায়কতন্ত্রী, কোথাও ফ্যাসিবাদী, আবার কোথাও বা সমাজতন্ত্রী সরকার। আবার সরকারের কাঠামো কোথাও এককেন্দ্রিক, কোথাও যুক্তরাষ্ট্রীয়, কোথাও রাষ্ট্রপতিশাসিত অথবা সংসদীয় প্রকৃতির হতে পারে।

7. সার্বভৌম ক্ষমতা-সংক্রান্ত পার্থক্য: সার্বভৌম ক্ষমতার প্রকৃত অধিকারী হল রাষ্ট্র, সরকার নয়। রাষ্ট্রের প্রতিনিধিস্বরূপ সরকার এই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভােগ ও প্রয়ােগ করে মাত্র।

8. অস্তিত্ব-সংক্রান্ত পার্থক্য: অধ্যাপক গার্নার জীবদেহের সঙ্গে রাষ্ট্রের তুলনা করে বলেছেন সরকার হল রাষ্ট্রের মস্তিষ্কস্বরূপ। জীবদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে মস্তিষ্কের যেমন কোনো গুরুত্ব থাকে না, তেমন রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হলে সরকারেরও কোনো অস্তিত্ব থাকে না।

9. প্রতিষ্ঠান ও পরিচালকগত পার্থক্য: অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রাষ্ট্রকে একটি যৌথ মূলধনী কারবারের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যার পরিচালক হল সরকার। কাজেই পরিচালকমণ্ডলী যেমন একটি যৌথ কারবারের অংশমাত্র, তেমন সরকারও রাষ্ট্রের একটি অংশমাত্র। এদিক থেকে দেখলে সরকার কখনও রাষ্ট্রের সমার্থক হতে পারে না।

উপসংহার: উপরের আলোচনা থেকে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, রাষ্ট্র ও সরকার কখনােই এক নয়, উভয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। বস্তুত, রাষ্ট্র হল একটি তত্ত্বগত ধারণা। রাষ্ট্রের তত্ত্বগত ধারণার বাস্তব প্রতিনিধি হল সরকার।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও


অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • Class: 6 To 10 Assignment Answer Link

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

১০ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর


উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট
বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/



Leave a Comment