মরু অঞ্চলে সৃষ্ট দৃষ্টিভ্রমের কারণ ব্যাখ্যা করণ।, প্রতিসরণ ও প্রতিসরণের সূত্র ব্যাখ্যা করতে পারবে, প্রতিসরণাঙ্ক ব্যাখ্যা করতে পারবে, পূর্ণ আভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ব্যাখ্যা করতে পারবে

শ্রেণি: ১০ম ভোকেশনাল দাখিল 2022 বিষয়: পৌরনীতি এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 1925
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ মরু অঞ্চলে সৃষ্ট দৃষ্টিভ্রমের কারণ ব্যাখ্যা করণ।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • প্রতিসরণ ও প্রতিসরণের সূত্র ব্যাখ্যা করতে পারবে,
  • প্রতিসরণাঙ্ক ব্যাখ্যা করতে পারবে,
  • পূর্ণ আভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ব্যাখ্যা করতে পারবে,

নির্দেশনা :  

  • প্রতিসরণের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • প্রতিসরণাঙ্কের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • পূর্ণ আভ্যন্তরীণ প্রতিফলন এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • মরীচিকার ঘটনা ব্যাখ্যা করতে হবে,

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • প্রতিসরণের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,

আলোকরশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে যাওয়ার সময় মাধ্যমদ্বয়ের বিভেদ তলে তির্যকভাবে আপতিত আলোকরশ্মির দিক পরিবর্তন করার ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।

main qimg 92408f96104bffe467a2ca7fa168d8c3

চিত্র : উইকিপিডিয়া

আলোকরশ্মি বিভেদ তলের যে বিন্দুতে আপতিত হয়ে দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ করে সে বিন্দুকে আপতন বিন্দু বলে। আপতন বিন্দুতে বিভেদ তলের উপর অঙ্কিত লম্বকে অভিলম্ব বলে। আলোকরশ্মি আলোর সাপেক্ষে হালকা মাধ্যম (বায়ু) থেকে আলোর সাপেক্ষে ঘন মাধ্যম (পানি) এ প্রবেশ করলে অভিলম্বের দিকে সরে যায়, আবার ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশ করলে অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়।

চিত্রে X মাধ্যম থেকে Y মাধ্যমে আলোকরশ্মি আপতিত হচ্ছে যেখানে, AO আপতিত রশ্মি, OB প্রতিসরিত রশ্মি, ROR’ অভিলম্ব, AOR আপতন কোণ এবং BOR’ প্রতিসরণ কোণ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • প্রতিসরণাঙ্কের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,

প্রতিসরাঙ্ক নির্দেশ করে কোনো উপাদানের মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মি অতিবাহিত হওয়ার সময় কতটা প্রতিসরিত হয় বা আলোর পথ কতটা বেঁকে যায়। ছবির ক্ষেত্রে n (ইটা) হলো প্রতিসরণাঙ্ক। এখানে a এর সাপেক্ষে b এর প্রতিসরণাঙ্ককে বোঝানো হয়েছে। যার মান হলো a মাধ্যম ও b মাধ্যমের আলোর বেগের অনুপাতের সমান।

main qimg e56c340782373e3ab77e9af4beb1bf14 lq

দেখা যায়, কোণের বিবেচনায়, মাধ্যম পরিবর্তনে (হালকা থেকে ঘন মাধ্যমে), হালকা মাধ্যম থেকে আপতিত কোণের চেয়ে ঘন মাধ্যের প্রতিসরিত কোণটি কমে যায় বা হ্রাস পায়। এখানে, স্নেলের একটি সূত্র প্রযোজ্য।

আপতন কোণের sin অনুপাত÷ প্রতিসরণ কোণের sin অনুপাত একটি ধ্রুব মান বজায় রাখে।

main qimg b8d24271b1641a8236f751a1e4f0107a lq

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • পূর্ণ আভ্যন্তরীণ প্রতিফলন এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,

আলোকরশ্মি যখন ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে ক্রান্তি কোণের এর চেয়ে বড় মানের কোণে আপতিত হয় তখন প্রতিসরণের পরিবর্তে আলোকরশ্মি সম্পূর্ণরূপে ঘন মাধ্যমের অভ্যন্তরে প্রতিফলনের সূত্রানুযায়ী প্রতিফলিত হয়। এই ঘটনাকে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন বলে।

ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসৃত হওয়ার সময় আলােকরশ্মি দুই মাধ্যমের বিভেদতলে মাধ্যম দুটির সংকট কোণ অপেক্ষা বেশি কোণে আপতিত হলে আপতিত আলােকরশ্মির প্রায় সবটুকু অংশই বিভেদতল থেকে প্রতিফলিত হয়ে পুনরায় ঘন মাধ্যমে ফিরে আসে। এই আলােকীয় ঘটনাকেই অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন বলা হয়।

চিত্রে ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমের বিভেদতলে (যেমন— জল থেকে বায়ু) আপতিত আলােকরশ্মির এবং প্রতিসরণের পর তার গতিপথ দেখানাে হয়েছে।

প্রথমক্ষেত্রে , রশ্মিটি সংকট কো (θ) অপেক্ষা কম কোণে বিভেদতলে আপতিত হয় এবং প্রতিসরণের সাধারণ নিয়ম অনুসারে , প্রতিসৃত হওয়ার পর অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায় অর্থাৎ , আপতন কোণ অপেক্ষা প্রতিসরণ কোণ বড়াে হয় ( i < r )।

আপতন কোণ বৃদ্ধি পেয়ে যখন একটি বিশেষ মানে পৌছােয় অর্থাৎ , মাধ্যমদ্বয়ের সংকট কোণের সমান ( i = θ) হয় , তখন প্রতিসৃত রশ্মিটি বিভেদতল ঘেঁষে বের হয়। এই অবস্থায় প্রতিসরণ কোণের মান সর্বোচ্চ( 90 °) হয়। আপতন কোণের মান সংকট কোণ অপেক্ষা বেশি হলে ( i > θ) রশ্মিটি আর প্রতিসৃত হওয়ার সুযােগ পায় না। সাধারণ প্রতিফলনের নিয়ম অনুসারে, বিভেদতল থেকে প্রতিফলিত হয় এবং আপতিত রশ্মির প্রায় সবটুকু অংশই প্রথম মাধ্যমে ( ঘন মাধ্যমে ) ফিরে আসে । এই বিশেষ আলােকীয় ঘটনাটিকেই অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন বলা হয়।

পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন সংঘটিত হতে প্রধানত দুটি শর্ত রয়েছে, যথা:

  • আলোকরশ্মিকে অবশ্যই ঘন মাধ্যম থেকে ঘন ও তুলনামূলক হালকা মাধ্যমের বিভেদ তলে আপতিত হতে হবে।
  • আপতন কোণ ক্রান্তি বা সংকট কোণের চেয়ে বড় হতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • মরীচিকার ঘটনা ব্যাখ্যা করতে হবে,

মরীচিকা হচ্ছে একটি দৃষ্টিভ্রম ঘটনা যা আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ফল। 

আলোকরশ্মি যখন ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন প্রতিসরণের দরুণ অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়। এই সরনের মান যখন ক্রান্তি কোণের চেয়ে বড় মানের কোণে বিভেদতলে আপতিত হয় তখন প্রতিসরিত না হয়ে প্রথম মাধ্যমেই ফিরে আসে একে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন বলে।

মরুভূমিতে দিনের বেলায় দেখা যায় এই মরীচিকা। এটা আসলে এক রকমের দৃষ্টিভ্রম। মরুভূমিতে পথিকদের কাছে মনে হয় তার সামনেই অল্প দূরত্বে পানি রয়েছে। কিন্তু সামনে গেলেই দেখা যায় যে সেখানে আসলে কোন পানি নেই। পথিক কখনোই সেই পানির কাছে পৌঁছাতে পারে না কারন এটি একটি আলোকীয় ঘটনা মাত্র।

কারন ব্যাখ্যাঃ পিচ ঢালা রাজপথ বা মরুভূমিতে দিনে সূর্যের আলো ও তাপে বায়ু উত্তপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু মাটি থেকে উপরের দিকে এই গরম কমতে থাকে ফলে বাতাসে হালকা ও ঘন বাতাসের লেয়ার তৈরি হয়।

ধরি, দূরে কোন গাছ A থেকে আলোকরশ্মি পথিকের চোখে আসার সময় এই ভিন্ন ভিন্ন ঘনতর মাধ্যম থেকে লঘুতর মাধ্যমে প্রবেশ করতে করতে আসে এবং প্রতিটি ঘনত্বের লেয়ারে আলো আপতিত হয়ে প্রতিসরিত হতে হতে আসে, ফলে বাতাসের মধ্য দিয়ে আসা প্রতিসরিত রশ্মিটি তার অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। এভাবে বাঁকতে বাঁকতে একসময় এমন একটা স্তরে আসে যখন আপতণ কোণ ক্রান্তি কোণের চেয়ে বড় হয়ে যায়।

এইসময় আলোক রশ্মির প্রতিসরণ না হয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটবে এবং আলোকরশ্মি উপরের দিকে উঠে বাঁকা পথে পথিকের চোখে পৌঁছাবে। এখন এই রশ্মিকে যদি পেছনের দিকে বাড়ানো হয় তাহলে মনে হবে যে সেটি B বিন্দু থেকে আসছে। ফলে B অবস্থানে তার উল্টা বিম্ব দেখা যাবে।

এইভাবে আকাশ বা দূরবর্তী গাছপালা, ঘরবাড়ি সবকিছুরই উল্টা বিম্ব দেখা যাবে। আবার বড় পরিসরের বাতাস প্রবাহমান থাকায় গরম ও ঘনত্ব ভিন্ন ভিন্ন থাকে এবং প্রতিটি লেয়ার থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিসরিত আলোক রশ্মি একই সাথে চোখে পৌছায়। ফলে একটি কম্পনমান দৃশ্য অনুভত হয়।

মনে হবে পানির ঢেউ হচ্ছে কিন্তু পথিকের চোখ আলোর এই ঘটনা ধরতে পারে না। তার কাছে মনে হয় যেন ভূপৃষ্ঠ বা পানির উপর থেকে আলোর প্রতিফলন হচ্ছে। সে মনে করবে যে সামনে কোন জলাশয় আছে এবং তাতে প্রতিফলন হচ্ছে। পথিকের কাছে জলাশয়ের দূরত্ব সবসময় একই মনে হবে। এই দূরত্ব নির্ভর করবে ভূপৃষ্ঠ থেকে পথিকের চোখের উচ্চতার উপর। আর এভাবেই ঘটে মরীচিকা সৃষ্টির ঘটনা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment