মদিনার সনদ, যুদ্ধ ও শান্তি নীতি, হযরত মুহাম্মদ (স.) এর কৃতিত্ব ও সংস্কারসমূহ,মদিনা সনদের গুরুত্ব ও প্রকৃতি,যুদ্ধ ও শান্তি নীতি,রাসূল (স.) এর কৃতিত্ব,হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সংস্কার

শ্রেণি: দাখিল /SSC/ 2022 বিষয়:ইসলামের ইতিহাস এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2022
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ109
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ মদিনার সনদ, যুদ্ধ ও শান্তি নীতি, হযরত মুহাম্মদ (স.) এর কৃতিত্ব ও সংস্কারসমূহ।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  •  দ্বিতীয় অধ্যায়: হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনা জীবন। 
  • ১. মদিনা সনদের বর্ণনা করতে পারবে। 
  • ২. মদিনা সনদের গুরুত্ব লিখতে পারবে 
  • ৩. যুদ্ধ ও শান্তি নীতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবে | 
  • ৪, আল্লাহর রাসূল (স.) এর কৃতিত্ত্ব মূল্যায়ন করতে পারবে | 
  • 5. রাসূল (স.) এর সংস্কারসমূহের বর্ণনা দিতে পারবে 

নির্দেশনা :  

  • মদিনা সনদের গুরুত্ব ও প্রকৃতি
  • যুদ্ধ ও শান্তি নীতি
  • রাসূল (স.) এর কৃতিত্ব
  • হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সংস্কার

  • মদিনা সনদের গুরুত্ব ও প্রকৃতি

উত্তর:

ইসলাম সব মানুষের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। ইসলাম কখনোই অনর্থক দ্বন্দ্ব-সংঘাতকে সমর্থন করে না। তাই শান্তির দূত রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের মুসলমান, ইহুদি, পৌত্তলিকসহ নানা ধর্মের ও নানা বর্ণের লোকদের নিয়ে একটি সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেন, যা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার মানবিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ইতিহাসে এটি মদিনা সনদ নামে পরিচিত। এটি একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। এ চুক্তির নানামুখী উদ্দেশ্যের মধ্যে একটি ছিল যুদ্ধের পরিবর্তে পরস্পরের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। এ চুক্তির আরও উদ্দেশ্য ছিল অত্যাচারিত-নিপীড়িতকে সাহায্য করা এবং চুক্তিভুক্ত সব পক্ষের মান-মর্যাদা ও ধর্মবিশ্বাসের অধিকার সংরক্ষণ করা। ইসলাম যে শান্তি চায়, তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো এই মদিনা সনদ।
‘মদিনা সনদ’ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জীবনে বিরাট পরিবর্তন সাধন করে। এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নৈরাজ্য, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে যুদ্ধবাজ গোত্রগুলোর মধ্যে সংঘাতের পরিবর্তে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধন।
মদিনা সনদে সর্বমোট ৬১টি ধারা-উপধারা রয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো ছিল এ রকম:
কুরাইশ ও ইয়াসরিবের(মাদিনা) মুমিন মুসলিমরা ও যারা তাদের অনুগামী হয়ে তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে এবং তাদের সঙ্গে মিলে দেশের প্রতিরক্ষা করবে, তাদের মধ্যে তারা অভিন্ন একটি জাতি বলে পরিগণিত হবে। কুরাইশদের মধ্য থেকে যারা মুহাজির, তারা তাদের পূর্বাবস্থায় বহাল থাকবে; তারা মুমিনদের সঙ্গে ন্যায়সংগত আচরণ করবে। বনু আওফ, বনু হারেস (বনু খাযরাজ), বনু সায়েদাহ, বনু জুশাম, বনু নাজ্জার, বনু আমর ইবন আওফ, বনু নাবিত, বনু আওস—সবাই তাদের মধ্যে বিদ্যমান পূর্ব দায় আদায় করবে এবং সব সম্প্রদায় নিজ নিজ পণ স্বেচ্ছায় প্রদান করবে এবং মুমিনদের সঙ্গে ন্যায়সংগত আচরণ করবে।

  • যুদ্ধ ও শান্তি নীতি

উত্তর:

হজরত মুহাম্মদ সা: মদিনা ও পাশের অঞ্চলগুলোর মুসলমান, ইহুদি ও পৌত্তলিকদের নিয়ে একটি সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। তদানুসারে এ তিন সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক সনদ স্বাক্ষরিত হয়। এটি ‘মদিনার সনদ’ নামে পরিচিত। এ সনদে ৪৭টি শর্ত ছিল। এর প্রধান শর্তগুলো তুলে ধরা হলো- মদিনার সনদে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়গুলো একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে। যদি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী কোনো সম্প্রদায় বাইরের শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়, তা হলে তাদের মিলিত শক্তি দিয়ে সে আক্রমণকে প্রতিহত করবে। কেউ কুরাইশদের সাথে কোনো প্রকার গোপন সন্ধি করতে পারবে না, কিংবা মদিনাবাসীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের সাহায্য করবে না। মুসলমান, ইহুদি ও অন্যান্য সম্প্রদায় নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে, কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে। সে জন্য অপরাধীর সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না। সর্বপ্রকার পাপ ও অপরাধকে ঘৃণা করতে হবে। কোনোক্রমেই পাপী ও অপরাধী ব্যক্তিকে রেহাই দেয়া যাবে না। দুর্বল ও অসহায়কে রক্ষা ও সাহায্য করতে হবে। এখন থেকে মদিনায় রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করা হলো। আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ সা: প্রজাতন্ত্রের সভাপতি হবেন এবং পদাধিকারবলে তিনি সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বময় কর্তা হবেন। মদিনায় কোনো মুসলমান, অমুসলমান কিংবা ইহুদি তার বিনা অনুমতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করতে অথবা সামরিক অভিযানে যেতে পারবে না। কোনো মতানৈক্য ও বিরোধ দেখা দিলে তা বিচারের জন্য আল্লাহর রাসূলের কাছে পেশ করতে হবে।

মদিনার সনদ হজরত মুহাম্মদ সা:-এর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, কূটনৈতিক দূরদর্শিতা ও অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় বহন করে। তার প্রণীত সনদ নাগরিক সাম্যের মহান নীতি, আইনের শাসন, ধর্মের স্বাধীনতা ও ধর্মীয়সহিষ্ণুতা ঘোষণা করে। তাই একে ইসলামের ‘মহাসনদ’ বলা হয়। মদিনার সনদে সব সম্প্রদায়ের শুভেচ্ছা ও সহযোগিতার প্রয়োজনকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। গোত্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিলুপ্ত না করে প্রত্যেকের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ণ রেখে এ সনদ উদারতার ভিত্তিতে একটি বৃহত্তর জাতি গঠনের পথ উন্মুক্ত করে। এ সনদের দ্বারা আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করা হয়। রাষ্ট্র ও ধর্মের সহাবস্থানের ফলে ঐশীতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বস্তুত মদিনা সনদ ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বীজ বপন করে। ঐতিহাসিক বার্নার্ড লুইসের মতে, এ দ্বৈত সনদ (ধর্ম ও রাজনীতি) তখন আরবে অপরিহার্য ছিল। সে সময়ে রাষ্ট্রব্যবস্থার মাধ্যম ছাড়া ধর্ম সংগঠিত হওয়ার উপায় ছিল না। রাজনৈতিক দিক থেকে পশ্চাৎপদ আরবদের কাছে ধর্ম ছাড়া রাষ্ট্রের মূলভিত্তি গ্রহণীয়ও হতো না। অধ্যাপক হিট্টি বলেন, ‘পরবর্তীকালের বৃহত্তর ইসলামী রাষ্ট্রের ভিত্তিমূল ছিল মদিনার প্রজাতন্ত্র।’

মদিনার সনদের দ্বারা হজরতের ওপর মদিনার শাসনতান্ত্রিক কর্তৃত্ব অর্পিত হয়। কুরাইশদের বিরুদ্ধে ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে এটি তার ক্ষমতা ও মর্যাদাকে যথেষ্ট বৃদ্ধি করে। সনদের শর্ত ভঙ্গ করার অপরাধে নবী করিম সা: ইহুদিদের মদিনা থেকে বহিষ্কৃত করেন। এ সনদে সংঘর্ষ-বিক্ষুব্ধ মদিনার পুনর্গঠনে মুহাম্মদ সা:-এর পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত আরব জাহানকে একতাবদ্ধ করার একটি মহৎ পরিকল্পনাও এতে ছিল। মদিনা সনদ দ্বারা এটিও প্রমাণিত হয়, মুহাম্মদ সা: একজন শ্রেষ্ঠ রাজনীতিজ্ঞও ছিলেন।

  • রাসূল (স.) এর কৃতিত্ব

উত্তর:

ভ্রাতৃসংঘ ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা ঃ ‘মদিনা সনদ’ মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়কে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে হিংসাদ্বেষ ও কলহের অবসান করে এবং বিপদে সবাই এক- এ নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে। মুসলিম ও অন্যদের সাথে সকল প্রকার পার্থক্য নিরসনে এর কার্যকারিতা ধারাগুলোর দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা ঃ সে সময় আরবের মানুষদের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক ঐক্য ছিল না। রাসূলুল্লাহ (সা.) মদিনায় হিজরতের পর জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে রক্তের ভিত্তির স্থলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মদিনাবাসীর মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপিত হয়। একমাত্র রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রণীত মদিনা সনদই মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সবার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও উদারতা ঃ হযরত মুহাম্মদ (সা.) ধর্মীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর প্রণীত মদিনা সনদ মুসলিম অ মুসলিম নির্বিশেষে সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। মদিনার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা পরস্পরের ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।”- এ শর্ত দ্বারা হযরত মুহাম্মদ (সা.) যে মহানুভবতা ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার পরিচয় দেন তা বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

মসজিদে নববী নির্মাণ ঃ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আগমনের পূর্বে মদিনায় কোনো মসজিদ বা মুসলিমদের সালাত পড়ার সুনির্দিষ্ট কোনো স্থান ছিল না। তিনি মদিনায় আগমনের পর সে স্থানটিই মসজিদের জন্য ক্রয় করে দেন, যেখানে তাঁর উষ্ট্রী বসে পড়েছিল। কাঁচা ইটের প্রাচীর, খেজুর গাছের খুঁটি এবং খেজুর শাখার ছাদ দিয়ে মসজিদ নির্মিত হলো। মসজিদ সংলগ্ন স্থানে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর স্ত্রীদের জন্যও কক্ষ তৈরি করা হয়েছিল। এ মসজিদ নির্মাণে সাহাবীগণ কায়িক শ্রম দান করেন, যাতে মহানবী (সা.) নিজেও অংশগ্রহণ করেছিলেন।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ঃ সে কালের মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের কোনো ধারণাই ছিল না। মদিনা সনদ গোত্রপ্রথার বিলোপ সাধন করে ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধের ভিত্তিতে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর সমাজ ও ধর্মীয় অনুশীলন পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে। ফলে আদর্শ গণতন্ত্রের ভিত প্রোথিত হয়। ঐতিহাসিক পি.কে.হিট্টি বলেন, “মদিনা প্রজাতন্ত্রই পরবর্তীকালে বৃহত্তর ইসলামী সাম্রাজ্যে পরিণত হয়।” স্বৈরাচারী শাসন অথবা শেখতন্ত্রের পরিবর্তে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব নবপ্রতিষ্ঠিত ইসলামী প্রজাতন্ত্রে স্বীকৃতি লাভ করে। ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “মদিনা সনদের মাধ্যমে সত্যিকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হয়। সমাজের সকল সদস্য একের প্রতি অন্যের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে অবগতি লাভ করে। ফলে তারা একটি নতুন সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।”

ধর্মীয় উদারতা ঃ মদিনা সনদ মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সব মানুষকে পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং নির্বিঘ্নে যার যার ধর্ম পালনের নিশ্চিয়তা বিধান করে। মদিনার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা একে অপরের ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে নামহানবী (সা.) এ শর্ত দ্বারা যে মহানুভবতা ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার পরিচয় দেন, তা বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল। সর্বগুণে গুণান্বিত, সর্বশ্রেষ্ঠ যুগান্তকারী এ মহাপুরুষ বিশ্বে ধর্ম ও রাজনীতির সমন্বয়ে যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, উত্তরকালে তা বিশাল ইসলামী সাম্রাজ্যের রূপ পরিগ্রহ করে। প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ঃ মহানবী (সা.) তৎকালীন বিশ্বে ধর্ম ও রাজনীতির সমন্বয়ে যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, উত্তরকালে তা বিশাল ইসলামী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে। পি.কে.হিট্টি যথার্থই বলেছেন, “মদিনা প্রজাতন্ত্রই পরবর্তীকালে বিপুল বিস্তৃত ইসলামী সাম্রাজ্যের ভিত্তিমূল স্থাপন করে।” মদিনায় সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রবর্তন

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ঃ মদিনায় মহানবী (সা.) ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য সীমারেখা ছিন্ন করে সমতা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে এক উন্নত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। রাসূল (সা.) মুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করার চেষ্টা করতে লাগলেন। তিনি আনসার এবং মুহাজিরদের মধ্যে পারস্পরি বন্ধুত্ব চুক্তি সম্পাদন করলেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, প্রত্যেক আনসারের একজন করে মুহাজির বন্ধু থাকবে এবং প্রত্যেক মুহাজিরের একজন করে আনসার বন্ধু থাকবে। এরা একে অন্যের তত্ত্বাবধান করবে এবং পরস্পরের সুখ-দুঃখে অংশ নেবে। এভাবে মুসলিমদের জন্য নিবিড় ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি হলো।

  • হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সংস্কার

উত্তর:

১. হযরত সালমান ফারেসী ইসলাম গ্রহণ ঃ এ বছর হযরত সালমান ফারেসী এবং ইহুদি ধর্মবিশারদ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম মুসলিম হন। এ বছরই হযরত আবু উমামা ও আসাদ ইবনে যোরারা ইন্তেকাল করেন।

২. সালাতের বিধান পরিবর্তন ঃ সালাত নবুয়তের প্রথম দিকেই ফরয হয়েছিল, যা সকাল সন্ধ্যায় দু’রাকাত করে পড়া হতো। মেরাজের মাধ্যমে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয হয়। জুমুআ অবশ্য মক্কায় ফরয হয়েছিল, কিন্তু আদায় করার সুযোগ হয়নি। মদিনায় এসে যথারীতি জুমুআার জামায়াত পড়াও আরম্ভ হয়।

৩. জেহাদের নির্দেশ ঃ পূর্বে জিহাদের নির্দেশ ছিল না। প্রথম হিজরীর রমযান মাসে মুসলিমদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ হয়।

৪. আযান প্রবর্তন ঃ মদিনায় মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হবার পর নির্ধারিত সময়ে প্রকাশ্যে সালাতের আহবানের জন্য হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করেন। কেউ ঘণ্টাধনি, কেউ শিঙ্গা বাজানো আবার কেউ আগুন জ্বালাবার প্রস্তাব দিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) এগুলো কোনোটিই পছন্দ করলেন না। তিনি হযরত বিলালকে নামাযের জন্য (বর্তমান প্রচলিত বাক্যগুলোর দ্বারা) উচ্চঃস্বরে আহবান করতে বলেন। সেই থেকে বর্তমান আযান পদ্ধতি চালু হয়।

৫. কিবলা পবির্তন ও জিহাদের নির্দেশ ঃ হিজরী দ্বিতীয় সালে ইসলামের ইতিহাসে দু’টি বিরাট ঘটনার সূত্রপাত হয়। তার একটি হচ্ছে মুসলিম জাহানের জন্য নিজস্ব কিবলা নির্ধারণ, যা আজও প্রায় দেড়শ কোটি মানুষের অন্তরের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিগণিত। তখন থেকেই ইসলামের শত্রুরা তাঁর বিরোধিতার জন্য তরবারি ধারণ করে এবং মুসলিমগণ তা প্রতিহত করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। উবাই ইবনে কাব (রা) বলেন, “যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সহচরগণ মদিনায় আসেন এবং আনসারগণ তাঁদের আশ্রয় দেন তখন সমগ্র আরব একযোগে তাঁদের সাথে যুদ্ধ করতে উদ্যত হয়।” তখন জিহাদের নির্দেশ সংবলিত আয়াত অবতীর্ণ হয়- “যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসবে, আল্লাহর পথে তাদের সাথে যুদ্ধ কর।” (সূরা বাকার-১৯০)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও


অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • Class: 6 To 10 Assignment Answer Link

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

১০ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/



Leave a Comment