বীমা বলতে কী বোঝায়? বাজি চুক্তি ও বীমা চুক্তির মধ্যে পার্থক্য লিখ

বীমা কি

প্রযুক্তিগত ভাষায়, এটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একধরণের যাতে বিমাপ্রাপ্ত সত্তা সামান্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে সম্ভাব্য ক্ষতির ব্যয় অন্য সত্তায় স্থানান্তর করে। এই ক্ষতিপূরণ হিসাবে বলা হয়প্রিমিয়াম।

সহজ কথায় বলতে গেলে, এটি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করার জন্য সত্তাকে একক অঙ্কের অর্থ প্রদানের মতো। সুতরাং, যখন কোনও দুর্ভাগ্যের কোনও ঘটনা ঘটে, তখন বীমাকারী আপনাকে পরিস্থিতিটি পেতে সহায়তা করে।

বীমাচুক্তি ও বাজি চুক্তির মধ্যে পার্থক্য

বীমাচুক্তি ও বাজি চুিক্ত এক নয়। এ দু চুক্তির মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। নিæে বীমা চুক্তিও বাজি চুক্তির মধ্যে
পার্থক্য দেখান হলো ঃ

১. এক পক্ষ অন্যপক্ষকে কিস্তিতে বা এক কালিন নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে তার ঝুুঁকিকে হস্তান্তর করে এর
ফলে অন্য পক্ষ ১ম পক্ষের ক্ষতি হলে ক্ষতি পূরণ করার প্রতিশ্র“তিবদ্ধ হয়ে যে চুক্তিতে আবদ্ধ হয় তাকে বীমা চুক্তি বলে। পক্ষান্তরে ভবিষ্যতে কোন ঘটনা ঘটা বা না ঘটার ফলে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের যে চুক্তি বদ্ধ হয় তাকে বাজি চুক্তি বলে।

২. বীমা চুক্তি আইনত বৈধ কিন্তু বাজি চুক্তি আইনত অবৈধ।

৩. বীমার ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর উপর এক পক্ষের আর্থিক স্বার্থ জড়িত থাকে। কিন্তু বাজির ক্ষেত্রে বাজির বিষয়ের উপর উভয় পক্ষের আর্থিক সম্পর্ক জড়িত থাকে।

৪. প্রতিদান ঃ বীমা চুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিদান প্রয়োজন। কিন্তু বাজির ক্ষেত্রে কোন বৈধ প্রতিদান থাকে না।

৫. বীমার উদ্দেশ্য হলো সম্ভাব্য দায় বা ঝুঁকি এড়ান। কিন্তু বাজির ক্ষেত্রে জুয়া খেলা ব্যতিত কোন উদ্দেশ্য থাকে না।

৬. বীমা চুক্তি চূড়ান্ত বিশ্বাসের চুক্তি, পক্ষান্তরে বাজি চুক্তি জুয়া খেলা বা ফাঁকি বাজির চুক্তি।

৭. বীমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি পক্ষান্তর বাজির ক্ষেত্রে ক্ষতি পূরণের কোন বিধান নেই।

H.S.C

3 thoughts on “বীমা বলতে কী বোঝায়? বাজি চুক্তি ও বীমা চুক্তির মধ্যে পার্থক্য লিখ”

Leave a Comment