বিয়ের আগে নিম্নোক্ত বিষয়ে অবশ্যই খুঁজে নিন

একটা অনুরোধ করি। আপনি অথবা আপনার ভাই/বোনের বিয়ের চিন্তা করলে অপর পক্ষের লোকজন তাবিজ-কবচ ইত্যাদি ব্যবহার করে কিনা, তান্ত্রিক, বাবা, জ্বিন-হুজুর বা এজাতীয় ব্যাক্তিদের নিকট যায় কিনা এটা অবশ্যই খোঁজ নিবেন। সময় থাকতে এসব লোকদের বর্জন করুন। সামান্য কিছু হলেই জ্বিন-হুজুর, কবিরাজ আর তাবিজের পেছনে দৌড়ায় এমন লোকদের কয়েকটা ঘটনা বলিঃ

১) জামাই বউয়ের সুখের সংসার। ছেলে বিয়ের পরে বউ পাগল বলে সবাই কথা শুনায় চারদিকে। সংসারের অন্যদের এসব সহ্য হচ্ছেনা৷ এত বউ পাগল হলে কি হয়! যাদু করে বশ করলে ছেলে বউপাগল হবেনা আর, তখন মা আর ভাইবোনের পাগল হবে৷ বিছানা বালিশের চিপায় তাবিজ, কাপড়ের কোণা কেটে নেয়া, ব্যবহার করার জিনিসপত্র কেউ চুরি করে নিচ্ছে ইত্যাদি৷

ফলাফলঃ সংসারে অশান্তি। বউকে দেখতে পারেনা। ওয়ার্স্ট কেইসে বউ বাপের বাড়ি দীর্ঘদিন, এককালের বউপাগল লোকটা একবার কল দিয়েও খোঁজ নেয়না৷ পরিবারের লোকজন ডিভোর্সের চিন্তা করছে।

২) একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বিবাহ করার পরে সংসারের খরচ দেয়া কমিয়ে দিলেন৷ পরিবারের কেউই বিষয়টা ভালোভাবে নিচ্ছে না৷ কবিরাজের মুরিদ এই লোকগুলো মনে করতে থাকে জমি লিখিয়ে নেয়া দরকার, টাকা দরকার যা যা দরকার এগুলো করিয়ে নেয়া যাবে বশ(যাদু) করে। কিছু জিনিস খাওয়াতে হবে, একটা মুরগি একদামে কিনে এনে বাবাকে দিতে হবে। তারপর বাবা মন্ত্র পড়ে এক কোপে মুরগির মাথাটা আলাদা করে দিবে। তারপর এই মুরগির রক্ত দিয়ে একটা তাবিজ লেখবে৷ মুরগির মাথাটা ডুবিয়ে এক গ্লাস পানি দিবে এটা খাওয়াতে হবে বিবাহিত লোকটাকে। এতেই বশ হয়ে যাবে৷ সহজ হিসাব, ঈমান বিক্রি করে চিরস্থায়ী অশান্তি কিনে নিল লোকগুলো।

ফলাফলঃ লোকটা বউকে দেখতে পারছেনা৷ সম্পত্তি যা ছিল সব অন্যদের লিখে দিয়েছেন৷ কিছুদিন পরপর স্ট্রোক করছে, ক্যান্সার ধরা পড়েছে…

৩) বাসার মেয়েটা প্রেম করে আরেক বখাটে ছেলের সাথে। কোনমতেই মানছে না। তখন মেয়ের বাবা এক হুজুর থেকে পানিপড়া,তাবিজ আনলেন। তাবিজ ভিজিয়ে পানিটা খাওয়াতে হবে ৭ দিন। এতে মেয়েটা মা বাবার বশ হয়ে যাবে আর ওই বখাটে ছেলেকে ভুলে যাবে। সহজ কাজ৷ অথচ এটা একপ্রকার যাদু তিনি জানলেনও না৷ নিজেই নিজের মেয়েকে যাদু করে বসে আছেন।

ফলাফলঃ মেয়ে বশ হয়, তবে কিছুদিন পরপরই তাবিজ, পানিপড়া আনতে হয়। হুজুরের পার্মানেন্ট ইনকামের সোর্স তৈরি হয়।
মেয়েটাও আর আগের মত স্বাভাবিক নেই৷ কেমন জানি হয়ে গেছে! সারাক্ষণ একা একা থাকে।

৪) মেয়ের বাপের বাড়ির সবাই কবিরাজের অন্ধভক্ত। সবাই খোঁজ খবর নিচ্ছে মেয়ে কেমন আছে বিয়ের পর৷ হঠাৎ একদিন মেয়ে মাকে কল দিয়ে জানাল জামাইর সাথে ঝগড়া হয়েছে। কথা শুনতে চাচ্ছেনা। মেয়ের মা শুনে বললেন, জামাই শুনবে তার বাপও শুনবে৷ দেখ কি করি! পরদিনই মহিলা মেয়ের বাড়িতে হাজির৷ কয়েকদিন থাকলেন৷ তারপর চলে গেলেন। এভাবে কিছুদিন পরপর আসেন, কয়েকদিন থেকে চলে যান৷
কবিরাজের দেয়া সবকিছু যথাযথভাবে সাপ্লাই করেছেন মেয়ের বাড়িতে।

ফলাফলঃ মেয়ে মায়ের কথামতো সবকিছু জামাইকে খাইয়েছে। জামাই এখন হাতের মুঠোয়। কিন্তু কোথায় জানি কিসের কমতি! আন্তরিকতা, ভালোবাসা ন্যাচারালি যেটা হয় এগুলো যাদু করে আনা যায়নি! এখন কিছুদিন পরপরই জামাই রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে চলে যায়। বাসায় খুব অশান্ত লাগে নিজেকে৷ কিন্তু কয়েকদিন বাইরে থাকার পর আবার বাসায় গিয়ে দেখেন শাশুড়ী এসেছেন। (রাফায়েল হাসান ভাই থেকে)

Leave a Comment