বিবাহবার্ষিকী পালন করা কি জায়েজ?,ইসলামে বিবাহ বার্ষিকী পালন করা কি হারাম?,জন্মদিন-বিবাহবার্ষিকী ইসলাম মোতাবেক পালন করা যাবে কী?

বিবাহবার্ষিকী পালন করা কি জায়েজ?,ইসলামে বিবাহ বার্ষিকী পালন করা কি হারাম?,জন্মদিন-বিবাহবার্ষিকী ইসলাম মোতাবেক পালন করা যাবে কী?

আপনার জন্য: আল কোরআনের অনুবাদ ও প্রতিটি সূরার ফজিলত ও তরজমা

জন্মদিন কিংবা বিবাহ বার্ষিকীতে আমল-ইবাদত করা যাবে কিনা- এ নিয়ে অনেকের মাঝে প্রশ্ন থাকে। অনেকে প্রশ্ন করেন, নিজের বা স্ত্রী-সন্তানের জন্মদিন পালন অথবা বিবাহবার্ষিকী উদযাপনের সময় গরিবদের খাদ্য বিতরণ, দান-সাদকা, নফল নামাজ ও উপহার বিনিময় করে তাহলে এসব কী ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী ভালো কাজ বা বৈধ হবে?

ভারতের দ্বীনি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ অনলাইনে ফতোয়া বিভাগে এ বিষয়ে ফতোয়া দিয়েছেন। ফতোয়া মোতাবেক, ইসলামি শরিয়তে এসবের কোনো স্থান নেই। কেননা, জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী পালন করা পশ্চিমা প্রচলন, যা ইহুদি-খ্রিস্টানদের থেকে চলে আসা প্রচলন।

আরও বলা হয়েছে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তার সাহাবাদের সন্তান জন্ম নিয়েছে। তারাও বিয়ে করেছেন। কিন্তু হাদিস বা ইসলামের কোনো ইতিহাসের বর্ণনায় প্রতিবছর (তারিখ) অতিবাহিত হওয়ার সময় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাঙ্ক্ষিত কোনো দিন উদযাপনের (বিশেষ আমল-ইবাদত) বর্ণনা বা তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে গরিবদের খাওয়ানো, সাদকা দেয়া, নফল নামাজ পড়া ও কাউকে উপহার দেয়া এসব সওয়াবের কাজ। তবে এসব জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে নির্দিষ্ট দিনেই কেন করতে হবে? বরং এসব কাজ দুই/একদিন আগে বা পরে করা যেতে পারে। যেন পশ্চিমা রীতি অনুসরণ করা না হয়।

আপনার জিজ্ঞাসার ১৯৩৭তম পর্বে জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী পালন করা ইসলামে জায়েজ কি না, সে সম্পর্কে জাপান থেকে ই-মেইলে জানতে চেয়েছেন ইকবাল মাহ‌্মুদ। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : কেউ যদি আমাদের বা আমরা যদি অন্যদের জন্মদিন অথবা বিবাহবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাই মেসেজ দিয়ে, যেমন : শুভ জন্মদিন বা শুভ বিবাহবার্ষিকী, এটা কি করা যাবে? স্বামী-স্ত্রী ঘরোয়াভাবে ভালো কিছু রান্নাবান্না করে খাওয়া যাবে?

উত্তর : আসলে এই যে একটা সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করেছে, সেটা হচ্ছে শুভ জন্মদিন বা শুভ বিবাহবার্ষিকী বা এই জাতীয় বিভিন্ন পর্ব উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা, এটা কিন্তু আমাদের ইসলামী কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা এসেছে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর থেকে। এটা আমরা গ্রহণ করতে পারি না।

কারণ, আমাদের কাছে প্রতিটি দিনই খুশির দিন। যাঁরা স্বামী-স্ত্রী আছেন, তাঁদের প্রতিটি দিনই হবে খুশির দিন। এগুলো ইউরোপে হতে পারে যাঁদের বছরে একবার দেখা হয়, তাঁরা উইশ করবে, জন্মদিবস উপলক্ষে বাবা-মাকে বছরে একবার কার্ড পাঠাবে। এটা তাঁদের মধ্যে হতে পারে।

আমরা প্রতিদিনই বাবা-মাকে নিয়ে খুশি, প্রতিদিনই আমাদের জন্য খুশির দিন। আমরা এ জাতীয় কোনো সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পারি না। আমাদের স্ত্রীরা সব সময় স্বামীর জন্য খুশির কারণ, স্বামীরা সব সময় স্ত্রীদের জন্য খুশির কারণ। এটা কোনো সুনির্দিষ্ট দিনে নয়। এ জন্য বিয়ের দিন বা জন্মদিন, এ জাতীয় জিনিসগুলো পালন করা ইসলাম অনুমোদন করে না। কারণ রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যদি কোনো জাতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করে চলতে চায়, তাঁদের সংস্কৃতিতে, তাঁদের চাল-চলনে, তাহলে তাঁদের মধ্যে গণ্য হবে।’

আপনার জন্য: আল কোরআনের অনুবাদ ও প্রতিটি সূরার ফজিলত ও তরজমা

বিবাহবার্ষিকী পালন করা কি জায়েজ?,ইসলামে বিবাহ বার্ষিকী পালন করা কি হারাম?,জন্মদিন-বিবাহবার্ষিকী ইসলাম মোতাবেক পালন করা যাবে কী?

Leave a Comment