বাংলা সাহিত্য বইয়ের ‘সুভা’ গল্পে জোয়ার-ভাটার উল্লেখ আছে

পৃথিবীর বাইরের মহাকর্ষীয় শক্তির (বিশেষ করে চাঁদের) প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের জল নিয়মিত বিরতিতে ফুলে ওঠাকে জোয়ার ও নেমে যাওয়ার ঘটনাকে ভাঁটা (একত্রে জোয়ার-ভাটা) বলা হয়।

জোয়ার-ভাটার ফলে সমুদ্রে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, তাকে জোয়ার তরঙ্গ (Tidal Eaves) বলে। জোয়ারের জল উপকূলের দিকে অগ্রসর হলে জল সমতলের যে উত্থান ঘটে, তাকে জোয়ারের জলের সর্বোচ্চ সীমা (High Tide Water) এবং ভাটার জল সমুদ্রের দিকে নেমে যাওয়ার সময় জল সমতলের যে পতন ঘটে, তাকে জোয়ারের জলের সর্বনিম্ন সীমা (Low Tide Water) বলে। প্রতি 12 ঘণ্টা পরপর জোয়ার-ভাটা হয়ে থাকে ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

অর্থাৎ দিনে দুবার জোয়ার ভাটা হয়। জোয়ার ভাটার কিছু উপকারিতা রয়েছে আবার কিছু উপকারিতা রয়েছে। আমরা জানি পৃথিবীতে চাঁদের আকর্ষণ বলের কারণে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি হয় ।

জোয়ার-ভাটা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া ।জোয়ার ভাটার সাহায্যে সমুদ্রের পাশে লবণ তৈরি করা হয়। জোয়ারের পানিতে ধরে রেখে রোদে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়। আবার বন্যার সময় জোয়ারের পানির কারণে নদী ভাঙ্গনে হয়ে থাকে।

চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি নিয়মিত বিরতিতে ফুলে ওঠাকে জোয়ার ও নেমে যাওয়ার ঘটনাকে ভাটা বলে। এ ক্ষেত্রে সূর্যের চেয়ে চাঁদের আকর্ষণ বেশি। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, জোয়ার উৎপাদনের ক্ষেত্রে সূর্যের ক্ষমতা চাঁদের ক্ষমতার ৯ ভাগের ৪ ভাগ। কোনো স্থানে জোয়ার সৃষ্টির প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা সংঘটিত হয়। আবার পরপর দুটি জোয়ার বা পরপর দুটি ভাটার মধ্যে মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান হলো ১২ ঘণ্টা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

পৃথিবীর যে পাশে চাঁদ থাকে সে পাশে চাঁদ দ্বারা পৃথিবীপৃষ্ঠের সমুদ্রের পানি তার নিচের মাটি অপেক্ষা বেশি জোরে আকৃষ্ট হয়। এ কারণে চাঁদের দিকে অবস্থিত পানি বেশি ফুলে উঠে। একই সময়ে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে, সেদিকের সমুদ্রের নিচের মাটি তার ওপরের পানি অপেক্ষা চাঁদ কর্তৃক বেশি জোরে আকৃষ্ট হয়। আবার চাঁদ থেকে পানির দূরত্ব মাটি অপেক্ষা বেশি থাকায় পানির ওপর চাঁদের আকর্ষণ কম থাকে। ফলে সেখানকার পানিও ফুলে উঠে। ফলে একই সময়ে চাঁদের দিকে এবং চাঁদের বিপরীত দিকে পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি ফুলে উঠে জোয়ারের সৃষ্টি করে। অন্যদিকে পৃথিবী ও চাঁদের ঘূর্ণনের কারণে একসময় ফুলে ওঠা পানি নেমে গিয়ে ভাটার সৃষ্টি হয়।

সূর্য ও চাঁদ যখন একই সমতলে পৃথিবীর একই দিকে বা বিপরীত দিকে অবস্থান করে তখন উভয়ের আকর্ষণে সর্বাপেক্ষা উঁচু জোয়ার হয়, জোয়ারের পানি বেশি ছাপিয়ে পড়ে। এই অবস্থাকে ভরাকটাল বা উঁচু জোয়ার বলা হয়। আর পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সূর্য ও চাঁদের মধ্য কৌণিক দূরত্ব যখন এক সমকোণ পরিমাণ হয়, তখন একের আকর্ষণ অন্যের আকর্ষণ দ্বারা প্রশমিত হয়। তাই মৃদু জোয়ার হয়, যাকে মরাকটাল বলে আখ্যায়িত করা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

জোয়ার-ভাটা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।  জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানি ধরে রেখে রোদে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়। এই সময় স্রোতের অনুকূলে নদীতে নৌ চলাচলের সুবিধা হয়। জোয়ার-ভাটার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। জোয়ার-ভাটা আমাদের কিছু ক্ষতি সাধনও করে। ভাটার সময় স্রোত সমুদ্রমুখী থাকে বলে সে সময় কেউ সমুদ্রে নামলে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। আবার বন্যার সময় জোয়ারের পানির কারণে নদীভাঙন হয়ে থাকে।

জানা অজানা

Leave a Comment