বাংলা সাহিত্য কণিকা বইয়ের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধে টুঙ্গিপাড়ার উল্লেখ আছে

টুঙ্গিপাড়া হচ্ছে ঢাকা বিভাগের অধীন গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলার একটি। এ উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ আসনটি জাতীয় সংসদে ২১৭ নম্বর আসন হিসেবে চিহ্নিত।

টুঙ্গিপাড়া গোপালগঞ্জ জেলার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। এই উপজেলার ওপর দিয়ে মধুমতী ও বাঘিয়ার নদী প্রবাহিত হয়েছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আছে মাছে-ভাতে বাঙালির হরেক রকম মাছের আধার বর্ণি বাঁওড়। আরো আছে নানা রকম ফসল উৎপাদনের জন্য বিস্তীর্ণ বিল ও চরাঞ্চল। একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাত্র ১২৭.২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নামকরণে রয়েছে অভিনবত্ব।

শোনা যায়, পারস্য এলাকা থেকে আসা কতিপয় মুসলিম সাধক অত্র এলাকার প্লাবিত অঞ্চলে টং বেঁধে বসবাস করতে থাকেন এবং কালক্রমে ওই টং থেকেই নাম হয় টুঙ্গিপাড়া। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার উত্তরে রয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা সদর, দক্ষিণে ও পশ্চিমে মায়াবতী মধুমতী। মধুমতীর অপর পারে রয়েছে ধর্মীয় সাধক পুরুষ মরহুম খানজাহান আলী (র.)-এর পুণ্য ভূমি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী ও মোল্লারহাট উপজেলা। আর পূর্বে রয়েছে কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আদি তীর্থ ভূমি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলাটি ১৯৯৭ সালের ১০ জানুয়ারি পৌরসভায় রূপান্তর করা হয়। পৌরসভার আয়তন ২.৫৭ বর্গকিলোমিটার। পৌরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা ৯টি।

১৯৯৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

টুঙ্গিপাড়ার জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষিকাজ। এখানকার প্রধান ফসল ধান, পাট, সরিষা, ডাল, মিষ্টি আলু, চিনাবাদাম, সূর্যমুখী, আখ, গম, পান, শাকসবজি ইত্যাদি। উৎপাদিত ফলের মধ্যে আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, নারকেল, তাল, পেয়ারা, লেবু, লিচু অন্যতম। এ ছাড়া এই উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে মাছ, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির চাষ করা হয়।

২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী এখানকার গড় সাক্ষরতার হার ৫৬.৬ শতাংশ। এ উপজেলায় ৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৩টি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৬টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি কলেজ আছে।

চিকিৎসার জন্য আছে ৫০ শয্যার একটি সরকারি ও দুটি বেসরকারি হাসপাতাল। এ ছাড়া এখানে শেখ রাসেল দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নামের একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান আছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: Md Rakib Hossain Sojol (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Leave a Comment