বাংলা সাহিত্যপাঠ বইয়ের ‘অপরিচিতা’ গল্পে শিমুলের উল্লেখ আছে

বাংলা সাহিত্যপাঠ বইয়ের ‘অপরিচিতা’ গল্পে শিমুলের উল্লেখ আছে

শিক্ষা এইচ এস সি পরীক্ষা প্রস্তুতি

Google Adsense Ads

শিমুল Malvaceae পরিবারের অন্তর্গত একটি পাতাঝরা বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Bombax ceiba। মালয়, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ চীন, হংকং ও তাইওয়ানে ব্যাপকভাবে এ গাছের চাষ হয়। আমাদের দেশে পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ইন্দোনেশিয়া হয়ে শিমুল এসেছে। 

শিমুলগাছের উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ মিটার। অন্যান্য বৃক্ষের তুলনায় এর শাখা-প্রশাখা সংখ্যায় কম হলেও কাণ্ডের চারপাশে সুবিন্যস্ত থাকে। বৃহদাকার শিমুলগাছে অধিমূল জন্মে।

[Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]        

গাছের গায়ে কাঁটা থাকে, যার গোড়ার অংশ বেশ পুরু। গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিমুলগাছের কাঁটার সংখ্যা কমে আসে। শীতের শেষে প্রায় পুরো বসন্তে শিমুলের লাল বর্ণের ফুল ফুটে আর বৈশাখে ঝরে যায়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিমুল ফুলের লাল বর্ণ দেখে লিখেছিলেন,

‘শিমুলের কুঁড়ি

এক রাত্রে বর্ণবহ্নি জ্বলিল সমস্ত বনজুড়ি।’

বর্ণিল হলেও শিমুল ফুলের কোনো সুবাস নেই। তবে এই গাছে পাখিরা বাসা বাঁধে। শিমুলগাছের ফল মোচাকৃতি। চৈত্র বা বৈশাখ মাসে ফল ফেটে শিমুল তুলা বেরিয়ে আসে।

শিমুলগাছ থেকে তুলা পাওয়া যায় বলে একে ইংরেজিতে সিল্ক কটনও বলে। শিমুল তুলায় তৈরি বালিশ নরম ও হালকা হয় বলে অনেকে পছন্দ করে, বাজারে চাহিদাও বেশি। এই কারণে শিমুল তুলার বাজারমূল্য অন্যান্য তুলার তুলনায় বেশি। আবার শিমুল কাঠে ম্যাচের কাঠি ভালো হয়। শিমুলের ছাল ও মূলে ঔষধি গুণও রয়েছে।

শিমুলের ছাল চুর্ণ করে এক থেকে দুই গ্রাম মাত্রায় নিয়ে দুধের সঙ্গে, বিশেষ করে ছাগলের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্ত আমাশয় সেরে যায়। ফোড়া হলে শিমুলগাছের ছাল ধুয়ে বেটে ফোড়ার ওপর প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন শিমুল মূলের রস বা চূর্ণের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়।           

[Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]        

H.S.C

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *