বাংলাদেশে শেয়ার বাজারের চিত্র তুলে ধরুন এবং শিল্প পুঁজি গঠনে। শেয়ার বাজারের ভূমিকা কি হওয়া উচিত তার উপর আপনার যুক্তিসমূহ উপস্থাপন করুন।, hsc উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি ২য় পত্র ১২শ শ্রেণি ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর ২০২১, অর্থনীতি ২য় পত্র ১২শ শ্রেণি ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট hsc উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমাধান/ উত্তর ২০২১

শ্রেণি: ১২শ/ hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: অর্থনীতি ২য় পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04 বিষয় কোডঃ 2858
বিভাগ: মানবিক শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশে শেয়ার বাজারের চিত্র তুলে ধরুন এবং শিল্প পুঁজি গঠনে। শেয়ার বাজারের ভূমিকা কি হওয়া উচিত তার উপর আপনার যুক্তিসমূহ উপস্থাপন করুন।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

পুঁজি বা শেয়ার বাজার হচ্ছে স্পেকুলেশন বা ফটকা বাজার । ব্রিটেনে শিল্প বিল্পবের ফলশ্রুতিতে কারখানার মাধ্যমে বৃহৎ আকারের উৎপাদন ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য বড় ধরনের পুঁজি বিনিয়োগ অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে উঠে। এজন্য প্রয়োজন হয় নতুন ধরনের প্রতিষ্ঠানের । চার্টার বলে সপ্তদশ শতকের শেষের দিকে স্থাপিত কোম্পানিসমুহের স্থলে ১৮৬২ সালে ব্রিটিশ কোম্পানি আইন সীমাবদ্ধ দায়সম্পন্ন লিমিটেড কোম্পানির সুত্রপাতের মাধ্যমে পুঁজি বা শেয়ার বাজারের গোড়াপত্তন করে।

বাংলাদেশে ১৯৯৩ সনে ৮ জুন সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ জারির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন(এসইসি) গঠন করা হয়। সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের মূল দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে সিকিউরিটির যথার্থ ইস্যু নিশ্চিতকরণ; বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ; পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সিকিউরিটি বাজারে নিয়ন্ত্রন। বাংলাদেশে বর্তমানে দুটি পুঁজিবাজার রয়েছে: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।

পুঁজি বা শেয়ার বাজার হলো আর্থিক সম্পদ বেচাকেনার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্টান। সাধারণত শেয়ার বাজার হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা অনুমোদিত স্থান যেখানে এর তালিকাভুক্ত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার ও ঋণপত্র কেনাবেচা করা হয়। অন্যভাবে যে সুসংহত বাজারে বা স্থানে এর তালিকাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানির শেয়ার সিকিউরিটিজ নিয়মিতভাবে এবং নির্ধারিত বিধি অনুযায়ী ক্রয়-বিক্রয় করা হয়, তাকে শেয়ার বাজার বা স্টক এক্সচেঞ্জ বলে। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ এর বিভিন্ন সংঞ্জা প্রদান করেন।

অধ্যাপক হ্যারন্ড এর মতে, স্টক এক্সচেঞ্জ হলো একটি সুসংগঠিত আর্থিক বাজার যেখানে পাবলিক কোম্পানি সমূহের স্টক ও ঋণপত্র ক্রয় বিক্রয় হয়।

ইন্ডিয়ান সিকিউরিটি কন্ট্রাক্ট আইন, ১৯৫৮ অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জ হচ্ছে কতিপয় ব্যক্তির মাধ্যমে গঠিত এক ধরনের পত্র যা বিভিন্ন ঋণপত্র ক্রয়-বিক্রয় বা লেনদেন ব্যবস্থায় সহায়তা ও নিয়ন্ত্রন করে থাকে। অতএব বলা যায়, যে সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠানে শেয়ার বন্ড ও অন্যান্য আর্থিক সম্পদ আনুষ্ঠানিকভাবে বেচাকেনা হয় তাকে স্টক এক্সচেঞ্জ বলে।

শুধুমাত্র তালিকাভূক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার, ইত্যাদি স্টক লেনদেন হয়। এটি মূলত ঋণপত্রের মধ্যবর্তী বাজার হিসেবে কাজ করে। শেয়ার বাজার ও স্টক এক্সচেঞ্জ শব্দদুটির মধ্যে মৌলিক পার্থক্য নেই। শেয়ার বাজার ব্রিটিশ অর্থনীতিতে এবং স্টক এক্সচেঞ্জ আমেরিকান অর্থনীতিতে বহুল ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশে বর্তমানে দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে। যথাÑ(ক) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ যা ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়,তখন তার নাম ছিল (ক) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ স্বনামকরণ করা হয় ১৯৬৬ সালে। (খ) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ যা ১৯৯৫ সালের অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু করে।

৬.৪.২ শেয়ারের শ্রেনিবিভাগ: শেয়ার সাধারণত তিন প্রকার: যথাঃ (১) প্রেফারেন্স’/অগ্রাধিকার শেয়ার (২) সাধারণ শেয়ার এবং (৩) বিলম্বিত দাবিযুক্ত শেয়ার প্রেফারেন্স শেয়ার: কোম্পানি লাভ করলে প্রথমেই এ ধরনের শেয়ার মালিকরা একটি নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন। কোম্পানি বিলুপ্ত হলেও প্রথমে এ প্রকার মালিকরা মূলধন ফেরত পায়। সুতরাং যে শেয়ারের ক্ষেত্রে মালিকরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ এবং মূলধন ফেরত পায়, তাকে অগ্রাধিকার শেয়ার বলে। এ শেয়ারে ঝুঁকি অনেক কম থাকে। অগ্রাধিকার শেয়ার বিভিন্ন প্রকার হয়, যেমনÑ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

অতিরিক্ত মুনাফাযুক্ত অগ্রাধিকার শেয়ার : এ ধরনের শেয়ারের মালিকগণ সাধারণ অগ্রাধিকার শেয়ারের মালিকের ন্যায় নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পাওয়ার পর সাধারণ শেয়ারের মালিকদের সাথে পুনরায় কোম্পানির উদ্বৃত্ত মুনাফার অংশও পেয়ে থাকেন। পরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার: এরূপ শেয়ারের মূল্য নির্দিষ্ট সময় শেষে মালিককে অবশ্যই ফেরত দেয়া হয়। এটি ঋণের পর্যায়ে পড়ে।

অসঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার: এ ধরনের শেয়ার মালিকরা কোম্পানির মুনাফা না হওয়ার কারণে কোনো বছর লভ্যাংশ হতে বঞ্চিত হলে পরবর্তী বছরের মুনাফা হতে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হয় না। সঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার: এরূপ শেয়ার মালিকদের নির্দিষ্ট দাবি কখনো শেষ হয় না। কোম্পানির মুনাফা যে বছর অর্জিত হবে, উক্ত বছরে তাদের পূর্বের দাবি বকেয়া পরিশোধ করতে হয়।

অপরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার: এ ধরনের অগ্রাধিকার শেয়ার মূলধন একটি নির্দিষ্ট সময় পর ফেরত দেওয়া হয় না। সাধারণ শেয়ার: প্রেফারেন্স শেয়ারহোল্ডারগণ কোম্পানির লভ্যাংশ পাওয়ার পর সাধারণ শেয়ারহোল্ডারগন তাদের লভ্যাংশ পাবে। এ শেয়ারের লভ্যাংশ কমবেশি হতে পারে। একে ইক্যুইটি শেয়ার বলা হয়। প্রেফারেন্স শেয়ারের লভ্যাংশ ভাগ করার পর বা মূলধন ফেরত দেওয়ার পর শেষে সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ বা মূলধন ফেরত দেওয়া হয়। অবশিষ্ট কিছু না থাকলে কিছুই পায় না। তবে কোম্পানির মালিক কারবার পরিচালনায় সাধারণত মালিকদের অধিকার দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি থাকে এবং ভোটাধিকার অবাধ। এরূপ শেয়ারহোল্ডাররা সীমাবদ্ধ অধিকার ভোগ করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালক নিযুক্ত হয়ে কারবার পরিচালনায়ও তারা অংশ নিতে পারে। কোম্পানি কখনো ক্ষতির সম্মুখীন হলে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির বিলুপ্তির জন্য আবেদন করতে পারে। কোম্পানির হিসাব বই পরীক্ষা করা এবং বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করতে পারে।

বিলম্বিত দাবিযুক্ত শেয়ার: প্রেফারেন্স শেয়ার ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ ফেরত পাওয়ার পর অবশিষ্ট যা থাকে, তাই এদের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হয়। তাই একে বিলম্বিত দাবিযুক্ত শেয়ার বলে। কোম্পানি বিলুপ্ত হলেও সবার দাবি, লভ্যাংশ, মূলধন ফেরত দেয়ার পর এ মালিকদের মূলধন বা লভ্যাংশ ফেরত দেয়ার পর অবশিষ্ট কিছু না পাওয়া গেলে এ মালিকরা কিছুই পাই না।

শেয়ার আরো কয়েক প্রকার হতে পারে, যা নিম্নরূপ:

প্রাথমিক শেয়ার: কোনো কোম্পানি বাজারে প্রথম যে শেয়ার ছাড়ে, তাকে প্রাথমিক শেয়ার বলে। মাধ্যমিক শেয়ার: প্রাথমিক শেয়ারের মালিকরা যখন তাদের শেয়ার বিক্রয় করে নগদ লাভ করে, তখন ঐ শেয়ার মাধ্যমিক শেয়ারে রূপান্তরিত হয়।

রাইট শেয়ার: কোম্পানি তার পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চাইলে রাইট শেয়ার ইস্যু করতে পারে। বর্তমান শেয়ার হোল্ডারগনই এ ধরণের শেয়ার কিনতে পারে।

বোনাস শেয়ার: কোম্পানি যদি তার মুনাফালব্ধ বন্টনযোগ্য অর্থ ব্যবসায় প্রসারে নিয়োগ করতে চায় সেক্ষেত্রে কোম্পানি এর পরিবর্তে শেয়ারহোল্ডারদেরকে একই মূল্যের শেয়ার বরাদ্দ করে। এ অতিরিক্ত শেয়ারকে বোনাস শেয়ার বলে। অনাকাক্সিক্ষত শেয়ার: এ শেয়ারের পূর্ব মূল্য থাকে না। বছর শেষে কোম্পানির মোট সম্পদ হতে যাবতীয় দায় বাদ দিয়ে যে উদ্বৃত্ত থাকে তাকে মূলধন বিবেচনা করে শেয়ারে বিভক্ত করা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

শিল্প পুঁজি গঠনে শেয়ার মার্কেটের ভূমিকা:

কোনো দেশে দ্রুত শিল্পোন্নয়নের উদ্দেশ্যে কলকব্জা, যন্ত্রপাতি, শিল্পজ কাঁচামাল প্রভৃতি অধিক পরিমাণে উৎপাদন ও কলকারখানা স্থাপনের জন্য বেশি করে কারখানা ঘর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি নির্মাণ করাকে একত্রে শিল্প পুঁজি গঠিত হয়। প্রকৃতপক্ষে দেশে আর্থিক সঞ্চয় সৃষ্টি, সঞ্চিত অর্থ সংগ্রহ ও তা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনী দ্রব্য উৎপাদনে বিনিয়োগ করলে দেশে শিল্প পুঁজি গঠিত হয়।

দেশে দ্রুত শিল্পোন্নয়নের জন্য শিল্প পুঁজি গঠন অপরিহার্য। এক্ষেত্রে শেয়ার মার্কেট গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। আসলে শিল্পোন্নয়নে অর্থায়নের সর্বোৎকৃষ্ট উৎস হলো শেয়ার মার্কেট।

নিচে বিষয়টি আলোচনা করা হলো:

১। সহজে ঋণ সংগ্রহ: কলকারখানার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের প্রয়োজন পড়ে। শেয়ার ও বন্ড বিক্রয় করে সহজে তা সংগ্রহ করা যায়।

২। অধিক অর্থ প্রাপ্তি: নতুন নতুন কলকারখানা স্থাপন, পুরাতন কলকারখানার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, শিল্পের জন্য স্থায়ী সম্পত্তি ক্রয় ইত্যাদির জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন পড়ে। কোম্পানির শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে এ অর্থের সংস্থান করা যায়। ব্যাংক বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ঋণের তুলনায় শেয়ার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ অনেক বেশি হয়। অধিক অর্থ প্রাপ্তি দ্রুত উৎপাদন ও শিল্পোন্নয়নের সহায়ক।

৩। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর পুরাতন মালিকদের ব্যবস্থাপনাগত নিয়ন্ত্রণ: দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন যদি শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে হয় তাতে মালিকের সংখ্যা বাড়ে না নইলে পুরাতন মালিকদেরই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার ওপর নিয়ন্ত্রণ অক্ষুন্ন থাকে। ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রম বাধাহীনভাবে চলতে থাকে।

৪। সম্পদ বৃদ্ধি: শেয়ার হলো একধরনের অস্থাবর সম্পদ। শেয়ার বাজার জনসাধারণকে শেয়ার ক্রয়ে উদ্ভুদ্ধ করার মাধ্যমে সম্পদ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৫। সঞ্চয় বৃদ্ধি: শিল্প পুঁজি গঠনের জন্য সঞ্চয় বৃদ্ধি অত্যাবশ্যক। শেয়ার বাজার মানুষের সঞ্চয় প্রবণতা বাড়িয়ে সঞ্চয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শেয়ার থেকে লাভ পাওয়া যায় বলে জনসাধারণ শেয়ার ক্রয়ের জন্য সঞ্চয় করে বা পুঁজি গঠনে অবদান রাখে।

৬। দীর্ঘসময়ে নিশ্চয়তা: শিল্পায়ন দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হওয়ায় এ ক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ করলে তার ফল পেতে অনেক সময় লাগে। শিল্পোদ্যোক্তাদেরকে শেয়ার ক্রয়ে উৎসাহিত করা পুঁজি গঠনেরই একটি অংশ বটে।

৭। সম্পদের তারল্য বজায়: শেয়ার প্রয়োজনের সময় সহজেই বিক্রি করে নগদ অর্থে রূপান্তর করা যায়। শেয়ার বাজার তাই বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার ক্রয়ে উৎসাহিত করে পুঁজির যোগান বৃদ্ধি করে।

৮। আনুষ্ঠানিকতা তুলনামূলকভাবে কম: ঋণ নিয়ে কলকারখানা স্থাপন করতে গিয়ে নান আনুষ্ঠানিকতা পালনের প্রয়োজন পড়ে। এর ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে শিল্প প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন করা হলে ধার করা অর্থ পেতে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালনের দরকার পড়ে না।

৯। কম ব্যয়সাধ্য: কলকারখানা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোথাও থেকে ঋণ নিলে নিয়মিত তার সুদ পরিশোধ করতে হয়। ফলে উৎপাদন ব্যয় বাড়ে। কিন্তু শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা গেলে তার সুদ দিতে হয় না। এজন্য শেয়ারের মাধ্যমে অর্থায়নে শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা অপেক্ষাকৃত কম ব্যয়সাধ্য হয়।

১০। বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ: শেয়ার বাজার দেশের ভেতরে ও বাইরে অনুমোদিত কোম্পানিগুলোকে পরিচিত করে তোলে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করলে তার মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক মূলধনের আগমন ঘটে।

১১। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কলকারখানার মালিকানা লাভ: ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কখনোই নিজেদের অল্প সঞ্চয় ও প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ নিয়ে বিপুল মূলধনে গড়া কলকারখানার মালিক হতে পারে না। কিন্তু শেয়ার ক্রয় করে স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমেও তারা বড় বড় প্রতিষ্ঠানের আংশিক মালিকানা লাভ করতে পারে।

১২। প্রবাসীদের অর্থে শিল্প পুঁজি গঠন: প্রত্যেক দেশেরই শেয়ার বাজার সে দেশের প্রবাসীদের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উš§ুক্ত থাকে। প্রবাসীরা তাদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা দ্বারা সেখান থেকে শেয়ার, বন্ড ইত্যাদি ক্রয় করলে আসলেই তা শিল্প পুঁজি গঠনে সহায়ক হয়।

১৩। পুনঃপুনঃ অর্থায়ন নিষ্প্রয়োজন: শিল্পোদ্যোগ গ্রহনের জন্য শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করলে পুনঃপুনঃ ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এর ফলে একদিকে অর্থায়নের ব্যয় কমে এবং অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিল্পনা গ্রহন করা যায়।

১৪। জামানত ছাড়াই মূলধন সংগ্রহ: অনেক শিল্পোদ্যোক্তাদের পক্ষে ব্যাংকে ঘর বাড়ি, জমি ইত্যাদি জামানত রেখে ঋণ নেয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করলে কোথাও কোন জামানত রাখার প্রয়োজন পরে না। এভাবে দেখা যায় শেয়ার বাজার দেশে শিল্প পুঁজি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment