বাংলাদেশে ব্যবসায় সম্প্রসারণে ব্যবসায় পরিবেশের প্রভাব বিশ্লেষণ

বাংলাদেশে ব্যবসায় সম্প্রসারণে ব্যবসায় পরিবেশের প্রভাব বিশ্লেষণ।

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ

১. ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবাে,
২. ব্যবসায়ের প্রকারভেদ বর্ণনা করতে পারবাে,
৩. ব্যবসায়ের উপর প্রভাব বিস্তারকারী পরিবেশের উপাদানগুলাে চিহ্নিত করতে পারবাে।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

১. প্রয়ােজনে এবং সম্ভব হলে শিক্ষক/ সহপাঠী/পরিচিত ব্যবসায়ী /পরিজনের (মােবাইল ইন্টারনেটের সাহায্যে) ব্যবসায় পরিবেশ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা জেনে নেয়া যেতে পারে।
২. ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।
৩. ব্যবসায়ের প্রকারভেদ ছকে প্রদর্শন করে ব্যাখ্যা করতে হবে।
৪. ব্যবসায় পরিবেশ এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।
৫. বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ এর উপাদানগুলি ব্যাখ্যা করতে হবে।

উত্তর সমূহ:

ব্যবসায়ের ধারণা : সাধারণভাবে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে ব্যবসায় বলে। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে মানুষ যে সব বৈধ অর্থনৈতিক কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকে তাকে ব্যবসায় বলে। পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করা হাঁস মুরগী পালন করা সবজি চাষ করাকে ব্যবসায় বলা যায় না। কিন্তু যখন কোন কৃষক মুনাফার আশায় ধান চাষ করে বা সবজি ফলায় তা ব্যবসায় বলে গণ্য হবে। তবে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যবসায় বলে গণ্য হবে যদি হবে। সেগুলাে দেশের আইনে বৈধ ও সঠিক উপায়ে পরিচালিত হয়। সুতরাং যে কাজটিকে আমরা ব্যবসায় বলবাে তা চারটি মৌলিক উপাদান আছে।

যেমন : ক. অর্থনৈতিক কাজ, খ. মুনাফার উদ্দেশ্য, গ. ঝুঁকি, ঘ. বৈধতা।  

এই ৪ টি উপাদান না থাকলে কোন কাজকে ব্যবসায় বলা যাবে না। ব্যবসায়ের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা একে অন্য সব পেশা থেকে আলাদা করেছে। ব্যবসায়ের সাথে জড়িত পণ্য বা সেবার অবশ্যই আর্থিক মূল্য থাকতে হবে।     ব্যবসায়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল এর সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক। মূলত মুনাফা অর্জনের আশাতেই ব্যবসায়ী অর্থ বিনিয়ােগ করে। ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অবশ্যই সেবার মনােভাব থাকতে হবে।    

ব্যবসায়ের প্রকারভেদ : বর্তমানে ব্যবসায় শুধু পণ্যদ্রব্যের ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পণ্য-দ্রব্য ও সেবা-কর্ম উৎপাদন, পণ্য-দ্রব্য বিনিময় ও এর সহায়ক কাজের সমষ্টিকে ব্যবসায় বলে। পণ্য-দ্রব্য বিনিময় সংক্রাড়সহায়ক কাজে পরিবহন, বিমা, ব্যাংকিং গুদামজাতকরণ ও বিজ্ঞাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক ব্যবসাকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা :   ক. শিল্প (Industry) খ . বাণিজ্য (Commerce) গ . প্রত্যক্ষ সেবা (Direct Services)

ব্যবসায় এর শ্রেণিবিভাগ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

শিল্প (Industry) : শিল্পকে উৎপাদনের বাহন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, কাঁচামালে রূপদান এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে কাঁচামালকে মানুষের ব্যবহার-উপযােগী পণ্যে পরিণত করা হয় তাকে শিল্প বলা হয়। শিল্পকে প্রধানত পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।  

প্রজনন শিল্পে (Genetic) : উৎপাদিত সামগ্রী পুনরায় সৃষ্টি বা উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন নার্সারি, হ্যাচারি ইত্যাদি।  

নিষ্কাশন (Extractive) : শিল্পের মাধ্যমে ভূগর্ত, পানি বা বায়ু হতে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করা হয়। যেমন- খনিজ শিল্প।  

নির্মাণ (Construction) : শিল্পের মাধ্যমে রাস্তাঘাট, সেতু ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়।  

উৎপাদন (Manufacturing) : শিল্পে শ্রম ও যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে কাঁচামালকে প্রক্রিয়াজাত করে চূড়ান্ত পণ্যে রূপান্তর করা হয়। যেমন- বস্ত্র শিল্প।  

সেবা (Service) : শিল্প বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ ও আরামদায়ক করে। যেমন- বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন ও বিতরণ, ব্যাংকিং ও স্বাস্থ্য সেবা ইত্যাদি।  

বাণিজ্য (Commerce) : বাণিজ্যকে ব্যবসায়ের পণ্য বা সেবা সামগ্রী বণ্টনকারী শাখা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ব্যবসায় বা শিল্পে ব্যবহৃত কাচামাল উৎপাদকের নিকট পৌছানাে কিংবা শিল্পে উৎপাদিত পণ্য বা সেবা সামগ্রী ভােক্তাদের নিকট পৌছানাের সকল কার্যাবলিকে বাণিজ্য বলে। পণ্য – দ্রব্য ক্রয় – বিক্রয় কার্য যথার্থভাবে সমাধানের ক্ষেত্রে অর্থগত, ঝুঁকিগত, স্থানগত, কালগত ও তথ্যগত বাধা বা সমস্যা দেখা দিতে পারে | এ সকল বাধা দূরীকরণে বাণিজ্যের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন পরিবহন, গুদামজাতকরণ, ব্যাংকিং, বিমা, বিপণন ও বিজ্ঞাপন ইত্যাদির সহযােগিতার প্রয়ােজন হয়। বাণিজ্যকে আধুনিককালে ব্যবসায় টু ব্যবসায় (Business to Business) বলেও অভিহিত করা হয়।   নিম্নে বাণিজ্যের বিভিন্ন উপাদানের ভূমিকা ছকে প্রদর্শন করা হলাে:

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে
বিভিন্ন ধরনের বাধা
বাণিজ্যের উপাদানভূমিকা
স্বত্বগতপণ্য বিনিময়মালিকানাসংক্রান্ত বাধা দূর করে
স্থানগতপরিবহনস্থানগত বাধা দূর করে
সময়গতগুদামজাতকরণসময়গত বাধা দূর করে
অর্থগতব্যাংকিংঅর্থ সংক্রান্ত বাধা দূর করে
ঝুঁকিগতবিমাঝুঁকিসংক্রান্ত বাধা দূরে করে
তথ্যগতবিজ্ঞাপনতথ্য ও প্রচার সংক্রান্ত বাধা দূর করে

প্রত্যক্ষ সেবা (Direct Services) : অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে স্বাধীন পেশায় নিয়ােজিত ডাক্তার, উকিল, প্রকৌশলী প্রভৃতি পেশাজীবীরা বিভিন্ন রকম সেবাকর্ম অর্থের বিনিময়ে প্রদান করে থাকেন। এ সকল সেবাকর্ম বা বৃত্তি প্রত্যক্ষ সেবা হিসেবে পরিচিত। যেমন ডাক্তারি ক্লিনিক, আইন চেম্বার, প্রকৌশলী ফার্ম, অডিট ফার্ম ইত্যাদি। প্রত্যক্ষ সেবা আধুনিক ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা।    

ব্যবসায় পরিবেশের ধারনা : পরিবেশ দ্বারা মানুষের জীবনধারা, আচার-আচরণ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং ব্যবসা প্রভাবিত হয়। পরিবেশ হলাে কোনাে অঞ্চলের জনগণের জীবনধারা ও অর্থনৈতিক কার্যাবলিকে প্রভাবিত করে এমন সব উপাদানের সমষ্টি। পারিপার্শ্বিক উপাদানের মধ্যে রয়েছে ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, নদ-নদী, পাহাড়, বনভূমি, জাতি, ধর্ম, শিক্ষা ইত্যাদি। যে সব প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা ব্যবসায়িক সংগঠনের গঠন, কার্যাবলি, উন্নতি ও অবনতি প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে প্রভাবিত হয় সেগুলাের সমষ্টিকে ব্যবসায়িক পরিবেশ বলে। কোনাে স্থানের ব্যবসায় ব্যবস্থার উন্নতি নির্ভর করে ব্যবসায়িক পরিবেশের উপর।  

ব্যবসায় পরিবেশের উপাদান : বহু প্রকারের ব্যবসায়িক পরিবেশ দেখতে পাওয়া গেলেও ব্যবসায়িক পরিবেশের উপাদানগুলােকে প্রধানত ছয় ভাগে ভাগ করা যায়।   ক . প্রাকৃতিক পরিবেশ (Natural environment) খ . অর্থনৈতিক পরিবেশ (Economic environment) গ . রাজনৈতিক পরিবেশ (Political environment) ঘ . সামাজিক পরিবেশ (Social environment) ঙ . আইনগত পরিবেশ (Legal environment) চ . প্রযুক্তিগত পরিবেশ (Technical environment)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ব্যবসায় পরিবেশ

বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ (Business Environment in Bangladesh) : কৃষিনির্ভর উন্নয়নশীল দেশ অবশ্য দেশের অর্থনীতিতে ব্যবসায় তথা শিল্প ও বাণিজ্যের অবদান প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। এক কালে এ অঞ্চল ব্যবসায় – বাণিজ্যে সারাবিশ্বে বিখ্যাত ছিল। ব্যবসায় বাণিজ্যে প্রসিদ্ধ স্থান হিসেবে বিশেষ করে মসলিন কাপড়ের জন্য ‘সােনারগাঁও’ এবং সমুদ্র বন্দর ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য চট্টগ্রাম, এ লুটো স্থানের নাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। সােনারগাঁও এবং এর আশেপাশে তৈরি মসলিন রফতানি হতাে ইউরােপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। আমাদের দেশ চিরকাল বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। এ দেশের বাণিজোর খ্যাতিতে প্রলুব্ধ হয়ে আরবগণ মরণাতীত কাল পূর্বে থেকে বাণিজ্য সম্পর্ক করেন এবং দলে দলে এদেশে আগমন করেন। বাণিজ্য বিষয়ে তখন এ অঞ্চলের শ্রীবৃদ্ধি এতদূর হয়েছিল যে, ইতিহাস বিখ্যাত তাম্রলিপ্ত ও সপ্তগ্রামের সাথে এর ঘাের প্রতিযােগিড়া চলত। এ অঞ্চলের বাণিজ্য খ্যাতি প্রাচ্যের দেশ ছাড়িয়ে সুদুর ইউরােপ পর্যন্ত পৌছেছিল। খ্রিস্ট্রীয় ষোড়শ শতাব্দীতে পর্তুগিজরা। এসে বাণিজ্য করতে আরম্ভ করেন।

তারা সামকে Porto Piqueno বা ক্ষুদ্র বন্দর এবং চট্টগ্রামকে Porto Grando বা বৃহৎ কদর নামে অভিহিত করেন। উল্লেখ্য, বাণিজ্য কন্দর হিসেবে পশ্চিম বঙ্গের সপ্তগ্রাম নামটিও বিখ্যাত ছিল। ভাগীরথী নদী ও সরস্বতী খালের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের সাথে সপ্তগ্রামের বাণিজ্য চলত। সমুদ্র পথে ব্যবসায়ের জন্যও আমাদের দেশ প্রসিদ্ধ ছিল। সমুদ্রগামী জাহাজও এ দেশে নির্মিত হতাে। চৈনিক পরিব্রাজক মাছুয়ান লিখেছেন যে, এ দেশের জাহাজ নির্মাণ প্রণালির শ্রেষ্ঠত্ব হৃদয়ঙ্গম করে মহামান্য রােমের সম্রাট আলেকজান্দ্রিয়ার ডক কারখানা ও জাহাজ পছন্দ না করে চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ তৈরি করে নিতেন। চট্টগ্রামের হালিশহর, পতেঙ্গায় দেশীয় শিল্পীর কর্তৃত্বে অনেকগুলাে জাহাজ নির্মাণ কারখানা ছিল। ঐ সকল কারখানা তখন হাতুড়ির ঠক্ঠক্ শব্দে সবসময় মুখরিত থাকত। এ দেশের সওদাগরেরা তখন শতাধিক জাহাজের মালিক ছিলেন। ইতিহাসবিদ ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টারের মতে, ঐ সকল জাহাজ নির্মাণ কারখানা ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নিজেদের প্রভাব অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হয়েছিল।   বর্তমান প্রতিযােগিতামূলক বিশ্বে ব্যবসায়িক পরিবেশের সকল উপাদান অনুকূল না হলে ব্যবসায়-বাণিজো উন্নতি লাভ করে টিকে থাকা কঠিন। নিয়ে ব্যবসায়িক পরিবেশের উপাদানগুলাে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আলোচনা করা হলো।  

প্রাকৃতিক উপাদান : প্রাকৃর্তিক পরিবেশের অধিকাংশ উপাদানই বাংলাদেশে ব্যবসায় ব্যাপনের জন্য অনুকূল দেশের প্রায় সকল অংশই ননী বিধৌত। ফলে সহজেই এখানে কৃষিজাত বিভিন্ন শিল্প ও ভােগ্য পণ্যের কাঁচামাল উৎপাদন করা সম্ভব। ব্যবসায় বা শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়ােজনীয় প্রাকৃতিক গ্যাস বিদ্যমান। দেশে বিল্যমান খনিয়া কয়লা, চুনা পাথর, কঠিন শিলা ও খনিজ তৈল শিল্প বিকাশে সহায়ক। দিন দিন বনভূমির পরিমাণ কমে গেলেও আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ বনজ সম্পদ। অসংখ্য নদী বিধৌড় ও সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় মৎস্য শিল্প বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশও এখানে বিদ্যমান।  

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

অর্থনৈষ্ঠিক উপাদান : দেশে বিরাজমান কার্যকর অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা, কৃষি ও শিল্পের অবদান জনগণের সঞ্চয় ও বিনিয়ােগ মানসিকতা শু সরকারের পৃষ্ঠপােষকা ব্যবসায় পরিবেশের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উপাদানগুলাের কয়েকটির ভিত্তি বেশ মজবুত হলেও অনেকগুলাের ভিত্তি তেমন সুদৃঢ় নয়। চাহিদার তুলনায় প্রয়োজনীয় মূলধনের অভাব, গ্রামীণ জনগণের ব্যাংকিং সেবা ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শহরের তুলনায় কম সুবিধা, প্রশাসনিক জটিলতা দালাল শ্রেণির লােকদের হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ইত্যাদি প্রতিকূল অবস্থা কাটাভে পারলে বাংলাদেশ ব্যবসায় বিকাশে আরও দ্রুত অগ্রসর হতে পারবে।  

সামাজিক উপাদান : জাতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, ভােক্তাদের মনােভাব, মানব সম্পদ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, ঐতিহ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রভৃতি ব্যবসায়ের সামাজিক উপাদানগুলাের বেশিরভাগ বাংলাদেশে ব্যবসায় প্রসারের ক্ষেত্রে অনুকূল। এ দেশের মানুষ জাতিগত, ঐতিহাগত এবং সাংস্কৃতিকভাবে উদার, পরিশ্রমী এবং সৃজনশীল অতীতে জাহাজ নির্মাণ করে এবং মসলিন কাপড় উৎপাদন করে এ দেশের মানুষ তাদের প্রতিভা ও পরিশ্রমের বাক্ষর রেখেছে। সােনারগাঁও এক সময় ব্যবসায়, শিক্ষা – দীক্ষা, কৃবি, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প, কারু শিলে ছিল বিশ্বসেরা। বর্তমানেও জামদানি শাড়ি তৈরি এবং জাহাজ নির্মাণ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে মুখ নির্ভরতা থেকে বের করে আরও দক্ষতা শ্রমনির্ভর করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিল্প, বাণিজ্য, গবেষণায় আরও বেশি সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারবে। সাথে সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করতে হবে।  

রাজনৈতিক উপাদান : সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অনুকূল শিল্প ও বাণিজ্যনীতি, প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের সাথে সুসম্পর্ক ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করে। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন, হরতাল, ধর্মঘট, ব্যবসায়-বান্ধব শিল্প ও বাণিজ্য নীতির অভাব ইত্যাদি প্রতিকূল রাজনৈতিক উপাদান শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসারে বাধা সৃষ্টি করে। দেশি ও বিদেশি বিনিয়ােগকারীগণও বিনিয়ােগ করতে উৎসাহিত হয় না। বাংলাদেশে ব্যবসায়ের উক্ত রাজনৈতিক উপাদানের সবগুলাে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বিদ্যমান নেই। শ্রমিক অসন্তোষ, ধর্মঘট, হরতালসহ বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড পরিহার করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসায়ের জন্য রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নত করা যায়।  

আইনগত উপাদান : আইনগত পরিবেশের বেশ কিছু উপাদান বাংলাদেশে আধুনিক ও যুগােপযােগী হলেও অনেকগুলাে বেশ পুরাতন। পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভােক্তা আইনের কঠোর প্রয়ােগ, শিল্প ও বিনিয়ােগ বান্ধব আইন তৈরি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও চাঁদাবাজি প্রতিরােধে আইনের কঠোর প্রয়ােগের মাধ্যমে দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি নিশ্চিত করা যায়।  

প্রযুক্তিগত পরিবেশ : শিল্প ও ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নতিতে দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী, উন্নত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির প্রয়ােজন হয়। সাধারণত দেখা যায়, যে সকল দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত পরিবেশে উন্নত তারা ব্যবসা বাণিজ্যেও উন্নত। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সহজতর করে। ফলে উৎপাদিত পণ্যের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিবেশের প্রযুক্তিগত উপাদানগুলাে অনেকক্ষেত্রেই অনুকূল। ব্যবসায়ের সকল শাখায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

আমাদের YouTube এবং Like Page

Leave a Comment