বাংলাদেশে এইচআইভি/HIV ও এইডস/AIDS এর ঝুঁকি এবং ঝুঁকিমুক্ত থাকার উপায় চিহ্নিত করা, এইচআইভি/HIV ও এইডস/AIDS কী তা বর্ণনা করতে পারবে, বাংলাদেশে এর ঝুঁকিমুক্ত থাকার উপায় বলতে পারবে

শ্রেণি: ১০ম ভোকেশনাল 2022 বিষয়: শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা (২ এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 01 বিষয় কোডঃ 1929
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো।

অ্যাসাইনমেন্ট/ শিরো নাম :  বাংলাদেশে এইচআইভি/HIV ও এইডস/AIDS এর ঝুঁকি এবং ঝুঁকিমুক্ত থাকার উপায় চিহ্নিত করা 

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • এইচআইভি/HIV ও এইডস/AIDS কী তা বর্ণনা করতে পারবে,
  • বাংলাদেশে এর ঝুঁকিমুক্ত থাকার উপায় বলতে পারবে,

নির্দেশনা :  

  • এইচআইভি/HIV ও এইডস/AIDS ছড়ানাের মাধ্যম বর্ণনা করতে হবে,
  • এইচআইভি/HIV ও এইডস/AIDS এর ঝুঁকির বর্ণনা দিতে পারবে,
  • এইচআইভি/HIV ও এইডস/AIDS থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকার উপায় বর্ণনা করতে পারবে,

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • এইচআইভি/HIV ও এইডস/AIDS ছড়ানাের মাধ্যম বর্ণনা করতে হবে,

AIDS বা Aids এর পূর্ণ অভিব্যক্তি হলো Acquired immunodeficiency syndrome বা acquired immune deficiency syndrome । এইডস হলো এক ধরণের ব্যধি, যাকে মরণব্যধিও বলা হয়।

Human immunodeficiency virus বা HIV নামক ভাইরাস এই রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। HIV এমনই ভয়ংকর জাতের ভাইরাস যে এ ভাইরাস মানুষের শরীরে অনুপ্রবেশ করার পর তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। ফলে HIV আক্রান্ত রোগী যে কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং যা তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।

এইডস একটি মরণব্যাধি হওয়ায় এ সম্পর্কে মানুষের রয়েছে ব্যাপক ভীতি। এর বিপরীতে তেমনি রয়েছে ব্যাপক অজ্ঞতাও। আর এ অজ্ঞতার ফলে এইচআইভি বহণকারী ব্যক্তি বা এইডস আক্রান্ত রোগীকে একইসঙ্গে সামাজিকভাবেও অবর্ণনীয় দুর্ভোগ হয়। এইডস সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে এবং অযৌক্তিক ঘৃণার কারণে দুঃখজনক আর অমানবিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জীবন দিতে হয়েছে অনেক এইডস রোগীকে।

কিন্তু বাস্তব হল, এইচআইভি ছোঁয়াচে নয় এবং শুধুমাত্র স্পর্শের মাধ্যমেই এইচআইভি এক শরীর থেকে অন্য শরীরে স্থানান্তরিত হতে পারে না। এ বিচারে, এইচআইভি বহনকারী ব্যক্তি অন্য সাধারণ ব্যক্তিদের মতোই স্বাভাবিক আচরণ প্রত্যাশা করতে পারেন।
 
HIV যেভাবে ছড়ায়
HIV বহনকারী কোনো ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য কোনো ব্যক্তির শরীরে HIV প্রবেশ করালেই কেবল HIV ছড়াতে পারে। HIV বহনকারী ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য স্বাভাবিক কোনো ব্যক্তির শরীরে HIV প্রবেশের কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে:

১। HIV বহণকারী ব্যক্তির সঙ্গে অরক্ষিত অবস্থায় স্ত্রী যোনী বা মলদ্বার বা মুখে যৌন সম্ভোগ করলে।

২। HIV বহনকারী ব্যক্তির শরীরের রক্ত অন্য কোনো শরীরে প্রবেশ করালে।

৩। HIV বহনকারী ব্যক্তির ইনজেকশনের সিরিঞ্জ যা এইচআইভি বহণ করছে তা ব্যবহার করলে।

৪। HIV বহনকারী মা যখন সন্তান সম্ভবা হন অথবা সন্তান জন্মদানের সময়ে অথবা সন্তানকে দুধ পান করানোর মাধ্যমে শিশুর শরীরে HIV অনুপ্রবেশ করতে পারে।

৫। HIV বহনকারী কোনো ব্যক্তির ব্যবহৃত কোনো জিনিসপত্রে যদি সংক্রামক রক্ত লেগে থাকে এবং তা ব্যবহারের ফলে যদি শরীরের উন্মুক্ত বা কাটাছেড়া ত্বকের সংস্পর্শে আসে।

কি কি উপায়ে এইডস ছড়ায় না
এইচআইভি বহনকারী ব্যক্তির সঙ্গে যে সকল সম্পর্ক করলে এইচআইভি সংক্রমিত হতে পারে না তা হলো:

১। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি কারো শরীরের উপর হাঁচি, কাশি দিলে, চোখের জল, থুথু বা ঘাম ফেললে, নাক ঝাড়লে

২। হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি, স্পর্শ, চুমু কিংবা কথা বললে
৩। একই পুকুর, গোছলখানা, পায়খানা, তোয়ালে, লুঙ্গি, গামছা ব্যবহার করলে
৪। একই থালা-বাসন, কাপ-পিরিচ, তৈজসপত্র ব্যবহার করলে
৫। একই আসবাবপত্র ব্যবহার করলে
৬। এইচআইভি বহনকারী ব্যক্তির রান্না করা খাবার খেলে
৭। মশা,মাছি বা পোকামাকড় কিংবা পশুর কামড়ে
৮। একই বিছানা ব্যবহার করলে, একই বাড়িতে অবস্থান করলে
৯। একই টেলিফোন, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ব্যবহার করলে
১০। এইচআইভি মুক্ত সিরিঞ্জ ব্যবহার করে রক্তদান করলে

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • এইচআইভি/HIV ও এইডস/AIDS এর ঝুঁকির বর্ণনা দিতে পারবে,

আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় এইডস দিবস ২০২০। ২০০৭ সালের গণনা অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৩ কোটি ৩২ লক্ষ এইডস আক্রান্ত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে যাদের মধ্যে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ছিল শিশু। এইডস বা এইচআইভি “মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস” নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট একটি রোগলক্ষণসমষ্টি।

এই রোগ সম্পর্কে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্যই এই দিন পালন করা হয়।  যা মানুষের দেহে রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বা প্রতিরক্ষা হ্রাস করে। এর ফলে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, যা শেষ অবধি মৃত্যুও ঘটাতে পারে।

এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর শুরুর কয়েকটি সপ্তাহের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাব দেখা দিতে পারে, হালকা জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীরে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে।

অন্যান্য লক্ষণগুলো দেখা দেবে যখন ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করাই এইচআইভির মুল বিপদ।

প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকলে কাশি, ডাইরিয়া, লিম্ফ নোড বা চামড়ার নিচে ফুলে যাওয়া গোটার মতো দেখা দেবে, ওজন কমে যাবে।

কোন লক্ষণ দেখা না দিলে এইচআইভি আক্রান্ত নন এটিও ভুল ধারণা। এই জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার পরও একজন ব্যক্তির শরীরে দীর্ঘদিন কোন রকমের লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • এইচআইভি/HIV ও এইডস/AIDS থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকার উপায় বর্ণনা করতে পারবে,

এইডস প্রতিরোধে করণীয়

● ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এইডস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে। বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু বিশ্বস্ত একজন স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখতে হবে। একাধিক যৌনসঙ্গী পরিহার করতে হবে।
● যৌনসঙ্গীর এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে, অথবা নিয়মিত ও সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করতে হবে।
● শরীরে রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গ্রহণের প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে, সে রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এইচআইভি নেই।
● একবার ব্যবহার করা যায় এমন জীবাণুমুক্ত সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
● পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সুচ, সিরিঞ্জ বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের আগে নিশ্চিত জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
● দেখা গেছে, যৌনরোগ বা প্রজণনতন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কারও যৌনরোগ বা প্রজণনতন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে দ্রুত চিকিত্সা করাতে হবে।
● জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে প্রতিরোধমূলক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

এইডসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। এর যে চিকিত্সা বের হয়েছে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাছাড়া এ চিকিত্সা শুধু এইডস ‌আক্রান্তের সময়কে বিলম্বিত করে। এইডস পুরোপুরি নিরাময় করে না।

তাই, এখন পর্যন্ত এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো- এইডস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা এবং সে অনুযায়ী সচেতন হয়ে নিরাপদ জীবনযাপন করা। এক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment