বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর প্রতিবেদন লিখ

শ্রেণি: ১০ম ভোকেশনাল 2022 বিষয়:বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (২) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 01 বিষয় কোডঃ 1924
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর প্রতিবেদন লিখ।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • গণতন্ত্রের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব 
  • বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারব

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

  • গণতন্ত্রের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
  • গণতান্ত্রিক দোষ গুণ বর্ণনা করতে হবে
  • গণতন্ত্রের প্রকারভেদ বর্ণনা করতে হবে

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

তারিখ : — সেপ্টেম্বর , ২০২১ খ্রি .
বরাবর , প্রধান শিক্ষক রাকিবুল স্কুল ,ঢাকা।
বিষয় : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর প্রতিবেদন লিখ।

জনাব,
বিনতি নিবেদন এই যে , আপনার আদেশ নং বা.উ.বি.৩৫৫-১ তারিখ ১৩/৯/২০২১ অনুসারে উপরােক্ত বিষয়ের উপর আমার স্বব্যখ্যাত প্রতিবেদনটি নিন্মে পেশ করলাম ।

সূচনা: গনতন্ত্র ‌= গন+ অতন্ত্র, অর্থাৎ গন শব্দে বোঝায় সংখা, আর অতন্র, বোঝায় নীতি হীনতা। গনতন্ত্র এটা এমন তন্র অনেকটা বানরের কলা ভাগের মত।

  • গণতন্ত্রের ধারণা

গণতন্ত্র মানে হলো জণগণের শাসন। প্রায় আড়াইহাজার বছর পূর্বে গ্রীক দার্শনিক হিরোডোটাস বলেছেন এ এমন শাসন ব্যবস্থা যা কোনো শাসক ক্ষমতা বিশেষ কোণো শ্রেণী বা শ্রেণীর হাতের থাকে না বরং সমাজের সদস্যদের উপর ন্যস্ত থাকে। প্রেসিডেন্ট লিংকনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকিএ বুলা যায় গণতন্ত্র জণগণের দ্বারা, জনগণের জন্য এবং জণপ্রতিনিধিত্বমূলক শাসন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। অধ্যাপক ম্যাকাইভার বলছেন, গণতান্ত্রিক শাসনে সরকার জণগণের এজেন্ট মাত্র আর সেখানে সরিকারকে জণগণ বাধ্য করে জবাদিহি দেবা জন্য।

সামগ্রিক অর্থে বিবেচনা করলে গণতন্ত্র বলতে শাসিত সক্রিয় সম্মতির উপরে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় যা নির্দিষ্ট শ্রেণী সীমা ভেঙে সকলের সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব নিয়ে কথা বলতে সক্ষম সেটিই গণতন্ত্র।

এর বৈশিষ্ঠ্যসমূহ-

১। এটা স্বীকারযোগ্য যে,ক মতামতের দ্বন্দ সমাজে রয়েছে। সুতরাং প্রত্যেক মতামতের স্বাধীন ভাবে চর্চার অনুমোদন দেয় গণতন্ত্র।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

২। গণতন্ত্রে রাষ্ট্রকে অভ্রান্ত সত্য প্রতীক বলে গণ্য করা হয় না।

৩। রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে ও আইনের চোখে সকলেই সমান।

৪। শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সকলের মতামতের দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারে গণতন্ত্রে।

  • গণতান্ত্রিক দোষ গুণ বর্ণনা

ধরেন একটা গ্রামে ১০০ জন বাসিন্দা। ৬০ জন খারাপ, ৪০ জন ভালো। গ্রামপ্রধান নির্বাচনে একজন ভালো ব্যক্তি ও একজন খারাপ ব্যক্তি নির্বাচনে নামলেন। কে জিতবে? খারাপ ব্যক্তিই জিতে যাবে। আর ভালোরা হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অপশাসনের শিকার!

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ন্যায় বনাম অন্যায়, সুশাসন বনাম দুঃশাসন, সুনীতি বনাম দুর্নীতির কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় জনসমর্থন বনাম জনসমর্থনের। একারণেই গণতন্ত্র একটা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনেনা যতদিন না একটা দেশের জনগণের মনমানসিকতা, চিন্তাভাবনা একটা ন্যুনতম স্ট্যান্ডার্ড অতিক্রম করে।

সবশেষে একটা সত্য উদাহরণ দিচ্ছি, আমার চেনাজানা একটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে একজন সৎ লোক(তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও) প্রতিবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, কিন্তু সবথেকে কম ভোট পায়! কারণ মানুষ মনে করে যেহেতু তিনি সৎ, তাই চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য নন! তিনি নাকি ইউনিয়ন চালাতে পারবেন না!

বাংলাদেশের অবস্থা একটু আলোকপাত করা প্রয়োজন, যেহেতু বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। এদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ কিছু কিছু নেতা ছাড়া কেউই জনগণকে নিয়ে চিন্তা করেন না। যদি করতেন, তাহলে আমাদের সুজলা সুফলা সোনার বাংলাদেশের অবস্থা এরকম থাকত না!

একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা আরো জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা-দীক্ষায় আরো এগিয়ে যেতে পারতাম। সত্তরের দশকে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা একই অবস্থানে থাকলেও আজ মালয়েশিয়া ভারী শিল্প, জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে আমাদের চেয়ে একশো বছর এগিয়ে গিয়েছে।

এর প্রধান কারণ হলো রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা সরকার পরিচালনা করেন তাদের দৃঢ় নেতৃত্ব। আমাদের সরকারে যে ভালো লোক থাকেন না তা নয়, কিন্তু বেশিরভাগ স্বার্থান্বেষী লোকজনের অনিচ্ছা এবং ভালো কাজে অবহেলার কারণে তাদের ভালো স্বপ্নগুলো জনগণকে দেখাতে পারেন না এবং জনসাধারণের জন্য কাজ করতে পারে না। যেহেতু কোনো সিদ্ধান্ত বা আইন প্রণয়ন করতে গেলে দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধির সমর্থন প্রয়োজন হয়, সেহেতু অনেক ভালো কাজ এবং সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যার সৃষ্টি হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

তবে যত দোষই থাকুক না কেন অবশ্যই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা অন্যান্য শাসন ব্যবস্থার চেয়ে উন্নত। একনায়কতন্ত্র আমরা চাইতে পারি তবে তা মাহাথির মোহাম্মদের মতো হবে সে গ্যারান্টি দেবে কে? গণতন্ত্র আমাদের দেশে আরো উন্নত হবে তার জন্য দরকার জনগণের মাঝে সচেতনতা।

সেটি বৃদ্ধি করার জন্য শিক্ষার হার বাড়াতে হবে। বলা হয়ে থাকে, সঠিক গণতন্ত্রের জন্য সঠিক শিক্ষা এবং সচেতনতা দরকার। আমরা আশাবাদী, নৈরাশ্যবাদী নই।

আমরা স্বপ্নচারী, স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আমরা স্বপ্ন দেখি, একদিন আমাদের বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে; যেখানে থাকবে না কোনো হানাহানি, থাকবে না কোনো অশান্তি, থাকবে না কোনো রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, থাকবে না কোনো ক্ষুধা-দারিদ্র্য। আমরা উন্নত দেশে পরিণত হব, আমাদের জীবনযাত্রার মান হবে অনেক উন্নত।

এটি সম্ভব একমাত্র শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়ন এবং যথার্থ গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে। আশা করি, সরকার এ বিষয়ে দৃষ্টি দিবেন এবং এর মাধ্যমেই আমরা একটি সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত হব।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • গণতন্ত্রের প্রকারভেদ বর্ণনা

গণতন্ত্রের প্রকারভেদ

গণতন্ত্রকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ-

১. প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র

২. পরোক্ষ গণতন্ত্র

প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র : আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার বা শাসনব্যবস্থা গঠন করা হয় তা’ হচ্ছে প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলতে বোঝায় এমন এক সরকারকে যেখানে দেশের সকল নাগরিক সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণপূর্বক শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। বর্তমানে রাষ্ট্রের পরিধি ও জনসংখ্যার আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বেশ জটিল ও কঠিন হয়ে পড়েছে।

তাই বর্তমানকালে প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পৃথিবীর খুব একটা বেশি দেশে দেখা যায় না। তবে সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি প্রদেশে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত রয়েছে।

পরোক্ষ গণতন্ত্র : যে গণতন্ত্রে পরোক্ষভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সরকার নির্বাচন করে তাকে পরোক্ষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বলা হয়। অর্থাৎ পরোক্ষ গণতন্ত্র বলতে বোঝায় সেই ধরনের শাসনব্যবস্থা যেখানে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিগণ শাসনকার্য পরিচালনা করে। প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করা হয় বিধায় এর অপর নাম প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র।

এ জাতীয় শাসনব্যবস্থায় জনগণ সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন না করে নিজ নিজ এলাকায় প্রতিনিধি নির্বাচন করে পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। এ জন্যেই একে পরোক্ষ গণতন্ত্র বলা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি রাষ্ট্রে এ ধরনের শাসনব্যবস্থা প্রচলিত আছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রতিবেদকের নাম : রাকিব হোসেন সজল
রোল নং : ০১
প্রতিবেদনের ধরন : প্রাতিষ্ঠানিক,
প্রতিবেদনের শিরোনাম : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর প্রতিবেদন লিখ
প্রতিবেদন তৈরির স্থান : ঢাকা
তারিখ : –/—/২০২১ ইং ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment