প্রশ্ন সমাধান: বাংলাদেশের টারশিয়ারি যুগের নিদর্শন কোনটি?, বাংলাদেশের দক্ষিণে সীমানা কী?, বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় কোনটি?, বাংলাদেশের কোন জেলায় গারো পাহাড় অবস্থিত?
১. ভূপ্রকৃতি কী?
উত্তর : কোনো অঞ্চলের অবস্থান, আকার, আয়তন, আবহাওয়া, জলবায়ু ইত্যাদির সমষ্টি হলো ভূপ্রকৃতি।
২. প্রাচীন বাংলার ভূপ্রকৃতিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : প্রাচীন বাংলার ভূপ্রকৃতিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
৩. বদ্বীপ কী?
উত্তর : প্রবহমান নদনদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠা গ্রিক শব্দ ডেল্টা বা বাংলা ‘ব’ আকৃতিক ভূমিকে বদ্বীপ বলা হয়।
৪. ‘আইন ই আকবরি’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ঐতিহাসিক আবুল ফজল।
৫. প্রচীন বাংলার প্রধান নদনদীর নাম উল্লেখ কর।
উত্তর : প্রাচীন বাংলার প্রধান নদনদী হলো গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও করতোয়া।
৬. জনপদ কী?
উত্তর : বাংলার মানুষ প্রাচীনকালে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভৌগোলিক এলাকায় বসবাস করতো তার সমষ্টিকে জনপদ বলে।
৭. প্রাচীন বাংলার ৫টি জনপদের নাম উল্লেখ কর।
উত্তর : প্রাচীন বাংলার ৫টি জনপদের নাম- ১. বঙ্গ, ২. গৌড়, ৩. পুন্ড্র, ৪. বরেন্দ্র ও ৫. রাঢ়।
৮. কোন গ্রন্থে সর্বপ্রথম ‘বঙ্গ’ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়?
উত্তর : ‘ঐতরেয় আরণ্যক’ গ্রন্থে সর্বপ্রথম ‘বঙ্গ’ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।
৯. বাংলা নামের উৎপত্তি কোন নাম থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হয়?
উত্তর : বাংলা নামের উৎপত্তি ‘বঙ্গ’ নাম থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হয়।
আরো ও সাজেশন:-
১০. ‘বঙ্গ’ জনপদের ৫টি অঞ্চলের নাম লিখ।
উত্তর : ‘বঙ্গ’ জনপদের ৫টি অঞ্চলের নাম- ১. বিক্রমপুর, ২. ঢাকা, ৩. ফরিদপুর, ৪. কুমিল্লা ও ৫. ময়মনসিংহ।
১১. গৌড় জনপদ প্রাচীন কোন কোন অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছিল?
উত্তর : গৌড় জনপদ প্রচীন বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছিল।
১২. প্রাচীন বাংলার কোন জনপদ থেকে বাংলাদেশ নাম হয়েছে?
উত্তর : প্রাচীন বাংলার বঙ্গ জনপদ থেকে বাংলাদেশ নাম হয়েছে।
১৩. রাজা শশাঙ্কের উপাধি কী ছিল?
উত্তর : রাজা শশাঙ্কের উপাধি ছিল গৌড়েশ^র ।
১৪. প্রাচীন বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা কে ছিলেন?
উত্তর : প্রাচীন বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা ছিলেন- শশাঙ্ক।
১৫. গৌড়ের রাজধানীর নাম কি?
উত্তর : শশাঙ্কের শাসনামলে গৌড়ের রাজধানীর নাম ছিল কর্ণসুবর্ণ।
১৬. প্রাচীন বাংলার সমতট অঞ্চলের অবস্থান কোথায় ছিল?
উত্তর : প্রাচীন বাংলার সমতট অঞ্চলের অবস্থান ছিল কুমিল্লা ও নোয়াখালী এলাকায়।
১৭. প্রাচীন হরিকেল জনপদের বিবরণ কোন গ্রন্থ পাওয়া যায়?
উত্তর : প্রাচীন হরিকেল জনপদের বিবরণ ‘আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প’ গ্রন্থে পাওয়া যায়।
১৮. হরিকেল জনপদের অবস্থান কোথায় ছিল?
উত্তর : হরিকেল জনপদের অবস্থান ছিল বর্তমান সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে।
১৯. প্রাচীন রাঢ় জনপদ কোথায় ছিল?
উত্তর : প্রাচীন রাঢ় জনপদ ছিল- ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরে।
২০. প্রাচীন রাঢ় জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায় কোন গ্রন্থে?
উত্তর : প্রাচীন রাঢ় জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায় ‘আচারাঙ্গসূত্র’ নামক জৈন গ্রন্থে।
২১. পুণ্ড্র শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : পুণ্ড্র শব্দের অর্থ কৃষিজীবী।
২২. মহাস্থানগড়ের পূর্বনাম কী?
উত্তর : মহাস্থানগড়ের পূর্বনাম পুন্ড্রনগর বা পুন্ড্রবর্ধন।
২৩. পুন্ড্র জাতিকে দস্যু বলা হয়েছে কোন গ্রন্থে?
উত্তর : পুন্ড্র জাতিকে দস্যু বলা হয়েছে ‘ঐতরেয় ব্রাহ্মণ’ গ্রন্থে।
২৪. প্রাচীন পুন্ড্র জনপদের রাজধানী ছিল কোনটি?
উত্তর : প্রাচীন পুন্ড্র জনপদের রাজধানী ছিল বগুড়ার মহাস্থানগড়।
২৫. মৌর্য যুগে কোথায় বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী ছিল?
উত্তর : মৌর্য যুগে বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
২৬. ইবনে বতুতা কে ছিলেন?
উত্তর : ইবনে বতুতা- আফ্রিকার মরক্কোর একজন পর্যটক বা পরিব্রাজক ছিলেন।
২৭. ইবনে বতুতার ভ্রমণকালে বাংলার সুলতান কে ছিলেন?
উত্তর : ইবনে বতুতার ভ্রমণকালে বাংলার সুলতাল ছিলেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ।
২৮. কে ‘তারিখ ই ফিরিশতা’ গ্রন্থটির রচয়িতা?
উত্তর : আবুল কাসেম ফিরিশতা ‘তারিখ ই ফিরিশতা’ গ্রন্থটির রচয়িতা।
২৯. “বঙ্গ থেকে বাঙালা এবং বাঙালাহ’র উৎপত্তি।” উক্তিটি কে করেছেন?
উত্তর : “বঙ্গ থেকে বাঙালা এবং বাঙালাহ’র উৎপত্তি।” উক্তিটি করেছেন ড. সুকুমার সেন।
৩০. বাংলাদেশের আয়তন উল্লেখ কর।
উত্তর : বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
৩১. বাংলাদেশের ওপর দিয়ে কোন ভৌগোলিক রেখা অতিক্রম করেছে?
উত্তর : বাংলাদেশের ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে।
৩২. ভূপ্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাংলাদেশকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : ভূপ্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাংলাদেশকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ ১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, ২. প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ও ৩. সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
৩৩. বাংলাদেশের টারশিয়ারি যুগের নিদর্শন কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের টারশিয়ারি যুগের নিদর্শন পাহাড়সমূহ।
৩৪. বাংলাদেশের দক্ষিণে সীমানা কী?
উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণে সীমানা- বঙ্গোপসাগর।
৩৫. বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় গারো পাহাড়।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
৩৬. বাংলাদেশের কোন জেলায় গারো পাহাড় অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় গারো পাহাড় অবস্থিত।
৩৭. বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গের নাম কি?
উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গের নাম তাজিংডং(বিজয়)।
৩৮. সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণী তাজিংডং কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর : সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণী তাজিংডং বান্দরবান জেলায় অবস্থিত।
৩৯. বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং।
৪০. কোনটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি?
উত্তর : বাংলাদেশের সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি।
৪১. ভারতে বাংলাদেশের কয়টি নদীর উৎস রয়েছে?
উত্তর : ভারতে বাংলাদেশের ৫৪টি নদীর উৎস রয়েছে।
৪২. বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদীর নাম কি?
উত্তর : বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদীর নাম- মেঘনা।
৪৩. কোথা থেকে পদ্মানদীর উৎপত্তি হয়েছে?
উত্তর : হিমালয় পর্বতের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে পদ্মা নদীর উৎপত্তি হয়েছে।
৪৪. পদ্মানদী কোথায় মেঘনার সাথে মিশেছে?
উত্তর : পদ্মানদী চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিশেছে।
৪৫. ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তিস্থল কোথায়?
উত্তর : ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তিস্থ হিমালয় পর্বতের কৈলাশ শৃঙ্গের মানসসরোবর হ্রদে।
৪৬. পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ কী?
উত্তর : পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ বাংলাদেশ।
৪৭. বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা কত বর্গকিলোমিটার?
উত্তর : বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটার।
৪৮. বাংলাদেশের মোট স্থলসীমা কত কিলোমিটার?
উত্তর : বাংলাদেশের মোট স্থলসীমা ৪,৪২৭ কিলোমিটার।
৪৯. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা কত?
উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল।
৫০. বাংলদেশের আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা কত নটিক্যাল মাইল?
উত্তর : বাংলদেশের আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- ইজারাদাতার অবশিষ্ট মূল্য সম্পর্কে আলোচনা কর
- ইজারা গ্রহীতার বইয়ের হিসাব সংরক্ষণের প্রক্রিয়া আলোচনা কর
- ইজারা দাতার প্রত্যক্ষ ইজারার অর্থায়ন পদ্ধতি ধারণা সহ আলোচনা কর
- ইজারা ও মালিকানা পার্থক্য । ইজারা vs মালিকানা পার্থক্য
- ইজারা অর্থসংস্থানের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ, ইজারা অর্থসংস্থানের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো বিস্তারিত আলোচনা কর
- ইজারা অর্থসংস্থানের আর্থিক প্রভাব সমূহ আলোচনা কর