বাংলাদেশের জাতীয় কবি কে?,নিজেকে চিনলে আর কাউকে চিনতে বাকি থাকে না প্রাবন্ধিকের এ মতামতটি বুঝিয়ে লেখ,“উদ্দীপকের শিক্ষিত বেকারদের মানসিক দাসত্ব পরিবর্তনে প্রয়োজন আত্মনির্ভরতা”-‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর

বিষয়: বাংলাদেশের জাতীয় কবি কে?,নিজেকে চিনলে আর কাউকে চিনতে বাকি থাকে না প্রাবন্ধিকের এ মতামতটি বুঝিয়ে লেখ,“উদ্দীপকের শিক্ষিত বেকারদের মানসিক দাসত্ব পরিবর্তনে প্রয়োজন আত্মনির্ভরতা”-‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

নাজমুল হক একজন সমাজসেবক। তিনি সবসময় স্পষ্ট ভাষায় কথা বলেন এবং কাউকে পরোয়া করেন না। সত্য প্রতিষ্ঠায় তিনি কুণ্ঠাবোধ করেন না। তিনি মনে করেন; সত্য কথা শুনতে খারাপ লাগলেও তা জীবনের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।

ক. কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কাকে সালাম-নমস্কার জানিয়েছেন?

খ. আপনার সত্যকে আপনার পথপ্রদর্শক বলে জানা অহংকার নয় কেন?

গ. উদ্দীপকে সত্যের যে চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে তা ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা কর।

ঘ. নাজমুল হকের মনোভাবই পারে সত্য-সুন্দর পৃথিবী গড়তে।-‘আমার পথ’ প্রবন্ধ অবলম্বনে উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার কর।

ক. জ্ঞান

কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে নিজের সত্যকে সালাম-নমস্কার জানিয়েছেন।

খ. অনুধাবন

আপনার সত্য সব অসৎ শক্তিকে পরাজিত করে পূর্ণতার পথে এগিয়ে যায় বলে তাকে পথপ্রদর্শক বলে জানা আদৌ অহংকার নয়।

আমাদের এদেশ কৃষিজ, খনিজ, জলজ-সম্পদে ভরপুর। ফলে বিদেশিরা এদেশের ওপর বার বার আক্রমণ করেছে। কিন্তু মানুষ যদি তার স্বদেশ, স্বজাতির কল্যাণ ও মুক্তির জন্য এগিয়ে আসে তাহলে তা দোষের কিছু নয়; বরং তা অহংকারের বিষয়।

গ. প্রয়োগ

উদ্দীপকে সত্যের যে চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে তা ‘আমার পথ’ প্রবন্ধেও প্রতিফলিত হয়েছে।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে যে সত্যের কথা বলেছেন তা হলো মানুষের ভেতরের ঐশ্বরিক শক্তি বা অসীম ক্ষমতা। একজন মানুষ যদি সাধনার দ্বারা এই সত্যকে জানতে পারে তাহলে পৃথিবীর কোনো শক্তিই তাকে প্রতিহত করতে পারে না। চলার পথে যত বাধা-বিপত্তিই আসুক না কেন, কোনো শক্তিই তার এই পথ-চলায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে না। প্রাবন্ধিকের এই সত্যে প্রাবন্ধিককে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে।

উদ্দীপকের নাজমুল হক ও প্রাবন্ধিক এই সত্যেরই পূজারি ছিলেন। তিনি সবসময় স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতেন। আর তার এই স্পষ্টবাদিতাই হলো তার ভেতরগত সত্য। এই সত্যের গুণেই তিনি একজন সমাজসেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তাই উদ্দীপকে যে সত্য উপস্থাপিত হয়েছে তা হলো চিরকল্যাণকর, মঙ্গল ও সমাজের জন্য হিতকর। আর এ সত্যই ‘আমার পথ’ প্রবন্ধেরও মূল প্রতিপাদ্য।

ঘ. উচ্চতর দক্ষতা

‘নাজমুল হকের মনোভাবই পারে সত্য-সুন্দর পৃথিবী গড়তে’।-উদ্দীপকের এ উক্তিটি যৌক্তিক।

স্পষ্টবাদিতা মানুষের অন্যতম ঐশ্বরিক ক্ষমতা। এই ক্ষমতা অর্জন করতে পারলে কোনো বাধা-বিপত্তিই তার চলার পথকে আটকাতে পারে না। যারা এই গুণে গুণান্বিত তারা সামনে এগিয়ে যান এবং এই অগ্রবর্তী পথিকের দ্বারা সমাজের কল্যাণ হয়। সমাজ থেকে দূর হয় সকল অন্যায়-অবিচার, অত্যাচার আর বৈষম্য।

‘আমার পথ’ প্রবন্ধে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন বিদেশি শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য মানুষের সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি দরকার তা হলো আপন সত্যকে চেনা ও এর স্বরূপ উপলব্ধি করা। উদ্দীপকের নাজমুল হকও এই সত্যের দিশারী। তিনি একজন সমাজসেবক। তিনি মনে করেন সত্য কথা যতই অপ্রিয় হোক না কেন তা সমাজ ও সমাজের মানুষের জন্য মঙ্গলজনক। সমাজ সংস্কার করতে গিয়ে যদি মিথ্যার বেড়াজালে আবদ্ধ হয় তাহলে নাজমুল হক ঘুনে ধরা এ সমাজকে পরিবর্তন করতে পারবেন না। তিনি মনে করেন সত্যই, সুন্দর আর এ মনোভাবই পারে একজন মানুষকে আলোর পথ দেখাতে।

অতএব, সমাজের যারা অগ্রপথিক, যাদের দ্বারা সমাজ তথা রাষ্ট্র পরিচালিত হয় সে সব কর্ণধারকে বিদেশির দাসত্ব না করে নিজের দেশের কথা ভেবে নিজ ক্ষমতার বলেই দেশ পরিচালনা করতে হবে।

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

যারা ঘরের পাশে পাহাড়ের অজগর, বনের বাঘ নিয়ে বসবাস করে, তারা আজ নীরবে বিদেশির দাসত্ব করে। শুনে ভীষণ ক্রোধে হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে ওঠে। সারা দেহমনে আসে প্রলয়ের কম্পন, সারা বক্ষ মন্থন করে আসে অশ্রু।

ক. বেশি বিনয় দেখাতে গিয়ে অনেক সময় কোনটি ঘটে?

খ. পরাবলম্বন কেন আমাদের নিষ্ক্রিয় করে তোলে?

গ. উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের বৈসাদৃশ্য প্রমাণ কর।

ঘ. “সারা দেহমনে আসে প্রলয়ের কম্পন”- উক্তিটি ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

ক. জ্ঞান

বেশি বিনয় দেখাতে গিয়ে অনেক সময় নিজের সত্যকে অস্বীকার করে ফেলা হয়।

খ. অনুধাবন

পরাবলম্বনতা মানুষের সঞ্জীবনী শক্তি ও আত্মশক্তি ক্রমান্বয়ে বিনষ্ট করে ফেলে। নিজের সত্তাকে বিকিয়ে অন্যের গলগ্রহ হয়ে থাকলে মানুষ ধীরে ধীরে অলস ও কর্মবিমুখ হয়ে পড়ে। তার নিজের যে একটা অলৌকিক শক্তি আছে তা বিকাশে বাধাপ্রাপ্ত হয়। তখন মানুষ অন্যের দানে, দয়ায়, দাক্ষিণ্যে বেঁচে থাকে।

পুরাতন-জরাজীর্ণ ধ্যান-ধারণা আর মিথ্যাকে সে আঁকড়ে ধরে কোনো রকমে বেঁচে থাকে। আসলে এ বাঁচায় কোনো কৃতিত্ব নেই।

গ. প্রয়োগ

উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের যথেষ্ট অমিল লক্ষ করা যায়।

বাঙালি ভুলে গেছে তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কথা, ভুলে গেছে তাঁদের আসল পরিচয়। তারা যে জ্বলে-পুড়ে মরবার জন্য প্রস্তুত কিন্তু মাথা নোয়াবার নয়, তা যেন আজ ভাবাও অবান্তর। দিনের পর দিন তাঁর সন্তানেরা মুখ বুজে সহ্য করছে বিদেশিদের পরাধীনতার শৃঙ্খল।

উদ্দীপকে বর্ণিত বাঙালি একদিন ঘরের পাশে পাহাড়ের অজগর, বনের বাঘ নিয়ে বাস করেছে তারাই আজ নীরব, বিদেশির দাসত্ব করছে। আর এর জন্য বাঙালির আলস্য ও কর্মবিমুখতা দায়ী। এই দাসত্বের জন্য বাঙালি আজ সকলের চেয়ে ঘৃণ্য। শুনে ভীষণ ক্রোধে হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে আসে, সারা দেহমনে প্রলয়ের কম্পন আসে, সারা বুক বেয়ে অশ্রু নামে। কিন্তু ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বলেছেন, মানুষের ভেতরে যে ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে তা যদি সে উপলব্ধি করে তাহলে ঐ ক্ষমতার বলে সে তার সামনের সমস্ত বাধা-বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারবে। প্রাবন্ধিক বলেছেন, যার অন্তরে ভয়, সে নিজেকে যেমন ভয় পায় তেমনি বাইরের সবকিছুতেই তার ভয়। যার মনে মিথ্যা সে নিজেকেও ভয় পায়। এখানেই প্রবন্ধের অমিল।

ঘ. উচ্চতর দক্ষতা

বাঙালিরা নীরবে বিদেশিদের দাসত্ব করে বলেই সারা দেহমনে প্রলয়ের কম্পন আসে।

বাঙালি যে সাহসী জাতি তা ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। বাঙালি শুধু লাঠি দিয়েই তার স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে চেষ্টা করেছে। বাংলার তরুণরাই স্বাধীনতার জন্য অসম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে, যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত আছে। কিন্তু সেই বাঙালিরা আজ পরদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে।

উদ্দীপকে লক্ষণীয়, বাঙালি দিনের পর দিন পৃথিবীর লোককে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতো, সেই আজ সকলের দ্বারে ভিখারি। বাঙালিরা ঘরের পাশে পাহাড়ের অজগর আর বনের বাঘ নিয়ে বাস করলেও নীরবে বিদেশিদের দাসত্ব করছে। আর এ জন্যই ভীষণ ক্রোধে প্রাবন্ধিকের হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে ওঠে, দেহমনে আসে প্রলয়ের কম্পন। প্রাবন্ধিক বলেছেন, বাঙালি তার নিজের সত্যকে ভালোভাবে চেনে না বলেই তার অন্তরে ঢুকে আছে ভয়, এই ভয়ের জন্য সে নিজের অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞ। এই নিষ্ক্রিয়তা তাকে সত্যের পথ থেকে মিথ্যা নামক কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকার পথে নিয়ে গেছে। আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে অর্থাৎ নিজের ওপর নিজের ভরসা আসে। তাই প্রাবন্ধিক বলেছেন, পরনির্ভরতা পরিহার করে নিজের শক্তি ও সামর্থ্যরে ওপর প্রতিষ্ঠিত হলেই কেবল স্বাবলম্বী হওয়া যাবে।

আলোচনার দ্বারপ্রান্তে এসে বলা যায়, মানুষ বাইরে যতই গোঁয়ার্তুমি বা স্বাধীন হওয়ার কথা মুখে বলুক না কেন, সে যতক্ষণ পর্যন্ত তার ভেতরের গলদ দূর করতে না পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে পরাধীনই থাকবে। তাই অন্তরের দাসত্ব দূর করে নিজের ওপর দণ্ডায়মান হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার কথা ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম ফুটিয়ে তুলেছেন।


আরো ও সাজেশন:-

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

আজকাল শিক্ষিত বেকারদের মাঝে পরনির্ভরশীলতা বাড়ছে। তারা এর ওপর অটল বিধায় এ সংখ্যাটি কমানো সম্ভবপর নয়। কিন্তু নিজের সম্পর্কে জানলে তারা আর এ সমস্যার সম্মুখীন হতো না। পরের দিকে চেয়ে থাকার জন্য তাদের মন আজ মানসিক দাসত্বে পরিণত হচ্ছে। এ দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে না আসলে জাতীয় জীবনে মুক্তি সম্ভব নয়।

ক. বাংলাদেশের জাতীয় কবি কে? 

খ.নিজেকে চিনলে আর কাউকে চিনতে বাকি থাকে না। প্রাবন্ধিকের এ মতামতটি বুঝিয়ে লেখ।

গ.উদ্দীপকটি ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা কর।

ঘ.“উদ্দীপকের শিক্ষিত বেকারদের মানসিক দাসত্ব পরিবর্তনে প্রয়োজন আত্মনির্ভরতা”-‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

ক. জ্ঞান

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

খ. অনুধাবন

মানুষ যদি তার নিজ সত্তাকে চিনতে পারে অর্থাৎ নিজ দেশের সংস্কৃতি ও ধর্মবোধ জাগ্রত করে তাহলে বাইরের কোনো অপশক্তিই তাদের গ্রাস করতে পারে না।

এদেশের মানুষের মতো জ্ঞানশক্তি ও প্রেমশক্তি পৃথিবীর আর অন্য কোনো জাতির মধ্যে নেই। এদেশের মানুষ শত শত বছর ধরে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ধর্মবোধ জাগ্রত রেখে বসবাস করছে। নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য ও সোনার বাংলাকে স্বকীয় করার জন্য আত্মোৎসর্গ করতে তারা পিছপা হয়নি। তাই প্রাবন্ধিক বলেছেন, নিজেদের সংস্কৃতি, সভ্যতা, ঐশ্বর্য, ধর্মবোধ সম্পর্কে সচেতন থাকলে অন্যরা এদেশের সম্পদ লুট করতে পারত না।

গ. প্রয়োগ

আমি মনে করি উদ্দীপকটি ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কারণ উদ্দীপকে যে পরনির্ভরশীলতা ও মানসিক দাসত্বের কথা বলা হয়েছে তা ‘আমার পথ’ প্রবন্ধেও ফুটে উঠেছে।

পরনির্ভরশীলতা মানুষকে অমানুষ করে তোলে, মানুষকে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হতে বাধা সৃষ্টি করে, তাঁকে নি®প্রাণ পুতুলের মতো করে পরের আজ্ঞাবাহী দাসে পরিণত করে। বহুকাল ধরে আমাদের সমাজের মানুষের অন্তরের উচ্চবৃত্তিগুলো বিনাশ হওয়ায় তাদের মস্তিষ্ক ও হৃদয় অন্যের দাস হয়ে পড়েছে।

উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি, আজকাল আমাদের দেশের শিক্ষিত বেকাররা পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কিন্তু তাদের এ পরনির্ভরশীলতার প্রধান কারণ নিজের সম্পর্কে অচেতন হওয়া। প্রত্যেক মানুষের মাঝেই সুপ্ত প্রতিভা আছে কিন্তু মানুষ আত্মশক্তি দ্বারা তা বিকশিত করে না। যার ফলে পরের দিকে চেয়ে থেকে মনটাও দাসে পরিণত হয়েছে। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক এ পরনির্ভশীলতা ও দাসত্বপনার কথা তুলে ধরেছেন। কিন্তু অলস ও কর্মবিমুখ মানুষ তা না করে ধীরে ধীরে পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যে-বাঙালি একদিন সারা পৃথিবীর লোককে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াত আজ তারা পথের ভিখারি। আর এ হীন অবস্থার জন্য লেখক তাদের আলস্যকে দায়ী করেছেন। সুতরাং পরনির্ভরতা ও দাসত্বপনার দিক থেকে উদ্দীপকের সাথে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি অবশ্যই সঙ্গতিপূর্ণ। 

ঘ. উচ্চতর দক্ষতা

“উদ্দীপকের শিক্ষিত বেকারদের মানসিক দাসত্ব পরিবর্তনে প্রয়োজন আত্মনির্ভরতা।”-প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।

উদ্দীপকে শিক্ষিত যুবক বেকারদের পরনির্ভরশীলতার একমাত্র কারণ নিজ সম্পর্কে সচেতনতা। নিজের ভেতরের প্রতিভাকে জ্ঞানের দ্বারা উদ্ভাসিত করা। আলস্য ও কর্মবিমুখতা পদে পদে তাদের দাসত্বেকে পরিণত করেছে আর অন্যের দিকে চেয়ে থাকার জন্য তারা আত্মনির্ভরশীল হতে পারছে না।

প্রাবন্ধিকের মতে, নিজেকে চিনলে নিজের সত্যকেই কর্ণধার মনে করে নিজের শক্তির ওপর অটুট বিশ্বাস জন্মে। এ বিশ্বাস থেকেই তার মধ্যে স্বাবলম্বিতা আসে। এ স্বাবলম্বিতাই পারে মানুষকে পরনির্ভরশীলতা থেকে দূরে রাখতে। আত্মনির্ভরতা যেদিন বাঙালির মাঝে প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিনই বাঙালি পরনির্ভরশীলতার গ্লানি থেকে মুক্তি পাবে।

অতএব, আত্মাকে চিনে, নিজের সত্যকে জেনে, নিজের শক্তিতে বলীয়ান হওয়ার যে দম্ভ, এই দম্ভই শির উঁচু করে। তাই উদ্দীপকের শিক্ষিত বেকারদের মানসিক দাসত্ব পরিবর্তনে প্রয়োজন আত্মনির্ভরতা-এ উক্তিটি যৌক্তিক।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও

Leave a Comment