বিষয়: PDF Download বাংলাদেশের উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার রচনা,‘বাংলাদেশের উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার’ বিষয়টির উপর রচনা লিখুন, রচনা বাংলাদেশের উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার , রচনা বাংলাদেশের উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার রচনা, বাংলাদেশের উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার রচনা PDF Download
রচনা “বাংলাদেশের উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার” :-০১
তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা ইতিমধ্যে সারা বিশ্ব থেকেই আসছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এতে দ্রুত বদলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন খাত। বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্বে অর্জন করে নিয়েছে নিজেদের একটি সম্মানজনক স্থান। সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের নাম হচ্ছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে অগ্রযাত্রা শুরু।
জীবনমানে পরিবর্তন: দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার সঙ্গে মানুষের জীবনে এর বড় প্রভাবও দেখা গেছে। বড় পরিবর্তন এনেছে উবার-পাঠাওয়ের মতো রাইড শেয়ারিং সেবা চালু হওয়ায়। এ ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান যেমন বেড়েছে, তেমনি অনেকের যাতায়াতে সুবিধাও হয়েছে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বাড়ায় নতুন উদ্যোক্তাও সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথম কৃত্রিম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১: গত বছরের ১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৪ মিনিট (স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১৪ মিনিটে) কেপকেনাভেরালের জন কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটের পিঠে মহাকাশে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) বঙ্গবন্ধু-১ আর এর মধ্য দিয়েই অর্জনের তালিকায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তি ।
মেড ইন বাংলাদেশ: বিদেশ থেকে আমদানি কমিয়ে দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের হাইটেক ও মাইক্রোটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পার্কে চালু হয় দেশের প্রথম কম্পিউটার উৎপাদন কারখানা। ডাক, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই কারখানার উদ্বোধন করেন । এখানে উচ্চ মানসম্পন্ন ল্যাপটপ, ডেস্কটপ মনিটরসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য তৈরি হয়। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীসহ কারখানায় সব মিলিয়ে এখন প্রায় ১ হাজার কর্মী। প্রাথমিকভাবে প্রতি মাসে ৬০ হাজার ল্যাপটপ, ৩০ হাজার ডেস্কটপ এবং ৩০ হাজার মনিটর উৎপাদনের লক্ষ্য তাদের।
ফোর-জি ও ফাইভ-জি পরীক্ষা: টেলিযোগাযোগ খাতে বাংলাদেশের অন্যতম অর্জনের মধ্যে একটি হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক (ফোর-জি) যুগে পা রাখা। লাইসেন্স পাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালুর মাধ্যমে নিজেদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে অপারেটরগুলো। দেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তি উন্মুক্ত করার ঘোষণাও এসেছে।
অবকাঠামো উন্নয়ন: অবকাঠামো উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সারা দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কানেকটিভিটি স্থাপনের জন্য বাংলা গভর্নেট ও ইনফো সরকার-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ফলে সরকারের ৫৮টি মন্ত্রণালয়, ২২৭টি অধিদপ্তর, ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং জেলা ও উপজেলার ১৮ হাজার ৫০০টি সরকারি অফিস নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।
নিজস্ব ডেটা সেন্টার: বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বিদ্যমান জাতীয় ডেটাসেন্টারটির সক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেন্টারটির ওয়েবহোস্টিং ক্ষমতা ৭৫০ টেরাবাইটে উন্নীত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য বিসিসির এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় একটি বিশেষায়িত ল্যাব এবং একটি স্পেশাল সাউন্ড ইফেক্ট ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করা হয়েছে।
হাইটেক পার্ক: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের একটি স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়েছে। সিলেট ইলেকট্রনিক সিটি, রাজশাহীতে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি, নাটোরে আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, চুয়েটে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলছে।
আরো ও সাজেশন:-
মানবসম্পদ উন্নয়ন: মানবসম্পদ উন্নয়ন হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি এবং এই উন্নয়নে লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৪ হাজার এবং লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৫৫ হাজার মানুষকে যথাক্রমে বেসিক আইসিটি, টপ-আপ, ফিউচার লিডার এবং ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তথ্য ডিজিটাইজেশন: জনগণের দোরগোড়ায় তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও সেবার ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ৬০০ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপসগুলো গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে।
স্টার্টআপ কালচার: দেশে ইতিমধ্যে পাঠাওয়ের মতো স্টার্টআপ চালু হয়েছে।
ই-গভর্ন্যান্স: আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশের মতো অনেক উন্নয়নশীল দেশ তাদের দারিদ্র্য, প্রশাসনিক জটিলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মন্থর গতি প্রভৃতি দূর করার জন্য আইসিটি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। আইসিটি সম্প্রসারণ ও ব্যবহার জনসাধারণের নাগালের মধ্যে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যে আইসিটির সফল ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের সব ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ফেসবুক ও ফ্রিল্যান্সিং: বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী ৬ কোটির বেশি। গড়ে উঠেছে এফ-কমার্স বা ফেসবুক-ভিত্তিক ব্যবসা। এর বাইরে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি বড় অংশ ফ্রিল্যান্সার। দেশে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এর বাইরে রয়েছেন সফটওয়্যার খাতের উদ্যোক্তারা। এ খাতে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় আসছে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আরেক বড় অগ্রগতি হয়েছে নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে যুক্ত করার বিষয়টি । এ ছাড়া ই-কমার্স ও এফ-কমার্স খাত দেশে প্রসারিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নারী উদ্যোক্তাদের উপস্থিতি বাড়ছে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্য বলছে, এখন দেশে প্রায় ২০ হাজার ফেসবুক পেজে কেনাকাটা চলছে। এর মধ্যে ১২ হাজার পেজ চালাচ্ছেন নারীরা। ফেসবুককে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে স্বল্প পুঁজিতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন নারীরা। ই- ক্যাবের
তথ্যমতে, গত এক বছরে ই-কমার্স খাতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। দেশে সফটওয়্যার খাতের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বা বেসিসে সদস্য কোম্পানি রয়েছে ১ হাজার ২০০টি। এর মধ্যে ৬০টি কোম্পানিতে শেয়ার ও কোম্পানির বোর্ডে রয়েছেন নারী উদ্যোক্তারা। দেশের তথ্যপ্রযুক্তিতে অন্যতম
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
রচনা “বাংলাদেশের উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার” :-০২
ভূমিকা : বর্তমান বিশ্বের সার্বিক ও গুণগত মান উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ । এক শতকের তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লব মানব সভ্যতার গতি ও প্রকৃতিকে আরও বেগবান করেছে । ফলে দুত বদলে কাছে মানুষের জীবনমান । তাই তৃতীয় বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে দারিদ্র্য বিমােচন করে জনগণের জীবনমান উন্নত করার চ্যালেঞ্জ মােকাবিলায় তথ্য প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবহার করা প্রয়ােজন । দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃন্দি লাভে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বিশেষ অবদান রাখতে পারে । বর্তমান প্রবন্ধে আমাদের বিবেচ্য বিষয় তথ্য প্রযুক্তি , জাতীয় জীবনে এর অবদান , এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে প্রয়ােজনীয় কৌশল সম্পর্কে আলােচনা ।
তথ্য প্রযুক্তি : কম্পিউটার কিংবা টেলিযােগাযােগ মাধ্যমের সাহায্যে তথ্য সংরক্ষণ , গ্রহণ – প্রেরণ , তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি কাজের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে তথ্য প্রযুক্তি ( Information Technology ) ৰঙ্গে একে সংক্ষেপে IT বলা হয় । বর্তমান যুগে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব ও ব্যবহার ব্যাপক । তথ্য প্রযুক্ত ির ক্ষেত্রে কম্পিউটার , মােবাইল , হার্ডওয়্যার , সফটওয়্যার , নেটওয়ার্কিং , ইন্টারনেট , ডাটাবেস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য দিক ।
জাতীয় জীবনে তথ্য প্রযুক্তির অবদান : বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ । এমন দেশের সার্তি উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অন্তরায় হলাে- দারিদ্র , সুশাসনের অভাব , দুর্নীতি , শিক্ষার অভাব , দুর্বল অবকাঠামাে , সরকারের জবাবদিহিতার অভাব ইত্যাদি । এছাড়াও বাণিজ্য , চিকিৎসা , কৃষি প্রভৃতি পেশাগত জ্ঞানের অন্তৰও গুরুত্বপূর্ণ দিক । তথ্য প্রযুক্তির অবাধ , সুষ্ঠু এবং প্রচুর ব্যবহার এ সকল বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে । সকল তথ্য যদি জনগণের হাতের নাগালে এসে যায় তবে জনগণ সকল কাজের সিদ্বান্ত ভেবে চন্তে নিতে পারে । ফলে জাতীয় জীবনের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয় ।
Honors & Degree, HSC, SSC, JSC Suggestion
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
Honors & Degree, HSC, SSC, JSC Suggestion
বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন দিক : বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একট মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চায় । এ উপলক্ষে বেশ কিছু পদক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে । ফলে বর্তমান শতাব্দীর প্রথম দশক থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বেশ জোরের সঙ্গে শুরু হয়েছে । বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের কয়েকটি উল্লেখযােগ্য দিকগুলাে নিম্নরূপ
ক . ই – গভর্নেন্স ; বাংলাদেশের নানাবিধ সরকারি কাজে এখন তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা যায় । ফলে সরকারি 1 কাজে আগের থেকে স্বচ্ছতা লক্ষ করা যায় ।
খ . শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি : বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ , তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ দানে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষণীয় । মাল্টিমিডিয়া নির্ভর শ্রেণিকক্ষ এর একটি পরিচিত উদাহরণ ।
গ , ব্যবসা – বাণিজ্যে তথ্য প্রযুক্তি : বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাংক তাদের হিসেব নিকেশের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করছে । ফলে গ্রাহক ব্যাংকে না গিয়েও ব্যাংকের সঙ্গে হিসেব চালিয়ে যেতে পারছে ।
ঘ . মােবাইল ফোন : তথ্য প্রযুক্তির যে বিষয়টিতে বাংলাদেশের অগ্রগতি সব থেকে বেশি তা হলো মােবাইল ফোন । দেশে বর্তমানে ১২ কোটির মতাে মােবাইল গ্রাহক রয়েছে । যদিও এ সংখ্যা অনেক তবুও উন্নত বিশ্ব এমন কি ভারতের সঙ্গে তুলনা করলে আনুপাতিক হারে এ সংখ্যা বেশ কম । উ , মােবাইল ব্যাংকিং : তথ্য প্রযুক্তি সেবার অন্যতম সুফল মােবাইল ব্যাংকিং । দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এর মধ্যে দিয়ে ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছে । ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মােট ১৬ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে দৈনিক লেনেদের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৫৫২ কোটি টাকা । গত বছরের তুলনায় এই লেনদেন ৫১ দশমিক ২০ শতাংশের বেশি ।
চ. ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র : জনগণের দোরগোড়ায় সেবা ‘ এই স্লোগান নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপন করা। এখান থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ নানাবিধ তথ্য জানতে পারে।
ছ. ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসার : মাত্র ৯ বছর আগে ইন্টারনেট গ্রাহক মাত্র ১২ লাখ হলেও বর্তমানে সে । সংখ্যা সাড়ে ৪ কোটিরও বেশি ।
জ. তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্প : তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্প , যেমন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার নির্মাণের ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে । অন্তত ৬০ হাজার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে । তােলার কর্মসূচি হাতে নিয়ে সফটওয়্যার পার্ক , হাইটেক পার্ক ও ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ । নেওয়া হয়েছে ।
ঝ. কৃষি ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি: ইন্টারনেট :‘ কৃষক হেল্প লাইন ইত্যাদির মাধ্যমে কৃষক তার কৃষি সংক্রান্ত । নানাবিধ সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানতে পারছে ।
ঞ. চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি : উন্নত বিশ্বে চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হলেও বাংলাদেশে এখনাে সীমিত পরিসরে এর ব্যবহার দেখা যায় । টেলিমেডিসিন এর উল্লেখযােগ্য উদাহরণ । এছাড়া রােগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও তথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক অবদান রাখছে ।
তথ্য প্রযুক্তির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান : আন্তর্জাতিক টেলিযােগাযােগ ইউনিয়ন ( আই টি ইউ ) বিশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার সবার পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ । বিশ্বের এই চারটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন সূচক , ইন্টারনেটের গতি ও ব্যবহারে বাংলাদেশের অবস্থান কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি । তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ন সূচক ‘ এ বিশ্বের ১৬৭ দেশের মধ্যে দেশের অবস্থান ১৪৪ তম ।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা : ২০১৪ সালে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ‘ শ বছর পূর্তি হয় । তবে এ দীর্ঘ সময়েও বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে গরেনি । এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলােকে দায়ী করা যায় তা হলাে
১. দুর্বল অবকাঠামাে ,
২. বিদ্যুতের ঘাটতি ,
৩. তথ্য প্রযুক্তি যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতা এবং আমদানি নির্ভরতা ,
৪ . ই পরিকল্পনার অভাব ,
৫. তথ্য প্রযুক্তি সেবায় ব্যয়বহুলতা ,
৬. তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষার অভাব ,
৭. সচেতনতার অভাব ,
৮. তথ্য প্রযুক্তি সেবার শহরকেন্দ্রিক।
৯. ইন্টারনেট সুবিধা প্রত্যন্ত এলাকাতেও পৌছানাের ব্যবস্থা করতে হবে ।
১০. তথ্য প্রযুক্তি যে শুধু ইউটিউব কিংবা ফেসবুকের মতাে বিনােদন কিংবা সামাজিক যােগাযােগের মধ্যেই সীমিত নয় সে বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে ।
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আয়ােজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড -২০১৫ এ উপস্থিত প্রযুক্তিবিদ এবং নীতিনির্ধারকরা বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন । তাঁদের মতে , এই বিষয়গুলাে বাস্তবায়ন করা হলে দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাত অনেকখানি ইতিবাচকভাবে বদলে যাবে । সেই বিষয়গুলাে নিম্নরূপ
১. সরকারি ও বেসরকারি কাজে দেশীয় তথ্য – প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান সমূহের বিশেষ সুযােগ দান ।
২. তথ্য – প্রযুক্তি খাতের ট্যাক্স রহিতকরণ সময়সীমা বাড়ানাে ।
৩. ই – কমার্স ভিত্তিক পণ্য ও সেবা লেন – দেন ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা ।
৪. তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়ােগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ।
৫.শেয়ার মার্কেট তথা আইপিওতে আইটি কোম্পানির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা
বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নয়নের কৌশল : দল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাথমিক , মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিবিদ্যাকে বাধ্যতামূলক করা । মূল পর্যায়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তথ্য । প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা । তথ্য ও প্রযুক্তি খাতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ Thrust Sector হিসেবে চিহ্নিত করা । তথ্য প্রযুক্তির অবকাঠামাের উন্নয়ন করতে হবে । বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে হবে । তারা প্রতি সেবার বয় করতে হবে । প্রতির সরঞ্জাম দেশে উৎপাদনের ব্যবহ করতে হবে ।
তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা : বাংলাদেশের মােট জনসংখ্যার সিংহভাগই তরুণ । এই তরুণদের যদি তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান ঠিকভাবে দিয়ে দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তােলা যায় তবে দেশের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী । এছাড়া দেশে সুশাসনের অভাব এবং দুর্নীতি অনেকাংশে ই – গভর্নেন্সের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব । অন্যদিকে তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্রিক শিল্প গড়ে তুলে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান করা সম্ভব । এছাড়াও শিক্ষা , চিকিৎসা , যােগাযােগ , কৃষি , নগরায়ণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাংলাদেশের উন্নয়ন দ্রুত তরান্বিত করা যাবে । বলা যায় তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অপার , প্রয়ােজন সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন ।
উপসংহার : বর্তমান বিশ্ব শাসিত হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির দ্বারা । যে দেশের তথ্য প্রযুক্তির অবকাঠামাে ও ব্যবহার যত উন্নত তারা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মােকাবিলায় তত বেশি সক্ষম । বাংলাদেশ যেহেতু দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হতে আগ্রহী , সেহেতু তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই । তাই এখনই সময় সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নত করে তােলা । তবেই ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর পূর্বেই বাংলাদেশিরা হয়ে উঠতে পারে মধ্যম আয়ের এক স্বাবলম্বী জাতি ।
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
- কিভাবে মরিচা থেকে আপনার মোটরসাইকেলকে রক্ষা করবেন?, বাইকে মরিচা কিভাবে দূর করা যায় ?
- hsc/এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র সংক্ষিপ্ত সাজেশন, ফাইনাল সাজেশন এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র, hsc logic 1st paper suggestion 100% common guaranty, special short suggestion hsc suggestion logic 1st paper
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সুপার সাজেশন ও উত্তর, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক সাজেশন,প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সাজেশন,কম সময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে