বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে ও বিদ্যালয়ে যাওয়া তোমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা।

Advertisement

বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে ও বিদ্যালয়ে যাওয়া তোমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা। এই পরিস্থিতিতে অবসর সময়ে আনন্দ পাওয়ার জন্য তুমি বাড়ির আঙিনায়/ ছাদে বাগান করার সুযোগ পেলে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা নিচের ছক ও বিবেচ্যবিষয় অনুসরণ করে একটি ধারণাপত্র তৈরী করো।

বিবেচ্য বিষয়:
১। বাগানে তুমি কি কি গাছ লাগাতে চাও?
২। বাগান করতে তুমি কী কী সম্পদ ব্যবহার করবে?
৩। এ কাজের মাধ্যমে তুমি কীভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করছো?
ধাপ করণীয় কাজ
১.পরিকল্পনা
২. সংগঠন
৩. নিয়ন্ত্রণ
৪. মূল্যায়ন

উত্তর সমূহ:


১। বাগানে তুমি কি কি গাছ লাগাতে চাও?

উত্তর :

শহরের বাড়িতে ছাদ হলো উন্মুক্ত স্থান। ছাদের পরিকল্পনা করে সবজি ও ফলের বাগান করা এবং মুরগি, কোয়েল পাখি ও কবুতর পালন করা যায়। এক্ষেত্রে তারের জাল দিয়ে ঘর তৈরি করে নিতে হয়।

ছাদে যেসব গাছ লাগানো যায়, তা হলোÑ কলম করা আম, পেয়ারা, ডালিম, পেঁপে, বরই ইত্যাদি। সবজির মধ্যে লাউ, সীম, ঝিঙ্গা, কুমড়া, পুঁই, শশা, করল্লা ইত্যাদি। মরিচ, লেবু, টমেটো, বেগুন ইত্যাদি গুল্ম গাছও লাগানো যায়।

Advertisement

তবে গাছ কেবল লাগালেই চলবে না এর যত্ন ও পরিচর্যা করতে হবে। শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদকে যদি সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করা যায় তবে সবুজের বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।

নিজের উৎপাদিত সবজি একদিকে যেমন তৃপ্তি দিবে অন্যদিকে অর্থের সাশ্রয় হবে। অবসর সময়কে কাজে লাগানো যাবে। পরিবারের সবাই মিলে কাজ করলে সকলের মধ্যে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

[Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]


২। বাগান করতে তুমি কী কী সম্পদ ব্যবহার করবে?

উত্তর :

ছাদবাগান করতে চাইলে ছাদে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি। এ ছাড়া অনেকে ট্যাংকিতে জলজ উদ্ভিদ ও মাছের চাষ একসঙ্গে করতে চান, সে ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ছাদটি প্রস্তুত করে নেওয়া প্রয়োজন। না হলে দ্রুতই ছাদ ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ছাদবাগানের জন্য খুব বেশি বড় ও ঝোপালো গাছ বেছে না নিয়ে হাইব্রিড গাছ বেছে নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

টব

স্থায়ীভাবে বাগান করতে চাইলে সিমেন্টের টব বেছে নেওয়া ভালো। চাইলে প্রয়োজনমতো এ ধরনের টব তৈরি করে নিতে পারেন। এ ছাড়া পোড়ামাটি কিংবা প্লাস্টিকের টব ব্যবহার করা যেতে পারে। এমন ধরনের টবে একটু রং করিয়ে নিলে ছাদবাগানটি হয়ে উঠবে নজরকাড়া। গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের টব পাওয়া যায় নার্সারিতে। সেখান থেকে বিভিন্ন আকার ও পছন্দমতো নকশার টব এনে সাজালেও জায়গা বাঁচিয়ে বেশি গাছ লাগানো যাবে। এ ছাড়া বড় আকারের স্টিল বা প্লাস্টিকের ড্রাম মাঝ বরাবর কেটে টব হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সাধারণত একটু বড় আকৃতির গাছ কিংবা ফলের গাছের জন্য এ ধরনের ড্রাম সুবিধাজনক। এতে গাছ দ্রুত বেড়ে উঠতে পারে। নার্সারিতে পাওয়া যাবে নানা আকৃতির টব। চাইলে ফেলনা প্লাস্টিকের বোতল, ভাঙা গ্লাস বা মগ, গামলা, বালতি, বাতিল করে দেওয়া বাথরুমের কমোড বা বেসিনকেও কাজে লাগানো যায় টবের বিকল্প হিসেবে।

নিড়ানি

টব বা ড্রামের মাটি আলগা করতে নিড়ানি ব্যবহার করা উচিত। ছাদবাগানের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। নার্সারিতে কিংবা যেকোনো কামারের দোকানে এটি কিনতে পাওয়া যাবে। দাম ৮০-১০০ টাকা।

সেকেচার

গাছের ডালপালা কাটার জন্য প্রয়োজন হবে সেকেচার। এর মাধ্যমে মসৃণভাবে অপ্রয়োজনীয় ডাল কেটে ফেলতে পারবেন। নার্সারি ও হার্ডওয়্যারের দোকানে এটি পাওয়া যাবে । মানভেদে দাম পড়বে ২৫০-৫০০ টাকা।

পানির ঝাঁজরি

গাছে পানি দেওয়ার জন্য টিন ও প্লাস্টিকের তৈরি ঝাঁজরির ব্যবহার জনপ্রিয়। ঝাঁজরিতে পানি দিলে গাছের গোড়ায় আঘাত লাগে না, সেই সঙ্গে ওপর থেকে পানি পড়ায় গাছের পাতা, ফুল বা ফলে জমা ধুলা–ময়লা ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে যায়। নার্সারি, হার্ডওয়্যারের দোকান ছাড়াও পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার ও কারওয়ান বাজারে পাওয়া যাবে ঝাঁজরি। দাম ৩০০-৬০০ টাকা।

স্প্রেয়ার

ছাদে বা বারান্দাবাগানের পোকামাকড় দমন করতে কীটনাশক স্প্রে করতে চাইলে হাত স্প্রেয়ারের বিকল্প নেই। নার্সারি ও পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার বীজ মার্কেটে পাওয়া যাবে এই অতি প্রয়োজনীয় উপকরণ। দাম ২৫০-৪০০ টাকা।

[Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

ওয়াটার পাইপ

Advertisement 2

অল্প সময়ে অনেক গাছে পানি দেওয়ার জন্য ওয়াটার পাইপ ভীষণ কাজের। কলের মুখের মাপের সঙ্গে মিলিয়ে পাইপ নিলে অযাচিত পানির অপচয় রোধ করা সম্ভব। আধা ইঞ্চি থেকে এক ইঞ্চি ব্যাসের প্লাস্টিকের পাইপগুলোর দাম ফুটপ্রতি ১০-১২ টাকা। হার্ডওয়্যারের দোকানগুলোতেই পাওয়া যাবে পাইপ।

কোদাল

শক্ত মাটিকে খুঁড়ে আলগা করতে ও বড় গাছ লাগাতে হলে কোদাল ব্যবহার করতে হয়। দাম গুনতে হবে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। কারওয়ান বাজার, পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার কিংবা যেকোনো কামারের দোকানে পাওয়া যাবে কোদাল।

শাবল

ড্রাম বা টবের মাটি খোঁচানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। কারওয়ান বাজার কিংবা যেকোনো কামারের দোকানেই পাওয়া যাবে।

বেলচা

মাটি তুলে টবে বা ড্রামে সহজে তোলার কাজে ব্যবহার করা হয়। দাম নিতে পারে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। পাওয়া যাবে যেকোনো হার্ডওয়্যারের দোকানে।

পিএইচ ও ময়েশ্চার মিটার

মাটির আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা মাপার কাজে ব্যবহৃত হয়। ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে নবাবপুর ও হাটখোলা সায়েন্টিফিক মার্কেটে। এ ছাড়া পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার বীজ মার্কেটেও পাওয়া যাবে এই পরিমাপক।

Advertisement 2

[Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]


৩। এ কাজের মাধ্যমে তুমি কীভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করছো?

উত্তর :

শহুরে পরিবেশে বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ কম। নিজের ঘরের লাগোয়া একটি বাগান থাকলে সে সুযোগ কিছুটা হলেও মেলে। ফ্ল্যাট বাসায় বড় জায়গা না পেলেও বারান্দায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে নিয়ে গাছ লাগানো যায়। ছাদেও বাগান করা যায়। ব্যস্ততার মধ্যেও দিনের কিছুটা সময় বাগানের জন্য খরচ করলে নানা উপকার মিলবে।

বাগানে নিয়মিত কাজ করা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। জেনে নিন এ বিষয়ে কিছু তথ্য:

  • ছাদে বা বারান্দায় গাছ লাগিয়ে অক্সিজেনসমৃদ্ধ বিশুদ্ধ বাতাস পাবেন। সেখানে হাঁটলে শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন। বুক ভরে ফুলের ঘ্রাণ নিলে মনটাও চনমনে হয়ে উঠবে। একটু সবুজের ছোঁয়ার নানা ইতিবাচক প্রভাব আছে মনের অবস্থার ওপর।
  • বাগানে নিয়মিত কাজ করা একটা চমৎকার ব্যায়াম। হাত-পায়ের মাংসপেশি ও সন্ধির এই ব্যায়ামে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এক ঘণ্টা বাগানের কাজ করলে ১০০ থেকে ২০০ ক্যালরি ক্ষয় হয়।
  • বাগানে কাজ করলে শারীরিক পরিশ্রম হয়। তাই ওজন কমাতে এবং রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তে চর্বি নিয়ন্ত্রণে এটি কার্যকর।
  • গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকলে বিষণ্নতা দূর হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য মানুষের চোখকে আরাম দেয়। এতে চোখের ক্লান্তি দূর হয়।
  • করোনার সময় কালে তোমার একাকি সময় কাটবে
  • ভালো বাবে লেখা-পড়ায় মন বসবে

[Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

Advertisement 5

Advertisement 3

Leave a Comment