ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন?, ফটোগ্রাফার হতে চাই আমাকে কি করতে হবে?,কিভাবে ফটোগ্রাফার হওয়া যায়,ফটোগ্রাফার হতে চান?, হতে চাইলে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার!

আজকের বিষয়: ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন?, ফটোগ্রাফার হতে চাই আমাকে কি করতে হবে?,কিভাবে ফটোগ্রাফার হওয়া যায়,ফটোগ্রাফার হতে চান?, হতে চাইলে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার!

ফটোগ্রাফার হবেন ?  আমরা ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে যাই কিন্তু কি তুলবো বা কেন তুলবো ? ছবি কি কথা বলে ? ছবিটিতে কিইবা আছে। এই ভাবনা না থাকলে খুব তাড়াতাড়িই আবার ফিরে আসতে হয়। তাই ভাবনার জায়গাটা আগে তৈারী করতে হবে। লোক দেখানো ফটোগ্রাফার নয় মনের খোরাক মেটান ছবি তুলে। নিচে কিছু বিষয় আপনার চিন্তার খোরাক করে দিচ্ছি। আশা করছি আপনি যদি চর্চা করে খুব অল্প দিনেই ফটোগ্রাফির আনন্দটা পাবেন। তবে বিষয়গুলি চর্চা করতে হবে।

আবেগ নির্ণয় করুন এবং পরিকল্পনা করুন: ফটোগ্রাফিতে সফল হতে হলে আপনাকে একদম নিরপেক্ষ ভাবে দৃশ্যের আবেদনটা নির্ণয় করতে হবে। আবেগের তাড়নায় নিজের জায়গা থেকে একচুলও নড়া যাবে না। তাই থাকতে হবে আবেগ নির্ণয়ের ক্ষমতা আর সঠিক পরিকল্পনা। আপনাকে লক্ষ্যে স্থির থেকে উপযুক্ত পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।

ক্যামেরার সঙ্গে থাকুন: আপনার ক্যামেরা সকল ব্যবহার উত্তম রূপে অবগত হোন। কোন মেন্যু দিয়ে কী হয়, কোন অপশনটির কাজ কী কোনটিই যেন বাকি না থাকে আর সব সময় সাথে রাখুন ক্যামেরা।

ফটোগ্রাফির টেকনিকগুলো জানুন: যতটা সম্ভব ফটোগ্রাফির টেকনিকগুলো শিখুন। পয়েন্ট, শট, ক্যামেরা ইত্যাদি সম্পর্কে যতটা পারেন জ্ঞান অর্জন করতে থাকুন।

এডিট বা ছবি সম্পাদনা করা শিখুন: আপনি বেসিক সফটওয়্যার থেকে সম্পাদনার অনেক কিছুই শিখতে পারবেন। কমপক্ষে আপনি ফটোশপের মত সফটওয়্যার থেকে সম্পাদনা বেসিক শিক্ষা নিতে পারবেন।

ফটোগ্রাফার হিসেবে চোখ ও মন তৈরি করুন: ভাল যন্ত্রপাতি কিংবা ভাল ক্যামেরা না থাকলেও শুধু মন আর চোখ অর্থাৎ নজর থাকলেই আপনি একটি ভাল ছবি তুলতে পারবেন। ক্যামেরা ফ্রেমের থেকে আপনার মন আর চোখের বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাটাই আসল। সুতরাং ভাল ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে কথা বলুন, তাদের মন আর নজর সম্পর্কে ধারণা নিন যাতে তাদের মত দৃষ্টি আপনারও হয়ে ওঠে।

ফটোগ্রাফির ইতিহাস জানুন: ফটোগ্রাফির ইতিহাস সম্পর্কে জানুন। কোথা থেকে এলো, কে কে এর পথিকৃৎ, কবে থেকে উন্নতি লাভ করলো এসব তথ্য জানুন। এখানে দুটি বইয়ের নাম উল্লেখ করছি। The History of Photography: From 1839 to the Present ও A World History of Photography

শ্রেষ্ঠ ফটোগ্রাফার: আপনাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ফটোগ্রাফারদের সম্পর্কেও জানতে হবে। তাদের দৃষ্টি, কর্ম, জীবন, পেশা, আদর্শ ইত্যাদি আপনার ফটোগ্রাফিতে প্রভাব ফেলবে। আপনাকে গড়ে তুলতে পারে তাদের মত করে।

বর্তমানের প্রথম সারির ফটোগ্রাফার সম্পর্কে জানুন: আগের দিনের শ্রেষ্ঠ ফটোগ্রাফারের পাশাপাশি বর্তমানের ফটোগ্রাফারদের সম্পর্কেও জানুন। তারা কিভাবে গড়ে উঠলেন সেটাও আপনার ফটোগ্রাফিতে কাজে দিবে। এখানে দুটি বইয়ের নাম উল্লেখ করছি। আপনাকে এটাও জানতে হবে যে কেন তারা সফল হলেন, কেন তাদের ধৈর্য্যের বাধ ভাঙেনি। Sketching Light: An Illustrated Tour of the Possibilities of Flash. – Joe McNally ও Understanding Exposure: How to Shoot Great Photographs with Any Camera: Bryan Peterson

স্থানীয় ফটোগ্রাফি ক্লাবে যোগ দিন: স্থানীয় কোনো ফটোগ্রাফি ক্লাবে যোগ দেওয়াটা হবে সফল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে আপনার বিভিন্ন বিষয় অন্যদের সঙ্গে আদান প্রদানের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। ফটোগ্রাফারের মন অর্জন করতে পারবেন।

ভাল একজন ফটোগ্রাফার বন্ধু বা পরামর্শদাতা খুঁজুন: ক্লাবের মধ্যে থেকে একজনকে বন্ধু বানিয়ে নিন। তার সাথে ছবি তুলুন, শেয়ার করুন, এক সঙ্গে কাজ করুন। এক বা একাধিক পরামর্শদাতা বের করুন। তাদের কাছ থেকে কোনো না কোনো শিক্ষা পাবেনই।

ফটোগ্রাফির কনফারেন্সেগুলোতে অংশ নিন: একজন সফল ফটোগ্রাফার হতে চাইলে আপনাকে স্থানীয়, জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যে কোনো প্রদর্শনী বা সেমিনারে অংশ নিতে হবে। এ ধরনের কনফারেন্সেও আপনার সরব উপস্থিতি জরুরী।

প্রদর্শনী দেখুন: বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখুন। সেগুলোর রং, ধরন, দৃষ্টিভঙ্গি, বিষয়বস্তু এসব লক্ষ্য করুন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নিন:  অনেক সময়ই আলোকচিত্রের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেগুলোতে অংশ নিন ও অন্যদের সঙ্গে আপনার ছবির তারতম্য বুঝুন।

আপনার পেশাকে উন্নত করুন: আপনাকে ভাবতে হবে পেশা হিসেবে ফটোগ্রাফিকে কতদূর এগিয়ে নিতে পারলেন। আপনাকে পেশাদার ফটোগ্রাফার হতে হবে। পেশাকে দিনকে দিন এগিয়ে নিতে হবে। ক্যামেরা নিয়ে আপনার কাজ হবে একদম সময় নিয়ন্ত্রণ করে। দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক সবই হবে নির্দিষ্ট সময় মেনে। এক্ষেত্রে অনিয়ম করা চলবে না। গুছিয়ে কাজ করুন। নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন- আপনি পারবেন। সব কাটিয়ে আপনি আপনার পেশাকে এগিয়ে নেবেন। সব সময়ই ফটোগ্রাফিকে আনন্দের সঙ্গে নিবেন। বিরক্ত হবেন না, ধৈর্য্য হারাবেন না। দেখুন কত আনন্দ এই সৃজনশীল কাজটির মাঝে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ইংরেজি শব্দ Photography যার বাংলা অর্থ আলোকচিত্রশিল্প। আর ফটোগ্রাফার হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি ফটোগ্রাফি বা আলোকচিত্রশিল্পকে পেশা হিসাবে নিয়ে থাকেন। ছবি তোলার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে একটি স্বাধীন পেশা হতে পারে ফটোগ্রাফি। আপনার যদি ছবি তোলার সখ থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার সখ পূরণের পাশাপাশি একটি লাভজনক ব্যবসা ও পেশা হিসাবে ফটোগ্রাফার হতে পারেন। এটি একটি সেবা ভিত্তিক ব্যবসা আইডিয়া। আজকে এই পোস্টে জানার চেষ্টা করব কিভাবে ফটোগ্রাফার হওয়া যায়।

ফটোগ্রাফির প্রকারভেদ

আসলে ফটোগ্রাফির প্রকারভেদ গুনে শেষ করা যাবে না। কম করে হলেও ৩০ ধরণের ফটোগ্রাফি রয়েছে। তার মধ্যে যেসব ফটোগ্রাফির চাহিদা বেশী তার কিছু নাম নিচে উল্লেখ করা হল।

১। ফুড ফটোগ্রাফি

২। ফ্যাশন ফটোগ্রাফি

৩। বিবাহ ফটোগ্রাফি

৪। ডক্যুমেন্টারি ফটোগ্রাফি

৫। ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি

৬। নেচার ফটোগ্রাফি

৭। মেডিক্যাল ফটোগ্রাফি

৮। ট্রাভেল ফটোগ্রাফি

৯। আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি

১০। স্পোর্টস ফটোগ্রাফি

১১। ক্যানডিড ফটোগ্রাফি

১২। স্টক ফটোগ্রাফি

এছাড়াও আরো অনেক ফটোগ্রাফি রয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এই সব ফটোগ্রাফির প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারন দিতে পারব। এবার মূল আলোচনার আসি।

ফটোগ্রাফার হতে হলে চাই ফটোগ্রাফির দক্ষতা

এটি এমন একটি পেশা যেখানে আপনার দক্ষতার জন্য ভাড়া নেওয়া হবে। আপনার দক্ষতা ভেদে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কাজ করে ৩০০০ টাকা থেকে ৫০০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। একবার ভাবুন কেন আপনাকে মাএ এত অল্প সময়ের জন্য এত টাকা দিবে? তাই যেন তেন ছবি তোলার দক্ষতা অর্জন করলেই চলবে না। আপনার তোলা ছবিতে জীবন্ত প্রানের ছোয়া ফুটিয়ে তুলতে হবে।

ফটোগ্রাফার হতে হলে যেসব সরঞ্জাম দরকার

প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হতে হলে আপনাকে মান সম্মত সরঞ্জাম কিনতে হবে। এই ব্যয় আপনার এই পেশার প্রধান ব্যয়। তাই শুরুতেই ভাল মানের ক্যামেরা, লেন্স, মেমরি কার্ড, ফ্ল্যাশ, tripod, monopod, কার্ড রিডার ও ক্যামেরা ব্যাগ কিনতে হবে। এছাড়া ছবি এডিটিং করার জন্য ভাল মানের ল্যাপটপ ও সফটওয়্যার থাকতে হবে।

সব চেয়ে ভাল হয় যদি আপনি এই সব সরঞ্জাম আগে ভাড়া নিয়ে নিজের দক্ষতা যাচাই করতে পারেন। এছাড়া আপনার ব্যবসা প্রসারে একটি ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকতে হবে।

ছবি তোলা অনুশীলন করুন

যত বেশী অনুশীলন করতে পারবেন তত বেশী আপনার দক্ষতা বাড়বে। এছাড়া আপনার ফটোগ্রাফি সরঞ্জাম সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয় জানতে হবে। ছবি তোলার জন্য আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন আলোতে কি রকম ছবি উঠে তা বুজতে হবে। সম্ভব হলে ফটোগ্রাফি ক্লাস করুন। অনলাইন ক্লাস বা কোন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার থেকে ছবি তোলার দক্ষতা হাতে কলমে শিখার চেষ্টা করুন।

ছবি তোলার ব্যক্তিগত স্টাইল খুঁজে বের করুন

ফটোগ্রাফি একটি শিল্প যেখানে সবার আলাদা ছবি তোলার স্টাইল থাকে। কখনই কাউকে অন্ধের মত কপি করতে যাবেন না। তাহলে নিজের স্টাইল হারিয়ে ফেলার সম্ভবনা থাকে। আপনার নিজস্ব ধরন খুঁজে বের করুন। এটি খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।

ছবি এডিটিং করতে দক্ষ হতে হবে

ফটোগ্রাফার হতে হলে আপনাকে যেমন ভাল ছবি তোলার দক্ষতা থাকতে হবে ঠিক তেমনি ভাল এডিটিং এর দক্ষতাও থাকতে হবে। প্রথম দিকে আপনাকে নিজেকেই এডিটিং এর কাজ করতে হতে পারে। তাই ছবি এডিটিং সম্পর্কে ভাল অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

অনলাইন পোর্টফোলিও বানান

আপনার অনলাইন পোর্টফোলিও আপনার পেশার ডিজিটাল প্রেজেন্টেশন। অনলাইন পোর্টফোলিও বানাতে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা চাই। যেখানে আপনার তোলা সেরা ছবি থাকবে, আপনার সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে। তাই ওয়েবসাইটি যতটুকু সম্ভব প্রফেশনাল ভাবে বানান। আপনি ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুক পেইজে আপনার তোলা সেরা ছবি প্রকাশ করতে পারেন।

স্থান পরিদর্শন করুন

যখন আপনাকে কোন বিবাহ বা অন্য কোন অনুষ্ঠানের জন্য ফটোগ্রাফার হিসাবে ভাড়া করা হবে তখন আপনার উচিত হবে আগেই সেই অনুষ্ঠানের স্থান পরিদর্শন করা। কেননা, এটাই একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের কাজ। এটি ভাল ছবি তোলার সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়।

ব্যাকআপ সরঞ্জাম সাথে রাখুন

আপনি যতই ছোট বা বড় ফটোগ্রাফির কাজ করুন না কেন সব সময় ব্যাকআপ সরঞ্জাম সাথে রাখতে হবে। ধুরন কোন একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে আপনাকেই একমাএ ফটোগ্রাফার হিসাবে ভাড়া করা হয়েছে এবং আপনি সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখলেন আপনার ক্যামেরা কাজ করছে না। ভাবুনতো বিষয়টা কেমন হবে? তাই সব সময় ব্যাকআপ সরঞ্জাম সাথেই রাখুন।

ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করুন

আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ভিত্তি করে একটি ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করুন। অনেক ফটোগ্রাফার আছেন যারা কম টাকা পাবে বিধায় কাজ না করেই বসে থাকে যা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। অতিরিক্ত মূল্য ও কম মূল্য দু’ই খারাপ।

সময় সচেতনতা

আপনি যদি এখন বিবাহ ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে সময় সচেতন হতে হবে। অনুষ্ঠান শুরুর কম পক্ষে আধা ঘণ্টা পূর্বে আপনাকে স্থানে পৌঁছাতে হবে।

বন্ধুসুলভ আচরন

একজন সফল ফটোগ্রাফারের যে সব গুন থাকে যা তাকে আরো সফল করে তার মধ্যে অন্যতম গুন বন্ধুসুলভ আচরন।

যোগ্যতা

ভালো ছবি তোলা, এডিটিং, যোগাযোগ করার দক্ষতা, সময় সচেতনতা, রেফারেন্স নেওয়া দক্ষতা আপনাকে এই ব্যবসায় সফল করবে বলে বিশ্বাস করছি। অনেক শুভ কামনা রইল।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment