গর্ভধারণ রোধ করার জন্য অনেক ধরনের প্রতিরোধক পাওয়া যায়। সেগুলোর অকার্যকারিতার হার খুবই নগণ্য। তবে অসাবধান হলে সে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে যেতে পারে।
গর্ভধারণ করলে সে এবং তার সঙ্গীর জন্য খুব আনন্দদায়ক একটি ঘটনা। তবে, এ কথাটা সব সময় সত্য না।
জীবনযাপনবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি শিশুকে পৃথিবীতে আনার আগে তার উপযোগী একটি জীবন তৈরি করা জরুরি। সবসময় বাবা-মা একটি শিশুর জন্য প্রস্তুত থাকেন না। এরকম অপরিকল্পিত গর্ভধারণ সমস্যা সৃষ্টি করে।
পরিবার পরিকল্পনার জন্য নেওয়া ব্যবস্থাগুলোতে সমস্যা থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন অপরিকল্পিত গর্ভধারণের জন্য যতটা না প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর অক্ষমতা দায়ী থাকে তারচেয়ে অনেক বেশি থাকে ব্যবহারকারীদের অজ্ঞতা এবং অসাবধানতা।
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যত শিশু হয় তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক সংখ্যক শিশুই অপরিকল্পিত গর্ভ ধারনের ফলে জন্মায়। কীভাবে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ ঘটে এবং কী ধরণের সচেতনতা গ্রহণ করলে এ সমস্যা রোধ করা যায় তা জানিয়েছে চিকিৎসাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট—
আমেরিকার অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অফ মেডিসিনের ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিষয়ক প্রফেসর সিভন ডলান জানান, কোনো নারীর যদি রজোনিবৃত্তি (মেনোপজ) না হয়ে থাকে তবে তার সন্তান ধারনের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
ডলানের মতে, “গর্ভধারণ রোধের শতভাগ সুরক্ষিত কোনো উপায় নেই।”
অনেক সময়ই গর্ভধারণ রোধের সুরক্ষা পদ্ধতি বিফল হয়। তখন অপরিকল্পিত গর্ভধারণ ঘটতে পারে। পিল, কনডম, ইন্ট্রাউটারিন ডিভাইজেজ (IUDs) ধরনের ব্যবস্থাপনা ৮০ বা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। অন্যান্য স্থায়ী ব্যবস্থা যেমন নারীর ‘স্টেরলাজেইশন’ ও পুরুষের ক্ষেত্রে ‘ভ্যাসেকটমি’ বা বন্ধ্যকরনের মাধ্যমে সেটা বিফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও এই সম্ভাবনা শতকরা এক শতাংশেরও কম তাও সম্ভাবনা থেকেই যায়।
যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সঠিক না হয় তবে গর্ভধারণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কখনও কনডম ফেটে যেতে পারে সেক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণের দ্বিতীয় ধাপ নেওয়া আবশ্যক। যা হচ্ছে জন্মনিরোধক জরুরি অবস্থায় নেওয়া বড়ি। এই পিলগুলো অরক্ষিত যৌন সম্পর্কের পরদিন সকাল থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত খাওয়া যায়। জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য খাওয়া প্রাত্যহিক বড়ি খেতে ভুলে গেলেও এই জরুরি বড়ি খাওয়া যেতে পারে।
অপরিকল্পিত গর্ভধারণের আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে অকার্যকর জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি।
আমেরিকার উইমেন অ্যান্ড ইনফ্যান্টস হসপিটাল অফ রোড আইল্যান্ডের ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মৌরিন ফিপ্স বলেন, “অনেক মহিলাই নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন না। কেউ কেউ তো মোটেই করেন না।”
এর কারণ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন, অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিগুলো পছন্দ করেন না। অনেকেরই সেগুলো পাওয়ার সাধ্য নেই। কখনও পুরুষ সঙ্গীও এটাকে অপছন্দ করতে পারেন।
ফিপ্স বলেন, “অনেক সময় এমন হয়- দম্পতি মনস্থির করে উঠতে পারেন না যে তারা আদৌ সন্তান নেবেন কিনা!”
“তারা হয়ত সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেননি তবে তারা গর্ভধারণ এড়ানোর বিষয়েও তেমন সচেতন না।”
ফলে একসময় স্ত্রী বা নারী সঙ্গী গর্ভধারণ করে ফেলেন।
কিছু মহিলা গর্ভধারণের বিষয়ে সচেতন না। এর কারণ হতে পারে অতীতে তাদের গর্ভধারণে অসুবিধা হয়ে ছিল এবং তারা সাময়িক বন্ধ্যত্বের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। অথবা অনিয়মিত মাসিক কিংবা মেনোপজের আগের অনিয়মিত মাসিকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায়ও কেউ কী গর্ভধারণ করে ফেলেন যেটা সম্পর্কে আসলে তিনি আগে সচেতন ছিলেন না।
ডলান বলেন, “যদি মাসিক অনিয়মিতভাবেও হতে থাকে তবুও জন্ম বিরতিকরণ পদ্ধতিকে অবহেলা করা যাবে না।”
তিনি আরও জানান, একবার পুরোপুরি রজোনিবৃত্তি হয়ে গেলে অর্থাৎ একটা পুরো বছর মাসিক না হলে এটাকে ‘রজো-বন্ধ’ বা মেনোপজ বলা যায়। তখন কোনো জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ না করলেও গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে না। তারপরেও যৌন সংক্রামণ রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে কোনো না কোনো সুরক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
সাধারণত জন্মনিরোধক পদ্ধতিগুলোর অক্ষমতার হার ১০ শতাংশের মতো হলেও জন্ম নেওয়া শিশুর মধ্যে প্রায় অর্ধেক পরিকল্পনার বহির্ভূত হওয়ার আরও একটি কারণ হল, সঠিকভাবে পদ্ধতিগুলো ব্যবহার না করা।
বহুল ব্যবহৃত এবং মোটামুটি সবার জন্য নিরাপদ জন্মনিরোধক পদ্ধতি হল কনডম। তবে কনডম ফেটে অঘটন হওয়ার বিষয়েও সচেতন হতে হবে। জানিয়েছে কনডম উৎপাদন ও বিক্রয় করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান।
তাদের মতে, “সঠিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করলে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।”
অন্য সব জিনিসের মতো কনডমেরও একটি মেয়াদ উত্তীর্ণের দিন থাকে এবং প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে ব্যবহার বিধি লেখা থাকে। এই দুই বিষয়ে মনোযোগী হওয়া দরকার।
একবার সঙ্গমের পরে অবস্থান পরিবর্তন করে আবার মিলিত হলেও কনডম বদলে ফেলা উচিত। না হলে সেটা কার্যকারিতা হারাতে পারে।
সাধারণত সব কনডমেই লুব্রিকেন্ট বা পিচ্ছিলকারক পদার্থ লাগানো থাকে। তবে এরপরেও যদি কেউ আলাদা পিচ্ছিল কারক পদার্থ ব্যবহার করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট কনডম কেমন পদার্থ গ্রহণ করে এই বিষয়ে আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
কনডম ফেটে যাওয়ার একটা উল্লেখযোগ্য কারণ হল এর শীর্ষে থাকা বাতাস। তাই কনডম প্যাকেট থেকে বের করার পরে আর শীর্ষের বাতাস আলতো চেপে বের করে ফেলতে হবে এরপর আস্তে আস্তে কনডম খুলে বের করতে হবে।
অনেক সময় ফয়েল প্যাকেট ছেঁড়ার সময় বা হাতের নখে বা আংটিতে লেগে কনডম ছিঁড়ে যায় বা ফুটা হয়ে যেতে পারে যেটা প্রায় কেউই লক্ষ করেন না। এই বিষয়েও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
কনডম প্যাকেট থেকে বের করার পর সেটা যদি আঠালো বা ভঙ্গুর মনে হয় এর অর্থ এটির কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমন কনডম ব্যবহার না করার পরামর্শই দেন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।
যে কোনো প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : banglanewsexpress520@gmail.com
বাচ্চা নষ্ট করা ওষুধের নাম কি? প্রতিদিনই ফেসবুক ফ্যানপেজে অনেক ম্যাসেজ আসে। সব ম্যাসেজর উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না।তাই পাঠকদের কাছে প্রশ্নটির বিস্তারিত তুলে ধরা হয় (প্রশ্নকারীর নাম ও ঠিকানা গোপন রেখে)। আপনি ও আপনার সমস্যার কথা লিখতে পারেন অামদের ফেসবুক ফ্যানপেজে
আজকের প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৯ মাসিক অনিয়মিত।১ নভেম্বর আমার মাসিক হয়েছিল এরপর ২৬ তারিখের পর থেকে আমাদের মিলন হয়।আমরা কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করিনি।মাসিক না হওয়ায় আজ ১৭ডিসেম্বর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাই এবং আমি প্রেগন্যান্ট এটা শিওর হই।আমার প্রেগন্যান্সির এখনো ১ মাস হয়নি এক্ষেত্রে বাচ্চা নষ্ট করতে হলে করনীয় কী?
আমার সমস্যার সমাধান পেলে খুবই উপকৃত হবো।
উত্তরঃসাধারণভাবে বাচ্চা নষ্ট না করার পরামর্শ ডাক্তারমাত্রেই দিয়ে থাকেন | প্রথম গর্ভাবস্থায় ইউটেরাস বা জরায়ুর মুখ এত নরম ও সরু থাকে যে, যন্ত্রপাতি দিয়ে তা প্রসারিত করার সময় জরায়ু মুখ বা জরায়ুর পশি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তস্রাব, প্রদাহ হতে পারে | স্বামী বললেও মেয়েদের বাবা মা বা অন্য সিনিয়র অভিভাবকদের না জানিয়ে কখনই এই সময়ে গর্ভমোচনে রাজি হওয়া উচিত নয় | এছাড়া কোনওভাবে ফ্যালোপাইন টিউবে সংক্রমণ হলে পরে টিউব ব্লক হয়ে ভবিষ্যতে সন্তান নাও হতে পারে |
তবে অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে সবদিক বিবেচনা করে গর্ভমোচন করতেই হবে | আর তা অবশ্যই উপযুক্ত শিক্ষিত ডাক্তারের কাছে | হাতুড়ে বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় এমন ডাক্তারের কাছে গেলে ফুল বা ভ্রূণের অংশ জরায়ুর মধ্যে থেকে যেতে পারে, জরায়ুর মুখ ছিঁড়ে যেতে পারে, জীবাণুর আক্রমণ বা সেপটিক হয়ে পেরিটোনাইটিস হতে পারে,আভ্যন্তরীণ রক্তস্রাবের কারণে মায়ের কোলাপস ও শক হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে | দেশ পাড়াগাঁয়ে আজ এই অত্যাধুনিক যুগেও অনেক মেয়ে গুণিন বা ওই জাতীয় পেশার লোকেদের কাছে (জরায়ুতে শিকড় বা কাঠি ঢুকিয়ে গর্ভমোচনের চেষ্টা) গিয়ে শেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে |
বাচ্চা নষ্ট করার সব পদ্ধতিতেই এক ধরণের লম্বা নল জরায়ুতে ঢুকিয়ে গর্ভের শিশুটিকে প্রথমে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়। পরে ভ্যাকুয়াম সাকারের মাধ্যমে শিশুটিকে শুষে আনা হয়। গর্ভপাতের সময়কার শিশুটির অব্যাক্ত বেদনা কারো কানে পৌঁছে না। মানুষ নামের নরপশুর নির্মমতায় একটি নিষ্পাপ শিশু মৃত মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়। যেসব মা ক্ষণিকের সুখের জন্য নিজ গর্ভের সন্তানকে হত্যা করে তাদের জন্য হৃদয় উগড়ে দেয়া সীমাহীন ঘৃণা।
Abortion জিনিস টা কি??? নিচে একটু পড়ে দেখুন হৃদয়হীন মানুষের হৃদয়েও কমপনের সৃষ্টি হবে।। …
লেখাটা লিখতে গিয়ে কতবার যে হাত কেপেছে পড়ে দেখুন….,
নিজের বিবেকে নাড়া দেয় কিনা !!??
প্রথম মাস –
হ্যালো আম্মু…..!! কেমন আছো তুমি? জানো আমিএখন মাত্র ৩-৪ইঞ্চি লম্বা!! কিন্তু হাত-পা সবই আছে তোমার কথা শুনতে পাই, ভালো লাগে শুনতে।
আরো পড়ুন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল এবং ইমার্জেন্সি পিল আসলে কী? কারা খাবেন?
দ্বিতীয় মাস –
আম্মু, আমি হাতের বুড়ো আঙ্গুল চুষা শিখেছি, তুমি আমাকে দেখলে এখন বেবি বলবে! বাইরে আসার সময় এখনো হয়নি আমার, এখানেই উষ্ণ অনুভব করি খুব।
তৃতীয় মাস –
আম্মু তুমি কি জানো আমি যে একটা মেয়ে? পরী পরী লাগবে আমাকে, আমাকে দেখলে তুমি অনেক খুশি হবে, তুমি মাঝে মাঝে কাঁদো কেনো আম্মু ammu? তুমি কাঁদলে আমারও কান্না পায়…
চতুর্থ মাস –
আমার মাথায় ছোট্ট ছোট্ট চুল গজিয়েছে আম্মু mother আমি হাত-পা ভালো ভাবে নাড়াতে পারি, মাথা নাড়াতে পারি, অনেক কিছুই করতে পারি।
পঞ্চম মাস –
আম্মু তুমি ডক্টরের doctor কাছে কেনো গিয়েছিলে? কি বলেছে ডক্টর? আমি তার কথা শুনতে পারিনি, তোমার কথা ছাড়া আমি কারো কথা শুনতে পারিনা।
ষষ্ঠ মাস –
আম্মু আমি অনেক ব্যথা পাচ্ছি আম্মু, ডক্টর সুঁচের মতো কি যেনো আমার শরীরে ঢুকাচ্ছে, ওদের থামতে বলো আম্মু আমি তোমাকে ছেড়ে কথাও যাবোনা আম্মু…
সপ্তম মাস –
আম্মু কেমন আছো? আমি এখন স্বর্গে আছি, একটা এন্জেল আমাকে নিয়ে এসেছে, এন্জেল বলেছে তোমাকে Abortion করতে হয়েছে, তুমি আমাকে কেনো চাওনি আম্মু?
প্রতিটি Abortion মানে একটি হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়া… একটি হাসি থেমে যাওয়া… দুটি হাত, যা কখনো কাউকে স্পর্শ করতে পারবেনা… দুটি চোখ, যা পৃথিবীর আলো দেখবেনা…
আল্লাহ কে ভয় করুন।
আরো পড়ুন প্রশ্ন: পেটে বাচ্চা না আসলে কি করবো কিভাবে গর্ভধারণ করে মা হওয়া যায় ?
শারীরিক মিলন এর পর আপনার গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রী প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলে ৫ মিনিট এ টা নষ্ট করার ওষুধের নাম জেনে নিন এবং কিভাবে খাবেন?
চ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট শুধু কাজ করবে এক মাস এর প্রেগন্যান্ট এর মধ্যে
১। isobent 120mg ৩ টা একসাতে খেতে হবে। ইনস্ট্যান্ট মাসিক আরম্ভ হয়ে যাবে । কোন ভই নাই।
আর নই গার্ল ফ্রেন্ড এর সাতে মিলন এর ভয় ।
২। আর এক মাস এর বেশি হয়ে গেলে isobent 120mg ৩ টা খেতে হবে র ২ টা যোনি এর মধ্যে ঢোকাই দিতে হবে ইনস্ট্যান্ট সমাধান।
বিঃদ্রঃ আপনার ডক্টরে পাঠকদের কৌতুহলরত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে পাঠকদের কাছে বিনীত অনুরোধ দেহের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বিপরীত লিঙ্গের মিলন দ্বারা তৃপ্ত রসের যোগে আসা ভ্রূণ নষ্ট করে দেবেন না। একটা কথা চিন্তা করে দেখুন বাচ্চা নষ্ট করা আদৌ কি উচিত? সদ্যজাত বাচ্চার কিন্তুে কোন দোষ নাই। একটু সতর্কতার সাথে যৌন মিলন বা সেক্স করবেন। আর বিশেস করে অবৈধ যৌন মিলন থেকে বিরত থাকুন। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
যে কোনো প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : banglanewsexpress520@gmail.com
- সুখী পিল খেলে শরীর শুকনো হয়?, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে কি মানুষ মোটা হয়?, ফেমিকন পিল খেলে কি মোটা হয়
- যেসব কাজ নারীদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, যেসব কাজে নারীদের ডিম্বাশয়ে ক্যানসার হয়, এমন কিছু পেশা যা নারীদের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়!
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল কি সত্যিই ওজন বাড়ায়?,জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে কি মানুষ মোটা হয়?
- অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনার, অতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতি কী?,অতিরিক্ত যৌনচাহিদা স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক?, লাগাম ছাড়া যৌন চাহিদা রোগ
- অতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতি কী?,অতিরিক্ত যৌনচাহিদা স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক?
- সিজারিয়ান প্রসবের পরে রক্তপাত,সিজারের পর কতদিন ব্লিডিং হয়, সিজারিয়ান প্রসবের পরে রক্তপাত
অবাধ মিলনের পর গর্ভনিরোধক বড়ি খেয়ে ঘটে যায় চরম বিপদ৷ পরিণতি কখনও মৃত্যু বা পরবর্তী সময় সন্তানধারণে সমস্যা৷ বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত– আনওয়ান্টেড প্রেগন্যান্সির মোকাবিলায় কোন পথে হাঁটবেন?
এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন:
বিবাহিত, অবিবাহিত কিংবা সন্তান আছে– যে কোনও অবস্থায় কোনও প্রোটেকশন ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুললে সন্তান আসার সম্ভাবনা বেশি৷ সে ক্ষেত্রে সন্তান না আনার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তাই হল এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন৷
কী কী পদ্ধতি:
• বিবাহিত মহিলা, সন্তান আছে অথবা সন্তান একবার নষ্ট করেছেন- এই অবস্থায় কেউ যদি এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন চান, সেক্ষেত্রে ভাল কাজ দেয় কপার-টি৷ কপার-টি থাকলে ৩-১০ বছর পর্যন্ত নিরাপদ থাকা যায়৷ প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০ শতাংশই এড়ানো যায়৷ বিশেষজ্ঞর কথায় এই ধরনের কন্ট্রাসেপশনের সাফল্যের হার লাইগেশন অর্থাৎ বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশনের সমান৷
• অবিবাহিত হলে কন্ট্রাসেপশনের জন্য কপার-টি ব্যবহারের অনুমতি নেই৷ এক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা গর্ভরোধক বড়ি বা এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপশন পিল৷ ১.৫ মিলিগ্রাম মাত্রার এই ট্যাবলেট দেওয়া হয়৷ কোনও প্রোটেকশন ছাড়া মিলিত হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ধরনের ট্যাবলেট খেয়ে নিতে হবে৷ যত তাড়াতাড়ি খাবেন, ওষুধের কাজ তত ভাল হবে৷ মিলিত হওয়ার ৬-১২ ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে নিলে উপকার বেশি৷ দেরি যত হবে, তত ওষুধের কাজ কম হবে৷ তাই কোনও সুরক্ষা না নিয়ে শারীরিকভাবে মিলিত হওয়ার কথা মনে করলে এই ধরনের কন্ট্রাসেপশন পিল সঙ্গে রাখা উচিত৷
• তবে সবচেয়ে নিরাপদ সুরক্ষা হল কন্ডোম৷ এতে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না৷ এডস জাতীয় রোগের হাত থেকেও নিরাপদ থাকা সম্ভব৷ একের বেশি পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থাকলে কন্ডোমই শ্রেয়৷ এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিলে ভরসা নয়৷
এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিলে ক্ষতি!
অসুরক্ষিতভাবে মিলিত হওয়ার পর এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল খেয়ে নিলেই সন্তান হবে না বা প্রেগন্যান্সি এলেও তা নষ্ট হয়ে যাবে- এই ধারণা ভুল৷ এক্ষেত্রে মিলনের পর ডিম্বাণু নিষিক্ত হবে, ভ্রূণ তৈরিও হবে৷ ভ্রূণ যে জায়গায় থাকে, তার নাম এন্ডোমেট্রিয়াম৷ এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল এই এন্ডোমেট্রিয়াম তৈরি হতে দেয় না৷ ফলে ভ্রূণ থাকার জায়গা পায় না (আউট অফ ফেজ এন্ড্রোমেট্রিয়াম)৷ এই পিল ব্যবহারে আরও একটি সমস্যা হল তা ফ্যালোপিয়ান টিউবের সঞ্চালন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়৷ ফলে নিষিক্ত ডিম্বাণু টিউবে আটকে সেখানেই বাড়তে শুরু করে৷ এর পর টিউবের মধ্যেই সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়ে পেটের ভিতরে ব্লিডিং শুরু হয়ে যায়৷ অতিরিক্ত পেটের যন্ত্রণা হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে অপারেশন করার প্রয়োজন হয়৷ এই অপারেশনের নাম একটোপিক প্রেগন্যান্সি অপারেশন৷ এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সন্তান আসার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়, নানা দুর্ঘটনাও ঘটে৷ অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল ভালর চেয়ে খারাপ করে বেশি৷
প্রেগন্যান্ট বুঝবেন কীভাবে?
অসুরক্ষিতভাবে মিলনের পর নিজে থেকেই সচেতন হন৷ ঋতুস্রাবের সময় ৫-৭ দিন পিছিয়ে গেলেই অবশ্যই প্রেগকলার টেস্ট করে নিন৷ প্রয়োজনে ইউরিন টেস্ট করে দেখে নিন৷ সময় পিছিয়ে গেলে সাতদিন অন্তর অন্তর টেস্ট করে দেখা উচিত প্রেগন্যান্সি এসেছে কি না! ঋতুস্রাব সঠিক সময়ে না হলে, টেস্ট করে যদি কিছু না-ও পাওয়া যায়, তাহলেও অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন৷ গা বমি ভাব, মাথা ঘোরা, কিছু খেতে ইচ্ছা না করা প্রেগন্যান্সির লক্ষণ৷ অনেক ক্ষেত্রেই কোনও লক্ষণ না-ও দেখা দিতে পারে৷
ওষুধ দিয়ে গর্ভপাত নয়:
ওষুধের মাধ্যমে গর্ভপাত করানো হয়- এই প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দেবেন না৷ বিশেষজ্ঞের মতামত, এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়া উচিত৷ এই ধরনের ওষুধ অভ্যন্তরীণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে গর্ভস্থ শিশুর প্রাণনাশের চেষ্টা করে৷ যা বিপদ আরও বাড়ায়৷ সন্তান পেটের মধ্যে নষ্ট হয়ে তা প্রাকৃতিক নিয়মে বেরিয়ে এলে ক্ষতি কম৷ কিন্তু ওষুধ খেয়ে সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা করলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্তান নষ্ট হয়ে আর বেরতে পারে না, ইউটেরাসের মধ্যেই রয়ে যায়৷ এতে বিপদ আরও বাড়ে৷ রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷
তাই ওষুধ দিয়ে গর্ভপাত করতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে, আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্ট দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিন৷ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নির্দিষ্ট ওষুধ খেতে হবে৷ নিজে নিজে কিনে এই ওষুধ ব্যবহার করবেন না৷ ওষুধ খেয়ে গর্ভপাতে পরবর্তীকালে প্রেগন্যান্ট হতে অনেক সমস্যা হয়৷
আনওয়ান্টেড? ভরসা এমভিএ!
পরিকল্পনা ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অনেকেই গর্ভপাত করার কথা ভাবেন৷ অ্যাবরশনের জন্য আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে সবচেয়ে উন্নত পদ্ধতি হল এমভিএ (ম্যানুয়াল ভ্যাকুয়াম অ্যাসপিরেশন)৷ এই পদ্ধতিতে প্রেগন্যান্সি নষ্ট করলে সমস্ত দিক সুরক্ষিত থাকে৷ ভবিষ্যতে সন্তান হতে কোনও সমস্যা হয় না৷ গর্ভপাতের অন্য পদ্ধতিতে যে কষ্ট, তার চেয়ে এই পদ্ধতিতে কষ্ট অনেক কম হয়৷ এই পদ্ধতিতে রক্তক্ষরণ কম হয়, জরায়ুর ভিতরে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে৷ প্রেগন্যান্সির ৮-১০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করাতে চাইলে সবচেয়ে ভাল উপায় এমভিএ৷ সার্জারি বা এমভিএ করার পর ৭-১০দিন যৌনসঙ্গম করা যাবে না৷ ওষুধ খেতে হবে৷ একমাস পর ঋতুস্রাব শুরু হলে ডাক্তারের কাছে চেকআপ করানো জরুরি৷
এমভিএ পদ্ধতির খরচ নির্ভর করে কোথায় অপারেশন করা হচ্ছে তার উপর৷ এই এমভিএ ইনস্ট্রুমেন্ট সমস্ত হাসপাতালে থাকে না৷ তাই গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে নিন, এমভিএ পদ্ধতিতেই করা হবে কি না! একমাত্র এমভিএ-ই ডেকেয়ার সার্জারির মতো যে কোনও জায়গায় করা যেতে পারে৷ এর জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থা লাগে না৷
সবার আগে আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
যে কোনো প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : info@banglanewsexpress.com
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সহজ উপায়
- সাপে কামড়ালে করণীয়, বিষধর সাপে কামড়ালে প্রাথমিক চিকিৎসা
- রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক কী সত্যিই উদ্বেগের নাকি অহেতুক
- গরমে ডায়রিয়ার ঝুঁকি কমাতে কী করবেন, গরমে ডায়রিয়ার ঝুঁকি, ডায়রিয়ার প্রতিরোধে যা করণীয় রোগী
- ঠান্ডা পানি কি হার্টের জন্য ক্ষতিকর?, গরমে ঠান্ডা পানি পানে কি হার্টের ক্ষতি হয়,ঠান্ডা পানি পান করা কি সত্যিই হার্টের জন্য ক্ষতিকর?
- সুখী পিল খেলে শরীর শুকনো হয়?, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে কি মানুষ মোটা হয়?, ফেমিকন পিল খেলে কি মোটা হয়