প্রিমিয়াম কাকে বলে? জীবন বীমার প্রিমিয়াম নির্ধারণের পদ্ধতি? অগ্নিবীমা চুক্তির আবশ্যকীয়?

রহমান সাহেব একজন ব্যবসায়ি। তিনি তার ব্যাক্তিগত জীবন এবং পরিবারের আর্থিক সমস্যা কিভাবে মােকাবিলা করবেন তার ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অগ্নিজনিত ঝুঁকি মােকাবেলার আর্থিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করেন যা দুটি পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি।
নির্দেশনাঃ

ক. প্রিমিয়াম কাকে বলে সংক্ষেপে লিখতে হবে।

খ. জীবন বীমার প্রিমিয়াম নির্ধারণের পদ্ধতি গুলা ব্যাখ্যা করবে।

গ. অগ্নিবীমা চুক্তির আবশ্যকীয় বিষয়াদি বিশ্লেষণ করবে।

উত্তর সমূহ :

ক. প্রিমিয়াম কাকে বলে সংক্ষেপে লিখতে হবে।

উত্তর :

বীমার কিস্তিকে এককথায় প্রিমিয়াম (Premium) বা অধিহার বলে। অন‍্যভাবে বললে, ন্যায্য বা প্রকৃত মূল্যের চেয়ে উচ্চতর মূল্যকে প্রিমিয়াম বা অধিহার বলে।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

অথবা

নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যে অর্থ অথবা টাকা নির্দিষ্ট সময় পর পর বিমা কোম্পানির কাছে পরিশোধ করতে হয় তাকে প্রিমিয়াম বলে।এছাড়া, হিসাববিজ্ঞানের ভাষায়,প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে শেয়ার বিক্রি করে দেয়াকেও প্রিমিয়াম বলা হয়।কারো কোনো সম্পত্তির ক্ষতিপূরণের জন্য বিমা করা হয়,আর এজন্য বিমা কোম্পানিকে প্রিমিয়াম পরিশোধ করা হয়।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

অথবা


-একটি নির্দিষ্ট পণ্য ক্রয় করার জন্য গ্রাহকদের দেয়া একটি উপহারকে Premium বলা হয়। প্রিমিয়াম হলো অর্থের একটি পরিমাণ যা পর্যায়ক্রমে একজন বীমা গ্রহণকারী তার ঝুঁকি মেটানোর জন্য একজন বীমা প্রদানকারীকে পরিশোধ করে।

অর্থের একটি পরিমাণ যা আপনাকে কোনো কিছুর জন্য স্বাভাবিক খরচের চেয়ে অতিরিক্ত হিসেবে পরিশোধ করতে হয় তাকে প্রিমিয়াম বলে।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

অথবা

বীমাকারী বীমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রতিশ্রম্নতির বিনিময়ে বীমাগ্রহীতার কাছ থেকে বিভিন্ন কিস্তিতে যে অর্থ গ্রহণ করে থাকে, তাকে প্রিমিয়াম বলা হয়।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

খ. জীবন বীমার প্রিমিয়াম নির্ধারণের পদ্ধতি গুলা ব্যাখ্যা করবে।

উত্তর :

জীবন বীমা

জীবন বীমা এমন একটি চুক্তি যেখানে এককালীন অর্থ বা নির্দিষ্ট সময়ামেত্মর কিসিত্ম পরিশোধের প্রতিদানে বীমাগ্রহীতার মৃত্যুতে অথবা নির্ধারিত বছর সমূহের শেষে বীমাকারী বৃত্তি অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

জীবন বীমার বিবর্তনের ইতিহাস

  • (একটি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান) প্রতিষ্ঠিত হয়- ইংল্যান্ডে, ১৮৯৬ সালে
  • The Oriental Life Assurance Company গঠিত হয়- ১৮১৮ সালে
  • ডাক জীবনবীমা চালু হয়- ১৯৭২ সালে
  • ALICO বাংলাদেশে কাজ শুরু করে ১৯৭৪ সাল থেকে
  • Alliance Insurance Company গঠিত হয়- ১৮২৪ সালে

জীবন বীমার শ্রেণীবিভাগ

m21 1
 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

মেয়াদের ভিত্তিতে বীমাপত্রের প্রকারভেদ

মেয়াদী বীমাপত্রযে বীমাপত্রের মাধ্যমে এ মর্মে প্রতিশ্রম্নতি দেয়া হয় যে, বীমাগ্রহীতা নির্দিষ্ট বয়সে পদার্পণ করলে বীমাপত্রে উলেস্নখিত নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করা হবে অথবা উক্ত সময়ের পূর্বে বীমাগ্রহীতার মৃত্যু ঘটলে তার উত্তরাধিকারী ও মনোনীত ব্যক্তি বীমাপত্রে উলেস্নখিত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবে সেক্ষেত্রে ওই বীমাপত্রকে বলা হয় মেয়াদী বীমাপত্র।
আজীবন বীমাপত্রযে বীমাচুক্তির মাধ্যমে বীমাগ্রহীতাকে তার মৃত্যুকাল পর্যমত্ম বীমা প্রিমিয়ামের টাকা পরিশোধ করতে হয় এবং বীমাকারী, বীমাগ্রহীতার মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারী বা মনোনীত ব্যক্তিকে বীমাপত্রে উলেস্নখিত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রম্নতি দেয় সেই বীমাপত্রকে বলা হয় আজীবন বীমাপত্র।
সাময়িক বীমাপত্রএ ধরনের বীমাপত্রের মেয়াদ সাধারণত ২ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যমত্ম হতে দেখা যায়। নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে বীমাকৃত ব্যক্তি মারা গেলে বীমাদাবির অর্থ পরিশোধ করা হয়। বীমাকৃত ব্যক্তি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মারা না গেলে বীমাদাবি পায় না
 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

প্রিমিয়াম : বীমাকারী বীমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রতিশ্রম্নতির বিনিময়ে বীমাগ্রহীতার কাছ থেকে বিভিন্ন কিস্তিতে যে অর্থ গ্রহণ করে থাকে, তাকে প্রিমিয়াম বলা হয়।

প্রিমিয়াম নির্ধারণের পদ্ধতি

  • নিরূপণ পদ্ধতি (সর্বাধিক প্রাচীন পদ্ধতি)
  • স্বাভাবিক প্রিমিয়াম পরিকল্পনা (মৃত্যু সম্ভাবনার হারের উপর ভিত্তি করে নেয়া হয়। মৃত্যু সম্ভাবনার হার বাড়লে প্রিমিয়ামও বাড়ে।)
  • সুষম পরিকল্পনা (প্রত্যেক বছর একই পরিমাণ প্রিমিয়াম দিতে হয়)
 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

বোনাস
জীবন বীমা কোম্পানির মূল্যায়নের পর উদ্বৃত্ত প্রকাশিত হলে তার একটা অংশ মুনাফাযুক্ত বীমাপত্রের মালিকদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া হয়। এই মুনাফা বণ্টন ব্যবস্থাকে বোনাস বিতরণ ব্যবস্থা বলা হয়।

বার্ষিক বৃত্তি (Annuity)
সমপরিমাণ অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর পরিশোধ করাকে বার্ষিক বৃত্তি বলা হয়।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 
সাধারণ বার্ষিক বৃত্তিযে বার্ষিক বৃত্তির মাধ্যমে ভাতাভোগী নির্দিষ্ট হারে সারা জীবন ধরে ভাতা পেয়ে থাকেন, তাকে সাধারণ বার্ষিক বৃত্তি বলে। এতে চুক্তির শুরুতে প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে দিতে হয়।
তাৎক্ষণিক বৃত্তিযে বৃত্তি ব্যবস্থায় বীমা কোম্পানিকে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ প্রদানের পরপরই ভাতা প্রদান কার্যকরী হয়, তাকে তাৎক্ষণিক বৃত্তি বলে।
প্রতিশ্রম্নত বৃত্তিবৃত্তিগ্রহীতা বৃত্তিচুক্তিতে একটা ন্যূনতম সময় পর্যমত্ম ভাতাপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে চুক্তি সম্পাদন করতে পারে। একে বলা হয় প্রতিশ্রম্নত বৃত্তি।
একক জীবন বৃত্তিযদি কোন বৃত্তিচুক্তিতে ভাতা ভোগকারীর সংখ্যা সকল অবস্থায় একজন থাকে তখন তাকে একক জীবন বৃত্তি বলে।
যৌথ জীবন বৃত্তিযে বৃত্তি ব্যবস্থায় দুই বা ততোধিক ব্যক্তির যৌথ জীবনকাল পর্যমত্ম ভাতা প্রদান করা হয় তাকে যৌথজীবন বৃত্তি বলে।
সাময়িক বৃত্তিএ ধরনের চুক্তিপত্রের অধীনে ভাতা প্রদানের একটা নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদের উলেস্নখ থাকে।

সমর্পণ মূল্য

  • বীমাপত্রের মেয়াদপূর্তির পূর্বে বীমাপত্র সমর্পণ করলে যে মূল্য বা প্রতিদান চাওয়া হয় তাকে সমর্পণ মূল্য বলা হয়।
  • বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সমর্পণ মূল্য দেয়া হয়- ৮০%
  • বীমা পলিসির মেয়াদ কমপক্ষে ২ বছর উত্তীর্ণ না হলে সাধারণত সমর্পন মূল্য প্রদান করা হয় না
  • Prof. M N Mishra এর মতে সমর্পণ মূল্য নির্ণয়ের ভিত্তি ২টি-
  • সঞ্চিতি ভিত্তিতে; সমর্পণ মূল্য = সমর্পণ মূল্য – সমর্পণ খরচ
  • সঞ্চয় ভিত্তিতে ; সমর্পণ মূল্য = বীমা অর্থ + ভবিষ্যৎ খরচের জমাকৃত অংশ + ভবিষ্যত প্রদেয় বোনাস (পুঞ্জীভূত অর্থ + সমর্পণ খরচ)
 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

গ. অগ্নিবীমা চুক্তির আবশ্যকীয় বিষয়াদি বিশ্লেষণ করবে।

উত্তর :

অগ্নিবীমা এক ধরনের চুক্তি। অন্যান্য বীমার ন্যায় অগ্নি বীমা চুক্তিরও অনেকগুলো অপরিহার্য উপাদান আছে যা না থাকলে একটি চুক্তি অগ্নিবীমা চুক্তি হবে না। অগ্নি বীমার উপাদানগুলো বর্ণনা করা হলোঃ

পক্ষ ঃ

অগ্নিবীমায় ২টি পক্ষ থাকবে। একটি বীমাগ্রহীতা ও অন্যটি বীমাকারী। যিনি তার সম্পদের ঝুঁকি অপরের নিকট হস্তান্তর করেন তিনিই বীমা গ্রহীতা। আর যে প্রতিষ্ঠান উক্ত সম্পদের ঝুঁকি গ্রহণ করেন তাকে বীমাকারী বলে।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

প্রস্তাবদানঃ

সাধারণত বীমা কোম্পানী অন্যান্য বীমার ন্যায় মুদ্রিত ফর্ম সরবরাহ করে যা পূরণ করে একজন বীমা গ্রহীতা তার সম্পদ অগ্নিবীমা করার জন্য লিখিতভাবে বীমাকারীকে প্রস্তাব করে।

প্রস্তাব মূল্যায়নঃ

উক্ত লিখিত প্রস্তাব পত্রটি পাবার পর বীমাকারী প্রতিষ্ঠান তাদের বিশেষজ্ঞ দ্বারা মূল্যায়ন করে। ঝুঁকি গ্রহণ করা যায় কি না, করলে কি পরিমাণ প্রিমিয়াম ধার্য করা যায় ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত উপনিত হয়।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

স্বীকৃতি প্রদানঃ

প্রস্তাব পত্রটি বিচার বিশে−ষণের পর প্রস্তাব যদি ইতি বাচক মনে করে তা হলে বীমাকারী প্রস্তাব গ্রহণ করে। যদি কোন সময় উলে−খ না থাকে তবে স্বীকৃতির সাথে সাথে তা কার্যকর হয়।

পারস্পরিক দায়-দায়িত্বঃ

বীমাকারী সাময়িক ভাবে প্রস্তাবটি গ্রহণ করে থাকলে বীমাপত্র প্রদানের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে ঝুঁকি গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত বীমা গ্রহীতাকে একটি ঋণ স্বীকার পত্র প্রদান করে। বীমাপত্র প্রদানের পূর্বেই যদি বীমাকৃত সম্পদের ক্ষতি হয় তবে বীমা গ্রহীতা উক্ত ঋণ স্বীকার পত্র প্রদর্শন বা দাখিল করে ক্ষতি পূরণ আদায় করতে পারে।

বীমাপত্র প্রদানঃ

বীমা চুক্তি চূড়ান্ত হবার পর বীমাকারী বীমা গ্রহীতাকে চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন শর্ত ও তথ্যাদি উলে−খ করে বীমাপত্র প্রদান করে থাকে। অগ্নিবীমাপত্র সাধারণত এক বৎসরের জন্য হয়ে থাকে। তবে ইহা এক বৎসরের কম বা বেশী মেয়াদেও হতে পারে। উলি−খিত সময়ের মধ্যে যতবারই দুর্ঘটনা ঘটুক না কেন বীমাগ্রহীতা কেবলমাত্র বীমাকৃত সংখ্যায়ই ক্ষতি পূরণ হিসেবে পাবে। উপরে আলোচিত উপাদান গুলো সাধারণ উপাদান।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

অগ্নিবীমার বিশেষ উপাদান গুলো বর্ণনা করা হলো ঃ

১. বীমাযোগ্য স্বার্থ ঃ

বীমার বিষয়বস্তুর উপর বীমা গ্রহীতার যে আর্থিক স্বার্থ জড়িত থাকে তাকে বীমাযোগ্য স্বার্থ বলে। অন্যান্য বীমার ন্যায় অগ্নিবীমার ক্ষেত্রেও বীমাযোগ্য স্বার্থ অপরিহার্য। নিুলিখিত শর্তগুলো বীমাযোগ্য স্বার্থের অস্তিত্ব প্রমাণ
করে।

(১.১) বীমার বিষয়বস্তুটি দৃশ্যমান হতে হবে যা অগ্নি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেমন- একটি দালান।

(১.২) এটা অবশ্যই বীমার বিষয়বস্তু হতে হবে।

(১.৩) বীমার বিষয়বস্তুটি অক্ষত থাকলে বীমাগ্রহীতা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন আর ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হবেন। কোন বিষয় বস্তুর উপর নিুোক্ত ব্যক্তিবর্গের বীমাযোগ্য স্বার্থ বিদ্যমান থাকে-

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

ক. সম্পদের মালিকের সম্পদের উপর বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে। তবে কখনও কখনও পূর্ণ মালিক বা মালিক না হয়েও বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকতে পারে। যেমন- কোন আজীবন ভাড়াটের তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত উক্ত বাড়ীর উপর বীমাযোগ্য স্বার্থ বিদ্যমান।

খ. প্রতিনিধির মালিকের সম্পদের উপর বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে।

গ. অংশীদারের অংশীদারী কারবারের উপর বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে।

ঘ. পাওনাদারের কাছে রক্ষিত দেনাদারের কোন সম্পত্তির উপর বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে।

ঙ. পূনঃ বীমাকৃত বিষয়ের উপর ১ম বীমাকারীর বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে।

চ. বন্ধকী সম্পত্তির উপর বন্ধক গ্রহীতার বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে।

ছ. গচ্ছিত সম্পদের উপর গচ্ছিত গ্রহীতার বীমাযোগ্য স্বার্থ থাকে।

জ. ট্রাষ্ট সম্পদের উপর ট্রাষ্টির বীমাযোগ্য স্বার্থ বিদ্যমান।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

২. চূড়ান্ত সদ্বিশ্বাস ঃ

অন্যান্য বীমা চুক্তির মত অগ্নিবীমার ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত বিশ্বাস একটি অপরিহার্য উপাদান। উভয়পক্ষকেই চুক্তি গঠন থেকে শুরু করে চুক্তি শেষ হওয়া পর্যন্ত এ বিশ্বাস রক্ষা করে চলতে হবে। যদি কোন পক্ষ কোন বিশ্বাস ভঙ্গ করে তবে চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে এবং যে পক্ষ বিশ্বাস ভঙ্গ করবে তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

উভয় পক্ষই চুক্তির বিষয়বসতু ও চুক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি সঠিক ও পরিপূর্ণ ভাবে প্রকাশ করবে। কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করবে না বা অতিরিক্তও করবে না। জরুরী মনে হলে না জিজ্ঞেস করলেও নিজ উদ্যোগে তা প্রকাশ করতে হবে। তবে নিুলিখিত ক্ষেত্রে তথ্য প্রকাশ করা হয় না।

(২.১) যে তথ্য ঝুঁকি হ্রাস করে,

(২.২) যে সকল তথ্য স্বাভাবিক ভাবে সকলের জানার কথা,

(২.৩) যে সকল তথ্য সরবরাহকৃত তথ্য থেকে জানা যায়,

২.৪) যে সকল তথ্য সার্বজনিন; ও

(২.৫) যে সকল তথ্য সম্পর্কে চুক্তি অনুযায়ী প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

৩. ক্ষতিপূরণঃ

ক্ষতিপূরণ অগ্নিবীমার অন্যতম অপরিহার্য উপাদান। বীমাকৃত বিষয়বস্তু আগুন দ্বারা ক্ষতি গ্রস্থ হলে বীমাকারী বীমা গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ করে। এমনভাবে বীমাকারী ক্ষতি পূরণ করবে যেন দূর্ঘটনা ঘটার পূর্বে যে অবস্থা ছিল সে অবস্থায় বা তার কাছাকাছি অবস্থায় নিয়ে যাবে বা ফিরিয়ে আনবে যেন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে ক্ষতিপূরণ পেতে হলে নিুলিখিত
শর্তগুলো পূরণ করতে হবেঃ

(৩.১) ক্ষতিগ্রস্থ বিষয়বস্তুটি বীমাকৃত হতে হবে;

(৩.২) ক্ষতি অবশ্যই বীমাকৃত কারণ দ্বারা হতে হবে;

(৩.৩) ক্ষতি অবশ্যই অনিচ্ছাকৃত হতে হবে এবং সাধারণ বৃদ্ধিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য যে ধরনের চেষ্টা করার কথা সে ধরনের চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ কোন ধরনের অবহেলা বা শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না এবং আন্তরিকতার সাথে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করার প্রমাণ থাকলেই কেবল বীমাদাবী গ্রহণযোগ্য হবে।


উপরিউক্ত শর্তগুলো ব্যতিত ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নিুলিখিত নিয়মগুলো রয়েছে যা অনুসৃত হয়ে থাকে। বীমা গ্রহীতার যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে শুধুমাত্র সে পূরণ দাবী পরিমাণ ও আদায় করার অধিকারী হবেন। ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ হিসেবে বীমাকারীর নিকট থেকে দাবী করতে পারবেন। যদি বাজার মূল্য বীমাকৃত মূল্য
অপেক্ষা বেশী হয় সেক্ষেত্রে প্রকৃত ক্ষতির সমপরিমাণ মূল্য ক্ষতি পূরণ হিসেবে পাবে।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

যদি বীমাকারী পূর্ণ ক্ষতি পূরণ দেবার পর বীমা গ্রহীতা তৃতীয় কোন পক্ষ থেকে এক্ষতি বাবদ কিছু আদায় করে থাকে তা বীমাকারীকে ফেরত দিতে হবে।

যদি একই সম্পদের জন্য একাধিক বীমা করে থাকে তবে সকল বীমাকারীর নিকট থেকে আনুপাতিক হারে ক্ষতির সমপরিমাণ অর্থ আদায় করতে পারবে। যদি কোন একজন বীমাকারীর থেকে সম্পূর্ণ ক্ষতি পূরণ আদায় করে তার জন্য কোন বীমাকারীর নিকট থেকে কোন ক্ষতি পূরণ দাবী করতে পারবেন। ক্ষতিপূরণের নীতি অনুযায়ী কোন বীমা গ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে কিন্তু লাভ করতে দেয়া হবে না।

একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করা হলোঃ ধরুন মিঃ কবির তার ধানমন্ডির বাড়ীট সাধারণ বীমা করপোরেশনের নিকট ৮০,০০,০০০ টাকায় বীমা করল। পাশাপাশি তিনি গ্রীন ডেল্টা ইনসিওরেন্স কোং লিঃ-এর নিকট ৬০,০০,০০০ টাকায় ও কর্ণফুলী ইন্সুরেন্স কোং লিঃ এর নিকট ৭০,০০,০০০ টাকার বীমা করেন। মিঃ কবিরের বীমাকৃত
বাড়ীটি আগুনে পুড়ে যায় যার ফলে তার ৩০,০০,০০০ টাকা ক্ষতি হয়। তিনি তিনটি বীমা কোম্পানীর নিকট থেকে (১০,০০,০০০+১০,০০,০০০+১০,০০,০০০) = মোট ৩০,০০,০০০ টাকার ক্ষতি পূরণ আদায় করতে পারেন। কিন্তু তিনি প্রত্যেকের নিকট থেকে ৩০ লক্ষ করে ৯০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবী করতে পারবে না। আবার তিনি যদি সাধারণ বীমা
করপোরেশন থেকে ৩০,০০,০০০ ক্ষতিপূরণ আদায় করেন, তবে তিনি অন্য কোন বীমা কোম্পানীর নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ দাবী করতে পারবেন না। তখন সাধারণ বীমা করপোরেশন অন্য দুটি বীমা কোম্পানীর নিকট থেকে আনুপাতিক হারে টাকা
পাবার অধিকারী হবেন।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

৪. স্থলাভিষিক্ততাঃ

বীমাগ্রহীতাকে পূর্ণ ক্ষতি পূরণ দেবার পর যদি তৃতীয় পক্ষ থেকে কোন পাওয়া যায় বা আদায় হয়ে থাকে অথবা ক্ষতি গ্রস্থ সম্পদ বিক্রি করে কোন টাকা পাওয়া যায় তার মালিক বীমা গ্রহীতার স্থলে বীমাকারী হবেন। কারণ বীমাগ্রহীতার ক্ষতি পূরণ করে দেয়া হয়েছে। যদি এটাও বীমাগ্রহীতা পায় তবে তার লাভ হবে। কিন্তু বীমার মাধ্যমে কাউকে
লাভ করার সুযোগ দেয়া হয় না। এই নীতিটি ক্ষতি পূরণ নীতির পরিপূরক।

৫. শর্তাবলীঃ

অন্যান্য চুক্তির ন্যায় অগ্নিবীমার কিছু শর্ত ব্যক্ত বা অব্যক্ত থাকে। যদি এ সকল শর্ত পালিত না হয় তবে চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষ আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন। যদি বীমা গ্রহীতা কোন শর্ত পালনে ব্যর্থ হয় তবে বীমাকারী বীমা দাবী পূরণে অস্বীকার করতে পারেন। তাই অগ্নিবীমার ক্ষেত্রেও শর্ত অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত
হয়।

৬. প্রত্যক্ষ বা নিকটতম কারণঃ

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

বীমাকৃত বস্তু বা সম্পদ আগুনে পুড়ে ক্ষতি গ্রস্থ হলে বীমাকারী ক্ষতি পূরণ করে দেবে
এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু আগুন লাগার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু একজন বীমাকারী সাধারণ সব কারণগুলোর বিরুদ্ধে বীমা ব্যবস্থা গ্রহণ করেননা। স্বাভাবিক ভাবেই যে সকল কারণ বস্তুর প্রকৃতি ও অবস্থানের কারণে হয়ে
থাকে।

সাধারণতঃ সে সকল কারণের বিরুদ্ধেই বীমা গ্রহণ করা হয়। তাই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কারণ অনুসন্ধান করা প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আগুনে পুড়ার পেছনে প্রত্যক্ষভাবে যে কারণটি কাজ করে সেটাই প্রকৃত কারণ। তাই অগ্নি বীমার দাবী পরিশোধের ক্ষেত্রে কাছের কারণটির উপর নির্ভর করে বীমা দাবী বিবেচনা করা হয়ে থাকে দূরের কারণটি জন্য হয়। নিয়ম হলো এই যে, নিকটতম কারণটি যদি বীমাকৃত হয় তবেই শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণ করা হবে অন্যথায় নয়। তাই সংশি−ষ্ট আইনে বলা হয় যে, নিকটমত কারণের দিকে তাকাও, দূরবর্তী কারণের দিকে নয়। এখানে নিকটতম কারণ বলতে আগুন
লাগার প্রকৃত কারণকে বুঝান হয়েছে।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

H.S.C

1 thought on “প্রিমিয়াম কাকে বলে? জীবন বীমার প্রিমিয়াম নির্ধারণের পদ্ধতি? অগ্নিবীমা চুক্তির আবশ্যকীয়?”

Leave a Comment