প্রবন্ধ রচনা: সাইবার অপরাধ, রচনা: সাইবার অপরাধ, সাইবার অপরাধ রচনা SSC HSC, প্রবন্ধ ও রচনা: সাইবার অপরাধ, প্রবন্ধ রচনা : সাইবার অপরাধ

Google Adsense Ads

বিষয়: সাইবার অপরাধ

সাইবার অপরাধ

কম্পিউটার ক্রাইম অথবা সাইবার অপরাধ বলতে কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে যে অপরাধ সংঘঠিত হয়। কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের সমষ্টি কে মানুসিকভাবে হয়রানি এবং সুনাম নষ্ট করা। এটা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও হতে পারে আবার ফেসবুক ব্যবহার করেও হতে পারে। নানান ধরনের আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে কারো সুনাম নষ্ট করা হয়। এছাড়াও কারো ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দিয়েও ক্রাইম করা হয়। তথ্য চুরি, তথ্য বিকৃতি, প্রতারণা, ব্ল্যাক মেইল, তথ্য চুরি ইত্যাদি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হলে, তাকে সাইবার ক্রাইম বা সাইবার অপরাধ বলে। বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ পাস করা হয়।

বিভিন্ন সাইবার অপরাধ

১. কম্পিউটার ভাইরাস

এটি এক ধরনের পোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাহ, সংক্রমণ ও নিজস্ব সংখ্যাবৃদ্ধি করে। এই পোগ্রাম সিপিইউ কর্তৃক গ্রহণ করে কম্পিউটারকে অস্বাভাবিক, অগ্রহণযোগ্য এবং অস্বস্তিদায়ক কাজ করতে বাধ্য করে।

২. হ্যাকিং

সাধারণত  অনুমতি ব্যতীত কোন কম্পিউটার নেটওর্য়াকে প্রবেশ করে কম্পিউটার ব্যবহার করা অথবা কোন কম্পিউটারকে মোহচ্ছন্ন করে পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়াকে হ্যাকিং বলে। যে হ্যাকিং করে তাকে হ্যাকার (Hacker) বলে। হ্যাকিং বৈধ অথবা অবৈধ হতে পারে। কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের সিস্টেমের সিকিউরিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হ্যাকার নিয়োগ করে। এই নিয়োগপ্রাপ্ত হ্যাকারদের কাজকে বৈধ হ্যাকিং বলা হয়। এরা সিস্টেম সিকিউরিটি চেক করে কিন্তু সিস্টেটেমের কোন ক্ষতি করে না। যেমন- UNIX  সিস্টেম চেক করার জন্য অনেক বৈধ হ্যাকার আছে। অবৈধভাবে যারা হ্যাকিং করে তাদের ক্রেকারও বলা হয়। অবৈধ হ্যাকার বা ক্রেকারকে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডেটা চুরি অথবা নষ্ট করে দেয়।

৩. স্প্যামিং

ই-মেইল একাউন্টে প্রায়ই কিছু কিছু অচেনা ও অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল পাওয়া যায় যা আমাদের বিরক্তি ঘটায়। এই ধরণের ই-মেইলকে সাধারণত স্প্যাম ইমেইল বলে। আর যখন কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কোনো নির্দিষ্ট একটি ই-মেইল এড্রেসে শত শত এমনকি লক্ষ লক্ষ মেইল প্রেরণের মাধ্যমে মেমোরি দখল করে, তখন তাকে স্প্যামিং বলে।

৪. সাইবার আক্রমণ

সাইবার আক্রমণ এক ধরনের ইলেকট্রনিক আক্রমণ যাতে ক্রিমিনালরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কারো সিস্টেমে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে ফাইল, প্রোগ্রাম বা হার্ডওয়্যার ধ্বংস বা ক্ষতিসাধর করে। একে সাইবার Vandalism ও বলা হয়।

৫. সাইবার হয়রানি

ই-মেইল বা ব্লক বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে হুমকি দেওয়া, ব্যক্তি নামে মিথ্যাচার বা অপপ্রচার, নারী অবমাননা, যৌন হয়রানি প্রভৃতি সািইবার হয়রানির অন্তর্ভুক্ত।

৬. সাইবার চুরি

সাইবার চুরি দুইভাবে ঘটতে পারে। যথা- ডেটাচুরি এবং ব্যক্তি পরিচয় চুরি। কোনো ব্যক্তি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমতি ব্যতীত ইনফরমেশন কপি আহরণ করাকে ডেটা চুরি বলা হয়। পক্ষান্তরে এক ব্যক্তির পরিচয় ব্যবহার করে অন্য কোনো ব্যক্তি কিছু ক্রয় বা অন্য কোনো কর্মকাণ্ড করে তার দায়ভার প্রথমোক্ত ব্যক্তির উপর চাপানোকে ব্যক্তি পরিচয় বলে।

৭. ফিশিং

ফিশিং বলতে প্রতারণার মাধ্যমে কারো কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন-ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি সংগ্রহ করাকে বুঝায়। ই-মেইল ও ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজের মাধ্যমে সাধারণত ফিশিং করা হয়ে থাকে। লগ ইন বা একসেস তথ্য চুরি বিশেষত ই-কর্মাস বা ই-ব্যাংকিং সাইটগুলো ফিশারদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকে।

৮. পাইরেসি

সদ্য প্রকাশিত গান বা সিনেমার এমপিথ্রি বা মুভি ফাইল ইন্টারনেট শেয়ার হয়ে যাচ্ছে।

৯. ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি চুরি

ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে কোনো লেখা বা ফটোগ্রাফি সহজেই কপি করে নিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
Paragraph & Composition/Application/Emali উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

Google Adsense Ads

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও

Google Adsense Ads

Leave a Comment