প্রকল্প ধারণার উৎসসমূহ আলোচনা কর, প্রকল্প ধারণার উৎসসমূহ বর্ণনা কর, প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর, প্রকল্পের প্রকৃতি তুলে ধর

প্রশ্ন সমাধান: প্রকল্প ধারণার উৎসসমূহ আলোচনা কর, প্রকল্প ধারণার উৎসসমূহ বর্ণনা কর, প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর, প্রকল্পের প্রকৃতি তুলে ধর

প্রকল্প ধারণার উৎসসমূহ আলোচনা কর, প্রকল্প ধারণার উৎসসমূহ বর্ণনা কর

কোন বিশেষ উদ্দেশ্যঅর্জনের জন্য যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় তাই প্রকল্প। প্রকল্পে ধারণাটি কোন একন উৎস হতে জন্ম লাভ করেনি এবং এটি নির্ভর করে উদ্যোক্তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর। সুতরাং একজন উদ্যোক্তা কেন উৎস হতে প্রকল্পের ধারণা লাভ করবে তা বলা যায় না।

প্রকল্পের ধারণার উৎসসমূহ : প্রকল্প ধারণার উৎসসমূহ নিয়ে উল্লেখ করা হলো :

১. গবেষণা ও প্রকৌশল : (i) মৌলিক গবেষণা প্রয়োগ: (i) সৃজনশীল চিন্তা ; (iii) দুর্ঘটনার মাধ্যমে আবিষ্কার;(iv) বর্তমান পণ্য ও কার্যসম্পাদন মূল্যায়ন ।

২. প্রকল্প জীবন পর্যালোচনা : (i) সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মুনাফা; (ii) বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জীবনবৃত্তান্ত ।

৩. বাজার পর্যবেক্ষণ : (i) আয়স্তর; (ii) বাজার জরিপ:(iii) প্রযুক্তির পরিবর্তন;(iv) কর্মীদের মতামত: (v) উপজাত পণ্যের ব্যবহার ও (vi) ভবিষ্যৎ চাহিদার পূর্বানুমান।

৪. বিক্রয় প্রচেষ্টা :(i) ক্রেতাদের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা; (ii) শিল্প ও প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত ধারণা ও (iii) ক্রেতাদের নিকট হতে অনুসন্ধান ।

৫. বাহ্যিক উৎস : (i) উদ্ভাবকগণ; (ii) পাইকারগণ; (iii) বিক্রয় প্রতিনিধি; (iv) শেয়ার হোল্ডারগণ; (v) সরবরাহকারীগণ ও (vi) ক্রেতার অভিরুচি।

৬. জাতীয় বাণিজ্য মেলা ও প্রদর্শনী : (i) গবেষণা ও উন্নয়ন; (ii) পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ বিশ্লেষণ; (iii) সামগ্রিক অর্থনেতিক নীতি; (iv) রাজনীতিবিদদের বক্তৃতা ও (v) আর্থিক সংস্থার উন্নয়ন কর্মসূচি

৭. অন্যান্য সংস্থা : (i) পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান; (ii) রপ্তানী উন্নয়ন কাউন্সিল ও (iii) বিনিয়োগ কেন্দ্র
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উদ্যোক্তা উল্লিখিত যেকোন উৎস হতে প্রকল্প ধারণা গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন উৎস নেই ।


আরো ও সাজেশন:-

প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর, প্রকল্পের প্রকৃতি তুলে ধর

প্রকল্পের সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করলে প্রকল্পের কতকগুলো সাধারণ বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, কার্যধারা, উদ্দেশ্য প্রভৃতি দিক থেকে প্রকল্পের কতকগুলো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। প্রকল্প সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করার জন্য এর বৈশিষ্ট্যসমূহ জানা আবশ্যক।

নিম্নে প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করা হলো :

১. সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ; প্রকল্প সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পরিচালিত হয় । উদ্দেশ্য অর্জনের সাথে সাথে প্রকল্পের পরিসমাপ্তি ঘটে।

২. সময়সীমা : প্রতিটি প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। অর্থাৎ প্রকল্প আরম্ভ ও শেষ করার সুনির্দিষ্ট সময় থাকে।

৩. অস্থায়ী প্রচেষ্টা : প্রকল্প গতানুগতিক নয়, এর কার্যসমূহ প্রয়োজন অনুসারে গৃহীত হয়। প্রকল্পের আওতাধীন সকল কার্যসমূহ অস্থায়ী ভিত্তিতে হয়ে থাকে ৷

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৪. বাজেট বরাদ্দ : প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কত ব্যয় হবে তা পূর্বেই নির্ধারণ করা হয় এবং সেই অনুযায়ী বাজেট বরাদ্দ করা হয়।

৫. মজবুত ভিত্তি : প্রকল্প হলো কোম্পানির কৌশল বাস্ত বায়নের হাতিয়ার। এটি সাংগঠনিক কৌশল প্রণয়ন ও বাস্ত বায়নের মজবুত ভিত্তি প্রদান করে ।

৬. সীমাবদ্ধ সম্পদ : প্রতিটি প্রকল্পের জন্য সীমিত সম্পদ বরাদ্দ থাকে যার দ্বারা শ্রম, যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হয় ।

৭. নির্দিষ্ট জীবনচক্র : প্রকল্পের নির্দিষ্ট জীবনচক্র রয়েছে। প্রকল্পের জীবনচক্র প্রকল্পের ধারণা দিয়ে শুরু হয় এবং প্রকল্পের সমাপ্তি দিয়ে শেষ হয় ।

৮. কতিপয় কাজের সমষ্টি : প্রকল্প হলো পরিকল্পিত পরস্পর নির্ভরশীল এবং সমন্বিত কতিপয় কাজের সমষ্টি । সংগঠনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ সকল কাজসমূহ পরিকল্পনা অনুযায়ী সমন্বিত করে সম্পন্ন করা হয় ।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

৯. ঝুঁকি : প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে ঝুঁকি অন্তর্ভুক্ত থাকে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করা হয়।

১০. অদ্বিতীয় পণ্য বা সেবা : প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত প্রতিটি পণ্য বা সেবা অদ্বিতীয় এবং অন্য কোনো একটি প্রকল্পের পণ্য বা সেবা অন্য আর একটি প্রকল্পের পণ্য বা সেবার অনুরূপ নয় ।

১১. ভৌগোলিক সীমারেখা : প্রতিটি প্রকল্পের একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমারেখা থাকে যা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নির্ধারণ করা হয় ।

১২. সৃজনশীলতার হাতিয়ার : প্রকল্প হলো নতুন কিছু সৃষ্টি করার হাতিয়ার। অনেক কোম্পানি প্রকল্পের মাধ্যমে গতানুগতিক কার্য পরিহার করে নতুন নতুন পদ্ধতি, কলাকৌশল, প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিত্য নতুন ও উন্নতমানের পণ্য ও সেবা উৎপাদন করে ।

১৩. সুবিধাভোগী শ্রেণি : প্রকল্প গ্রহণ করার সময়সাধারণত সুবিধাভোগী শ্রেণির লক্ষ্য করে প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ।

১৪. বিরোধপূর্ণ পরিবেশ : কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পরিবেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মানুষের সমাগম ঘটে। ফলে তাদের মধ্যে ক্ষমতার বণ্টন, নেতৃত্ব এবং জবাবদিহিতা নিয়ে বিরোধপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

১৫. প্রকল্পের সমাপ্তি : প্রকল্প একটি নির্দিষ্ট জীবনচক্রের মাধ্যমে আবর্তিত হয়। তাই কোন প্রকল্প শুরু হয়ে সফলভাবে তা সমাপ্ত হলে তা বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রকল্পের উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রকল্পকে গতানুগতিক অন্যান্য কার্যক্রম থেকে সহজেই পৃথক করা যায় ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment