পানির ত্রৈধবিন্দু কাকে বলে?, সমোষ্ণ প্রক্রিয়া ও সমোষ্ণ পরিবর্তন কাকে বলে?, অন্তঃস্থ শক্তি বা অভ্যন্তরীণ শক্তি বলতে কী বোঝো?

এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র

১। পানির ত্রৈধবিন্দু কাকে বলে?

উত্তর : একটি নির্দিষ্ট চাপে যে তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ বরফ, পানি ও সম্পৃক্ত জলীয় বাষ্প তাপীয় সাম্যাবস্থায় থাকে তাকে পানির ত্রৈধবিন্দু বলে।

২। সমোষ্ণ প্রক্রিয়া ও সমোষ্ণ পরিবর্তন কাকে বলে?

উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় গ্যাসের চাপ ও আয়তনের পরিবর্তন হয়; কিন্তু তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় না, তাকে সমোষ্ণ প্রক্রিয়া এবং সমোষ্ণ পরিবর্তন বলে।

৩। অন্তঃস্থ শক্তি বা অভ্যন্তরীণ শক্তি বলতে কী বোঝো?

উত্তর : কোনো ব্যবস্থায় সঞ্চিত শক্তি, যা পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুসারে অন্যান্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে তাকে অভ্যন্তরীণ শক্তি বলে।

৪। এনট্রপি কী?

উত্তর : কোনো ব্যবস্থায় শক্তি রূপান্তরের অক্ষমতা বা সম্ভাব্যতাকে এনট্রপি বলে।

৫। মোলার তাপ ধারণক্ষমতা কাকে বলে?

উত্তর : গ্যাসের তাপমাত্রা এক কেলভিন বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের দরকার হয় তাকে মোলার তাপ ধারণক্ষমতা বলে।

৬। রুদ্ধতাপীয় সূচক ম বলতে কী বোঝো?

উত্তর : ঈঢ় ও ঈা এর অনুপাতকে রুদ্ধতাপীয় সূচক ম বলে।

৭। ঈঢ় কাকে বলে?

উত্তর : চাপ স্থির রেখে ১ সড়ষ গ্যাসের তাপমাত্রা ১শ বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয়, তাকে স্থির চাপে গ্যাসের মোলার আপেক্ষিক তাপ ঈঢ় বলে।

৮। ঈা কাকে বলে?

উত্তর : আয়তন স্থির রেখে ১ সড়ষ গ্যাসের তাপমাত্রা ১শ বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয়, তাকে স্থির আয়তনে গ্যাসের মোলার আপেক্ষিক তাপ ঈা বলে।

৯। জগতের তাপীয় মৃত্যু বলতে কী বোঝো?

উত্তর : এনট্রপি ক্রমাগত বৃদ্ধির জন্য বিশ্বজগতের সব সিস্টেমের তাপমাত্রা সমান হয়ে যাবে এবং কাজ করার মতো কোনো তাপশক্তির আদান-প্রদান হবে না। এভাবে জগতের তাপ মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হওয়াকে জগতের তাপীয় মৃত্যু বলে।

১০। সিস্টেম কী?

উত্তর : জড় জগতের অংশবিশেষ, যা পর্যবেক্ষণের জন্য বিবেচনা করা হয়, তাকে ব্যবস্থা বা সংস্থা বা সিস্টেম বলে।

১১। অন্তঃরোধ বা অভ্যন্তরীণ রোধ বলতে কী বোঝো?

উত্তর : কোষের উপাদানসমূহ এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহে যে বাধার সৃষ্টি করে তাকে কোষের অন্তঃরোধ বা অভ্যন্তরীণ রোধ বলে।

১২। আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে?

উত্তর : নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্য এবং একক প্রস্থচ্ছেদ বিশিষ্ট কোনো পরিবাহীর রোধকে ওই তাপমাত্রায় ওই পরিবাহীর উপাদানের আপেক্ষিক রোধ বলে।

১৩। শান্ট কী?

উত্তর : বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রের কুণ্ডলী রোধের সঙ্গে সমান্তরাল সমবায়ে অল্প মানের যে রোধ ব্যবহার করা হয় তাকে শান্ট বলে।

১৪। পটেনশিওমিটার কী?

উত্তর : যে যন্ত্রের সাহায্যে বিভব পতন প্রক্রিয়ায় বিভব পার্থক্য ও তড়িচ্চালক শক্তি পরিমাপ করা যায় তাকে পটেনশিওমিটার বলে।

১৫। কিলোওয়াট-ঘণ্টা কী?

উত্তর : এক কিলোওয়াট ক্ষমতার একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র এক ঘণ্টায় যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে তাকে কিলোওয়াট-ঘণ্টা বলে।

১৬। অ্যামিটার কী?

উত্তর : যে যন্ত্রের সাহায্যে বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহমাত্রাকে সরাসরি অ্যাম্পিয়ার এককে পরিমাপ করা হয় তাকে অ্যামিটার বলে।

১৭। ভোল্টমিটার কী?

উত্তর : যে যন্ত্রের সাহায্যে পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য সরাসরি ভোল্ট এককে পরিমাপ করা হয় তাকে ভোল্টমিটার বলে।

১৮। তড়িচ্চালক শক্তি কাকে বলে?

উত্তর : প্রতি একক চার্জকে কোষসমেত বর্তনীর কোনো বিন্দু থেকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে উক্ত বিন্দুতে আনতে কোষ যে পরিমাণ কাজ সম্পাদন করে তাকে কোষের তড়িচ্চালক শক্তি বলে।

১৯। পোস্ট অফিস বক্স কী?

উত্তর : পোস্ট অফিস বক্স তিন বাহুসম্পন্ন রোধ বাক্সবিশেষ। যে রোধ বক্সের তিন বাহুকে হুইটস্টোন ব্রিজের তিন বাহু বিবেচনা করে এবং হুইটস্টোন ব্রিজ নীতি ব্যবহার করে অজানা রোধ পরিমাপ করা হয় তাকে পোস্ট অফিস বক্স বলে।

২০। সুসংগত আলোক উৎস বলতে কী বোঝো?

উত্তর : দুটি আলোক উৎস হতে নির্গত নির্দিষ্ট দশা পার্থক্যে আলোক তরঙ্গের বিস্তার, কম্পাঙ্ক ও তরঙ্গদৈর্ঘ্য একই হলে ওই উৎসদ্বয়কে সুসংগত আলোক উৎস বলে।

২১। তরঙ্গমুখ কাকে বলে?

উত্তর : তরঙ্গস্থিত সমদশাসম্পন্ন কণাসমূহ যে তলে অবস্থান করে তাকে তরঙ্গমুখ বলে।

২২। হাইগেনসের নীতি বলতে কী বোঝো?

উত্তর : তরঙ্গমুখের প্রতিটি বিন্দু এক একটি গৌণ তরঙ্গের উৎস হিসেবে ক্রিয়া করে। এই গৌণ উৎস হতে নির্গত গৌণ তরঙ্গ মূল তরঙ্গের বেগে অগ্রসর হয়। কোনো মুহূর্তে গৌণ তরঙ্গগুলোকে স্পর্শ করে যে সাধারণ স্পর্শ তল পাওয়া যায়, তা ওই সময়ে নতুন তরঙ্গমুখের অবস্থান নির্দেশ করে।

২৩। আলোর ব্যতিচার কাকে বলে?

উত্তর : একই বিস্তার, কম্পাঙ্ক ও তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট দুটি আলোক তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে পর্যায়ক্রমে উজ্জ্বল ও অন্ধকার সৃষ্টি হওয়াকে আলোর ব্যতিচার বলে।

২৪। আলোর অপবর্তন কাকে বলে?

উত্তর : কোনো প্রতিবন্ধকের ধার ঘেঁষে যাওয়ার সময় আলো প্রকৃত সরল পথ হতে বেঁকে যায়, এ ঘটনাকে আলোর অপবর্তন বলে। অপবর্তন একটি বিশেষ ধরনের ব্যতিচার।

২৫। আলোর সমবর্তন কাকে বলে?

উত্তর : কোনো তরঙ্গের স্বেচ্ছাধীন বিভিন্নমুখী কম্পনকে একটি নির্দিষ্ট তলে নির্দিষ্ট দিকে সীমাবদ্ধ করাকে আলোর সমবর্তন বলে।

২৬। পয়েন্টিং ভেক্টর কী?

উত্তর : কোনো তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গের গতিপথে লম্বভাবে স্থাপিত কোনো একক ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে যে পরিমাণ শক্তি অতিক্রম করে তাকে পয়েন্টিং ভেক্টর বলে।

২৭। তরঙ্গের উপরিপাতন নীতি বলতে কী বোঝো?

উত্তর : দুই বা ততোধিক তরঙ্গ মাধ্যমের কণাকে একসঙ্গে অতিক্রম করাকে উপরিপাতন বলে এবং তখন কণাটির লব্ধ সরণ হবে তরঙ্গগুলো কর্তৃক পৃথক পৃথক সরণের ভেক্টর বীজগাণিতিক সমষ্টির সমান।

২৮। গ্রেটিং ধ্রুবক কী?

উত্তর : গ্রেটিংয়ের পর পর একটি রেখার প্রস্থ ও চিড়ের প্রস্থের যোগফলকে গ্রেটিং ধ্রুবক বলে।

২৯। সমবর্তন কোণ কাকে বলে?

উত্তর : কোনো প্রতিফলন মাধ্যমে আপতন কোণের যে সুনির্দিষ্ট মানের জন্য সমবর্তন সমাধিক হয়, তাকে সমবর্তন কোণ বলে।

৩০। দ্বৈত প্রতিসরণ কাকে বলে?

উত্তর : এমন কতকগুলো কেলাস আছে যাদের মধ্য দিয়ে আলোক রশ্মি গমন করলে এটি দুটি প্রতিসৃত রশ্মিতে বিভক্ত হয়, এই পদ্ধতিকে দ্বৈত প্রতিসরণ বলে।

৩১। ব্রুস্টারের সূত্র কী?

উত্তর : সমবর্তন কোণের ট্যানজেন্ট সংখ্যাগতভাবে প্রতিফলক মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের সমান।

৩২। গ্যালিলিয়ান রূপান্তর কাকে বলে?

উত্তর : সময়কে পরম ধরে এবং আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্বের মৌলিক স্বীকার্যদ্বয় মেনে না চলে পরস্পরের সাপেক্ষে ধ্রুববেগে গতিশীল দুটি প্রসঙ্গকাঠামোর স্থান ও কালের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী যেসব সমীকরণ পাওয়া যায় তাদের গ্যালিলিয়ান রূপান্তর বলে।

৩৩। লরেন্টজ রূপান্তর কাকে বলে?

উত্তর : সময়কে পরম না ধরে এবং আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্বের মৌলিক স্বীকার্যদ্বয় মেনে চলে পরস্পরের সাপেক্ষে ধ্রুববেগে গতিশীল দুটি প্রসঙ্গ কাঠামোর স্থান ও কালের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী যেসব সমীকরণ পাওয়া যায় তাদের লরেন্টজ রূপান্তর বলে।

৩৪। আপেক্ষিকতা কাকে বলে?

উত্তর : চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় স্থান, কাল ও জড় বা ভর ধ্রুবক। আইনস্টাইন বলেন, স্থান, কাল, জড় বা ভর ধ্রুবক নয়, এরা আপেক্ষিক। এদের মান পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক গতির ওপর নির্ভর করে। এটিকেই আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা বলে।

৩৫। প্রসঙ্গ কাঠামো বলতে কী বোঝো?

উত্তর : যে স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার সাপেক্ষে কোনো গতিশীল বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করা হয় তাকে প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।

৩৬। জড় প্রসঙ্গ কাঠামো বলতে কী বোঝো?

উত্তর : যে প্রসঙ্গ কাঠামোতে জড়তার সূত্রসমূহ বা নিউটনের সূত্রাবলি প্রতিপাদন করা যায় তাকে জড় প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।

৩৭। অজড় প্রসঙ্গ কাঠামো বলতে কী বোঝো?

উত্তর : যে প্রসঙ্গ কাঠামোতে জড়তার সূত্রসমূহ বা নিউটনের সূত্রাবলি প্রতিপাদন করা যায় না, তাকে অজড় প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।

৩৮। কাল দীর্ঘায়ন কাকে বলে?

উত্তর : গতিশীল ঘড়ি নিশ্চল ঘড়ি অপেক্ষা ধীরে চলে। কোনো পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে গতিশীল ঘড়ি যদি গতিশীল না হয়ে নিশ্চল থাকত, তাহলে যে সময় দিত গতিশীল অবস্থায় তদপেক্ষা কম সময় দেবে। এই ঘটনাকে কাল দীর্ঘায়ন বলে।

৩৯। দৈর্ঘ্য সংকোচন কাকে বলে?

উত্তর : গতিশীল অবস্থায় কোনো দণ্ডের দৈর্ঘ্য নিশ্চল অবস্থায় ওই দণ্ডের দৈর্ঘ্য অপেক্ষা কম হয়। একে দৈর্ঘ্য সংকোচন বলে।

৪০। ভরের আপেক্ষিকতা বলতে কী বোঝো?

উত্তর : বস্তুর গতিশীল অবস্থার ভর নিশ্চল অবস্থার ভরের চেয়ে বেশি। একে ভরের আপেক্ষিকতা বলে।

৪১। শক্তি ব্যান্ড কী?

উত্তর : একই কক্ষপথে অবস্থিত ইলেকট্রনের শক্তির সর্বনিম্ন মান হতে সর্বোচ্চ মানের পাল্লাকে শক্তি ব্যান্ড বলে।

৪২। যোজন ব্যান্ড কী?

উত্তর : পরমাণুর যোজন ইলেকট্রনসমূহের শক্তির পাল্লাকে যোজন ব্যান্ড বলে।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

চাকুরি

    Leave a Comment