পরিপূর্ণ নাগরিক অধিকার পেতে হলে যথাযথ কর্তব্য পালন করতে হয় নির্দেশনা/সংকেত গুলাে অনুসরণ করে ২৫০-৩০০ শব্দের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।, নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণা, সুনাগরিকের গুণাবলী

শ্রেণি: SSC/2022 বিষয়: পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2022
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 140
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ পরিপূর্ণ নাগরিক অধিকার পেতে হলে যথাযথ কর্তব্য পালন করতে হয় নির্দেশনা/সংকেত গুলাে অনুসরণ করে ২৫০-৩০০ শব্দের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে। 
  • নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারবে 
  • নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যের ধারণা বর্ণনা করতে পারবে। 
  • নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে আগ্রহী হবে।

নির্দেশনা :  

  • ১। নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণা 
  • ২। সুনাগরিকের গুণাবলী।
  • ৩। নাগরিক অধিকার ও অধিকারের শ্রেণিবিভাগ 
  • ৪।নাগরিকেরকর্তব্য ও কর্তব্যের শ্রেণিবিভাগ 
  • ৫। অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক

তারিখ : –/—/২০২২ ইং ।
বরাবর ,
প্রধান শিক্ষক,
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস স্কুল ,
ঢাকা-১২০৭ , বাংলাদেশ ।
বিষয় : পরিপূর্ণ নাগরিক অধিকার পেতে হলে যথাযথ কর্তব্য পালন করতে হয়

জনাব,
বিনতি নিবেদন এই যে , আপনার আদেশ নং বা.উ.বি.৩৫৫-১ তারিখ : –/—/২০২২ ইং অনুসারে উপরােক্ত বিষয়ের উপর আমার স্বব্যখ্যাত প্রতিবেদনটি নিন্মে পেশ করলাম ।

সূচনা:

আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বে প্রাচীন গ্রিসে নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণার উদ্ভব হয়। প্রাচীন গ্রিসে তখন নগরকেন্দ্রিক ছোট ছোট রাষ্ট্র ছিল, সেগুলোকে নগর-রাষ্ট্র বলা হতো। এসব নগর-রাষ্ট্রে যারা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করত তারা নাগরিক হিসেবে পরিচিত ছিল। তাদের ভোটাধিকার ছিল। তবে নগর-রাষ্ট্রে নারী, বিদেশি ও গৃহভৃত্য এরা নাগরিক ছিল না। সময়ের পরিক্রমায় নাগরিকত্বের ধারণায় অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে নাগরিক হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে কোনো পার্থক্য করা হয় না।

আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। কারণ, আমরা এদেশে জন্মগ্রহণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছি, রাষ্ট্রপ্রদত্ত সকল প্রকার অধিকার (সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক) ভোগ করছি এবং রাষ্ট্রের প্রতি বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করছি। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যে ব্যক্তি কোনো রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে, রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকার ভোগ করে এবং রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য পালন করে, তাকে ঐ রাষ্ট্রের নাগরিক বলে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণা

সময়ের পরিক্রমায় নাগরিকত্বের ধারণায় অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে নাগরিক হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে কোনাে পার্থক্য করা হয় না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। কারণ, আমরা এদেশে জন্মগ্রহণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছি, রাষ্ট্রপ্রদত্ত সকল প্রকার অধিকার (সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ) ভােগ করছি এবং রাষ্ট্রের প্রতি বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করছি।

সুতরাং আমরা বলতে পারি, যে ব্যক্তি কোনাে রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে, রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকার ভােগ করে এবং রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য পালন করে, তাকে ঐ রাষ্ট্রের নাগরিক বলে। নাগরিক ও নাগরিকতাকে কেউ কেউ একই অর্থে ব্যবহার করেন। আসলে এদের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ রয়েছে। নাগরিক হলাে ব্যক্তির পরিচয়। যেমন- আমাদের পরিচয় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আর রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে ব্যক্তি যে মর্যাদা ও সম্মান পেয়ে থাকে তাকে নাগরিকতা বলে ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সুনাগরিকের গুণাবলী

একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে তৈরি করার জন্য প্রথমে আমাকে জানতে হবে সুনাগরিকের গুণাবলী গুলো সম্পর্কে।

একজন সুনাগরিক একটি রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। জন্ম থেকে কেউ সুনাগরিক হয়ে জন্মায় না এবং দেশের সকল নাগরিক সুনাগরিক নয়।

একজন সুনাগরিকের তিনটি মৌলিক গুণাবলী রয়েছে:

  • ১. বুদ্ধি
  • ২. আত্মসংযম
  • ৩. বিবেক বিচার

১.  বুদ্ধি:

একজন সুনাগরিকের অন্যতম মৌলিক গুণ হচ্ছে বুদ্ধি। বুদ্ধির পর্যাপ্ত ব্যবহারের মাধ্যমে সে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহযোগিতা করতে পারে।

বুদ্ধিমান নাগরিক উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন করে, দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা, রাষ্ট্রের উন্নয়নে সফলতায় সহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

নাগরিকের বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে সঠিক শিক্ষা অর্জন করা।

২. আত্মসংযম:

একজন সুনাগরিকের আরেকটি অন্যতম গুণ হচ্ছে আত্মসংযম। ‌ নাগরিককে অসৎ কার্যাবলী যেমন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বার্থপরতা, পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদি ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখে।

সুনাগরিক হওয়ার জন্য আত্মসংযম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আত্মসংযম একজন নাগরিককে দেশ ও সমাজের সাথে কাজ করতে এবং নিয়মাবলী মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করে।

আত্মসংযম অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে শেখায় এবং নিজের স্বার্থের চাইতে দেশের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া শেখায়।

তাই একজন সুনাগরিক কে অবশ্যই আত্মসংযম অর্জন করতে হবে।

বিবেক বিচার:

একজন সুনাগরিকের শুধু বুদ্ধিমানও আত্মসংযমী হলেই হয় না তাকে অবশ্যই বিচারের সঠিক ব্যবহার জানতে হয়। বিবেক বিচার হলো ভালো-মন্দের জ্ঞান ও দায়িত্ব কর্তব্যের জ্ঞান।

বিবেক সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি অতএব নাগরিক নিজে বিবেকবান হবে অন্যদেরও বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন হতে উৎসাহিত করবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

নাগরিক অধিকার ও অধিকারের শ্রেণিবিভাগ

নাগরিক অধিকার

নিচের অপশনগুলাে থেকে আমরা নাগরিকের কয়েকটি অধিকার সম্পর্কে ধারণা পাই। এ ছাড়া নাগরিক হিসেবে আমাদের আরও অনেক অধিকার আছে।

  • শিক্ষার অধিকার
  • পরিবার গঠনের অধিকার
  • ভােটাধিকার

অধিকার হলাে সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত কতগুলাে সুযােগ-সুবিধা, যা ভােগের মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিত্বের | বিকাশ ঘটে। অধিকার ব্যতীত মানুষ তার ব্যক্তিত্বকে উপলব্ধি করতে পারে না। অধিকারের মূল লক্ষ্য ব্যক্তির সর্বজনীন কল্যাণ সাধন। রাষ্ট্রের নাগরিকদের মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য অধিকার অপরিহার্য।

আমরা অনেক সময় অধিকার বলতে ইচ্ছানুযায়ী যেকোনাে কিছু করার ক্ষমতাকে বুঝি । কিন্তু যেমন খুশি তেমন কাজ করা অধিকার হতে পারে না। অধিকার সকল নাগরিকের মঙ্গল ও উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদান করা হয়। অধিকারের নামে আমাদের এমন কোনাে কাজ করা উচিত নয়, যার ফলে অন্যের ক্ষতি হতে পারে ।

অধিকারের শ্রেণিবিভাগ

অধিকার প্রধানত দুই প্রকার। যথা- ১। নৈতিক অধিকার ও ২। আইনগত অধিকার।

১. নৈতিক অধিকার : নৈতিক অধিকার মানুষের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বােধ থেকে আসে। যেমন- দুর্বলের সাহায্য লাভের অধিকার নৈতিক অধিকার। এটি রাষ্ট্র কর্তৃক প্রণয়ন করা হয় | না। যার ফলে এর কোনাে আইনগত ভিত্তি নেই। তাছাড়া এ অধিকার ভঙ্গকারীকে কোনাে শাস্তি দেওয়া হয় না। নৈতিক অধিকার বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন রকম হতে পারে।

২. আইনগত অধিকার : যেসব অধিকার রাষ্ট্রের আইন কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমােদিত, সেগুলােকে আইনগত অধিকার বলে। আইনগত অধিকারকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-

  • সামাজিক অধিকার
  • রাজনৈতিক অধিকার
  • অর্থনৈতিক অধিকার

ক. সামাজিক অধিকার : সমাজে সুখ-শান্তিতে বসবাস করার জন্য আমরা সামাজিক অধিকার ভােগ করি। যেমন- জীবন রক্ষার, স্বাধীনভাবে চলাফেরার ও মত প্রকাশের, পরিবার গঠনের, শিক্ষার, আইনের দৃষ্টিতে সমান সুযােগ লাভের, সম্পত্তি লাভের ও ধর্মচর্চার অধিকার ইত্যাদি।

খ. রাজনৈতিক অধিকার : নির্বাচনে ভােটাধিকার, নির্বাচিত হওয়া এবং সকল প্রকার অভাব-অভিযােগ আবেদনের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়াকে রাজনৈতিক অধিকার বলে। এসব অধিকার ভােগের বিনিময়ে নাগরিকরা রাষ্ট্র পরিচালনায় পরােক্ষভাবে অংশগ্রহণের সুযােগ পায় ।

গ. অর্থনৈতিক অধিকার : জীবনধারণ, জীবনকে উন্নত ও এগিয়ে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকারকে অর্থনৈতিক অধিকার বলে। যেমন- যােগ্যতা অনুযায়ী কাজ করার অধিকার, ন্যায্য মজুরি লাভের অধিকার, অবকাশ লাভের অধিকার, শ্রমিকসংঘ গঠনের অধিকার।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

নাগরিকের কর্তব্য ও কর্তব্যের শ্রেণিবিভাগ

নাগরিকের কর্তব্য :  রাষ্ট্রের নিকট নাগরিকের যেমন অধিকার রয়েছে, অনুরূপ রাষ্ট্রের প্রতিও নাগরিকের কর্তব্য রয়েছে। কর্তব্য পালন ব্যতীত শুধু অধিকার ভােগ করা প্রত্যাশিত নয়। বিভিন্ন অধিকার প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্র নাগরিকদের নিজের প্রতি অনুগত ও দায়িত্বশীল করে তােলে। রাষ্ট্র প্রদত্ত অধিকারের মাধ্যমে নাগরিক জীবন বিকশিত হয়। এর বিনিময়ে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা, সততার সাথে ভােটাধিকার প্রয়ােগ করা, নিয়মিত কর প্রদান করা, আইন মান্য করা এবং রাষ্ট্রপ্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন নাগরিকদের কর্তব্য।

কর্তব্যের শ্রেণিবিভাগ

অধিকার ভােগ করতে গিয়ে নাগরিকরা যেসব দায়িত্ব পালন করে, তাকে কর্তব্য বলে। নাগরিকের কর্তব্যকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ক। নৈতিক কর্তব্য ও খ। আইনগত কর্তব্য।

ক. নৈতিক কর্তব্য : নৈতিক কর্তব্য মানুষের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বােধ থেকে আসে। যেমন- নিজে শিক্ষিত হওয়া এবং সন্তানদের শিক্ষিত করা, সততার সাথে ভােট দান, রাষ্ট্রের সেবা করা এবং বিশ্বমানবতার সাহায্যে এগিয়ে আসা। এসব কর্তব্য নাগরিকদের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বােধ থেকে সৃষ্টি হওয়ায় এগুলােকে নৈতিক কর্তব্য বলে।

খ. আইনগত কর্তব্য : রাষ্ট্রের আইন দ্বারা আরােপিত কর্তব্যকে আইনগত কর্তব্য বলে । রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য, আইন মান্য ও কর প্রদান করা নাগরিকের আইনগত কর্তব্য। এসব কর্তব্য রাষ্ট্রের আইন দ্বারা স্বীকৃত। নাগরিকদের আইনগত কর্তব্য অবশ্যই পালন করতে হয়। এ কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে শাস্তি পেতে হয়। আইনগত কর্তব্য রাষ্ট্র ও নাগরিকের কল্যাণের জন্য অপরিহার্য। নিমে কয়েকটি উল্লেখযােগ্য কর্তব্য সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে।

১. রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য : দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, সংবিধান, রাষ্ট্রীয় মূলনীতির প্রতি শ্রদ্ধাবােধ প্রদর্শন ইত্যাদির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ পায়। অন্যভাবে বলা যায়, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব, সংহতি ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য প্রয়ােজনবােধে নিজের জীবন উৎসর্গ করার অর্থ হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন।

২. আইন মান্য করা : আমাদের জীবন, সম্পত্তি ও স্বাধীনতার রক্ষাকবচ হচ্ছে আইন। আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযােজ্য। আইনের অবর্তমানে সমাজ ও জীবন হয়ে উঠে অরাজকতাপূর্ণ । আইনবিহীন সমাজ, রাষ্ট্র ও নাগরিক জীবন কিছুই কল্পনা করা যায় না। নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা 2 নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র আইন প্রণয়ন করে। সুতরাং নাগরিকদের আইন মান্য করা কর্তব্য।

৩. কর প্রদান করা : রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সরকারের প্রচুর অর্থের প্রয়ােজন হয়। এ জন্য সরকার নাগরিকদের উপর প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষ কর আরােপ করে। কাজেই নিয়মিত ও যথাযথভাবে কর প্রদান করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক

অধিকার ও কর্তব্য শব্দ দুটি ভিন্ন হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ । নিমে অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক বর্ণিত হলাে

প্রথমত, অধিকার ভােগ করলে কর্তব্য পালন করতে হয়। যেমন- ভােটদান নাগরিকের অধিকার, ভােটাধিকার প্রয়ােগ নাগরিকের কর্তব্য। একটি ভােগ করলে অন্যটি পালন করতে হয়। সুতরাং বলা যায়, অধিকার ভােগের মধ্যে কর্তব্য নিহিত থাকে।

দ্বিতীয়ত, একজনের অধিকার বলতে অন্যজনের কর্তব্য নির্দেশ করে। যেমন- আমার পথ চলার অধিকার আছে- এর অর্থ আমি পথ চলব এবং অন্যজনকেও পথ চলতে দেব। আবার, আমি যখন পথ চলব অন্যজনও আমার পথ চলার সুযােগ করে দিবে। কাজেই অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।

তৃতীয়ত, আমরা রাষ্ট্রপ্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ভােগ করি। তার বিনিময়ে আমাদের কর্তব্য পালন করতে হয়। যেমন- রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা, আইন মান্য করা, কর প্রদান করা ইত্যাদি কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই আমরা রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকার ভােগ করি ।

চতুর্থত, সমাজের সদস্য হিসেবে আমরা শিক্ষালাভের অধিকার ভােগ করি এবং সমাজের কল্যাণে আমাদের অর্জিত শিক্ষাকে প্রয়ােগ করে সমাজের উন্নয়ন করি। শিক্ষালাভ আমাদের অধিকার, অর্জিত শিক্ষা প্রয়ােগ করা কর্তব্য। সুতরাং বলা যায়, অধিকার ও কর্তব্য সমাজবােধ থেকে উৎপত্তি লাভ করে।

মূলত অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ । একটিকে বাদ দিয়ে অপরটি ভােগ করা সম্ভব নয়। তাই বলা যায়, অধিকার কর্তব্যের মধ্যেই নিহিত।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রতিবেদকের নাম : রাকিব হোসেন সজল
রোল নং : ০১
প্রতিবেদনের ধরন : প্রাতিষ্ঠানিক
বিষয় : পরিপূর্ণ নাগরিক অধিকার পেতে হলে যথাযথ কর্তব্য পালন করতে হয়
প্রতিবেদন তৈরির স্থান : ঢাকা
তারিখ : –/—/২০২২ ইং ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও


অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • Class: 6 To 9 Assignment Answer Link

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/


Leave a Comment