পদ্য : সােনার তরী, সােনার তরী’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

পদ্য : সােনার তরী

২. মহাকালের চিরন্তন স্রোতে মানুষ অনিবার্য বিষয়কে এড়াতে পারে না। মানুষ মরণশীল। আর কাল নিরবধি। সেই কালের ধারায় মানুষ আসে আবার চলে যায়। কেবল টিকে থাকে তার কর্ম। মানুষ নিজে বেঁচে থাকতে না পারার অতৃপ্তি তাকে ব্যথিত করে। আর তাকে অপেক্ষা করতে হয় অনিবার্যভাবে মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার জন্য।

ক. ‘সােনার তরী’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উত্তর: ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা ‘সোনার তরী’।

খ. ‘শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি উক্তিটি দিয়ে কবি কী বলতে চেয়েছেন?

উত্তর: শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি উক্তিটি দ্বারা তরী ভরে গেলে মহাকাল কবিকে তরীতে নিবে না, সোনার ফসরের কারনে তার তরী ভরেছে। তাই এখানে কবি শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি কথাটি ব্যবহার করিছে।


আসলেই মহাকালের গর্ভে বিলীন হয়ে যায় মানুষকে কখনো পৃথিবীর চিরন্তন ভাবে টিকে রাখে না সে কথা এখানে বলা হচ্ছে এবার আমরা চেষ্টা করব আমার নৌকা ছোট মানুষের জন্য সৃষ্টি করে নেওয়ার মতো কোন জায়গা নেই তখন কবি উপলব্ধি

গ. উদ্দীপকে সােনার তরী কবিতায় আংশিক বক্তব্য ফুটে উঠেছে”-উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘সোনার তরী’ কবিতায় চিত্রধর্মী রূপক প্রকৃতির অন্তরালে মানুষের জীবনের নানা বিচিত্র রূপ ফুটে উঠেছে। প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাধ্যমে জীবনের মাহাত্ম্য তুলে ধরাই এ কবিতার মূল বক্তব্য; যা উদ্দীপকে বিদ্যমান।

ছোট তরীতে সকল ধান তুলে দেওয়ার পর আর নিজের ঠাঁই না পাওয়ার মাঝে লুকিয়ে আছে সেই অন্তর্নিহিত জীবনের দর্শন, যা দিয়ে প্রকাশ পায় জীবনে কীর্তিটুকুই বেঁচে থাকে। বাকিটুকু কালের গর্ভে তলিয়ে যায়। ফলে মূল কবিতার আলোকে অনুচ্ছেদটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কবিতার মূলভাবের সঙ্গে তা সঙ্গতিপূর্ণ।

“সোনার তরী “একটি রূপক কবিতা কবিতার মূল বিষয় হচ্ছে মহাকাল বা সোনার তরী

কবির রূপকের অন্তরালে মানবজীবনের এক গভীর সত্যকে তুলে ধরেছেন । এই সুন্দর পৃথিবীতে অতি অল্প সময়ের জন্য জন্ম নেয়। এখানে জীবনভর কঠোর পরিশ্রম করে সোনার ফসল ফলায় ।কষ্টার্জিত এই ফসল অর্থাৎ কর্ম  নিয়ে মানুষ অনন্তকালের বুকে অমর হতে চায় ।কিন্তু সময় ব্যক্তি-মানুষকে গ্রহণ করে না। সময় শুধু কাজ তথা ফসল গ্রহণ করে ।
 ব্যক্তি মানুষ অনন্তকালের বেঁচে থাকার সুযোগ পায়না । কৃষক তার সোনার ধান তরীতে তুলে দিতে পারে কেবল । সেই তরীতে কৃষকের ঠাই হয় না ।এ কবিতায়  কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ জাগতিক একটি বিষয়ের সাথে মহাকালের প্রতীকী ব্যঞ্জনায় উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন।

ঘ. উদ্দীপকের আলােকে ‘সােনার তরী’ কবিতার ভাববস্তু বিশ্লেষণ কর।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘সোনার তরী’ কবিতায় চিত্রধর্মী রূপক প্রকৃতির অন্তরালে মানুষের জীবনের নানা বিচিত্র রূপ ফুটে উঠেছে। প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাধ্যমে জীবনের মাহাত্ম্য তুলে ধরাই এ কবিতার মূল বক্তব্য; যা উদ্দীপকে বিদ্যমান।

‘সোনার তরী’ কবিতায় প্রকৃতির নানা দৃশ্যের উপস্থাপনা করে মানবজীনের অন্তর্নিহিত জীবনদর্শন বিশে¬ষণ করা হয়েছে। সময়ের চলমান স্রোতের প্রবাহমানতায় মানুষ তার অনিবার্য মৃত্যুকে রুদ্ধ করে রাখতে পারে না। তবে কোনো কীর্তিরই মৃত্যু হয় না। মহাকালের হিসাবখাতায় তার সবই লেখা থাকে। এটাই ‘সোনার তরী’ কবিতার সারকথা।

অপরদিকে অনুচ্ছেদে মহাকালের চিরন্তন স্রোতে মানুষ অনিবার্য বিষয়কে এড়াতে পারে না। মানুষ মরণশীল। আর কাল নিরবধি। সেই কালের ধারায় মানুষ আসে আবার চলে যায়। কেবল টিকে থাকে তার কর্ম। মানুষ নিজে বেঁচে থাকতে না পারার অতৃপ্তি তাকে ব্যথিত করে। আর তাকে অপেক্ষা করতে হয় অনিবার্যভাবে মহাকালের শূন্যতায় বিলীন হওয়ার জন্য।

বুড়ো কাস্তে হাতে দূরের পাহাড়কে কেটে সাফ করতে যায় এবং উত্তরের হিম হাওয়ার কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করে। একদিন গ্রামবাসীরা তার মৃতদেহ দেখতে পায়। তারা সেখানে গিয়ে বিস্ময়ে শুনতে পায় বুড়োর শেখানো বুলিতে পাখিরা গান গেয়ে চলছে। এই দৃশ্যকল্পের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে কর্মের পার্থিব ফল। ‘সোনার তরী’ কবিতায়ও এমন দৃশ্যকল্প পরিলক্ষিত হয়।

ছোট তরীতে সকল ধান তুলে দেওয়ার পর আর নিজের ঠাঁই না পাওয়ার মাঝে লুকিয়ে আছে সেই অন্তর্নিহিত জীবনের দর্শন, যা দিয়ে প্রকাশ পায় জীবনে কীর্তিটুকুই বেঁচে থাকে। বাকিটুকু কালের গর্ভে তলিয়ে যায়। ফলে মূল কবিতার আলোকে অনুচ্ছেদটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কবিতার মূলভাবের সঙ্গে তা সঙ্গতিপূর্ণ।

H.S.C

1 thought on “পদ্য : সােনার তরী, সােনার তরী’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?”

Leave a Comment