দাঁতের মাড়ি ফোলার সমাধান,দাঁতের মাড়ি ফোলা,দাতের মাড়ি ব্যথা,দাঁতের মাড়ির সমস্যা সমাধান

বিষয়:দাঁতের মাড়ি ফোলার সমাধান,দাঁতের মাড়ি ফোলা,দাতের মাড়ি ব্যথা,দাঁতের মাড়ির সমস্যা সমাধান

দাঁতের মাড়ির ফোলা বা ফোড়া কি?

দাঁতের কেন্দ্রস্থলে সংক্রমিত টিস্যুর সঞ্চয়ের ফলে দাঁতের মাড়ির ফোলার সমস্যা দেখা যায়। দাঁতের ছিদ্রর (ক্যাভিটি) চিকিৎসা না হলে, আঘাতের ফলে অথবা দাঁতের পূর্ব চিকিৎসার ফলস্বরূপ এটা হতে পারে। মধ্যবয়স্কদের তুলনায় এটি অল্পবয়স্ক ও বৃদ্ধদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?

দাঁতের মাড়ি ফোলার লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • দাঁতে স্থায়ী ও দপদপ করা ব্যথা যা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • গরম ও ঠান্ডা তাপমাত্রার প্রতি সংবেদনশীলতা।
  • কামড়ানো বা চিবানোর প্রতি সংবেদনশীলতা।
  • জ্বর।
  • মুখ ফুলে যাওয়া।
  • ফোড়া ফেটে গেলে দুর্গন্ধযুক্ত ও নোনতা তরলে মুখ ভরে যাওয়া।

এই প্রধান কারণগুলি কি কি?

ডেন্টাল পাল্প অর্থাৎ দাঁতের অভ্যন্তরীণ যে অংশে রক্তবাহ, স্নায়ু এবং যোগকলা উপস্থিত থাকে, সেখানে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ এই সমস্যার প্রধান কারণ। দাঁতের ক্ষয়ের ফলে এটি ঘটতে পারে। ব্যাকটেরিয়া দাঁতের ছিদ্র বা চিড়ের মধ্যে দিয়ে ঢুকে তার কেন্দ্রস্থল বা পাল্পকে সংক্রমিত করে, ফলে স্ফীতির এবং পূঁজের সৃষ্টি হয়। বিপদের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • দাঁতের অপর্যাপ্ত যত্ন: নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস না করা।
  • বেশি মিষ্টি খাওয়া: অধিক চিনি (শর্করা) যুক্ত খাদ্য ও পানীয়, যেমন মিষ্টি বা সোডা খাওয়া।

এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?

দাঁতের মাড়ির ফোলা নির্ণয় করার জন্য, ডেন্টিস্ট (দন্তচিকিৎসক) ক্ষতিগ্রস্থ দাঁতটিকে পরীক্ষা করেন এবং দাঁতে টোকা মেরে স্পর্শের ও চাপের প্রতি তার সংবেদনশীলতা দেখেন। অন্যান্য পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • দাঁতের এক্স-রে থেকে ফোলা বা ফোড়ার চিহ্নিতকরণ ও সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে তা বোঝা যেতে পারে।
  • সিটি স্ক্যানেরও নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।

সংক্রমণের বিস্তার বন্ধ করতে কিছু চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • ইনসিশন ও ড্রেনেজ (ফোড়া কেটে পূঁজ ঝড়িয়ে দেওয়া)।
  • রুট ক্যানাল চিকিৎসা।
  • দাঁত তুলে ফেলা।
  • অ্যান্টিবায়োটিক।

নিজের যত্ন নিতে যা করতে পারেন:

  • খাওয়ার পরে ঈষদুষ্ণ লবণ জল দিয়ে কুলকুচি করুন যাতে খাদ্যের কণা মুখে থেকে না যায়।
  • পেইনকিলার (ব্যথার ওষুধ) খেতে পারেন।
  • ফ্লুরিনেটেড টুথপেস্ট দিয়ে দিনে অন্তত দুবার দাঁত ব্রাশ করুন।
  • প্রতি 3-4 মাস অন্তর টুথব্রাশ বদল করুন।
  • সুষম খাদ্যাভ্যাস সংক্রমণ ও দুর্গন্ধের সম্ভাবনা কমায়।
  • অ্যান্টিসেপ্টিক বা ফ্লুরিনেটেড মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।

দাঁতের মাড়ি ফোলার সমাধান,দাঁতের মাড়ি ফোলা,দাতের মাড়ি ব্যথা,দাঁতের মাড়ির সমস্যা সমাধান,দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা,দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত কেন পড়ে,দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার

Leave a Comment