তােমার বাবা ও মায়ের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে কোনটি বৃত্তি এবং কোনটি পেশা তা নির্ধারণ করে নিম্নের ছকে লিখ

১। তােমার বাবা ও মায়ের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে কোনটি বৃত্তি এবং কোনটি পেশা তা নির্ধারণ করে নিম্নের ছকে লিখ।

২। তুমি ভবিষ্যতে কী হতে চাও? কেন? তােমার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পূরণে কী কী যােগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে তুমি মনে কর তা লিপিবদ্ধ কর।।

৩। তুমি যখন দলবদ্ধ হয়ে কাজ করবে বা খেলবে তখন কোন কোন বিষয়গুলাে খেয়াল রাখবে? এতে তুমি কী কী সুবিধা পাবে?

উত্তর সমূহ:

তােমার বাবা ও মায়ের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে কোনটি বৃত্তি এবং কোনটি পেশা তা নির্ধারণ করে নিম্নের ছকে লিখ।

আমার বাবা ও মায়ের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে কোনটি বৃত্তি এবং কোনটি পেশা তা নির্ধারণ করে নিম্নের ছকে লিখা হলো- 

কাজের বিবরণঃ

বাগান করা, ঘর বা গৃহস্থালির কাজ করা, গ্রামীণ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষিকা, সাংবাদিক।

মায়ের বৃত্তি-

  1. বাগান করা,
  2. ঘর বা গৃহস্থালির কাজ করা,
  3. গ্রামীণ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

মায়ের পেশা-

  1. শিক্ষিকা,
  2. সাংবাদিক।

বাবা ও মায়ের কাজের তালিকায় বৃত্তি ও পেশা নির্ধারণ

কাজের বিবরণঃ

বাগান পরিচর্যা করা, ঘরের কাজে সহায়তা করা, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, চিকিৎসক, আইনজীবী।

বাবার বৃত্তি-

  1. বাগান পরিচর্যা করা,
  2. ঘরের কাজে সহায়তা করা,
  3. বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

বাবার পেশা-

  1. চিকিৎসক,
  2. আইনজীবী।

[ বি:দ্র: ছক আকারে দিতে হবে ]

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

তুমি ভবিষ্যতে কী হতে চাও? কেন? তােমার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পূরণে কী কী যােগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে তুমি মনে কর তা লিপিবদ্ধ কর।

স্বপ্ন সেটা নয়, যা মানুষ ঘুমিয়ে দেখে। স্বপ্ন সেটাই, যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না। আজকের আলোচনার বিষয়- ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পূরণে যে যে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে তা লিপিবদ্ধ করা।

ভবিষ্যতে আমি একজন চিকিৎসক হতে চাই। চিকিৎসা প্রদান একটি মহৎ পেশা।

এই পেশায় আত্মনিয়োগ করলে গরীব-দুঃস্থ ব্যক্তিদের বিনামূল্যে সেবাদান করা যায়।

এই পেশা বা ক্যারিয়ার বিকাশের বিভিন্ন ধাপ বা পরিকল্পনার পর্যায়গুলো দেওয়া হলো :

নিজেকে জানাঃ

ক্যারিয়ারের পথে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে নিজেকে জানার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিজের আগ্রহ, ভালো লাগা, মন্দ লাগা, দক্ষতা বা যোগ্যতা, মূল্যবোধ ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে ও বুঝে প্রতিটি ধাপে অগ্রসর হতে হবে।

যে কাজ আমরা করতে ভালোবাসি, তেমন কাজ যদি জীবনের অধিকাংশ সময়ই করা যায় তাহলে ক্যারিয়ার আনন্দময় হয়ে ওঠে।

আবার যে কাজে আমাদের আগ্রহ নেই, সে কাজ করলে ভালো করার সম্ভাবনা কম থাকে।

সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ

ক্যারিয়ার গঠনে আমাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয়। যেমন আমি কোন বিভাগে পড়ব অথবা ভবিষ্যতে কোন পেশা বা বৃত্তি বেছে নেব ইত্যাদি। প্রতিটি সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের জীবনযাপন শৈলী, মান, উপার্জন, জীবনের গতিময়তা ইত্যাদি এর মাধ্যমে নির্ধারিত হতে পারে।

আমাদের এই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত শুধু নিজের জীবন নয় পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়কেও প্রভাবিত করতে পারে।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিজের হাতে নাও থাকতে পারে।

যেমন অনেক সময় নির্ধারিত শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট শাখা বা বিভাগ বরাদ্দ হতে পারে।

ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পূরণে যে যে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে

তাই এ সমস্ত বিষয়ে চিন্তা করে আগে থেকেই সতর্ক থেকে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা এক ধরনের সিদ্ধান্ত।

যেমন আমার লক্ষ্য যদি হয় চিকিৎসক হওয়া তাহলে আমাকে বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করতে হবে।

বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য আমাকে বিজ্ঞান বিষয়ে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে এবং এ বিষয়টি ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।

মনে রাখা দরকার লক্ষ্যপূরণ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাস্তবতার নিরিখে লক্ষ্য পরিবর্তন করা যেতে পারে।

পরিবর্তনশীল কাজের ধরন সম্পর্কে ধারনাঃ 

দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় কাজের চাহিদা ও সুযোগের পার্থক্য রয়েছে।

আবার কাজের এই চাহিদা সময়ের প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন হয়।

এই পরিবর্তনশীল চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে বিভিন্ন জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে হবে।

উচ্চতর জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশঃ

যেকোনো ধরনের কাজের জন্যই ন্যূনতম পর্যায়ের ভাষা দক্ষতা, বিশেষ করে মৌখিক যোগাযোগ দক্ষতা, গাণিতিক দক্ষতা, উপার্জনের জন্য অনুপ্রেরণা, সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপনের দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি রপ্ত করতে হবে।

কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের প্রস্তুতিঃ

প্রতিটি চাকরি বা পেশার জন্য নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতার প্রয়োজন হয়। নির্দিষ্ট বিষয়ে লেখাপড়া, প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা এই দক্ষতাগুলো অর্জন করতে পারি।

এছাড়া কর্মক্ষেত্রে কিছু সাধারণ দক্ষতা যেমন বিভিন্ন মানুষের সাথে একত্রে কাজ করা, অন্যকে সাহায্য করা ইত্যাদি দক্ষতার পাশাপাশি মনোযোগ, ধৈর্য, কাজের প্রতি নিষ্ঠা প্রভৃতি গুণ থাকা আবশ্যক।

সংবেদনশীল হওয়াঃ

বিভিন্ন পেশা ও কর্মে নিযুক্ত মানুষের প্রতি সহনশীল, সহমর্মী ও সংবেদনশীল হতে হবে।

পরিশেষে বলা যায়, আমি ভবিষ্যতে কোন ধরনের কাজ করবো বা করতে চাই তা বোঝার জন্য নিজের আগ্রহ, যোগ্যতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

ক্যারিয়ার নির্ধারণে ‘আগ্রহ’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে সে বিষয়ে পড়তে এবং সে সংক্রান্ত কাজ করতে আমরা অনুপ্রাণিত হই।

আগ্রহ না থাকলে অনেক বিষয়ই একঘেয়ে মনে হয়। যথেষ্ট আগ্রহ না থাকার কারণে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক কাজে মানুষের সাফল্য নাও আসতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

তুমি যখন দলবদ্ধ হয়ে কাজ করবে বা খেলবে তখন কোন কোন বিষয়গুলাে খেয়াল রাখবে? এতে তুমি কী কী সুবিধা পাবে?

“দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।” আজকের আলোচনার বিষয়- দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবো এবং এতে আমি যে সুবিধা পাবো তার বর্ণনা।

দলে কাজ করা বলতে বুঝায় বয়স, নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ, রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে বিভিন্ন মানুষের সাথে একত্রে কাজ করা।

আমি যখন দলবদ্ধ হয়ে কাজ করবো বা খেলবো তখন যে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখব-

  • দলের সদস্যদের ভালো গুণ সম্পর্কে ধারণা রাখবো
  • নিজের গুণাবলী ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন থাকবো
  • দলের লক্ষ্যকে সুষ্ঠুভাবে তুলে ধরবো
  • ঐকমত্যে কাজ করব

দলে কাজ করার ক্ষেত্রে আরো যে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখব-

নেতৃত্ব দেওয়া, অন্যদের পরামর্শ দেওয়া, অনুপ্রেরণা জোগানো, বিভিন্ন মতামতকে শ্রদ্ধা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো, সাফল্য অর্জনে দলগতভাবে অংশগ্রহণ ইত্যাদি ।

আমাদের জীবনে সব সময় কোন না কোন সমস্যা সমাধান করতে হয়। যে ব্যাক্তি সমস্যা সমাধানে যত পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানভিত্তিক, সে তত বেশি সফল হয়।

দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবো-

নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারলে সাফল্য লাভ সম্ভব।

  • তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ
  • অনুমান পরীক্ষা বা যাচাই করা
  • সমস্যাকে চিহ্নিত এবং এর পেছনের কারণ খুঁজে বের করা
  • সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা
  • সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পন্থা কাজে লাগানো
  • বিকল্প পরিকল্পনা করা
  • বিভিন্ন গাণিতিক জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহার করে সমস্যা সমাধান করা।

উপরোক্ত পন্থা অবলম্বন করে আমি যখন দলবদ্ধ হয়ে কাজ করব বা খেলব তখন সাফল্য লাভ সম্ভবপর হবে। এছাড়াও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বাড়বে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আমাদের YouTube এবং Like Page

২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক১১ম -১২ম শ্রেণীর HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
২০২১ সালের SSC পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক২০২১ সালের HSC পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকেশনাল)- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

Leave a Comment